যা আমাকে আমার কর্তব্যকে ভুলিয়ে দেয়
তা কখনো নেয়ামত হতে পারে না
প্রিয় যুবক ভাই!
কাফেররা এত চেষ্টা করছে আমাদের ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য। তবুও আমাদের অতল নিদ্রা টুটছেনা। আমাদের ঘুমের গভীরতা মাপতে এরা বিভিন্ন মাত্রার এলার্ম ব্যবহার করছে। কখনো নবী বিদ্বেষী সিনেমা বানিয়ে ইউটিউবে ছেড়ে দেয় । কখনো সাহাবী বিদ্বেষী কার্টুন গেমস বানিয়ে প্লে-স্টোরে ঢুকিয়ে দেয়। কাবা শরীফকে তুলে ধরে গুলি ছোঁরার লক্ষ্য বস্তু হিসেবে। ঔষধের পাতায় ঔষধের ডিজাইন নির্ণয় করা হয় পুতুল আকারে।
শোরুমগুলোর নাম বাঁছাই করা হয় ওয়ান ম্যান বেড ম্যান ও এরাবিক ম্যান হিসেবে।
তখন আমরা জুমাকেন্দ্রিক কিছু বিক্ষোভ-মিছিল আর মানববন্ধন করে গভীর ঘুমে তলিয়ে যাই। এরা তখন নতুন এক্সপেরিমেন্টে যায়। কখনো এরা সেনেটারী দ্রব্যে কিংবা জুতায় {{ আল্লাহ রাসূলের নাম}} [[নাউজুবিল্লাহ]] লিখে বাজারে ছেড়ে দেয়। জায়নামাযে সুতার প্যাচে হিন্দুয়ানী জলছাপে বিশাল অফার দিয়ে জায়নামায বিক্রি করা হয়।সৌন্দর্য আর রুচির কথা বলে শোরুমগুলোতে মূর্তিপ্রতীক দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। দাজ্জালী আলামত হিসেবে নামি-দামি রেস্তোরাঁয় এক চোখ বা হাত একটি কাঠি দিয়ে দিবস কেন্দ্রিক খাবার খাওয়ানো হয়। বেবি শপগুলোকে দেখা যায় রহস্যময় এক মূর্তির কারখানা।
তখন আমরা নিজেরাই এ নিয়ে পারস্পারিক বিতর্কে লিপ্ত হই ঘুমন্ত ব্যক্তির প্রলাপের মত। এরা তখন ভালোভাবে বুঝে যায় আমরা হলাম আসহাবে কাহফের ঘুমন্ত উম্মাহ। তাদের সাথে গভীর নিদ্রায় শামিল হয়েছি। তিন বছরের মধ্যে জেরুজালেমের দূতাবাস সরিয়ে আনার সিদ্ধান্তেও যখন এরা দেখে আমাদের ঘুমাতুর দুচোখে রাজ্যের প্রতি নিস্পৃহা তখন তা তিন বছর থেকে হ্রাস পেয়ে তিন মাসে এসে দাঁড়ায়। ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশু সন্তান থেকে নিয়ে গর্ব করা যুবকদেরকে হত্যা করায়ও যখন আমাদের টনক নড়ে না তখন হত্যার পরিমাণ তিনশত থেকে তিন হাজারে চলে যায়।
কারণ এরা আবারো জেনে যায় আমরা চিরস্থায়ী ঘুমের পণ করেছি। ঘুমন্ত জাতির চারপাশের লেলিহান আগুনের নাগপাশেও যখন আমাদের ঘুম ভাঙ্গে না তখন তারা আবারো জেনে যায় আমরা বোঁদ হয়ে ঘুমিয়েছি জান্নাতের স্বপ্নে লোভাতুর হয়ে। তাই তারা এক যোগে সব মুসলিমকে নিঃশেষ করে দেওয়ার ছক আঁকে । তার উপর ভিত্তি করেই ভূখন্ডগুলোকে এক এক করে নিজেদের করে নেয়।
কত সুন্দর তাদের ছলসাতুরি! কত নিখুঁত তাদের শয়তানি! কত রহস্যময় তাদের কারচুপি! ভাবার খোরাক যোগায়। শিখার কিছু আছে বলে মন জাগ্রত হয়। আল্লাহ কি এমনি এমনি বলেছেন কুরআন নিয়ে তোমরা তাদাব্বুর তাফাক্কুর করো তাহলে তোমরা এগুলোর সমুচিত জবাব দিতে পারবে।
হে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা!
মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাথীরা কি ঘুমিয়ে ছিলেন যখন মদিনা ঘেঁষে আবু সুফিয়ান ও তাঁর সাথীরা অস্ত্রের ঝংকার শুনিয়ে যেতো? ওহুদ, বদরের প্রান্তেও কি তারা ঘুমিয়ে ছিলেন শত্রুর বাড়াবাড়ি দেখে? মদিনার এক ইহুদী মুসলিম রমণীর হিজাব ধরে টান দেয়ার ঘটনায়ও কি তারা ঘুমিয়ে ছিলেন? হ্যা বলছি...
নবীর যুগেও কাফেররা পরীক্ষা করে দেখতো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাথীরা ঘুমিয়ে পড়েছে কিনা! কখনো বাজারে গিয়ে শোরগোল তুলে দেখতো কেউ প্রতিউত্তর দেয়ার আছে কিনা! কখনো চুক্তি ভঙ্গ করে দেখতো কোন মুসলমান টের পেলো কিনা! কিন্তু মক্কা মদীনায় সেই কৌশল ব্যবহার করার পর ইহুদীরা সাহাবীদের হাতে নাকানি-চুবানি খেতে হয়েছে। এখন ওরা অট্টহাসে। এখনো তাদের সেই উত্তরসূরীরা একই এক্সপেরিমেন্ট চালায়। কিন্তু এখন আর দেখা যায় না সেই জজবাওয়ালা কোন ব্যক্তি যে তাদের নাকানি চুবানি খাওয়াবে।
ঘুম আমাদের কখনোই যে কারো ভাঙ্গে না তা কিন্তু না। সময়ের ব্যবধানে চেসনিয়া, বসনিয়া, আফগান, ফিলিস্তিন ও কাশ্মীরে কিছু আইয়ূবীদের ঘুম ভেঙ্গেছিলো। যার জাগৃতিক ফল ভোগ করতে হয়েছিলো নিশাচর কাফেরদের। তখন তাদের নতুন এক এক্সপেরিমেন্টের দিকে আবারো অগ্রসর হতে হয়। যেহেতু তখন কারো কারো ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিলো। তাই তারা প্রক্সি মুসলিম তৈরি করতে লাগলো যাদের দেখে অন্যান্য মুসলমানরা মনে করবে তারাও আমাদের ভাই, মনে হয় তারা জেগে উঠেছে। তাই আমাদের ঘুমালেও চলবে । আবার কেউ কেউ মনে করবে, এভাবে জেগে ওঠাটা নীতিবিরুদ্ধ । ল্যাবে এরা isis সদৃশ্য কিছু সন্ত্রাসীগোত্র তৈরি করে ছেড়ে দিলো। তখন আমারা আল-কা-য়ে-দা, তা-লে-বা-নে-র মত প্রকৃত দলগুলোকেও আমরা বাতিল ক্যাটাগরিতে ফেলে দিলাম। ঘুমের মাঝেও ভাবতে শুরু করলাম এভাবে জেগে ওঠাটা রিস্ক, গণতন্ত্র বিরুদ্ধ। আর আমি তো দেশকে ভালোবাসি। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাই করতে বলেছেন সুতরাং গণতন্ত্র বিরুদ্ধ কাজ করা যাবে না।
বাহ! কত চমৎকার উদাহরণ! কত অসাধারণ ধ্যান-ধারণা! রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি গণতন্ত্রধারী দেশের কথা বলেছেন না ইসলামী খেলাফতভুক্ত রাষ্ট্রের কথা বলেছেন? কখনো ভেবে দেখেছেন কি? কখনো ফিকির করেছেন কি?
