আমাদের পূর্ববর্তী আলিমরা কত হাজার হাজার হাদিস মুখস্ত রাখতেন।কত বই কত তাফসীর তারা মুখস্ত রাখতেন। তাদের একজনের যত ইলম ছিলো বর্তমানে পৃথিবীর সব আলেমেরও এত ইলম হবে না। কিন্ত তারা শুধু কষ্টের মাধ্যমেই এত ইলম অর্জন করতে পারেন নি।তারা যত হায়াত পেয়েছেন এবং যত কষ্ট করেছেন তত হায়াত দিয়ে এবং কষ্ট করে এত ইলম অর্জন করা সম্ভব নয়।তারা আসলে রাতের আধারে দোয়া করতেন। তারা আল্লাহর দরবারে চাইতেন।তারা যদি ইলম ও আমল করার তাওফিক না চেয়ে আল্লাহর কাছে দুনিয়া চাইতেন। তাহলে তারা হয়ত আজ পৃথিবীর শ্রেষ্ট ধনী থাকতেন।
দেখুন আমাদের প্রিয় সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর তাহাজ্জুদ পড়া ফরয ছিলো। যখন পাচ ওয়াক্ত ফরয ছিলো না।তখনও তাহাজ্জুদ ফরয ছিলো। অথচ আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কত নির্যাতন কত ব্যাস্ততার ভিতরেও তাহাজ্জুদ পড়তেন।তাহাজ্জুদ নামাযের ভিতর কি এমন গুঢ় রহস্য যে,তাহাজ্জুদের নামায পড়া কঠিন হওয়ার পরেও আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পড়তেন।আল্লাহ তা আলা জানেন দ্বীনের দাওয়াত দিতে গেলে হাজারো ব্যস্ততা ও নির্যাতনে পড়তে হবে।তবুও কেন অন্য নামায ফরয না করে আগে তাহাজ্জুদ নামায ফরয করেছেন।
কারন তাওহিদের দাওয়াত দেওয়ার সাথে ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজ করার সাথে তাহাজ্জুদের এক বিরাট সম্পর্ক রয়েছে।যেটা আমাদের অজানা।আল্লাহই ভালো জানেন।
কিন্ত আজ আমরা অনেকে তাহাজ্জুদ পড়ি না এবংআমরা আজ আল্লাহর কাছেও চাই না।অথচ আমাদের চাওয়ার দরকার খুব বেশী কারন আমরা ফেতনার সময় বসবাস করতেছি।আমাদের যদি একটু এদিক সেদিক হয়ে যায়। তাহলে আমাদের দ্বারা দ্বীনের যতটুকু কাজ হয়েছে তার চাইতে অনেক বেশী ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
হাজার হাজার গোয়েন্দা মিলে কত চেষ্টা করে একটা তথ্য বের করার জন্য। অথচ আমাদের কাছে কত তথ্য থাকে।আমাদের উপরস্ত অধীনস্ত কত ভাইয়ের লিংক থাকে।অনেকে আবেগে জেলে যাওয়া ও নির্যাতন সহ্য করার খুব আশা পোষন করেন।অথচ এটা চিন্তা করেন না তিনি জেলে গেলে বা নির্যাতন সহ্য করলে দ্বীনের উপর কতটা অটল থাকতে পারবেন!
কত মানুষ নির্যাতনের কারনে কত তথ্য বলে দিছে।তাই নিজের নিরাপত্তা ও ইমানের উপর অটল থাকার জন্য গভীর রাতে বেশী বেশী দোয়া করা প্রয়োজন।
আল্লাহর কাছে বেশী নেক কাজের তাওফিক চাইতে থাকুন।আপনি যখন নিরাপত্তার জন্য দোয়া করবেন তখন জেল জুলুম আসলেও ইনশাআল্লাহ আল্লাহ দ্বীনের উপর অটল রাখবেন।আমরা আল্লাহর নিকট কতটুকু চাই? হযরত সুলাইমান আঃ তো এমন রাজত্ব চেয়েছেন। যে রাজত্ব ওনার পর আর কেউ পাবে না।আল্লাহ কি ওনার দোয়া কবুল করেন নি? আল্লাহর কাছে অভাব নেই কোন কিছুর।কিন্তু আমাদের চাওয়ার অভাব।আমরা চাইতে অনেক সময় ভয় পাই।চাওয়ার আগেই ভাবি আমার দ্বারা কি আসলেই এত বড় কাজ হবে? আমি এত বড় কাজের যোগ্য?অথচ এটা ভাবি না যে,আমাদের কে আল্লাহ যোগ্যতা সম্পন্ন বানাবেন।তিনি চাইলে আমাদের মত অধমকে দিয়েও অনেক কাজ করাতে পারেন। তিনি না চাইলে কেউ অনুকূল পরিবেশেও বড় আলিম বা বড় মুজাহিদ হতে পারে না।আর তিনি চাইলে হাজারো প্রতিকুল অবস্থায় বড় আলেম বা বড় মুজাহিদ বানাতে পারেন।তিনি আমাদেরকে তার কাছে চাওয়ার অনেক সুযোগ দিয়ে রেখেছেন।মাক্কী যুগে কেউ ইসলাম গ্রহন করলেই তাকে প্রচুর নির্যাতন করা হতো।অথচ আমরা অনেকেই ইসলামের জন্য তেমন কোন প্রতিকুল পরিবেশের মুখামুখি হতে হয় নি।নির্যাতন সহ্য করতে হয় নি।আল্লাহ আমাদের নিরাপত্তার সাথে রেখেছেন।আমাদের উচিত এ সুযোগ হাতছাড়া না করা।সবসময় ভবিষ্যতের নিরাপত্তার জন্য তাহাজ্জুদ পড়ে দোয়া করা এবং নির্যাতিত মুসলিমদের নিরাপত্তার জন্য আমরা যেন কিছু করতে পারি সে তাওফিক চাওয়া।আল্লাহ চাহেনতো ভবিষ্যতে যত খারাপ পরিবেশই হোক না কেন আল্লাহ আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন।ইনশাআল্লাহ
