পবিত্র আকসার আত্ম-চিৎকার!
হে উম্মাহর যুবকরা!
বুক ফুলিয়ে বীর দর্পনে(দর্পণে) কয়েক যুগ কয়েকজন বীর মনিষীর সাথে পবিত্র জীবন কাটিয়ে ছিলাম। সুখ দুঃখ ভাগ করে মুসলমানদেরকে আমার বুকে আশ্রয় দিয়েছিলাম। তাদেরকে আমার বুকে জায়গা দিতে গিয়ে আমাকে ছিঁড়তে হয়েছে ষড়যন্ত্রের বড় বড় শিকল। ভোগ করতে হয়েছে কঠোর নির্যাতন। আমার দেয়ালের বুকে এখনো বিঁধে আছে শত হাজার বুলেট। এমনও দিন পার করেছি আশপাশে কোন মুসলমান ছিলোনা। এমনও সময় পিপাসা নিবারণ করেছি টগবগে তরতাজা মুসলিম যুবকদের রক্তে। এ তো কিঞ্চিৎ বললাম!
আরেকটু শোন!
না থাক তুমি কষ্ট পাবে। কত তরুণ আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে পরপারের স্বপ্ন বুনেছে তুমি জানো! কত মায়ের সন্তান আমার বুকে আশ্রয় নিতে গিয়ে পরকালের সন্ধান পেয়েছে সেটা কি তুমি জানো! কত যুবক আমার ইজ্জত রক্ষা করতে গিয়ে জীবন বিলিয়ে দিয়েছে জানো তুমি?
তাদের মাঝে একজন হলেন সিংহ পুরুষ সাহাবী উমর রাদিআল্লাহু। তিনি মরুভূমির দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে রোম সম্রাটের কবল থেকে আমাকে উদ্ধার করেছিলেন। সেদিনই আমি প্রশান্তি হাসি হাসছিলাম। এরপর আর কোন দিন একগাল হাসি দিয়েছি ঠিক মনে নেই। চাপাকান্না আর বুকফাটা কান্নায় ভাসিয়েছি আমার শরীর। তবুও আমি মনোবল হারায়নি-থেমে যায়নি।
আমার পথ চলা শুরু মাসুম ব্যক্তির প্রদচারণায়(পদচারণায়)। এত সহজে এত অল্প সময়ে আমি বেকে যাবো! তার কল্পনাও কোনদিন করি না। কিন্তু কিছু কিছু নখর থাবা আমাকে বিষাক্ত করে তুলেছে। আমার গাঁয়ে জখম ধরিয়েছে। হিংস্রতা আর পাশবিকতার লাগাম টেনে ধরেছে। বর্বরতা আর শীলতাহানীর(শ্লিলতাহানী) ধারপ্রান্তে(দ্বারপ্রান্তে) পৌঁছেছে।
এমনও সময় কাটিয়েছি
রোদ্রময় দিনে ঘেমে আর কান্না করে একসার করে ফেলেছি। তুমি দেখলে বুঝতে না এটা ঘাম না কান্নার পানি। প্রচন্ড(প্রচণ্ড) শিলা বৃষ্টি তার মাঝেও আমার চোখ থেকে অঝোরে অশ্রু ঝরতো। হেমন্ত আর বসন্ত আমার জীবনে ক্ষণকালই পেয়েছিলাম। একটা সময় আমার পিঠ শক্ত চুনাপাথরে পরিণত হয়েছিলো। আমার বুকের ভিতর নরম জিনিস বলতে কিছুই ছিলো না।
দীর্ঘ ত্যক্ত সময় আর কষ্টের কাল পেরিয়ে আবারো প্রশান্তির একটু নিঃস্বাস(নিঃশ্বাস) ফেলতে শুরু করেছিলাম। এই তো পবিত্র মাহে রমজানের শুরু থেকে যৌবনের লাবণ্য ফিরে আসতে শুরু করেছিলো। তবে মনে মনে পূর্ণ একটা শঙ্কা ছিলো। পাষন্ড(পাষণ্ড) হৃদয়ের কাপুরুষ হায়েনারা আমার বুককে আরেকবার ঝাঁঝরা করবে। অবশেষে তাই হলো-ছোঁ মেরে বিশ বিশটি তাজা প্রাণ কেড়ে নিলো। যেন আমার প্রাণ শক্তি রুহটা কেড়ে নিলো।
পুরো পৃথিবীর আনাচে কানাচে ঈদের আমেজ বয়ে বেড়াচ্ছে। খুশির মিলনমেলায় অবগাহন শুরু হয়েছে। রাত কাটতে না কাটতেই কোলাকোলি আর জায়নামাজ নিয়ে ছোটাছুটি দেখা যাবে। কিন্তু তাদের এ আনন্দঘন মুহূর্তগুলো ক্ষণে ক্ষণে আমাকে পিড়া দেবে। ফিলিস্তিনী শিশু কিশোর আর ছোট্ট ছোট্ট খোকামনিদের চোখ আর মুখগুলো বিষন্ন(বিষণ্ণ) দেখে। সইতে পারবো না তাদের বাবা হারানোর বেদনা। মা তাঁর ছেলে হারানোর বেদনা। আল্লাহই তাদের অভিভাবক আর তিনিই তাদের শান্তনা(সান্ত্বনা) দিবেন।
প্রিয় যুবক ভাই!
