কুরআনের পরশে-০১
(উৎসর্গঃ দ্বীনের পথে লড়াইরত মুজাহিদ ভাইদের প্রতি)
(উৎসর্গঃ দ্বীনের পথে লড়াইরত মুজাহিদ ভাইদের প্রতি)
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِِ
إِنَّ الْحَمْدَ لِلّٰهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ، وَنَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنْ شُرُوْرِ أنْفُسِنَا وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا، مَنْ يَّهْدِهِ اللّٰهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ، وَمَنْ يُّضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ، وَنَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ، وَنَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُه . أمابعد
মহান রব্বুল আলামিন আমাদেরকে এমন এক দায়িত্ব ও কর্তব্য প্রদান করেছেন যার দ্বারা রবের সাথে কৃত ওয়াদাকে আমরা সত্যে পরিণত করতে পারি। তবে এই সত্যে পরিণত করার পথে আমাদের পথকে রোধ করতে ছুটে আসে ধোঁকা ও তাগুতের হাজারো বুলেট-বোমা-মর্টারশেল। আমাদের পথকে রোধ করে দেয় মনের একটি পা কে উড়িয়ে দিয়ে, কখনো বা মনের হাতকেও উড়িয়ে দেয় এমন ভাবে যে, সে হাত দিয়ে ভালো করে আর ক্লাসিনকভটি তুলে ধরা সম্ভব হয় না। এভাবেই হার মানতে হয় আমাদেরকে নফসের সামনে। কেননা অন্তরের নফস বাতিলের বিরুদ্ধে হাতিয়ার তুলতে অপরাগ! আজ আমাদের দরকার এমন এক হাতিয়ার যা দিয়ে এই বাতিলকে প্রথমে অন্তর দিয়ে পরে শরীর দিয়ে প্রতিহত করা যায়।
কুরআনুল কারীম ঠিক তেমনি একটি হাতিয়ার। কুরআনুল কারীম দ্বারা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বাড়িয়ে যখন কোনো নফস যোদ্ধা যুদ্ধের ময়দায়ে যান, ঠিক তখন তার মন জান্নাতের সুবাশ খূঁজতে থাকে আর তার শরীর ঘোড়ার লাগাম ছেড়ে দেয় যেন সে ছুটে যেতে পারে জান্নাতের ওই নীলিমায়র মাঝে। কেমন হবে সেই তিলাওয়াতের মাধুর্য? যে তিলাওয়াত রব ও রাসূলুল্লাহ সা কে খুশি করে। কেমন সেই তিলাওয়াত? কেমন।
১। তিলাওয়াতকে যিন্দা তিলাওয়াতে রূপান্তরঃ
তিলাওয়াত দ্বারা শুধু পাঠ করে যাওয়া উদ্দেশ্য নয়। দরকার বুঝে বুঝে তিলাওয়াত করা। অনুধাবন করা। বাস্তবায়ন করা।
২। তাদাব্বুর ও তাফাক্কুর সহকারে পড়াঃ
তিলাওয়াত করতে হবে তিলাওয়াতের তাদাব্বুর বজায় রেখে। চিন্তাভাবনার সাথে।
৩। আল্লাহর কথায় প্রভাবিত হয়ে উপদেশ গ্রহণ করাঃ
আল্লাহ রব্বুল আলামীন রাসূল সা. এর উপর এমন একটি কিতাব নাজিল করেছেন, যার পরতে পরেতে রয়েছে উপদেশ। এটি মান্য করা ও জনজীবনের সমস্যাগুলো এরই অনুগামী করা।
চলবে...
Comment