উম্মাহ ভাবাপন্ন ব্যক্তিদের চরিত্র এমনই হয়
প্রিয় ভাই!
আজকে এমন একজন ব্যক্তির চরিত্র নিয়ে কিছু কথা বলার ইচ্ছা করেছি যার শৈশব, কৈশোর ভিন্নগ্রহে কাটায়নি বরং রঙ্গলীলা নীল তামাশার এ দুনিয়ার মূল কেন্দ্রতে কাটিয়েছেন। কই না তো তিনি দুনিয়ার মরিচীকায় ডুবে জাননি! ধোঁকার লাল নীল হলুদ রঙ গায়ে লাগাননি! ছলনার পাত্র ধরণের ছোঁয়া তাঁকে কাত করাতে পারেনি! আকাশের ফেকাসে মেঘমালা তাঁর চোখে বিন্দু পরিমাণ ঝাপসা পড়াতে পারেনি!
দুনিয়াবী ঝঞ্ঝাবায়ু তাদের বিপদে ফেলে নাফরমান বানাতে পারেনি। শারিরীক ক্লান্তি তাদের দুর্বল করে মালিককে ভুলাতে পারেনি। মানুষের কটুকথা তাদের মানসিক রোগে ফেলে ভোগাতে পারেনি। স্রষ্টার ভূমিতে বসবাস করে স্রষ্টার অবাধ্য হতে মন তাদের সায় দেয়নি। তাঁদের মাঝে অন্যতম একজন হলেন মূসা বিন নুসাইর।
ঐতিহাসিক ইবনে হাইয়ান আন্দালুসি তাঁর [১] গুণ-বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করতে গিয়ে বলেছেন-তিনি ছিলেন পরম সহিষ্ণু, সুপণ্ডিত, প্রদীপ্ত চিন্তা শক্তির অধিকারী, স্থির সংকল্প বিশিষ্ট, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তরিত্ব উদ্যোগী, অভিরাম কর্মতৎপরতার অধিকারী, তিনি আরাম আয়েশ বা ভোগ বিলাসে মত্ত হতেন না। বিলাসিতায় প্রশান্তি খুঁজে পেতেন না। দায়-দায়িত্ব অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতেন না। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিজের মত অপরের উপর নির্ভর করতেন না।
তিনি ছিলেন একাধারে রণাঙ্গনের দুঃসাহসী রণসেনানী। চিন্তা-নিমগ্ন এক বীর-সাহসী। বন্ধু-শত্রু নির্বিশেষে সবাই সবার অন্তরে বিরাজমান ছিলো তাঁর প্রতি শ্রদ্ধামিশ্রিত প্রভাব-ভীতি। সাধারণ সৈন্যেদের কারো অসুস্থতার সংবাদ পেলে তাকে দেখতে চলে যেতেন। কেউ ইন্তেকাল করলে তার জানাজায় শরিক হতেন। তার কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করতেন।
মূসা বিন নুসাইর এমন সমুন্নত ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন যে, তার ব্যক্তিত্বের বিশালতার সামনে দৃষ্টি অবনত হয়ে যায়। ব্যক্তিত্বের বিশালতা নির্ণয়ে বোধশক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়। মেধার পরিপক্কতা ও জ্ঞানের প্রসারতা সত্ত্বেও তিনি কোন বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত নিতেন না বরং পরামর্শের মাধ্যমে কাজ করতেন।
প্রতাপের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন কোমলহৃদয় এবং সংবেদনশীল অনুভূতিসম্পন্ন একজন ভাবুক ব্যক্তি। কাছের-দূরের সবার অন্তরে তাঁর ভয় বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও তিনি সকলের সঙ্গে সহজ-সরল আচরণ করতেন। আন্তরিকভাবে মিশতেন। গরিব দুঃখীদের খোঁজখবর নিতেন। দেখতে যেতেন। স্বভাব সতর্কতা, আস্থার স্বল্পতা সত্ত্বেও তিনি নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া জনগণের সঙ্গে ওঠাবসা মেলামেশা করতেন।