কয়েকযুগ পর একটা মহা সুযোগ পেয়েছিলাম। আমার বুকে সালাতের এক বিশাল আয়োজন করার। ঈদের একটুখানি খুশি তাদের মাঝে ভাগাভাগি করার । কিন্তু অবশেষে তাও হলো না।যাক কি আর করার আমার আবেদন বিনোদন সবই তো শুনলে। জানি একটা সময় আমার আহবানে সাড়া দিবে তবে সেটা আমি আকসার ঘনিষ্ঠ কিছু সাথিকে হারিয়ে। হাজারো মা বোনদের কবরে রেখে।
যিনি আমাদের একমাত্র অভিভাবক তাঁর কাছে দুআ করে রোনাজারি করে দয়ার সাগরে ঢেউ তুলবো ইনশাআল্লাহ। সাহায্যের খাজানায় হাত বাড়াবো ইনশাআল্লাহ। তিনি যেন আমাদের তাদের প্রাপ্তির ছোঁয়ায় ধন্য করেন।
হে উম্মাহর যুবকরা!
বুক ফুলিয়ে বীর দর্পনে(দর্পণে) কয়েক যুগ কয়েকজন বীর মনিষীর সাথে পবিত্র জীবন কাটিয়ে ছিলাম। সুখ দুঃখ ভাগ করে মুসলমানদেরকে আমার বুকে আশ্রয় দিয়েছিলাম। তাদেরকে আমার বুকে জায়গা দিতে গিয়ে আমাকে ছিঁড়তে হয়েছে ষড়যন্ত্রের বড় বড় শিকল। ভোগ করতে হয়েছে কঠোর নির্যাতন। আমার দেয়ালের বুকে এখনো বিঁধে আছে শত হাজার বুলেট। এমনও দিন পার করেছি আশপাশে কোন মুসলমান ছিলোনা। এমনও সময় পিপাসা নিবারণ করেছি টগবগে তরতাজা মুসলিম যুবকদের রক্তে। এ তো কিঞ্চিৎ বললাম!
আরেকটু শোন!
না থাক তুমি কষ্ট পাবে। কত তরুণ আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে পরপারের স্বপ্ন বুনেছে তুমি জানো! কত মায়ের সন্তান আমার বুকে আশ্রয় নিতে গিয়ে পরকালের সন্ধান পেয়েছে সেটা কি তুমি জানো! কত যুবক আমার ইজ্জত রক্ষা করতে গিয়ে জীবন বিলিয়ে দিয়েছে জানো তুমি?
