রুচিশীল তারুণ্যের মননশীল আয়োজন
প্রিয় যুবক ভাই!
মানুষ জীবনে কত কিছুই আশা করে। সে আশার ডিজাইন আর রুচির ধরন দেখলে চেতনাহীন মানুষের চেতনা ফিরে আসে। রুচিহীন মানবের রুচি বেড়ে যায়। কাল্পনিক যুবক বাস্তবতার ঘারে চেপে বসে। কেন জানো যুবক ভাই! মনুষ্যত্ব তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। বিবেকত্ব তাকে ঝাপটিয়ে ধরে। তবে সেটা ক্ষণিকের জন্য। সামান্য সময়ের জন্য। কথায় বলে না! ঘারে ভূত চেপে বসেছে। এমনটাই মনে করতে পারেন। তারপরও তো ভালো। একটু তো করা হলো।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াস করে তুলে বিরাট ভরসা। ছোট্ট ছোট্ট কল্পনা নিয়ে যায় আকৃতির ছায়ায়। এতেই মানুষ কত খুশি! আনন্দের কত ভরাডুবি! এগুলো তো দুনিয়ার এ তুচ্ছ নগন্য জিনিসের তরে। কিন্তু যুবক ভাই! তোমার সে আশা আর রুচিগুলো যদি হয় উন্নত। যেমন- দয়াময় রবের জন্য। প্রিয় নাবীর জন্য। উম্মাহর চাহিদা পূরণের জন্য। শরীয়ার অগ্রাধিকারের আদলে তাহলে কেমন হবে একটু ভাবুন তো?
ভাবার কিছু ক্লো বের করে দেই? না হয় তুমি ভাববে কি করে! অযথাই বলবে ভেবেছি। মিথ্যা বলা আপাতত থাক। মরনের আগে নয়। মৃত্যুর পর ভাবা হবে মিথ্যা বলা যায় কিনা!
তাহলে চলো শুরু করি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সূরা ফুরকানের একেবারে শেষ কটি আয়াতে তোমার রুচির কথাগুলো তুলে ধরেছেন। ক্রমান্বয়ে সেদিকেই যাবো আমরা ইনশাআল্লাহ।
ইরশাদ হয়েছে-[১]
১. রহমানের বান্দা যারা তারা জমিনে বিনয়ী হয়ে চলাফেরা করবে।
২.মূর্খদের সাথে তর্কে জড়াবে না বরং তাদেরকে শান্তিমূলক বাক্য শুনাবে।
৩.তারা রাতের আঁধারে প্রভুর সত্ত্বার সামনে অবনত হয়ে যাবে।
৪.তারা সর্বদা জাহান্নাম থেকে পানাহ চাইবে।
৫.চক্ষুশীতলকারী আহলিয়া ও আওলাদ ফরজনের জন্য রবের দরবারে অশ্রু ঝরাবে।
৬.তারা দ্বীনের পথে অর্থ সম্পদ খরচ করবে কিন্তু অসৎ পথে কিঞ্চিৎ পরিমাণ খরচ করবে না।
৭.অন্যায়ভাবে হত্যা করা থেকে বিরত থাকবে।
৮.আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে রব মানবে না।
৯.বেশি বেশি তাওবা ইস্তেগফার করবে।
১০.নেক আমল করবে।
১১.কৃপণতা করবে না।
১২.যখন তাদের সামনে দ্বীনের কথা বলে কোন কিছু চাপিয়ে দিতে চায় তখন তারা অন্ধের ন্যায় ঝাপিয়ে পড়ে না। বরং তারা নিখুঁত যাচাই বাছাই করে।
প্রিয় যুবক ভাই! এগুলো হলো একজন মানব রহমানের বান্দা হওয়ার জন্য শর্ত। একজন মানুষ মুসলমান হওয়ার জন্য শরীয়ার পক্ষ থেকে বাতলানো সূচি। যখন এ সূচিগুলো কোন মানুষের মাঝে থাকে না তখন সে মানব নামের জগন্য পশু।
তাদেরকে রব একটি উপাধিও দিয়েছেন। উলায়িকা কাল আনআম বালহুম আদল্ল। নবী তাদের ভৎসনা করেছেন নিফাক শব্দ ব্যবহার করে।
এ ফর্মুলাগুলো যখন কোন বান্দার জীবনে স্থায়ী হয়ে যায় তখন অন্তরে দ্বীনের প্রতি দরদ ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। ভালো কাজ করার নেক কর্ম করার আশা জাগ্রত হয়। তবে এটা ক্ষণিকের জন্য না। সামান্য সময়ের জন্য না বরং দায়িমান। বাস্তবতার সঠিক আয়োজনগুলো এ আমলগুলেই বিদ্যমান রয়েছে। আল্লাহ বান্দাকে দেখিয়ে দিয়ে নিজ কুদরতে বাস্তবতার সবক শিখিয়ে দিচ্ছেন।
সুবহানাল্লাহ!