কিন্তু জনগণের সঙ্গে তার এভাবে মেলামেশায় তাঁর নিকটজনরা আপত্তি করতো- এভাবে নিরাপত্তা প্রহরী ছাড়া জনসমাগমের মাঝে উপস্থিত না হতে। পরামর্শ দিত মানুষ যেন তাঁর সঙ্গে অবাধ মেলামেশার সুযোগ না পায়। তাঁর সাথে রুঢ় আচরণের সম্মুখীন যেন না হয়। বিধিনিষেধের সীমারেখা যেন কেউ ক্রস না করে।
আমরা তাঁর ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আরো সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবো যখন জনগণের সঙ্গে তাঁর আচরণ সম্পর্কে জানতে পারবো।
একবার জনৈক ব্যক্তি সবার উস্থিতিতে তাঁর কাছে নিজের কোন অভাবের কথা উপস্থাপন করলো। তিনি প্রথমে লোকটির প্রয়োজন পুরা করলেন। তারপর তাকে বললেন কোন বিপদে পড়লে বা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে প্রথমে তোমার আমার সকলের মালিক আল্লাহ তাআলার কাছে ইখলাস ও একনিষ্ঠতার সাথে নিজের হাজতের কথা উল্লেখ করে দুআ করবে। এরপর চিরকুটে লিখে আমাদেরকে একান্ত গোপনে জানাবে। যেন আমরা তোমার প্রয়োজন পুরা করতে পারি। উপস্থিত সকলেই তাঁর এ ধরণের কথায় মুগ্ধ হয়ে গেলেন।
শাহাদাত প্রিয় যুবকদের তিনি বেশ মহব্বত করতেন। নিজ কামরায় তাদের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতেন। তিনি সবসময় একথা বলে বেড়াতেন- দুনিয়ার বুকে কেউ যদি জান্নাতী মানুষ দেখতে চায় তারা যেন সকল শুহাদাদের দিকে তাঁকায়। আর যদি কেউ মর্যাদার অধিকারী হতে চায় তারা যেন তাদের পরিবারের দেখবাল করে। তারা আল্লাহর মেহমান। রাসূলের প্রিয় ব্যক্তি। তিনি কাল হাশরে সকল শুহাদাদের পুরষ্কৃত করবেন উহুদ বদরের শুহাদাদের সাথে। [২]
আফসোস! আমি যদি তাদের একজন হতাম। কতই না ভালো হতো! যুবক ভাই এমন আশা কি তোমার নমর দিলটাতে একটিবারের জন্যও জাগে না! সামান্য সময়ের জন্যও কি তোমার হৃদয়ের আকাশে এ অনূভুতির চাঁদ উদিত হয় না!
শাইখ মুহাম্মাদ আল আরিফীর বই পড়তে গিয়ে জানা হলো- সঠিক পরিবর্তন হলো জীবনের ধর্ম। সফল বিপ্লবের রুপরেখা। রবের সৃষ্টিকে জয় করার এক জ্যামিতি খেলা। সুতরাং মানবীয় জীবনে যদি সঠিক পরিবর্তন নাই আসে তাহলে বুঝা যাবে দুনিয়াতে জন্তু জানোয়ার আর ঐ মানুষের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। তবে পরকালে জন্তু জানোয়ার হিসাব নিকাশের ভয়াবহ থেকে একেবারে নিরঙ্কুশ থাকবে কিন্তু মানুষ তাঁর সাথে ওঁৎপুতভাবে জড়িত থাকবে। কেউ কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তির সম্মুখীন হবে আবার কেউ পুরষ্কারের মিনারায় ভাসতে থাকবে। [৩]
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন-
বোকা,লোভী,নির্বোধ সেই লোক যে নিজেকে সারাদিন আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজে ব্যস্ত রাখে আর দিনশেষে আল্লাহর কাছে নিজের পছন্দের জিনিস চেয়ে দুয়া করে। [৪]
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ বলেন-তুমি যদি তোমার পছন্দনীয় জিনিস পেতে চাও তাহলে নিজেকে আল্লাহর পছন্দনীয় বিষয়ের তরে সপে দাও। দেখবে তুমি তোমার কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি পেয়ে যাবে। [৫]
প্রিয় ভাই আমার!
