Announcement

Collapse
No announcement yet.

শেষ পরিণতি মুত্তাকীদের জন্য

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শেষ পরিণতি মুত্তাকীদের জন্য

    শেষ পরিণতি মুত্তাকীদের জন্য


    পবিত্র কুরআনুল-কারীমে ইরশাদ হয়েছে-
    শেষ পরিণতি মুত্তাকীদের জন্য ।[১]

    প্রিয় যুবক ভাই!
    আমাদের সম্পর্ক যদি হয় আল্লাহর বিধানের সাথে তাহলে আমরা এ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো। জীবনে যতই দুঃখ কষ্ট আর বালা-মুসিবতের ঝড় আসুক না কেন! আল্লাহ আমাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিবেন। কষ্টের আগুনে পুড়িয়ে, বিপদে নিপতিত করে, অভাব-অনুটন দিয়ে, সন্তানহারা করে। ভূমিহারা করে। সর্বহারা করে।

    এভাবেই ধহন যন্ত্রণার আগুনে পুড়িয়ে পুড়িয়ে আমাদের পূর্ণ মুত্তাকী বানিয়ে সর্বপ্রকার জিল্লতি থেকে মুক্ত করবেন। সফলতার পথগুলো এক এক করে খুলে দিবেন। বিজয় নামক সিঁড়ির ধাপগুলো মসৃণ করে দিবেন। সম্মানের জীবন দান করবেন। আসানির কারণ হবেন। প্রশান্তির ফুলকা ফুকে দিবেন। হারহামেশায় রহমতের শিশিরে আচ্ছন্ন করে রাখবেন। ফেরেশতাদের বেস্টনীতে ঘিরে রাখবেন। চূড়ান্ত সফলতা ইমানের সূর্য মৃত্যু নদের তীরে ডুবিয়ে দিবেন।[২]

    যার পরক্ষণই আঁধার রাতের আলো। চাঁদের কিরণমালার লুকোচুরি। জোছনার খিলখিলিনো হাসি। জোনাকির জলটলমল জ্যোতির মনমাতানো আয়োজন। এর মানে হলো গুনাহে ঝরঝরিত বান্দাকে রবের পবিত্র সৃষ্টির সাথে মিলিয়ে দেওয়া তাঁর শানের খেলাফ। তাই তিনি তাঁর বান্দাকে আগে কাছে টানেন। ফ্রেশ সচ্ছ পবিত্র পানিতে ভিজিয়ে রাখেন। ডুবানোর প্রয়োজন হলে তাই করেন। উপরে ভাসানোর প্রয়োজন হলে সেটাও করেন। তারপর পাপাত্মা বান্দাকে পবিত্র করে তুলেন এবং সৃষ্টির সাথে মিলিয়ে দেন। আর এ সবগুলো উপাদানই লুকিয়ে আছে পরীক্ষা নামক ছোট্ট শব্দটিতে।

    পৃথিবীর সূচনালগ্নে আদম থেকে শুরু করে সাধারণ আদমি পর্যন্ত রবের পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছে। যারা এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। যারা এ পরীক্ষার প্রাচীরকে শক্ত মনে ডিঙ্গিয়েছে। তারাই হয়েছেন মুত্তাকী। তাদের লক্ষ্য করেই আসমান থেকে ঘোষণা এসেছে। শেষ পরিণতি মুত্তাকিদের জন্য।[৩]

    মুমিনবান্দার সাথে পরীক্ষার ঘনিষ্ঠতা বেশ। যেন তার সহোদর ভাই। পরীক্ষা তাঁদের এ ধৈর্য্য দেখে ইর্ষা করে। বেদনার ভারে নুয়ে পড়ে। কষ্টের আগুনে পুড়ে আর দুআ করে। অতিথি মেহমান হয়ে বারবার আসে। যেন দুনিয়ার যত সুখ সবকিছু মুমিন বান্দার মাঝে খোঁজে পায়। তার এ খেয়াল নেই মুমিন ভাই ভষ্ম হয়ে যাচ্ছে।