প্রকৃতপক্ষে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামী খেলাফাহভুক্ত রাষ্টের ভালোবাসার কথা বলেছেন। ঐ পতাকায় সম্মানের চুম্বক লাগাতে নির্দেশ দিয়েছেন । তার জন্য জীবন দেওয়ার নমুনা দেখিয়ে গিয়েছেন। কেন! মনে পড়ে না উহুদের যুদ্ধে ৭০ জন মুজাহিদদের জীবন বিলিয়ে দেয়ার কথা? সাহাবী হযরত খুবাইব রাদিআল্লাহু ও হযরত তালহা রাদিআল্লাহু জীবন ত্যাগের কথা?
প্রিয় যুবক ভাই!
সত্যিই এমনটা হয়না? কখনো আমরা ঘুমের মাঝেও কঁকিয়ে উঠি সিরিয়ায় রক্তপাত দেখে। কখনো আঁতকে উঠি ফিলিস্তিনের অশ্রুঝরা দেখে। নিষ্পাপ খোকা-মনিদের কাকুতি-মিনতি আর শহীদ হওয়া শত শত মা-বোনের নিথর লাশ দেখে।
অন্তরটা ধুমড়ে মুচড়ে যায়। হৃদয়টা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। আঘাতে আঘাতে মনের কোণে অদৃশ্য গাঁ হয়ে যায়। পেরেশানিতে অনেকেই মানসিক পাগল হয়ে যায়। তবুও প্রতিবাদের ঝড় উঠে না অস্ত্রের ভাষায়। তবুও প্রতিশোধের আগুন জ্বলে না তরবারির আগায়।
বুকের ভিতর জমানো এ ব্যথা। পিঠের বাহিরে লাগানো এ আঁচড়। এ পাশ ও পাশ থেকে শুনা এ কটুকথা। সত্যিই কি এগুলো প্রভুর ভালোবাসায় সহ্য করা? বাস্তবেই কি এগুলো রাসূলের মহব্বতে ত্যাগ দেয়া?
যদি তাই হতো! তাহলে রবকে পাওয়ার জন্য নিরস্ত্র হয়ে ঘরে বসে থাকতে পারতাম না। প্রভুর দিদার হাসিলের উদ্দেশ্যেই যদি থাকতো তাহলে জিহাদের কথা বাদ দিয়ে ভোগ-বিলাসের কথা মাথায়ই আনতাম না।
ইতিহাস বরাবরের মত এখনো কাঁদে আবেগময়ীদের প্রতিবাদের ধরণ দেখে। আবার অট্টহাসে মডারেট মুসলিমদের অযাচিত সহানুভূতি দেখে। ভার্চুয়াল পর্দায় সামান্য একটু অস্ফুট আফসোস করে, একটু মায়াকান্না করে, শোকে কাতর, শোকে কাতর বলে চিৎকার করে আবারো ঘুমিয়ে পড়ি। পরিবারের বিরামহীন দেয়া টেনশন থেকে নিস্তার পেতে আমাদের দিন ফুরিয়ে যায়। ক্ষত-বিক্ষত উম্মাহকে নিয়ে ভাবার ফুরসত হয় না। সম্পদ উপার্জনের পিছনে সময় ফুরিয়ে যায় এবং পরিবারের পেছনে সব সম্পদ নিঃস্ব হয়ে যায় ।
আসাম আর দিল্লির রক্তাক্ত উম্মাহকে নিয়ে ফিকির করার সময় হয়ে ওঠে না । হিন্দ আর শামের মুজাহিদদের পিছনে কিছু মাল খরচ করার ফুরসত হয়ে ওঠে না। তাঁদের পরিবারের দিকে তাঁকানোর একটুও সুযোগ হয় না। যুবক ভাই! এমন ইলম অর্জন করে কি লাভ যে এলেম আমাকে উম্মাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়? এমন হালাল সম্পদ দিয়ে কি হবে যে সম্পদ মায়া ডেকে ফেলে উম্মাহর রক্তাক্ত ক্ষত?? এমন ভালোবাসা দিয়ে কি হবে যে ভালোবাসা কিতালের পথে নামাতে পারে না?
প্রিয় ভাই যুবক মনে রেখো!
যা আমাকে আমার কর্তব্যকে ভুলিয়ে দেয় তা কখনো নিয়ামত হতে পারে না। যতদিন উম্মতের কষ্টে বিনিদ্র যুবকের আবির্ভাব না হবে ততদিন আমরা ঘুমের ঘোরে ঘুরতে থাকা মুনাফিক ছাড়া আর কিছুই নই।
তা কখনো নেয়ামত হতে পারে না
প্রিয় যুবক ভাই!
