প্রকৃত নেয়ামতকে আমরা আযাব মনে করি
প্রিয় যুবক ভাই!
এ জগতে ইমানের চেয়ে বড় নিয়ামত আর কিছুই নেই। ইসলামের চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ধর্ম আর একটাও নেই। জিহাদ ও শাহাদাতের মত ফজিলত অন্য কোন বিধানে নেই। রাষ্ট্রীয় খিলাফাহ ব্যতিত অন্য কোথাও শান্তির পয়গাম নেই।
যাকে আমরা আজ আযাব বলে দূরে সরিয়ে দিচ্ছি। অশান্তির কারণ বলে বলে মুখে বুলি আওরাচ্ছি। দুঃখের উৎস বলে কারণে অকারণে দোষারোপ করছি। সুখের একটু স্বার্থ না থাকায় জঙ্গি বলে ট্যাগ লাগাচ্ছি। তাগুতের সামান্য একটু আপ্যায়নে মুজাহিদ ভাইদের সাথে গাদ্দারি করছি।
এ অপরাধের দায় বয়ে বেড়াতে পারবে তো? এ কুটিলতার চাপ সহ্য করতে পারবে তো ? অযাচিত এ আচরণের মাশুল কি তুমি ও তোমার পরিবার তুমিও তোমার সহপাঠীরা দিতে পারবে তো? জনম জনম ধরে।
তাহলে কিসের লোভে এমন নেশাগ্রস্ত হয়ে আছো?
মাতালের মত প্রলাপ বকছো? যা শুনলে নিজেই লজ্জিত হবে। যা বললে নিজের গায়েই কলঙ্কের দাগ লাগবে? প্রকারান্তরে নিজেকেই ক্ষণে ক্ষণে ক্ষতবিক্ষত করা হচ্ছে।
যুবক ভাই! তোমাদের বাকা আঙ্গুলের তীঁর আর কতদিন ভাইদেরকে ব্যথিত করবে? তোমাদের অনাকাঙ্ক্ষিত চোখ রাঙানি আর কতকাল ভাইদেরকে চাপাকান্নায় জড়িয়ে রাখবে?
জেনে রাখো! ভালো করে জেনে রাখো!
আল্লাহ ছাড় দেন ছেড়ে দেন না। আল্লাহ সুযোগ দেন অতি সুযোগ দেন না। এটা আমার তোমার হৃদয়ে ভালো করেই বদ্ধমূল আছে। মাথার দুপাশের মোটা টানা দুটি রগ চিনচিন করে সংকেত দেয়-যুবক ভাই! রবের নাফরমানি করে বেশি দূর যেয়ো না। অবাধ্যতার জাহাজ দ্রুতই তীরে নোঙর করো। না হয় তোমার এ নাফরমানির অতি ক্ষুদ্র জাহাজটি লানতের ফেনায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে। তখন তোমার অস্তিত্ব বলতে কোনকিছু খোঁজে পাবে না।
অথচ অস্তিত্বের মান রক্ষার জন্যই পৃথিবীতে তোমার এ আগমন। অস্তিত্বের ভিত্তি মজবুতির জন্যই ধরায় তোমার এ জাগরণ। অস্তিত্বের স্থায়ী ঠিকানা অর্জনের জন্যই দুনিয়াতে তোমার জন্য এত আয়োজন। রবের পরিচয় নিয়ে ধন্য হবার জন্যই জমিনে তোমার জন্য এত আলোড়ন।
আল্লাহ বলেন-যুদ্ধ জিহাদ হলো সবচেয়ে বড় ইবাদাত। আমরা বলি এগুলো হলো সবচেয়ে বড় আযাব। আল্লাহ বলেন- শাহাদাত হলো সবচেয়ে ফজিলতময় নেয়ামত। আমরা বলি ইলম তলব করা হলো সবচেয়ে বরকতময় ইবাদত ।
তিনি বলেন-তোমরা অস্ত্রধারণ করো। আমরা বলি তাসবীহ হাতে চলো। তিনি বলেন-তোমরা নিরাপত্তা নাও আমরা বলি তাগুতের কাছে নিজেকে সপে দাও। তিনি বলেন-আমি কিতালকারীদের ভালোবাসি তোমরাও ভালোবাসো। আমরা বলি তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করো। তাদেরকে ধরিয়ে দাও।
অবাধ্যতার ধরণগুলো দেখলে তো? নিয়মিত রবের সাথে যুদ্ধ করার মতই। নাফরমানির তো একটা সীমা থাকে! বিরুদ্ধাচারণের তো একটা মাত্রা থাকে। এরপরও যে তিনি আমাদের নাস্তানাবুদ করে দিচ্ছেন না কারণটা কি?
