Announcement

Collapse
No announcement yet.

"নিয়তের তরিকা"

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • "নিয়তের তরিকা"

    "নিয়তের তরিকা"
    লেখক: মুফতি ফয়জুল্লাহ রহ.

    কোন কাজে কী নিয়ত করবে?
    সর্বজগতের প্রভু আল্লাহ তায়ালার জন্য সকল প্রশংসা এবং আম্বিয়ায়ে মুরসাল অর্থাৎ প্রেরিত কিতাব ও শরিয়তসম্পন্ন সম্মানিত পয়গাম্বরদের সর্দার মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পাক পবিত্র সহচরগণের উপর দরুদ ও
    সালাম প্রেরণের পর—জেনে নেওয়া উচিত, রহমানুর রহিম আল্লাহ তায়ালা বান্দাগণের উপর বড় দয়ালু এবং অশেষ মেহেরবান। তাই তিনি দয়া করে আমাদের শেষ নবী হজরত রাসুলে মাকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বারা আমাদেরকে অতি অল্প পরিশ্রমে বরং বিনা পরিশ্রমে বহু সওয়াব হাসিল করার বিভিন্ন সহজ পথ প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়—আমরা এমন বদবখত, দুনিয়ার মহব্বত আমাদের এমন সাংঘাতিকভাবে ঘিরে বসেছে যে, বিনা পরিশ্রমে সহজ পথ অবলম্বন করেও আমরা বেহেশত লাভ করতে প্রস্তুত নই। বিনা পরিশ্রমে বহু সওয়াব হাসিল করার বিভিন্ন উপায়ের মধ্যে যেকোনো কাজের নিয়ত সহিহ (শুদ্ধ) বা ভালো ও সংশোধিত করে নেওয়া একটি সহজ উপায় বটে।

    মুসলমান মাত্রই অবগত আছেন যে, মনে মনে ইচ্ছা বা সংকল্প করার নামই নিয়ত। কারণ, ‘নিয়ত' আরবি শব্দ। তার অর্থ অন্তরে কোনো কাজের সংকল্প বা ইচ্ছা পোষণ করা। সুতরাং তা অন্তরের কাজ। মুখে বলার আবশ্যকতা নেই। যদি মুখে বলা হয়; কিন্তু অন্তরে তার কোনো খেয়াল না থাকে—এই নিয়ত সহিহ বা শুদ্ধ হবে না ।