যুবক ভাই! পথের কাঁটা কখনো পথচলাকে রুখে দিতে পারে না বরং তা পথিককে সতর্ক পায়ে চলতে নির্দেশ করে। যেভাবেই হোক-তাকে পথ চলতে হয়।আঘাতের ভয়ে থেমে থাকলে সে কখনো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনা। বাস্তবায়নের দারপ্রান্তে এগোতে পারেনা। আসমানী গ্রন্থ তো এমন বলে অযথা ভয় ও নিরাশা কাছে ভিড়ানো কাপুরুষের লক্ষ্মণ। মুমিনবান্দা মানেই শরীয়াহ বাস্তবায়নের ত্যাগী সৈনিক। বাস্তবতার রুপ দাঁড় করানোর এক নিঁখুত কারিগর।
মুমিন বান্দার রুচি হবে উন্নত। শুধুই উন্নত না বরং মননশীল। ভাষা হবে মার্জিত। শুধুই মার্জিত না বরং সাবলীল। চালচলন আর ভেষভোষা হবে কুরআনের তরীকায়। চোখ রাঙানো আর মুখ ফিরানো হবে হাদিসের আলোকে।
রব তো বলছেন-[২]
ও বান্দা তুমি যখন কথা বলো তখন সুন্দর ভাষায় কথা বলো। শান্তিময় কথা বলো। যখন জমিনে চলাফেরা করো তখন বিনয়ী হয়ে চলো। যখন বিচার করো ইনসাফের সাথে করো। যখন চোখ তুলো হালাল জিনিসের দিকে তুলো। হারাম জিনিসের দিকে তাকিয়ে আমার সৃষ্টিকে অবমাননা করো না। জ্যোতিশক্তি কমিয়ো না। কিন্তু যখন তুমি এর বিপরীতে যাবে তখনই রুচিতে চির ধরবে। পঁচা জিনিস কাছে ভিড়বে। আর এ পঁচা জিনিস যখনই চাখতে শুরু করবে তখন শয়তান তোমায় ভালোবাসায় সিক্ত করবে।
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন-[৩]
একজন যুবকের তারুণ্য উচ্ছাস বাড়ার জন্য গতিপ্রগতির প্রাণচঞ্চলে একটি মূল চালিকা শক্তি হলো- মেধামননে-গাত্রগাহে-শিরা-উপশিরায় স্রষ্টার আনুগত্য শক্তি প্রবাহমান করা।
তথ্যাদি.
১.সূরা ফুরকান, আয়াত নং ৬৩-৭৩
২.সিরাতুন লিল আতফাল
৩.বাচ্চু কা ইসলাম ১ম সংখ্যা।
প্রিয় যুবক ভাই!
মানুষ জীবনে কত কিছুই আশা করে। সে আশার ডিজাইন আর রুচির ধরন দেখলে চেতনাহীন মানুষের চেতনা ফিরে আসে। রুচিহীন মানবের রুচি বেড়ে যায়। কাল্পনিক যুবক বাস্তবতার ঘারে চেপে বসে। কেন জানো যুবক ভাই! মনুষ্যত্ব তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। বিবেকত্ব তাকে ঝাপটিয়ে ধরে। তবে সেটা ক্ষণিকের জন্য। সামান্য সময়ের জন্য। কথায় বলে না! ঘারে ভূত চেপে বসেছে। এমনটাই মনে করতে পারেন। তারপরও তো ভালো। একটু তো করা হলো।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াস করে তুলে বিরাট ভরসা। ছোট্ট ছোট্ট কল্পনা নিয়ে যায় আকৃতির ছায়ায়। এতেই মানুষ কত খুশি! আনন্দের কত ভরাডুবি! এগুলো তো দুনিয়ার এ তুচ্ছ নগন্য জিনিসের তরে। কিন্তু যুবক ভাই! তোমার সে আশা আর রুচিগুলো যদি হয় উন্নত। যেমন- দয়াময় রবের জন্য। প্রিয় নাবীর জন্য। উম্মাহর চাহিদা পূরণের জন্য। শরীয়ার অগ্রাধিকারের আদলে তাহলে কেমন হবে একটু ভাবুন তো?
ভাবার কিছু ক্লো বের করে দেই? না হয় তুমি ভাববে কি করে! অযথাই বলবে ভেবেছি। মিথ্যা বলা আপাতত থাক। মরনের আগে নয়। মৃত্যুর পর ভাবা হবে মিথ্যা বলা যায় কিনা!