    কিন্তু তাতে ক্ষতি কি-পরীক্ষার নেক দুআ আর পর ইর্ষা তাঁদের জীবনকে তুঙ্গে তুলে দিচ্ছে। স্রষ্টার তৈরি মুত্তাকিদের নহরের সাথে যোগসূত্র করে দিচ্ছে। একটু খেতে পারলেই অন্তর প্রশান্ত। জিসিম একেবারেই শান্ত।

    মুত্তাকী হবো কিন্তু পরীক্ষার সম্মুখীন হবো না। পরহেজগার হবো বিপদের মুখোমুখি হবো না।
    শরীয়ার আদলে জীবন-যাপন করবো তিরস্কার আর তুহমতের স্বীকার হবো না। দ্বীন কায়েম করবো কিন্তু অস্ত্র তুলে ধরবো না। এটা হতেই পারেনা। ধরি মাছ না ছুঁই পানির মত।

    আল্লামা ইবনুন নাসের রাহিমাহুল্লাহ এর মুনাশ্শারাহ নামক কিতাবে পেয়েছি।[৪] কোন মুসলিম যুবকের মাঝে যদি তিনটি জিনিসের সমন্নয় ঘটে তাহলে তাকে শুধু তোমার থেকে অনেক উত্তম মনে করবে বিষয়টা এমন না বরং তাঁর অনুস্বরণও করবে।

    তিনটি জিনিস-
    ১.কুরআনের বিধান বাস্তবায়ন করার জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নেয় ।
    ২.দুনিয়ার ফেতনা ফাসাদ থেকে বাঁচার জন্য প্রাণপ্রণ চেষ্টা করে। আর পতিত হলে সবরে জামিলের আমল করে।
    ৩.আল্লাহ ও রাসূলের ভয় যার মাঝে সারাক্ষণ কাজ করে ।

    প্রিয় যুবক ভাই!
    শেষ পরিণতি ভালো হবে তো ঐ সমস্ত যুবকদের যারা কিনা আলেমদের সংশ্রব গ্রহণ করে। মুজাহিদদের জীবন চরিতকে সফলতার মাপকাঠি হিসেবে গ্রহণ করে। মানব তৈরি কুসংস্কারকে জীবনের সমাজ থেকে ছিন্ন করে। বেদআত আর বাতিল প্রথাকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখায়। সঠিক আর সাদিক মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে।

    এর বিপরীতে একটু চিন্তা করেন তো!
    যাদের সম্পর্ক হয় নফসে আম্মারার সাথে, যাদের সম্পর্ক হয় তাগুত আর মুরতাদের সাথে, যাদের সম্পর্ক মুনাফিক আর চাটুকারদের সাথে, কপটদের সাথে, যাদের সম্পর্ক হয় ইহুদি-খ্রীষ্টানদের সাথে, তাদের শেষ পরিণতি কি হবে ভেবে দেখেছেন কি একবার ! হ্যা, তাদের শেষ পরিণতি হলো জাহান্নামের অতল গহ্বরে ।

    আর যাদের আনুগত্য প্রাধান্য পায় নফসের উপর, শরীয়ার উপর নয়। যাদের আনুগত্য প্রাধান্য পায় তাগুত শাসকদের গোলামীর উপর, দ্বীনের উপর নয়। যাদের আনুগত্য প্রাধান্য বিস্তার লাভ করে শয়তানী শাসনের উপর তাদের শেষ পরিণতি কি হবে? ভেবে দেখেছেন কি একবার! হ্যা, তাদের শেষ পরিণতি হলো লাঞ্চনা আর বঞ্চনা। জিল্লতী আর জিল্লতী। লানত আর লানত। সবকিছুর অতলান্তে।

    সত্যসূত্রঃ

    ১.পবিত্র কুরআন
    ২.তাফসীরুল কুরআন
    ৩.তাফসীরুল কুরআন
    ৪.মুনাশ্মারাহ

  • #2
    মুত্তাকী হবো কিন্তু পরীক্ষার সম্মুখীন হবো না। পরহেজগার হবো বিপদের মুখোমুখি হবো না।
    শরীয়ার আদলে জীবন-যাপন করবো তিরস্কার আর তুহমতের স্বীকার হবো না। দ্বীন কায়েম করবো কিন্তু অস্ত্র তুলে ধরবো না। এটা হতেই পারেনা। ধরি মাছ না ছুঁই পানির মত।
    সঠিক কথা বলেছেন মুহতারাম।
    আমাদের অনেকেই এ বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করি না।
    পুরো বিশ্বের মানুষ যাকে ভাল বলবে বা যাঁর কোন শত্রু নেই,সে কোনদিন হকের উপর নেই।
    আল্লাহ আমাদেরকে হকের উপর থাকার এবং হক বোঝার তাউফিক দান করুন। আমিন
    মুহতারাম ভাইয়ের ইলমে ও আমলে বারাকাহ দান করুন। আমিন
    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