    আর যদি অন্তরে নিয়ত থাকে কিন্তু মুখে বলা না হয়—অথবা মুখে তার বিপরীত বলা হয়, তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। আলেমগণ এক বাক্যে স্বীকার করেছেন, উচ্চৈঃস্বরে নিয়ত বলা শরিয়তবিরোধী কাজ। অতঃপর তাঁরা বলেন, নিয়ত মুখে বলা নামাজের জন্যও শর্ত নয়। শর্ত মনে করাও ভুল। অবশ্য ফকিহদের মধ্যে কোনো কোনো মুজতাহিদের মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি (যথা, হেদায়া প্রণেতা) বলেছেন, অন্তরে নিয়তের সঙ্গে-সঙ্গে যদি মুখেও তা বলা হয়, তখন জায়েজ ও মুসতাহসান। যাতে মুখে বলাটা অন্তরের নিয়তের সঙ্গে একত্রিত হয়ে মনস্থ নিয়তে শক্তি বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। কারণ, মুখে যা বলা হয়—তা আন্তরিক নিয়তের সাথে মিশে এক হতে পারে। অতএব, মুখের নিয়ত মনস্থ নিয়তে সাহায্য পৌঁছাবে। সুতরাং ফাতহুল কাদির (হেদায়ার টিকাগ্রন্থ) কিতাবে লেখা হয়েছে, যদি মুখের নিয়ত মনস্থ নিয়তের সঙ্গে একত্রিত হয়ে অন্তরে রেখাপাত না করে, ওইরূপ মুখের নিয়ত “মুসতাহসান’ হতে পারে না। কারণ হজরত রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং কোনো একজন সাহাবি রা. হতে সহিহ কিংবা জয়িফ হাদিস দ্বারাও তাঁরা কখনও নামাজের শুরুতে নিয়ত মুখে পাঠ করেছেন বলে প্রমাণিত নেই; বরং তাঁরা নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন, নামাজ শুরু করতেন। এর দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, মুখে বলা শব্দের অর্থ বুঝতে পারলে তা আন্তরিক নিয়তের সহায়ক ও হৃদয়ে রেখাপাতের কারণ হতে পারে, তখন তা মুসতাহসান হিসেবে গণ্য হবে। এ হিসেবে মাতৃভাষায় নিয়ত করাতেই উক্ত উদ্দেশ্য সুচারুরূপে আদায় হবে। আরবি কিংবা অন্যান্য ভাষায় তা আদায় হতে পারে না। তাই মুসতাহসানও হতে পারে না; বরং আরবি শব্দ পর্যন্ত উচ্চারণে অক্ষম হওয়া সত্ত্বেও আরবি নিয়তের জন্য জেদ করা বিদআতই হবে। কারণ, রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
    সাহাবা রা., তাবেয়িন বা ইমামগণ রহ. হতে যা প্রমাণিত নেই, তা সওয়াব ও ইবাদতের কাজ হিসেবে করা ও জানা মাকরুহে তাহরিমা ও বিদআত। আর মুস্তাহাবকে প্রয়োজনীয় মনে করলে তা-ও বিদআত ও মাকরুহে তাহরিমা হয়ে যায়। সুতরাং মুহাদ্দিসগণ এবং অন্যান্য ফকিহগণ মুখে নিয়ত বলাকেই
    বিদআত বলেছেন।

    কিন্তু তাদের মধ্যে বোধহয় অনেকেই অবগত নন, এ নিয়তের উপরই শরিয়তের সমস্ত কাজকর্ম নির্ভরশীল। আল্লাহর ওয়াস্তে নিয়ত সহিহ (শুদ্ধ) ও খালেস এবং সংশোধিত না হলে নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, সদকা-খয়রাত ইত্যাদি ফরজ কোনো কাজই আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না; বরং কোনো কোনো সময় সওয়াবের পরিবর্তে গুনাহ অর্জন করা হয়। হজরত রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছে —‘নিশ্চয়ই আমল (কর্ম) নিয়তের উপর নির্ভর করে এবং নিশ্চয়ই প্রত্যেক মানুষের জন্য এটিই প্রতিফলস্বরূপ নির্ধারিত, যা সে নিয়ত করে। অতএব, সে ব্যক্তির হিজরত করা (অর্থাৎ ধর্মের কারণে নিজস্ব ঘর-বাড়ি, সন্তান-সন্ততি, পরিবারববর্গ, ধন-সম্পত্তি ও দেশ ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাওয়া) যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সন্তুষ্টি লাভের নিয়তে হবে, তখন তার উক্ত হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নিকট মকবুল (গৃহীত) এবং সওয়াবের উপযোগী হবে। আর যে ব্যক্তির হিজরত কোনো দুনিয়াবি (পার্থিব) ধন-সম্পত্তি মান-মর্যাদা লাভ অথবা কোনো নারীর সাথে বিয়ে করার মানসে হয়, আল্লাহ ও রাসুলের সন্তুষ্টি লাভের জন্য না হয়, তখন তার হিজরতের ফলস্বরূপ সে যে কাজের জন্য হিজরত করেছে তাই পাবে। আখেরাতে সে কোনো সওয়াব পাবে না। এই হাদিস বুখারি ও মুসলিম শরিফ থেকে মিশকাত শরিফের ১১ নং পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে।