তাহলে চলো শুরু করি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সূরা ফুরকানের একেবারে শেষ কটি আয়াতে তোমার রুচির কথাগুলো তুলে ধরেছেন। ক্রমান্বয়ে সেদিকেই যাবো আমরা ইনশাআল্লাহ।
ইরশাদ হয়েছে-[১]
১. রহমানের বান্দা যারা তারা জমিনে বিনয়ী হয়ে চলাফেরা করবে।
২.মূর্খদের সাথে তর্কে জড়াবে না বরং তাদেরকে শান্তিমূলক বাক্য শুনাবে।
৩.তারা রাতের আঁধারে প্রভুর সত্ত্বার সামনে অবনত হয়ে যাবে।
৪.তারা সর্বদা জাহান্নাম থেকে পানাহ চাইবে।
৫.চক্ষুশীতলকারী আহলিয়া ও আওলাদ ফরজনের জন্য রবের দরবারে অশ্রু ঝরাবে।
৬.তারা দ্বীনের পথে অর্থ সম্পদ খরচ করবে কিন্তু অসৎ পথে কিঞ্চিৎ পরিমাণ খরচ করবে না।
৭.অন্যায়ভাবে হত্যা করা থেকে বিরত থাকবে।
৮.আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে রব মানবে না।
৯.বেশি বেশি তাওবা ইস্তেগফার করবে।
১০.নেক আমল করবে।
১১.কৃপণতা করবে না।
১২.যখন তাদের সামনে দ্বীনের কথা বলে কোন কিছু চাপিয়ে দিতে চায় তখন তারা অন্ধের ন্যায় ঝাপিয়ে পড়ে না। বরং তারা নিখুঁত যাচাই বাছাই করে।
প্রিয় যুবক ভাই! এগুলো হলো একজন মানব রহমানের বান্দা হওয়ার জন্য শর্ত। একজন মানুষ মুসলমান হওয়ার জন্য শরীয়ার পক্ষ থেকে বাতলানো সূচি। যখন এ সূচিগুলো কোন মানুষের মাঝে থাকে না তখন সে মানব নামের জগন্য পশু।
তাদেরকে রব একটি উপাধিও দিয়েছেন। উলায়িকা কাল আনআম বালহুম আদল্ল। নবী তাদের ভৎসনা করেছেন নিফাক শব্দ ব্যবহার করে।
এ ফর্মুলাগুলো যখন কোন বান্দার জীবনে স্থায়ী হয়ে যায় তখন অন্তরে দ্বীনের প্রতি দরদ ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। ভালো কাজ করার নেক কর্ম করার আশা জাগ্রত হয়। তবে এটা ক্ষণিকের জন্য না। সামান্য সময়ের জন্য না বরং দায়িমান। বাস্তবতার সঠিক আয়োজনগুলো এ আমলগুলেই বিদ্যমান রয়েছে। আল্লাহ বান্দাকে দেখিয়ে দিয়ে নিজ কুদরতে বাস্তবতার সবক শিখিয়ে দিচ্ছেন।
সুবহানাল্লাহ!
যুবক ভাই! পথের কাঁটা কখনো পথচলাকে রুখে দিতে পারে না বরং তা পথিককে সতর্ক পায়ে চলতে নির্দেশ করে। যেভাবেই হোক-তাকে পথ চলতে হয়।আঘাতের ভয়ে থেমে থাকলে সে কখনো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনা। বাস্তবায়নের দারপ্রান্তে এগোতে পারেনা। আসমানী গ্রন্থ তো এমন বলে অযথা ভয় ও নিরাশা কাছে ভিড়ানো কাপুরুষের লক্ষ্মণ। মুমিনবান্দা মানেই শরীয়াহ বাস্তবায়নের ত্যাগী সৈনিক। বাস্তবতার রুপ দাঁড় করানোর এক নিঁখুত কারিগর।
মুমিন বান্দার রুচি হবে উন্নত। শুধুই উন্নত না বরং মননশীল। ভাষা হবে মার্জিত। শুধুই মার্জিত না বরং সাবলীল। চালচলন আর ভেষভোষা হবে কুরআনের তরীকায়। চোখ রাঙানো আর মুখ ফিরানো হবে হাদিসের আলোকে।
রব তো বলছেন-[২]
ও বান্দা তুমি যখন কথা বলো তখন সুন্দর ভাষায় কথা বলো। শান্তিময় কথা বলো। যখন জমিনে চলাফেরা করো তখন বিনয়ী হয়ে চলো। যখন বিচার করো ইনসাফের সাথে করো। যখন চোখ তুলো হালাল জিনিসের দিকে তুলো। হারাম জিনিসের দিকে তাকিয়ে আমার সৃষ্টিকে অবমাননা করো না। জ্যোতিশক্তি কমিয়ো না। কিন্তু যখন তুমি এর বিপরীতে যাবে তখনই রুচিতে চির ধরবে। পঁচা জিনিস কাছে ভিড়বে। আর এ পঁচা জিনিস যখনই চাখতে শুরু করবে তখন শয়তান তোমায় ভালোবাসায় সিক্ত করবে।
আল্লামা ইবনুল কায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন-[৩]
একজন যুবকের তারুণ্য উচ্ছাস বাড়ার জন্য গতিপ্রগতির প্রাণচঞ্চলে একটি মূল চালিকা শক্তি হলো- মেধামননে-গাত্রগাহে-শিরা-উপশিরায় স্রষ্টার আনুগত্য শক্তি প্রবাহমান করা।
তথ্যাদি.
১.সূরা ফুরকান, আয়াত নং ৬৩-৭৩
২.সিরাতুন লিল আতফাল
৩.বাচ্চু কা ইসলাম ১ম সংখ্যা।
Comment