    Comment


    • #3
      Originally posted by Ibrahim Al Hindi View Post
      সঠিক কথা বলেছেন মুহতারাম।
      আমাদের অনেকেই এ বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করি না।
      পুরো বিশ্বের মানুষ যাকে ভাল বলবে বা যাঁর কোন শত্রু নেই,সে কোনদিন হকের উপর নেই।
      আল্লাহ আমাদেরকে হকের উপর থাকার এবং হক বোঝার তাউফিক দান করুন। আমিন
      মুহতারাম ভাইয়ের ইলমে ও আমলে বারাকাহ দান করুন। আমিন
      মুহতারাম ভাই! আল্লাহর রাহে মুসাফিরদের দুআ বৃথা যাবে না ইনশাআল্লাহ।

      Comment


      • #4
        প্রিয় ভাই, আপনার লেখা ও শব্দ চয়ন বরাবরই আমাকে মুগ্ধ করে, আলহামদুলিল্লাহ। আপনার লেখা পড়তেও আমার খুব ভাল লাগে।
        আমার ভাই, মু’মিন মু’মিনের ভাই হিসাবে আপনাকে একটি পরামর্শ দিতে চাইছি। তা হলো: লেখা তৈরী করার পর পোস্ট দেওয়ার আগে বানানগুলো শুদ্ধ আছে কিনা? একটু চেক করে নিলে খুব ভাল হবে। কারণ, বানান ভুল একটি ভাল লেখাকেও ক্রটিযুক্ত করে দেয়।
        আপনার কাছে দু‘আ চাই ও আপনার জন্য প্রাণভরে দু‘আ করি।
        এমনিভাবে ফোরামে আপনাকে নিয়মিত প্রত্যাশা করি। আপনার লেখা পড়ে আমাদের অস্থির হৃদয় প্রশান্তি লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          Originally posted by abu ahmad View Post
          প্রিয় ভাই, আপনার লেখা ও শব্দ চয়ন বরাবরই আমাকে মুগ্ধ করে, আলহামদুলিল্লাহ। আপনার লেখা পড়তেও আমার খুব ভাল লাগে।
          আমার ভাই, মু’মিন মু’মিনের ভাই হিসাবে আপনাকে একটি পরামর্শ দিতে চাইছি। তা হলো: লেখা তৈরী করার পর পোস্ট দেওয়ার আগে বানানগুলো শুদ্ধ আছে কিনা? একটু চেক করে নিলে খুব ভাল হবে। কারণ, বানান ভুল একটি ভাল লেখাকেও ক্রটিযুক্ত করে দেয়।
          আপনার কাছে দু‘আ চাই ও আপনার জন্য প্রাণভরে দু‘আ করি।
          এমনিভাবে ফোরামে আপনাকে নিয়মিত প্রত্যাশা করি। আপনার লেখা পড়ে আমাদের অস্থির হৃদয় প্রশান্তি লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
          মুহতারাম ভাই- আমার শ্রদ্ধেয় উস্তাদ ... হাফিজাহুল্লাহ আমাদের রোজ নামচাগুলোকে লাল কলমে রক্তাক্ত করে ফেলতেন। যার ফলস্বরূপ আজকে টোটাফাটা কিছু লেখা। আপনারা হলেন এই উম্মাহর হৃদয়ের সাহিত্যিক। কলবকে কাটাছেঁড়া না করা ছাড়া কি আমরা সংশোধন হবো? আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি আপনারা হলেন আমার রুহানি শিক্ষক। আমার ভুলগুলো যে শুধরে দিচ্ছেন। সত্যিই ফল পাচ্ছি।

          Comment

          Working...
          X