তাদের মাঝে একজন হলেন সিংহ পুরুষ সাহাবী উমর রাদিআল্লাহু। তিনি মরুভূমির দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে রোম সম্রাটের কবল থেকে আমাকে উদ্ধার করেছিলেন। সেদিনই আমি প্রশান্তি হাসি হাসছিলাম। এরপর আর কোন দিন একগাল হাসি দিয়েছি ঠিক মনে নেই। চাপাকান্না আর বুকফাটা কান্নায় ভাসিয়েছি আমার শরীর। তবুও আমি মনোবল হারায়নি-থেমে যায়নি।
আমার পথ চলা শুরু মাসুম ব্যক্তির প্রদচারণায়(পদচারণায়)। এত সহজে এত অল্প সময়ে আমি বেকে যাবো! তার কল্পনাও কোনদিন করি না। কিন্তু কিছু কিছু নখর থাবা আমাকে বিষাক্ত করে তুলেছে। আমার গাঁয়ে জখম ধরিয়েছে। হিংস্রতা আর পাশবিকতার লাগাম টেনে ধরেছে। বর্বরতা আর শীলতাহানীর(শ্লিলতাহানী) ধারপ্রান্তে(দ্বারপ্রান্তে) পৌঁছেছে।
এমনও সময় কাটিয়েছি
রোদ্রময় দিনে ঘেমে আর কান্না করে একসার করে ফেলেছি। তুমি দেখলে বুঝতে না এটা ঘাম না কান্নার পানি। প্রচন্ড(প্রচণ্ড) শিলা বৃষ্টি তার মাঝেও আমার চোখ থেকে অঝোরে অশ্রু ঝরতো। হেমন্ত আর বসন্ত আমার জীবনে ক্ষণকালই পেয়েছিলাম। একটা সময় আমার পিঠ শক্ত চুনাপাথরে পরিণত হয়েছিলো। আমার বুকের ভিতর নরম জিনিস বলতে কিছুই ছিলো না।
দীর্ঘ ত্যক্ত সময় আর কষ্টের কাল পেরিয়ে আবারো প্রশান্তির একটু নিঃস্বাস(নিঃশ্বাস) ফেলতে শুরু করেছিলাম। এই তো পবিত্র মাহে রমজানের শুরু থেকে যৌবনের লাবণ্য ফিরে আসতে শুরু করেছিলো। তবে মনে মনে পূর্ণ একটা শঙ্কা ছিলো। পাষন্ড(পাষণ্ড) হৃদয়ের কাপুরুষ হায়েনারা আমার বুককে আরেকবার ঝাঁঝরা করবে। অবশেষে তাই হলো-ছোঁ মেরে বিশ বিশটি তাজা প্রাণ কেড়ে নিলো। যেন আমার প্রাণ শক্তি রুহটা কেড়ে নিলো।
পুরো পৃথিবীর আনাচে কানাচে ঈদের আমেজ বয়ে বেড়াচ্ছে। খুশির মিলনমেলায় অবগাহন শুরু হয়েছে। রাত কাটতে না কাটতেই কোলাকোলি আর জায়নামাজ নিয়ে ছোটাছুটি দেখা যাবে। কিন্তু তাদের এ আনন্দঘন মুহূর্তগুলো ক্ষণে ক্ষণে আমাকে পিড়া দেবে। ফিলিস্তিনী শিশু কিশোর আর ছোট্ট ছোট্ট খোকামনিদের চোখ আর মুখগুলো বিষন্ন(বিষণ্ণ) দেখে। সইতে পারবো না তাদের বাবা হারানোর বেদনা। মা তাঁর ছেলে হারানোর বেদনা। আল্লাহই তাদের অভিভাবক আর তিনিই তাদের শান্তনা(সান্ত্বনা) দিবেন।
প্রিয় যুবক ভাই!
কয়েকযুগ পর একটা মহা সুযোগ পেয়েছিলাম। আমার বুকে সালাতের এক বিশাল আয়োজন করার। ঈদের একটুখানি খুশি তাদের মাঝে ভাগাভাগি করার । কিন্তু অবশেষে তাও হলো না।যাক কি আর করার আমার আবেদন বিনোদন সবই তো শুনলে। জানি একটা সময় আমার আহবানে সাড়া দিবে তবে সেটা আমি আকসার ঘনিষ্ঠ কিছু সাথিকে হারিয়ে। হাজারো মা বোনদের কবরে রেখে।
যিনি আমাদের একমাত্র অভিভাবক তাঁর কাছে দুআ করে রোনাজারি করে দয়ার সাগরে ঢেউ তুলবো ইনশাআল্লাহ। সাহায্যের খাজানায় হাত বাড়াবো ইনশাআল্লাহ। তিনি যেন আমাদের তাদের প্রাপ্তির ছোঁয়ায় ধন্য করেন।
Comment