দেখুন আমাদের প্রিয় সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর তাহাজ্জুদ পড়া ফরয ছিলো। যখন পাচ ওয়াক্ত ফরয ছিলো না।তখনও তাহাজ্জুদ ফরয ছিলো। অথচ আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কত নির্যাতন কত ব্যাস্ততার ভিতরেও তাহাজ্জুদ পড়তেন।তাহাজ্জুদ নামাযের ভিতর কি এমন গুঢ় রহস্য যে,তাহাজ্জুদের নামায পড়া কঠিন হওয়ার পরেও আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পড়তেন।আল্লাহ তা আলা জানেন দ্বীনের দাওয়াত দিতে গেলে হাজারো ব্যস্ততা ও নির্যাতনে পড়তে হবে।তবুও কেন অন্য নামায ফরয না করে আগে তাহাজ্জুদ নামায ফরয করেছেন।
কারন তাওহিদের দাওয়াত দেওয়ার সাথে ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজ করার সাথে তাহাজ্জুদের এক বিরাট সম্পর্ক রয়েছে।যেটা আমাদের অজানা।আল্লাহই ভালো জানেন।
কিন্ত আজ আমরা অনেকে তাহাজ্জুদ পড়ি না এবংআমরা আজ আল্লাহর কাছেও চাই না।অথচ আমাদের চাওয়ার দরকার খুব বেশী কারন আমরা ফেতনার সময় বসবাস করতেছি।আমাদের যদি একটু এদিক সেদিক হয়ে যায়। তাহলে আমাদের দ্বারা দ্বীনের যতটুকু কাজ হয়েছে তার চাইতে অনেক বেশী ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
হাজার হাজার গোয়েন্দা মিলে কত চেষ্টা করে একটা তথ্য বের করার জন্য। অথচ আমাদের কাছে কত তথ্য থাকে।আমাদের উপরস্ত অধীনস্ত কত ভাইয়ের লিংক থাকে।অনেকে আবেগে জেলে যাওয়া ও নির্যাতন সহ্য করার খুব আশা পোষন করেন।অথচ এটা চিন্তা করেন না তিনি জেলে গেলে বা নির্যাতন সহ্য করলে দ্বীনের উপর কতটা অটল থাকতে পারবেন!
কত মানুষ নির্যাতনের কারনে কত তথ্য বলে দিছে।তাই নিজের নিরাপত্তা ও ইমানের উপর অটল থাকার জন্য গভীর রাতে বেশী বেশী দোয়া করা প্রয়োজন।
আল্লাহর কাছে বেশী নেক কাজের তাওফিক চাইতে থাকুন।আপনি যখন নিরাপত্তার জন্য দোয়া করবেন তখন জেল জুলুম আসলেও ইনশাআল্লাহ আল্লাহ দ্বীনের উপর অটল রাখবেন।আমরা আল্লাহর নিকট কতটুকু চাই? হযরত সুলাইমান আঃ তো এমন রাজত্ব চেয়েছেন। যে রাজত্ব ওনার পর আর কেউ পাবে না।আল্লাহ কি ওনার দোয়া কবুল করেন নি? আল্লাহর কাছে অভাব নেই কোন কিছুর।কিন্তু আমাদের চাওয়ার অভাব।আমরা চাইতে অনেক সময় ভয় পাই।চাওয়ার আগেই ভাবি আমার দ্বারা কি আসলেই এত বড় কাজ হবে? আমি এত বড় কাজের যোগ্য?অথচ এটা ভাবি না যে,আমাদের কে আল্লাহ যোগ্যতা সম্পন্ন বানাবেন।তিনি চাইলে আমাদের মত অধমকে দিয়েও অনেক কাজ করাতে পারেন। তিনি না চাইলে কেউ অনুকূল পরিবেশেও বড় আলিম বা বড় মুজাহিদ হতে পারে না।আর তিনি চাইলে হাজারো প্রতিকুল অবস্থায় বড় আলেম বা বড় মুজাহিদ বানাতে পারেন।তিনি আমাদেরকে তার কাছে চাওয়ার অনেক সুযোগ দিয়ে রেখেছেন।মাক্কী যুগে কেউ ইসলাম গ্রহন করলেই তাকে প্রচুর নির্যাতন করা হতো।অথচ আমরা অনেকেই ইসলামের জন্য তেমন কোন প্রতিকুল পরিবেশের মুখামুখি হতে হয় নি।নির্যাতন সহ্য করতে হয় নি।আল্লাহ আমাদের নিরাপত্তার সাথে রেখেছেন।আমাদের উচিত এ সুযোগ হাতছাড়া না করা।সবসময় ভবিষ্যতের নিরাপত্তার জন্য তাহাজ্জুদ পড়ে দোয়া করা এবং নির্যাতিত মুসলিমদের নিরাপত্তার জন্য আমরা যেন কিছু করতে পারি সে তাওফিক চাওয়া।আল্লাহ চাহেনতো ভবিষ্যতে যত খারাপ পরিবেশই হোক না কেন আল্লাহ আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন।ইনশাআল্লাহ
Comment