    উপরিউক্ত বরকতময় হাদিস শরিফ দ্বারা এই কথা বেশ পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হলো, নিয়তই সমস্ত কাজের মূল ও ভিত্তি। মানুষ যে কাজে যেমন নিয়ত
    করবে, সে তার ফলও ঠিক তেমন পাবে। হজরত নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—‘কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যে লোকদের
    বিচার হবে, তন্মধ্যে একজন শহিদও থাকবে। তাকে আল্লাহর দরবারে হাজির করা হবে। তারপর আল্লাহ তায়ালা তাকে আপন প্রদত্ত নেয়ামতগুলো
    স্মরণ করে দিলে তার স্মরণ হবে। তখন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, ‘তুমি ওই নেয়ামতগুলো দ্বারা কী আমল করেছিলে?' সে বলবে, 'তোমার রাস্তায় যুদ্ধ
    করে শহিদ হয়েছিলাম।' আল্লাহ তায়ালা তখন বলবেন, “তুমি মিথ্যা বলছ, বরং লোকে তোমাকে বাহাদুর বলবে—সে উদ্দেশ্যে তুমি যুদ্ধ করেছিলে।
    অতএব তা বলা হয়ে গেছে।' এরপর তার প্রতি হুকুম দেওয়া হবে এবং তার মুখ মাটিতে ঘেঁষে টানতে টানতে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। আর এক ব্যক্তি ইলম শিখেছিল, শিক্ষা দিয়েছিল এবং কুরআন শরিফ পড়েছিল।
    তাকে আল্লাহর দরবারে হাজির করা হবে। তারপর আল্লাহ তায়ালা তাকে প্রদত্ত নেয়ামতগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দেবেন এবং বলবেন, ‘তুমি এই
    নেয়ামতগুলো দ্বারা কী আমল করেছিলে?' সে বলবে, শুধু তোমার সন্তুষ্টি লাভের নিমিত্তে ইলম শিখেছিলাম ও শিক্ষা দিয়েছিলাম এবং কুরআন শরিফ পাঠ করেছিলাম। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা বলবেন— 'তুমি মিথ্যা বলছ, মোটেও তা নয়; বরং তুমি ইলম শিক্ষা করেছিলে লোকেরা তোমাকে যেন
    আলেম বলে। কুরআন শরিফ পাঠ করেছিলে যেন তোমাকে কারি বলে৷ অতএব, তা বলা হয়ে গেছে। এরপর তার প্রতি হুকুম হবে এবং তার মুখ
    মাটিতে ঘেঁষে টানতে টানতে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। আরেক ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা তাকে প্রচুর পরিমাণে ধন-সম্পত্তি দান করেছিলেন এবং
    সব ধরনের ধন-দৌলত (অর্থাৎ সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা, আসবাবপত্র জায়গা-জমি এবং গরু-ছাগল প্রভৃতি) দান করেছিলেন, সুতরাং তাকেও
    আল্লাহর দরবারে হাজির করা হবে। তারপর আল্লাহ তায়ালা তাকে আপন প্রদত্ত নেয়ামতগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিলে তার স্মরণ হবে। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা বলবেন, “তুমি ওই নেয়ামত দ্বারা কী আমল করেছিলে?'
    সে বলবে, “আমি এমন কোনো সুযোগই বাদ দিইনি, যাতে অর্থ ব্যয় করা আপনার পছন্দনীয় বরং তাতে আপনার সন্তুষ্টির জন্যই অর্থ ব্যয় করেছি। আল্লাহ তায়ালা বলবেন, “তুমি মিথ্যা বলছো; বরং যাতে লোক তোমাকে সুখী
    ও দাতা বলে, সেজন্যই করেছিলে। অতএব, তা বলা হয়ে গেছে।' এরপর তার প্রতি হুকুম দেওয়া হবে এবং তার মুখ মাটিতে ঘেঁষে টানতে টানতে তাকে দোজখে নিক্ষেপ করা হবে।
    - মিশকাতুল মাসাবিহ, পৃষ্ঠা: ৩৩