জীবনের জড়তার জোয়ার ছেড়ে নতুন দিগন্তে একবার এসে দেখ্যো। শুধু একবার নিজেকে ঝালিয়ে দেখ্যো। মোহ আর মায়ার বাঁধন একবার ছিন্ন করে দেখ্যো তখন তুমি দেখতে পাবে আদিগন্ত অনন্তের পথ। চোখ আবিষ্কার করবে নতুন ভোরের সোনারঙা রোদ। হতোদ্যম আর হঠকারিতার বলয় ভেঙে ফিরে পাবে জীবনের নতুন এক অনুচ্ছেদ।
জাগরণের এই জাগ্রত জোয়ারে এবার কিছু ভিন্ন হোক। তোমার মনে কি এমন চাহদ জেগে উঠে না? তোমার দিলে কি এমন খায়েশাত পূরণের আশা উঁকি দেয় না? তাহলে চলো-তাঁদের পথেই আমরা হাঁটি। তাঁদের মতেই আমরা চলি। তাঁদের আনুগত্যের বারিধারা নিজের তন্ত্রে ঝারি করি।
তাঁদের দাওয়াতের স্রোতধারা সর্বাগ্রে তুলে ধরি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের রক্ষা করুন। উত্তম কিছুর ফায়সালা করুন। নাজাতের দরজা প্রসারিত করে দিন। হিসাব নিকাশের পথ সহজ করে দিন। কল্যাণের সাথে মঙ্গলের পিছনে দৌঁড়ানোর সুযোগ করে দিন।
তথ্যাদি:________________________.
১.আন্দালুসের ইতিহাস
২.শাহাদাত প্রেয়সী মুসাফির
৩.ইতিকথা-গল্পের সারাংশ।
৪.সীরাতুন নাব্যিয়ীন লিল-আতফাল।
৫.সীরাতুন নাব্যিয়ীন লিল-আতফাল।
প্রিয় ভাই!
আজকে এমন একজন ব্যক্তির চরিত্র নিয়ে কিছু কথা বলার ইচ্ছা করেছি যার শৈশব, কৈশোর ভিন্নগ্রহে কাটায়নি বরং রঙ্গলীলা নীল তামাশার এ দুনিয়ার মূল কেন্দ্রতে কাটিয়েছেন। কই না তো তিনি দুনিয়ার মরিচীকায় ডুবে জাননি! ধোঁকার লাল নীল হলুদ রঙ গায়ে লাগাননি! ছলনার পাত্র ধরণের ছোঁয়া তাঁকে কাত করাতে পারেনি! আকাশের ফেকাসে মেঘমালা তাঁর চোখে বিন্দু পরিমাণ ঝাপসা পড়াতে পারেনি!
