জিহাদের কারণে কেমন ইমান অর্জিত হয়?
প্রিয় ভাই ও বোন !!
বালাকোট প্রান্তরের নির্মম ইতিহাস আজও সাক্ষী। যে নির্যাতনের কথাগুলোর ব্যাপারে অধমের কলম ধরা একেবারেই অসম্ভব । দুচোখ দিয়ে শুধু কান্না করা সম্ভব। দু কান দিয়ে তাদের নিষ্ঠুরতম আচরণগুলো শুধু শুনে যাওয়া সম্ভব। ক্ষতবিক্ষত হৃদয় দিয়ে একটু অভিশাপ দেয়া সম্ভব।
তবে একটা কাজ অবশ্যই করতে পারি-সেটা হলো অন্তরে জমানো হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দেয়া। ব্রেনের চারপাশ দিয়ে ফিকির করে শিক্ষা গ্রহণ করা। মনের দুয়ার খোলে উজাড় করে দুআ করা। রব তাদেরকে তুমি শাহাদাতের সুউচ্চ সৌখিন বালাখানাগুলো দান করো। জান্নাতে তাদের অবাধ বিচরণকে উন্মুক্ত করে দাও। তাদের ছোট্ট এ ফজিলতময় জামাতে আমাদের বোনদেরও শামিল করে নাও।
যখন যুদ্ধের সূচনা হলো-তখন দিবারাত্রি প্রচুর চাক্কি চালানোর কারণে শাহী বিছানায় শয়নকারিণী মহিলাদের হাতের চামড়ায় ফোস্কা পড়ে যায়। কারো পেট পিঠে চিনচিন ব্যথা শুরু হয়ে যায় তখন কোন এক হৃদয়বান ব্যক্তি তাদের জিজ্ঞাসা করলো।
হে আমার প্রাণের বোনেরা!
দিল্লিতে তো তোমরা অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দে জীবনযাপন করতে! শাহী বিছানায় শয়ন করতে! সুখময় জীবন কাটাতে! ভারী মজাদার ও সুস্বাদু খাবার চাখতে ! মনের আনন্দে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে! আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখতে দূরকে দূর সফর করতে! প্রভুর লীলাভূমিতে সময় অসময়ে ছুটে চলে যেতে!
আর আজ এখানে চাক্কি চালাতে চালাতে হাতের চামড়ায় কড়া হয়ে যাচ্ছে! ঘুমাতে না ঘুমাতে চোখ-মুখ ছোট হয়ে আসছে! মনে হচ্ছে ক্ষুধার্ত নেকড়ে! মন বলছে পিপাসার্ত সাপুড়ে!
এ অবস্থায় বলো- তোমাদের এ জীবন উত্তম না ঐ গুনাহে লিপ্ত থাকা আরাম আয়েশী জীবন উত্তম? সকল বোনেরা এক বাক্যে উত্তর দিলো। আল্লাহর কসম! আল্লাহর কসম!
সারারাত্রি চাক্কি চালিয়ে! সারাদিন মুজাহিদদের ঘোড়ার আহার যুগিয়ে! বালাকোটের কংকরময় এ ভূমিতে শয়ন করে! সাইয়্যেদ আহমাদ শহীদ ও শাহ ইসমাইল রাহিমাহুল্লাহ এর অনুগ্রহের দ্বারা আমাদের এমন ইমান অর্জিত হয়েছে যে, যদি আজ আমাদের ইমান পুরো পৃথিবীর পাহাড়সমূহকে বন্টন করে দেওয়া হয় তবে পাহাড়গুলো সহ্য করতে পারবে না! বরং পাহাড়গুলো নিস্তেজ হয়ে যাবে। চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। পুরো পৃথিবীর কংকরগুলোকে যদি একসাত করা হয় তবুও তার কিঞ্চিৎ পরিমাণ হবে না।
প্রিয় ভাই ও বোন!