    এ থেকে নিয়ত কতটা অমূল্য রত্ন এবং তা খারাপ হওয়ার ফলাফল কতটা সাংঘাতিক—তা অতি উত্তমরূপে বুঝা যাচ্ছে। হজরত নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি জ্ঞানী ব্যক্তির প্রত্যেক কথাকেই যে কবুল করি, তা নয়; বরং আমি তার নিয়ত ও ইচ্ছাকেই কবুল করে নিই। যদি তার নিয়ত ও ইচ্ছা আমার ইবাদত ও হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে হয়, তখন তার চুপ থাকাকেও আমার প্রশংসা ও বড়ত্বের বাক্যের মধ্যে গণ্য করি। যদিও সে কোনো কথা মুখে উচ্চারণ না করে।'
    মিশকাতুল মাসাবিহ, পৃষ্ঠা : ৪৫৬


    এ হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে, আল্লাহ তায়ালা আমাদের নিয়তের প্রতি খুব নজর রাখেন। আমাদের নিয়ত যদি খালেস আল্লাহর জন্য হয়, তবে কোনো কাজ না করলেও কেবল নিয়তের কারণে আমরা অতি সহজে সওয়াব হাসিল করতে পারব। ইবাদত-বন্দেগি অর্থাৎ যে কাজ করতে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আদেশ করেছেন এবং যে কাজ করতে নিষেধ করেছেন—তাতে ভালো-শুদ্ধ নিয়তের উপরই সকল কর্ম কবুল ও গৃহীত হওয়া নির্ভর করে।
    অতএব, যখন নিয়ত শুদ্ধ ও সংশোধিত হয়, তখন বান্দার কাজ কবুলের উচ্চ চূড়ায় উত্থিত হয়। নতুবা তা রদ করা হয় অর্থাৎ কবুল হয় না। এমনকি মুবাহ ও আদতি (অভ্যাসগত) কাজসমূহ; বরং সকল নড়াচড়া, কাজকর্ম নিয়ত শুদ্ধ ও সংশোধিত হওয়ার কারণে এমন ইবাদত ও খোদার আনুগত্যের মধ্যে গণ্য করা হয়—যা দ্বারা মানুষ সওয়াব ও সুপ্রতিফলের যোগ্য হতে পারে। নিয়তের নানাদিক ও প্রকারভেদে সওয়াব এবং প্রতিফলও বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে।

    সুতরাং আমাদের জন্য প্রত্যেক কাজ ও অবস্থায় এমনকি মুবাহ, অভ্যাস ও কর্মেও নিয়ত শুদ্ধ ও সংশোধিত করে নেওয়ার প্রতি অত্যধিক চেষ্টা ও
    সর্বপ্রকার যত্ন নেওয়া উচিত। তখন আমরা দুনিয়া-আখেরাতে উঁচু মাকাম লাভ করতে পারব এবং আমাদের কোনো কাজ এমনকি নড়াচড়া পর্যন্ত বিফল ও বরবাদ হবে না। সবগুলো ইবাদত ও আল্লাহ তায়ালার জিকিরের মধ্যে শামিল
    হয়ে যাবে। তাতেই আমাদের জন্য সর্বদা আল্লাহ তায়ালার জিকিরে মগ্ন থাকার সৌভাগ্য অর্জন হবে এবং সর্বদা জিকিরুল্লাহর কাজে নিমগ্ন থাকায় যেসব ফজিলত নির্ধারিত আছে, আমরা তার উপযোগী হতে পারব। অতএব আমি ইরাদা (মনস্থ) করেছি, এখানে এমন কিছু আমল (কাজ) ও অবস্থা বর্ণনা করব, যা আমাদের মধ্যে সচরাচর পাওয়া ও দেখা যায়। তাতে আমি বলব, কীভাবে নিয়ত করা আমাদের উচিত। যে কেউ উক্ত বিষয়গুলো জেনে আমল করে, আল্লাহ তায়ালা চাহে তো এর দ্বারা অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যেও (যা আমি বয়ান করিনি) নিয়ত শুদ্ধ, সংশোধিত ও সুন্দরভাবে করার প্রতি তার অন্তরে এক ধরনের শক্তি ও যোগ্যতা আসবে। এ কথা ভেবে আমি আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা এবং তার নিকট হতে সাহায্য প্রার্থনা করে উদ্দেশ্য মূল বিষয় শুরু করছি।
    رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيْم


    • ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে
    • শৌচাগারে যেতে
    • ঢিলা ব্যবহার করতে
    • ইস্তিঞ্জা বা আবদস্ত করতে
    • ওজু করার সময়
    • মাথা মাসেহ করার সময়
    • মসজিদে যেতে
    • মসজিদে প্রবেশ করতে
    • মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময়
    • জীবিকা অর্জনে লিপ্ত হতে
    • ইশরাক ও চাশতের নামাজের সময়
    • জানাবাতের (নাপাকি অবস্থায়) গোসলের সময়
    • আহারের সময়
    • আহারের পর কায়লুলা করতে
    • সন্ধ্যায় ঘরের দরজা বন্ধ করতে
    • নিদ্রার সময়
    • যখন রাতে ঘুম হতে জাগ্রত হবে
    • কুরআন শরিফ তেলাওয়াত বা শোনার সময়
    • আজান দেয়ার সময়
    • নামাজে ইমামতি করতে
    • শেষ রাতে তাহাজ্জুদ আদায় করতে
    • ওয়াজ-নসিহত করার সময়
    • ওয়াজের মজলিসে যাওয়ার সময়
    • বাইয়াত করানোর সময়
    • মুরিদ হওয়ার সময়
    • শিশুদের শিক্ষা দিতে
    • দীনি মাদরাসায় পড়াতে
    • শিক্ষকদের বেতন লাভের পর
    • দীনি ইলম শিক্ষা করতে
    • খাবারের দাওয়াতে যেতে
    • রোগীর সেবায়
    • চিকিৎসা করতে
    • ফাতাওয়া লিখতে
    • কাউকে কিছু হাদিয়া দিতে
    • আলেম ও দীনদারগণকে দাওয়াত করে খাওয়াতে
    • বিয়ের সময়
    • কাউকে ঋণ দিতে
    • ঘর-বাড়ি ঝাড়ু দিতে
    • খাবার রান্না করতে
    • গরু-ছাগল চরাতে
    • বাচ্চাদের লালনপালনে ও কোলে নিতে
    • ঘরের কাজকর্মের ক্ষেত্রে
    • সদকা-খয়রাত করার সময়
    • আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সাক্ষাতের সময়
    • বাজারে যেতে
    • ব্যবসা করতে
    • শ্রমিকের মজুরি আদায় করতে
    • চাষাবাদ করার সময়
    • কোনো শিল্পকর্মের ক্ষেত্রে
    • নতুন কাপড় পরিধান করতে
    • সুরমা ব্যবহার করতে
    • তেল ব্যবহার করতে
    • সুগন্ধি ব্যবহার করতে
    • ঔষধ ব্যবহার করতে
    • খালি পায়ে হাঁটতে
    • জুতা পায়ে হাঁটতে
    • উপবাস থাকলে
    • স্কুল-কলেজে পড়াতে
    • নারীদের সাজসজ্জার ক্ষেত্রে
    • শুভ-বিবাহের কাবিননামা

    [কিতাবে প্রতি পয়েন্টের বিস্তারিত আছে, এখানে শুধু পয়েন্টগুলো তুলে ধরা হলো যাতে আল্লাহর ইচ্ছায় আমাদের মাঝে আগ্রহ ও সচেতনতা পয়দা হয়।]
Working...
X