দুনিয়াবী ঝঞ্ঝাবায়ু তাদের বিপদে ফেলে নাফরমান বানাতে পারেনি। শারিরীক ক্লান্তি তাদের দুর্বল করে মালিককে ভুলাতে পারেনি। মানুষের কটুকথা তাদের মানসিক রোগে ফেলে ভোগাতে পারেনি। স্রষ্টার ভূমিতে বসবাস করে স্রষ্টার অবাধ্য হতে মন তাদের সায় দেয়নি। তাঁদের মাঝে অন্যতম একজন হলেন মূসা বিন নুসাইর।
ঐতিহাসিক ইবনে হাইয়ান আন্দালুসি তাঁর [১] গুণ-বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করতে গিয়ে বলেছেন-তিনি ছিলেন পরম সহিষ্ণু, সুপণ্ডিত, প্রদীপ্ত চিন্তা শক্তির অধিকারী, স্থির সংকল্প বিশিষ্ট, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তরিত্ব উদ্যোগী, অভিরাম কর্মতৎপরতার অধিকারী, তিনি আরাম আয়েশ বা ভোগ বিলাসে মত্ত হতেন না। বিলাসিতায় প্রশান্তি খুঁজে পেতেন না। দায়-দায়িত্ব অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতেন না। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিজের মত অপরের উপর নির্ভর করতেন না।
তিনি ছিলেন একাধারে রণাঙ্গনের দুঃসাহসী রণসেনানী। চিন্তা-নিমগ্ন এক বীর-সাহসী। বন্ধু-শত্রু নির্বিশেষে সবাই সবার অন্তরে বিরাজমান ছিলো তাঁর প্রতি শ্রদ্ধামিশ্রিত প্রভাব-ভীতি। সাধারণ সৈন্যেদের কারো অসুস্থতার সংবাদ পেলে তাকে দেখতে চলে যেতেন। কেউ ইন্তেকাল করলে তার জানাজায় শরিক হতেন। তার কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করতেন।
মূসা বিন নুসাইর এমন সমুন্নত ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন যে, তার ব্যক্তিত্বের বিশালতার সামনে দৃষ্টি অবনত হয়ে যায়। ব্যক্তিত্বের বিশালতা নির্ণয়ে বোধশক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়। মেধার পরিপক্কতা ও জ্ঞানের প্রসারতা সত্ত্বেও তিনি কোন বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত নিতেন না বরং পরামর্শের মাধ্যমে কাজ করতেন।
প্রতাপের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন কোমলহৃদয় এবং সংবেদনশীল অনুভূতিসম্পন্ন একজন ভাবুক ব্যক্তি। কাছের-দূরের সবার অন্তরে তাঁর ভয় বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও তিনি সকলের সঙ্গে সহজ-সরল আচরণ করতেন। আন্তরিকভাবে মিশতেন। গরিব দুঃখীদের খোঁজখবর নিতেন। দেখতে যেতেন। স্বভাব সতর্কতা, আস্থার স্বল্পতা সত্ত্বেও তিনি নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া জনগণের সঙ্গে ওঠাবসা মেলামেশা করতেন।
কিন্তু জনগণের সঙ্গে তার এভাবে মেলামেশায় তাঁর নিকটজনরা আপত্তি করতো- এভাবে নিরাপত্তা প্রহরী ছাড়া জনসমাগমের মাঝে উপস্থিত না হতে। পরামর্শ দিত মানুষ যেন তাঁর সঙ্গে অবাধ মেলামেশার সুযোগ না পায়। তাঁর সাথে রুঢ় আচরণের সম্মুখীন যেন না হয়। বিধিনিষেধের সীমারেখা যেন কেউ ক্রস না করে।
আমরা তাঁর ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আরো সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবো যখন জনগণের সঙ্গে তাঁর আচরণ সম্পর্কে জানতে পারবো।
একবার জনৈক ব্যক্তি সবার উস্থিতিতে তাঁর কাছে নিজের কোন অভাবের কথা উপস্থাপন করলো। তিনি প্রথমে লোকটির প্রয়োজন পুরা করলেন। তারপর তাকে বললেন কোন বিপদে পড়লে বা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে প্রথমে তোমার আমার সকলের মালিক আল্লাহ তাআলার কাছে ইখলাস ও একনিষ্ঠতার সাথে নিজের হাজতের কথা উল্লেখ করে দুআ করবে। এরপর চিরকুটে লিখে আমাদেরকে একান্ত গোপনে জানাবে। যেন আমরা তোমার প্রয়োজন পুরা করতে পারি। উপস্থিত সকলেই তাঁর এ ধরণের কথায় মুগ্ধ হয়ে গেলেন।
শাহাদাত প্রিয় যুবকদের তিনি বেশ মহব্বত করতেন। নিজ কামরায় তাদের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতেন। তিনি সবসময় একথা বলে বেড়াতেন- দুনিয়ার বুকে কেউ যদি জান্নাতী মানুষ দেখতে চায় তারা যেন সকল শুহাদাদের দিকে তাঁকায়। আর যদি কেউ মর্যাদার অধিকারী হতে চায় তারা যেন তাদের পরিবারের দেখবাল করে। তারা আল্লাহর মেহমান। রাসূলের প্রিয় ব্যক্তি। তিনি কাল হাশরে সকল শুহাদাদের পুরষ্কৃত করবেন উহুদ বদরের শুহাদাদের সাথে। [২]
আফসোস! আমি যদি তাদের একজন হতাম। কতই না ভালো হতো! যুবক ভাই এমন আশা কি তোমার নমর দিলটাতে একটিবারের জন্যও জাগে না! সামান্য সময়ের জন্যও কি তোমার হৃদয়ের আকাশে এ অনূভুতির চাঁদ উদিত হয় না!