কারণ তিনি উম্মাতে মুহাম্মাদীকে প্রচন্ড ভালোবাসেন। তাদের রাগঢাককে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। তাদের বড় বড় ভুলকে বড় বড় পুরষ্কারে পরিবর্তন করে দেন। তাই বলে কি উপরোল্লিখিত ভুলগুলো করলেও ভালোবাসবেন, ক্ষমা করবেন, বড় বড় পুরষ্কার দিবেন?
হাদিসে এসেছে-যে ব্যক্তি জীবনে জিহাদ করলো না। জিহাদ করার আকাঙ্খাও তার মনে জাগ্রত হলো না এমতবস্থায় তার মৃত্যু হলো সে যেন মুনাফিক হয়ে মারা গেলো।
কমান্ডার ইউসুফ বিন তাশফীনের উক্তিটি কেন জানি আজ বেশি বেশি মনে পড়ছে। তিনি বলেন-আল্লাহ উদাসীন ও গাফেল ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিতে পারেন কিন্তু শরীয়ার কোন বিধান বিরুদ্ধাচারণ ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন কিনা আমি জানি না! তবে নিরানব্বইটি হত্যা করেও একজন ক্ষমা পেয়েছে কিন্তু শয়তান একটি বিধানের বিরুদ্ধাচারণ করে কাফের হয়েছে।
প্রিয় যুবক ভাই!
মুমিনবান্দার জীবনে মনগড়া সংযোজন ও বিয়োজন বলে কিছু নেই। যেটা আছে সেটা আগেও ছিলো বর্তমানেও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। মুহাম্মাদের শরীয়াহ। পরিপূর্ণ শরীয়াহ অপরিবর্তনশীল শরীয়াহ। রুচিসম্মত শরীয়াহ।
যার ভিতরের মত পদ রদ সবই রবের পক্ষ থেকে স্বীকৃত। যার সংস্কারক প্রিয় হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। যার অঙ্গসঁজ্জা করেছেন নবীয়ে মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কলিজার সাথি সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু আনহুম। এদের হাতে বাঁধাই করা দ্বীনই হলো আমার তোমার বিধানাবলী। এদের কর্মে যাঁচাই করা ধর্মই হলো আমার তোমার উত্তম হিতাকাঙ্ক্ষী।
জিহাদকে আযাব মনে করা এটা তো অজুহাত মাত্র। কেন আমাদের পূর্ববর্তী একদল লোক বলেনি-হে রব! কেন আমাদের উপর এত তাড়াতাড়ি কিতালকে ফরয করলে? কেন আর কিছুদিন সময় দিলে না? তারা যেমন এ অজুহাত দেখিয়ে পার পায়নি আমরাও পার পাবো না। তারা যেমন ছলসাতুরি করে মুক্তি পায়নি আমরাও মুক্তি পাবোনা।
প্রিয় যুবক ভাই!
রবের ধরা খুবই কঠিন। অভিশাপপ্রাপ্ত-ধ্বংসপ্রাপ্ত ছয়টি জাতির হাতল কেমন হয়েছিলো! পৃথিবীর মানুষ ভুলতে পারবে! এ ঘটনা কি কারো কাছে অজানা হয়ে থাকবে! তাদের ভুলগুলো যদি আমাদের দ্বারা ঘটে আল্লাহ ছাড় দিবেন না সপ্তম জাতিতে পরিণত করবেন!
আজ তোমার কাছে এ প্রশ্নগুলো রেখে এখানেই ক্ষ্যান্ত হলাম। উত্তরগুলো না শুনে কিন্তু আর মোযাকারা করবো না। ওয়াদা দাও আমার সাথে।
আমিও উত্তরগুলো খোঁজি তুমিও খোঁজ। পেয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।
যুবক ভাই! তোমার জন্য হৃদয়ের গহীন থেকে দুআ করি। মাবুদ! আমার এ যুবক ভাইদেরকে তুমি কিতালের জন্য কবুল করে নাও। তাদের মানসিক শক্তিতে ওয়াছা করে দাও। তাদের শারিরীক শক্তিকে কামাল করে দাও এবং শাহাদাতের জন্য তাদের বক্ষকে শরাহ করে দাও। আমিন! আমিন! রাব্বাল আলামিন।
প্রিয় যুবক ভাই!