কাফেররা এত চেষ্টা করছে আমাদের ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য। তবুও আমাদের অতল নিদ্রা টুটছেনা। আমাদের ঘুমের গভীরতা মাপতে এরা বিভিন্ন মাত্রার এলার্ম ব্যবহার করছে। কখনো নবী বিদ্বেষী সিনেমা বানিয়ে ইউটিউবে ছেড়ে দেয় । কখনো সাহাবী বিদ্বেষী কার্টুন গেমস বানিয়ে প্লে-স্টোরে ঢুকিয়ে দেয়। কাবা শরীফকে তুলে ধরে গুলি ছোঁরার লক্ষ্য বস্তু হিসেবে। ঔষধের পাতায় ঔষধের ডিজাইন নির্ণয় করা হয় পুতুল আকারে।
শোরুমগুলোর নাম বাঁছাই করা হয় ওয়ান ম্যান বেড ম্যান ও এরাবিক ম্যান হিসেবে।
তখন আমরা জুমাকেন্দ্রিক কিছু বিক্ষোভ-মিছিল আর মানববন্ধন করে গভীর ঘুমে তলিয়ে যাই। এরা তখন নতুন এক্সপেরিমেন্টে যায়। কখনো এরা সেনেটারী দ্রব্যে কিংবা জুতায় {{ আল্লাহ রাসূলের নাম}} [[নাউজুবিল্লাহ]] লিখে বাজারে ছেড়ে দেয়। জায়নামাযে সুতার প্যাচে হিন্দুয়ানী জলছাপে বিশাল অফার দিয়ে জায়নামায বিক্রি করা হয়।সৌন্দর্য আর রুচির কথা বলে শোরুমগুলোতে মূর্তিপ্রতীক দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। দাজ্জালী আলামত হিসেবে নামি-দামি রেস্তোরাঁয় এক চোখ বা হাত একটি কাঠি দিয়ে দিবস কেন্দ্রিক খাবার খাওয়ানো হয়। বেবি শপগুলোকে দেখা যায় রহস্যময় এক মূর্তির কারখানা।
তখন আমরা নিজেরাই এ নিয়ে পারস্পারিক বিতর্কে লিপ্ত হই ঘুমন্ত ব্যক্তির প্রলাপের মত। এরা তখন ভালোভাবে বুঝে যায় আমরা হলাম আসহাবে কাহফের ঘুমন্ত উম্মাহ। তাদের সাথে গভীর নিদ্রায় শামিল হয়েছি। তিন বছরের মধ্যে জেরুজালেমের দূতাবাস সরিয়ে আনার সিদ্ধান্তেও যখন এরা দেখে আমাদের ঘুমাতুর দুচোখে রাজ্যের প্রতি নিস্পৃহা তখন তা তিন বছর থেকে হ্রাস পেয়ে তিন মাসে এসে দাঁড়ায়। ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশু সন্তান থেকে নিয়ে গর্ব করা যুবকদেরকে হত্যা করায়ও যখন আমাদের টনক নড়ে না তখন হত্যার পরিমাণ তিনশত থেকে তিন হাজারে চলে যায়।
কারণ এরা আবারো জেনে যায় আমরা চিরস্থায়ী ঘুমের পণ করেছি। ঘুমন্ত জাতির চারপাশের লেলিহান আগুনের নাগপাশেও যখন আমাদের ঘুম ভাঙ্গে না তখন তারা আবারো জেনে যায় আমরা বোঁদ হয়ে ঘুমিয়েছি জান্নাতের স্বপ্নে লোভাতুর হয়ে। তাই তারা এক যোগে সব মুসলিমকে নিঃশেষ করে দেওয়ার ছক আঁকে । তার উপর ভিত্তি করেই ভূখন্ডগুলোকে এক এক করে নিজেদের করে নেয়।
কত সুন্দর তাদের ছলসাতুরি! কত নিখুঁত তাদের শয়তানি! কত রহস্যময় তাদের কারচুপি! ভাবার খোরাক যোগায়। শিখার কিছু আছে বলে মন জাগ্রত হয়। আল্লাহ কি এমনি এমনি বলেছেন কুরআন নিয়ে তোমরা তাদাব্বুর তাফাক্কুর করো তাহলে তোমরা এগুলোর সমুচিত জবাব দিতে পারবে।
হে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা!
মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাথীরা কি ঘুমিয়ে ছিলেন যখন মদিনা ঘেঁষে আবু সুফিয়ান ও তাঁর সাথীরা অস্ত্রের ঝংকার শুনিয়ে যেতো? ওহুদ, বদরের প্রান্তেও কি তারা ঘুমিয়ে ছিলেন শত্রুর বাড়াবাড়ি দেখে? মদিনার এক ইহুদী মুসলিম রমণীর হিজাব ধরে টান দেয়ার ঘটনায়ও কি তারা ঘুমিয়ে ছিলেন? হ্যা বলছি...
নবীর যুগেও কাফেররা পরীক্ষা করে দেখতো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাথীরা ঘুমিয়ে পড়েছে কিনা! কখনো বাজারে গিয়ে শোরগোল তুলে দেখতো কেউ প্রতিউত্তর দেয়ার আছে কিনা! কখনো চুক্তি ভঙ্গ করে দেখতো কোন মুসলমান টের পেলো কিনা! কিন্তু মক্কা মদীনায় সেই কৌশল ব্যবহার করার পর ইহুদীরা সাহাবীদের হাতে নাকানি-চুবানি খেতে হয়েছে। এখন ওরা অট্টহাসে। এখনো তাদের সেই উত্তরসূরীরা একই এক্সপেরিমেন্ট চালায়। কিন্তু এখন আর দেখা যায় না সেই জজবাওয়ালা কোন ব্যক্তি যে তাদের নাকানি চুবানি খাওয়াবে।
ঘুম আমাদের কখনোই যে কারো ভাঙ্গে না তা কিন্তু না। সময়ের ব্যবধানে চেসনিয়া, বসনিয়া, আফগান, ফিলিস্তিন ও কাশ্মীরে কিছু আইয়ূবীদের ঘুম ভেঙ্গেছিলো। যার জাগৃতিক ফল ভোগ করতে হয়েছিলো নিশাচর কাফেরদের। তখন তাদের নতুন এক এক্সপেরিমেন্টের দিকে আবারো অগ্রসর হতে হয়। যেহেতু তখন কারো কারো ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিলো। তাই তারা প্রক্সি মুসলিম তৈরি করতে লাগলো যাদের দেখে অন্যান্য মুসলমানরা মনে করবে তারাও আমাদের ভাই, মনে হয় তারা জেগে উঠেছে। তাই আমাদের ঘুমালেও চলবে । আবার কেউ কেউ মনে করবে, এভাবে জেগে ওঠাটা নীতিবিরুদ্ধ । ল্যাবে এরা isis সদৃশ্য কিছু সন্ত্রাসীগোত্র তৈরি করে ছেড়ে দিলো। তখন আমারা আল-কা-য়ে-দা, তা-লে-বা-নে-র মত প্রকৃত দলগুলোকেও আমরা বাতিল ক্যাটাগরিতে ফেলে দিলাম। ঘুমের মাঝেও ভাবতে শুরু করলাম এভাবে জেগে ওঠাটা রিস্ক, গণতন্ত্র বিরুদ্ধ। আর আমি তো দেশকে ভালোবাসি। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাই করতে বলেছেন সুতরাং গণতন্ত্র বিরুদ্ধ কাজ করা যাবে না।
বাহ! কত চমৎকার উদাহরণ! কত অসাধারণ ধ্যান-ধারণা! রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি গণতন্ত্রধারী দেশের কথা বলেছেন না ইসলামী খেলাফতভুক্ত রাষ্ট্রের কথা বলেছেন? কখনো ভেবে দেখেছেন কি? কখনো ফিকির করেছেন কি?
প্রকৃতপক্ষে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামী খেলাফাহভুক্ত রাষ্টের ভালোবাসার কথা বলেছেন। ঐ পতাকায় সম্মানের চুম্বক লাগাতে নির্দেশ দিয়েছেন । তার জন্য জীবন দেওয়ার নমুনা দেখিয়ে গিয়েছেন। কেন! মনে পড়ে না উহুদের যুদ্ধে ৭০ জন মুজাহিদদের জীবন বিলিয়ে দেয়ার কথা? সাহাবী হযরত খুবাইব রাদিআল্লাহু ও হযরত তালহা রাদিআল্লাহু জীবন ত্যাগের কথা?