শাইখ মুহাম্মাদ আল আরিফীর বই পড়তে গিয়ে জানা হলো- সঠিক পরিবর্তন হলো জীবনের ধর্ম। সফল বিপ্লবের রুপরেখা। রবের সৃষ্টিকে জয় করার এক জ্যামিতি খেলা। সুতরাং মানবীয় জীবনে যদি সঠিক পরিবর্তন নাই আসে তাহলে বুঝা যাবে দুনিয়াতে জন্তু জানোয়ার আর ঐ মানুষের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। তবে পরকালে জন্তু জানোয়ার হিসাব নিকাশের ভয়াবহ থেকে একেবারে নিরঙ্কুশ থাকবে কিন্তু মানুষ তাঁর সাথে ওঁৎপুতভাবে জড়িত থাকবে। কেউ কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তির সম্মুখীন হবে আবার কেউ পুরষ্কারের মিনারায় ভাসতে থাকবে। [৩]
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন-
বোকা,লোভী,নির্বোধ সেই লোক যে নিজেকে সারাদিন আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজে ব্যস্ত রাখে আর দিনশেষে আল্লাহর কাছে নিজের পছন্দের জিনিস চেয়ে দুয়া করে। [৪]
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ বলেন-তুমি যদি তোমার পছন্দনীয় জিনিস পেতে চাও তাহলে নিজেকে আল্লাহর পছন্দনীয় বিষয়ের তরে সপে দাও। দেখবে তুমি তোমার কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি পেয়ে যাবে। [৫]
প্রিয় ভাই আমার!
জীবনের জড়তার জোয়ার ছেড়ে নতুন দিগন্তে একবার এসে দেখ্যো। শুধু একবার নিজেকে ঝালিয়ে দেখ্যো। মোহ আর মায়ার বাঁধন একবার ছিন্ন করে দেখ্যো তখন তুমি দেখতে পাবে আদিগন্ত অনন্তের পথ। চোখ আবিষ্কার করবে নতুন ভোরের সোনারঙা রোদ। হতোদ্যম আর হঠকারিতার বলয় ভেঙে ফিরে পাবে জীবনের নতুন এক অনুচ্ছেদ।
জাগরণের এই জাগ্রত জোয়ারে এবার কিছু ভিন্ন হোক। তোমার মনে কি এমন চাহদ জেগে উঠে না? তোমার দিলে কি এমন খায়েশাত পূরণের আশা উঁকি দেয় না? তাহলে চলো-তাঁদের পথেই আমরা হাঁটি। তাঁদের মতেই আমরা চলি। তাঁদের আনুগত্যের বারিধারা নিজের তন্ত্রে ঝারি করি।
তাঁদের দাওয়াতের স্রোতধারা সর্বাগ্রে তুলে ধরি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের রক্ষা করুন। উত্তম কিছুর ফায়সালা করুন। নাজাতের দরজা প্রসারিত করে দিন। হিসাব নিকাশের পথ সহজ করে দিন। কল্যাণের সাথে মঙ্গলের পিছনে দৌঁড়ানোর সুযোগ করে দিন।
তথ্যাদি:________________________.
১.আন্দালুসের ইতিহাস
২.শাহাদাত প্রেয়সী মুসাফির
৩.ইতিকথা-গল্পের সারাংশ।
৪.সীরাতুন নাব্যিয়ীন লিল-আতফাল।
৫.সীরাতুন নাব্যিয়ীন লিল-আতফাল।
Comment