এ জগতে ইমানের চেয়ে বড় নিয়ামত আর কিছুই নেই। ইসলামের চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ধর্ম আর একটাও নেই। জিহাদ ও শাহাদাতের মত ফজিলত অন্য কোন বিধানে নেই। রাষ্ট্রীয় খিলাফাহ ব্যতিত অন্য কোথাও শান্তির পয়গাম নেই।
যাকে আমরা আজ আযাব বলে দূরে সরিয়ে দিচ্ছি। অশান্তির কারণ বলে বলে মুখে বুলি আওরাচ্ছি। দুঃখের উৎস বলে কারণে অকারণে দোষারোপ করছি। সুখের একটু স্বার্থ না থাকায় জঙ্গি বলে ট্যাগ লাগাচ্ছি। তাগুতের সামান্য একটু আপ্যায়নে মুজাহিদ ভাইদের সাথে গাদ্দারি করছি।
এ অপরাধের দায় বয়ে বেড়াতে পারবে তো? এ কুটিলতার চাপ সহ্য করতে পারবে তো ? অযাচিত এ আচরণের মাশুল কি তুমি ও তোমার পরিবার তুমিও তোমার সহপাঠীরা দিতে পারবে তো? জনম জনম ধরে।
তাহলে কিসের লোভে এমন নেশাগ্রস্ত হয়ে আছো?
মাতালের মত প্রলাপ বকছো? যা শুনলে নিজেই লজ্জিত হবে। যা বললে নিজের গায়েই কলঙ্কের দাগ লাগবে? প্রকারান্তরে নিজেকেই ক্ষণে ক্ষণে ক্ষতবিক্ষত করা হচ্ছে।
যুবক ভাই! তোমাদের বাকা আঙ্গুলের তীঁর আর কতদিন ভাইদেরকে ব্যথিত করবে? তোমাদের অনাকাঙ্ক্ষিত চোখ রাঙানি আর কতকাল ভাইদেরকে চাপাকান্নায় জড়িয়ে রাখবে?
জেনে রাখো! ভালো করে জেনে রাখো!
আল্লাহ ছাড় দেন ছেড়ে দেন না। আল্লাহ সুযোগ দেন অতি সুযোগ দেন না। এটা আমার তোমার হৃদয়ে ভালো করেই বদ্ধমূল আছে। মাথার দুপাশের মোটা টানা দুটি রগ চিনচিন করে সংকেত দেয়-যুবক ভাই! রবের নাফরমানি করে বেশি দূর যেয়ো না। অবাধ্যতার জাহাজ দ্রুতই তীরে নোঙর করো। না হয় তোমার এ নাফরমানির অতি ক্ষুদ্র জাহাজটি লানতের ফেনায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে। তখন তোমার অস্তিত্ব বলতে কোনকিছু খোঁজে পাবে না।
অথচ অস্তিত্বের মান রক্ষার জন্যই পৃথিবীতে তোমার এ আগমন। অস্তিত্বের ভিত্তি মজবুতির জন্যই ধরায় তোমার এ জাগরণ। অস্তিত্বের স্থায়ী ঠিকানা অর্জনের জন্যই দুনিয়াতে তোমার জন্য এত আয়োজন। রবের পরিচয় নিয়ে ধন্য হবার জন্যই জমিনে তোমার জন্য এত আলোড়ন।
আল্লাহ বলেন-যুদ্ধ জিহাদ হলো সবচেয়ে বড় ইবাদাত। আমরা বলি এগুলো হলো সবচেয়ে বড় আযাব। আল্লাহ বলেন- শাহাদাত হলো সবচেয়ে ফজিলতময় নেয়ামত। আমরা বলি ইলম তলব করা হলো সবচেয়ে বরকতময় ইবাদত ।
তিনি বলেন-তোমরা অস্ত্রধারণ করো। আমরা বলি তাসবীহ হাতে চলো। তিনি বলেন-তোমরা নিরাপত্তা নাও আমরা বলি তাগুতের কাছে নিজেকে সপে দাও। তিনি বলেন-আমি কিতালকারীদের ভালোবাসি তোমরাও ভালোবাসো। আমরা বলি তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করো। তাদেরকে ধরিয়ে দাও।
অবাধ্যতার ধরণগুলো দেখলে তো? নিয়মিত রবের সাথে যুদ্ধ করার মতই। নাফরমানির তো একটা সীমা থাকে! বিরুদ্ধাচারণের তো একটা মাত্রা থাকে। এরপরও যে তিনি আমাদের নাস্তানাবুদ করে দিচ্ছেন না কারণটা কি?