আল্লাহর সন্তুষ্টি কষ্ট মুজাহাদার মধ্যেই পাওয়া যায়। আল্লাহর সন্তুষ্টি জিহাদ আর শাহাদাতের বারাকাতেই পাওয়া যায। উম্মাহর নিখুঁত নিপুণ সমাধানের একমাত্র পথ কিতাল ফি-সাবিলিল্লাহ। শ্রেষ্ঠ মর্যাদায় ভূষিত হওয়ার উচ্চতর মত জি ফি-সাবিলিল্লাহ।
রবের সন্তুষ্টি অন্য সকল কাজে কস্মিনকালেও পাওয়া যায় না। তবে মনে রেখো-নফসের গোলামী! তা তো কাফেররা করে থাকে। তাগুতের পায়রুবী! তা তো মুনাফিকরা করে থাকে। তবে আমরা নফসের গোলামী আর তাগুতের পায়রুবী করে কোন পথে হাঁটছি তা একবার ভেবে দেখছি তো!
মুসলিম যুবক-যুবতীর আভিজাত্য শান-শওকত আর অসীম মর্যাদা তো এ মহান কাজেই। কখনো নফসের মোকাবেলা করবে। কখনো কাফেরদের মোকাবেলা করবে। কখনো মুনাফিকদের। কখনো অস্ত্র ধারণ করবে। আবার কখনো দাওয়াতী কার্যক্রম চালাবে। আবার কখনো আল্লাহর রাহে জীবন উৎসর্গ করবে। এটাই তো হলো প্রকৃত মুমিনের আসল চরিত্র।
প্রিয় ভাই ও বোন!
সালাত সালাম এটা তো ব্যক্তিগত ইবাদত। নিজ ইবাদত নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে পরিপূর্ণতায় আনা।যায়। এটা সবাই করতে পারে। কিন্তু জিহাদ আর শাহাদাত কি ব্যক্তিগত ইবাদত না সমষ্টিগত? অবশ্যই সমষ্টিগত ইবাদত! সুতরাং এর জন্য সকলকেই প্রয়োজন। শ্রেণী বিন্যাশের কোন খাব এখানে সংযোজন হবে না। মতপার্থক্যের কোন সাবাব এখানে দাঁড় করানো যাবে না।
দল মত নির্বিশেষে আমরা সবাই মুসলিম। একটি দেহ। একটি মন। বিজয়ের পতাকা উড়বে চারদিকে শনশন। অস্ত্রের নলে রিযিকের উৎসরণ। জিহাদ আর শাহাদাতের ছায়াতলে খেলাফতের আলোড়ন।
প্রিয় ভাই ও বোন !!
বালাকোট প্রান্তরের নির্মম ইতিহাস আজও সাক্ষী। যে নির্যাতনের কথাগুলোর ব্যাপারে অধমের কলম ধরা একেবারেই অসম্ভব । দুচোখ দিয়ে শুধু কান্না করা সম্ভব। দু কান দিয়ে তাদের নিষ্ঠুরতম আচরণগুলো শুধু শুনে যাওয়া সম্ভব। ক্ষতবিক্ষত হৃদয় দিয়ে একটু অভিশাপ দেয়া সম্ভব।
তবে একটা কাজ অবশ্যই করতে পারি-সেটা হলো অন্তরে জমানো হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দেয়া। ব্রেনের চারপাশ দিয়ে ফিকির করে শিক্ষা গ্রহণ করা। মনের দুয়ার খোলে উজাড় করে দুআ করা। রব তাদেরকে তুমি শাহাদাতের সুউচ্চ সৌখিন বালাখানাগুলো দান করো। জান্নাতে তাদের অবাধ বিচরণকে উন্মুক্ত করে দাও। তাদের ছোট্ট এ ফজিলতময় জামাতে আমাদের বোনদেরও শামিল করে নাও।
যখন যুদ্ধের সূচনা হলো-তখন দিবারাত্রি প্রচুর চাক্কি চালানোর কারণে শাহী বিছানায় শয়নকারিণী মহিলাদের হাতের চামড়ায় ফোস্কা পড়ে যায়। কারো পেট পিঠে চিনচিন ব্যথা শুরু হয়ে যায় তখন কোন এক হৃদয়বান ব্যক্তি তাদের জিজ্ঞাসা করলো।
হে আমার প্রাণের বোনেরা!
দিল্লিতে তো তোমরা অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দে জীবনযাপন করতে! শাহী বিছানায় শয়ন করতে! সুখময় জীবন কাটাতে! ভারী মজাদার ও সুস্বাদু খাবার চাখতে ! মনের আনন্দে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে! আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখতে দূরকে দূর সফর করতে! প্রভুর লীলাভূমিতে সময় অসময়ে ছুটে চলে যেতে!