প্রিয় যুবক ভাই!
সত্যিই এমনটা হয়না? কখনো আমরা ঘুমের মাঝেও কঁকিয়ে উঠি সিরিয়ায় রক্তপাত দেখে। কখনো আঁতকে উঠি ফিলিস্তিনের অশ্রুঝরা দেখে। নিষ্পাপ খোকা-মনিদের কাকুতি-মিনতি আর শহীদ হওয়া শত শত মা-বোনের নিথর লাশ দেখে।
অন্তরটা ধুমড়ে মুচড়ে যায়। হৃদয়টা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। আঘাতে আঘাতে মনের কোণে অদৃশ্য গাঁ হয়ে যায়। পেরেশানিতে অনেকেই মানসিক পাগল হয়ে যায়। তবুও প্রতিবাদের ঝড় উঠে না অস্ত্রের ভাষায়। তবুও প্রতিশোধের আগুন জ্বলে না তরবারির আগায়।
বুকের ভিতর জমানো এ ব্যথা। পিঠের বাহিরে লাগানো এ আঁচড়। এ পাশ ও পাশ থেকে শুনা এ কটুকথা। সত্যিই কি এগুলো প্রভুর ভালোবাসায় সহ্য করা? বাস্তবেই কি এগুলো রাসূলের মহব্বতে ত্যাগ দেয়া?
যদি তাই হতো! তাহলে রবকে পাওয়ার জন্য নিরস্ত্র হয়ে ঘরে বসে থাকতে পারতাম না। প্রভুর দিদার হাসিলের উদ্দেশ্যেই যদি থাকতো তাহলে জিহাদের কথা বাদ দিয়ে ভোগ-বিলাসের কথা মাথায়ই আনতাম না।
ইতিহাস বরাবরের মত এখনো কাঁদে আবেগময়ীদের প্রতিবাদের ধরণ দেখে। আবার অট্টহাসে মডারেট মুসলিমদের অযাচিত সহানুভূতি দেখে। ভার্চুয়াল পর্দায় সামান্য একটু অস্ফুট আফসোস করে, একটু মায়াকান্না করে, শোকে কাতর, শোকে কাতর বলে চিৎকার করে আবারো ঘুমিয়ে পড়ি। পরিবারের বিরামহীন দেয়া টেনশন থেকে নিস্তার পেতে আমাদের দিন ফুরিয়ে যায়। ক্ষত-বিক্ষত উম্মাহকে নিয়ে ভাবার ফুরসত হয় না। সম্পদ উপার্জনের পিছনে সময় ফুরিয়ে যায় এবং পরিবারের পেছনে সব সম্পদ নিঃস্ব হয়ে যায় ।
আসাম আর দিল্লির রক্তাক্ত উম্মাহকে নিয়ে ফিকির করার সময় হয়ে ওঠে না । হিন্দ আর শামের মুজাহিদদের পিছনে কিছু মাল খরচ করার ফুরসত হয়ে ওঠে না। তাঁদের পরিবারের দিকে তাঁকানোর একটুও সুযোগ হয় না। যুবক ভাই! এমন ইলম অর্জন করে কি লাভ যে এলেম আমাকে উম্মাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়? এমন হালাল সম্পদ দিয়ে কি হবে যে সম্পদ মায়া ডেকে ফেলে উম্মাহর রক্তাক্ত ক্ষত?? এমন ভালোবাসা দিয়ে কি হবে যে ভালোবাসা কিতালের পথে নামাতে পারে না?
প্রিয় ভাই যুবক মনে রেখো!
যা আমাকে আমার কর্তব্যকে ভুলিয়ে দেয় তা কখনো নিয়ামত হতে পারে না। যতদিন উম্মতের কষ্টে বিনিদ্র যুবকের আবির্ভাব না হবে ততদিন আমরা ঘুমের ঘোরে ঘুরতে থাকা মুনাফিক ছাড়া আর কিছুই নই।
Comment