কারণ তিনি উম্মাতে মুহাম্মাদীকে প্রচন্ড ভালোবাসেন। তাদের রাগঢাককে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। তাদের বড় বড় ভুলকে বড় বড় পুরষ্কারে পরিবর্তন করে দেন। তাই বলে কি উপরোল্লিখিত ভুলগুলো করলেও ভালোবাসবেন, ক্ষমা করবেন, বড় বড় পুরষ্কার দিবেন?
হাদিসে এসেছে-যে ব্যক্তি জীবনে জিহাদ করলো না। জিহাদ করার আকাঙ্খাও তার মনে জাগ্রত হলো না এমতবস্থায় তার মৃত্যু হলো সে যেন মুনাফিক হয়ে মারা গেলো।
কমান্ডার ইউসুফ বিন তাশফীনের উক্তিটি কেন জানি আজ বেশি বেশি মনে পড়ছে। তিনি বলেন-আল্লাহ উদাসীন ও গাফেল ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিতে পারেন কিন্তু শরীয়ার কোন বিধান বিরুদ্ধাচারণ ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন কিনা আমি জানি না! তবে নিরানব্বইটি হত্যা করেও একজন ক্ষমা পেয়েছে কিন্তু শয়তান একটি বিধানের বিরুদ্ধাচারণ করে কাফের হয়েছে।
প্রিয় যুবক ভাই!
মুমিনবান্দার জীবনে মনগড়া সংযোজন ও বিয়োজন বলে কিছু নেই। যেটা আছে সেটা আগেও ছিলো বর্তমানেও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। মুহাম্মাদের শরীয়াহ। পরিপূর্ণ শরীয়াহ অপরিবর্তনশীল শরীয়াহ। রুচিসম্মত শরীয়াহ।
যার ভিতরের মত পদ রদ সবই রবের পক্ষ থেকে স্বীকৃত। যার সংস্কারক প্রিয় হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। যার অঙ্গসঁজ্জা করেছেন নবীয়ে মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কলিজার সাথি সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু আনহুম। এদের হাতে বাঁধাই করা দ্বীনই হলো আমার তোমার বিধানাবলী। এদের কর্মে যাঁচাই করা ধর্মই হলো আমার তোমার উত্তম হিতাকাঙ্ক্ষী।
জিহাদকে আযাব মনে করা এটা তো অজুহাত মাত্র। কেন আমাদের পূর্ববর্তী একদল লোক বলেনি-হে রব! কেন আমাদের উপর এত তাড়াতাড়ি কিতালকে ফরয করলে? কেন আর কিছুদিন সময় দিলে না? তারা যেমন এ অজুহাত দেখিয়ে পার পায়নি আমরাও পার পাবো না। তারা যেমন ছলসাতুরি করে মুক্তি পায়নি আমরাও মুক্তি পাবোনা।
প্রিয় যুবক ভাই!
রবের ধরা খুবই কঠিন। অভিশাপপ্রাপ্ত-ধ্বংসপ্রাপ্ত ছয়টি জাতির হাতল কেমন হয়েছিলো! পৃথিবীর মানুষ ভুলতে পারবে! এ ঘটনা কি কারো কাছে অজানা হয়ে থাকবে! তাদের ভুলগুলো যদি আমাদের দ্বারা ঘটে আল্লাহ ছাড় দিবেন না সপ্তম জাতিতে পরিণত করবেন!
আজ তোমার কাছে এ প্রশ্নগুলো রেখে এখানেই ক্ষ্যান্ত হলাম। উত্তরগুলো না শুনে কিন্তু আর মোযাকারা করবো না। ওয়াদা দাও আমার সাথে।
আমিও উত্তরগুলো খোঁজি তুমিও খোঁজ। পেয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।
যুবক ভাই! তোমার জন্য হৃদয়ের গহীন থেকে দুআ করি। মাবুদ! আমার এ যুবক ভাইদেরকে তুমি কিতালের জন্য কবুল করে নাও। তাদের মানসিক শক্তিতে ওয়াছা করে দাও। তাদের শারিরীক শক্তিকে কামাল করে দাও এবং শাহাদাতের জন্য তাদের বক্ষকে শরাহ করে দাও। আমিন! আমিন! রাব্বাল আলামিন।
Comment