আর আজ এখানে চাক্কি চালাতে চালাতে হাতের চামড়ায় কড়া হয়ে যাচ্ছে! ঘুমাতে না ঘুমাতে চোখ-মুখ ছোট হয়ে আসছে! মনে হচ্ছে ক্ষুধার্ত নেকড়ে! মন বলছে পিপাসার্ত সাপুড়ে!
এ অবস্থায় বলো- তোমাদের এ জীবন উত্তম না ঐ গুনাহে লিপ্ত থাকা আরাম আয়েশী জীবন উত্তম? সকল বোনেরা এক বাক্যে উত্তর দিলো। আল্লাহর কসম! আল্লাহর কসম!
সারারাত্রি চাক্কি চালিয়ে! সারাদিন মুজাহিদদের ঘোড়ার আহার যুগিয়ে! বালাকোটের কংকরময় এ ভূমিতে শয়ন করে! সাইয়্যেদ আহমাদ শহীদ ও শাহ ইসমাইল রাহিমাহুল্লাহ এর অনুগ্রহের দ্বারা আমাদের এমন ইমান অর্জিত হয়েছে যে, যদি আজ আমাদের ইমান পুরো পৃথিবীর পাহাড়সমূহকে বন্টন করে দেওয়া হয় তবে পাহাড়গুলো সহ্য করতে পারবে না! বরং পাহাড়গুলো নিস্তেজ হয়ে যাবে। চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। পুরো পৃথিবীর কংকরগুলোকে যদি একসাত করা হয় তবুও তার কিঞ্চিৎ পরিমাণ হবে না।
প্রিয় ভাই ও বোন!
আল্লাহর সন্তুষ্টি কষ্ট মুজাহাদার মধ্যেই পাওয়া যায়। আল্লাহর সন্তুষ্টি জিহাদ আর শাহাদাতের বারাকাতেই পাওয়া যায। উম্মাহর নিখুঁত নিপুণ সমাধানের একমাত্র পথ কিতাল ফি-সাবিলিল্লাহ। শ্রেষ্ঠ মর্যাদায় ভূষিত হওয়ার উচ্চতর মত জি ফি-সাবিলিল্লাহ।
রবের সন্তুষ্টি অন্য সকল কাজে কস্মিনকালেও পাওয়া যায় না। তবে মনে রেখো-নফসের গোলামী! তা তো কাফেররা করে থাকে। তাগুতের পায়রুবী! তা তো মুনাফিকরা করে থাকে। তবে আমরা নফসের গোলামী আর তাগুতের পায়রুবী করে কোন পথে হাঁটছি তা একবার ভেবে দেখছি তো!
মুসলিম যুবক-যুবতীর আভিজাত্য শান-শওকত আর অসীম মর্যাদা তো এ মহান কাজেই। কখনো নফসের মোকাবেলা করবে। কখনো কাফেরদের মোকাবেলা করবে। কখনো মুনাফিকদের। কখনো অস্ত্র ধারণ করবে। আবার কখনো দাওয়াতী কার্যক্রম চালাবে। আবার কখনো আল্লাহর রাহে জীবন উৎসর্গ করবে। এটাই তো হলো প্রকৃত মুমিনের আসল চরিত্র।
প্রিয় ভাই ও বোন!
সালাত সালাম এটা তো ব্যক্তিগত ইবাদত। নিজ ইবাদত নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে পরিপূর্ণতায় আনা।যায়। এটা সবাই করতে পারে। কিন্তু জিহাদ আর শাহাদাত কি ব্যক্তিগত ইবাদত না সমষ্টিগত? অবশ্যই সমষ্টিগত ইবাদত! সুতরাং এর জন্য সকলকেই প্রয়োজন। শ্রেণী বিন্যাশের কোন খাব এখানে সংযোজন হবে না। মতপার্থক্যের কোন সাবাব এখানে দাঁড় করানো যাবে না।
দল মত নির্বিশেষে আমরা সবাই মুসলিম। একটি দেহ। একটি মন। বিজয়ের পতাকা উড়বে চারদিকে শনশন। অস্ত্রের নলে রিযিকের উৎসরণ। জিহাদ আর শাহাদাতের ছায়াতলে খেলাফতের আলোড়ন।
Comment