বোন তোমার নারীত্বের আঁচল এত সুন্দর কেন?১ম পর্ব
বোন আমার!
তুমি সবার প্রিয় ভাজন। তুমি সবার আস্তার প্রতীক। তোমার সুষমায় সজীব হয়ে উঠে অবুঝ পুষ্পকলি। তোমার স্পর্শে জ্বলে উঠে তৃভোজ হৃদয়কড়ি। তোমার নেক চাহনিতে বাকা দিল হয়ে উঠে উর্ধধ্বনি। তোমার রাগ-ঢাক অন্তরমহলে গড়ে তুলে গগনসিঁড়ি।
বোন তুমি জানো! তুমি কে? তুমি মহামহিমের আলোস্নাত, স্নিগ্ধ শুভ্র রহমতের ফোয়ারা। তুমি পুতপবিত্র পরম ভাগ্যবতী বিদুষী নারী। খোদার আনুগত্যে তোমার জীবনে রয়েছে বরকতের জারি। নিখাদ শুদ্ধতায় তোমার এ বেড়ে ওঠা। তুমি যেন সেখানে বৃষ্টিধারার মতই স্বচ্ছ। যে স্বচ্ছতায় দুধের শুভ্রতা মিশে আছে। আর সে শুভ্রতায় চাঁদের নির্মল হাসি লেগে আছে, তুমি তো তাই।
তুমি তো যুগে যুগে ফুল হয়ে বেঁচে আছো। ফুলের মত সুন্দর তোমার জীবন। কলির মত নিষ্পাপ তোমার আচরণ। তুমি! ফুলের মতো সুগন্ধি ছড়িয়ে বেড়াও। তোমার চারপাশ সে সুগন্ধি মোহিত হয়ে থাকে তোমার কাছে কৃতজ্ঞ হয়ে। আর তুমি এ ধরায় শোভা হয়ে থাকো। তাই এ ধরিত্রী তোমার সে শোভা সৌন্দর্যে এতটা সুভিত ও বৈচিত্র।
বোন! তুমি হাজারো বীরের কবিতা। তুমি অসংখ্য রণ ভাবুকের ভাবনা। তুমি আঁধারের অবসান। তোমার কথার বলার আর্ট, উপস্থাপনের সৌন্দর্য প্রতিটি সন্তানের মন জুড়ায়। তাতে সবার বোধ সুধায়। তুমি বাস্তবেই ততটা সৌন্দর্যের আধার। সত্যিই ততটা মোহের যোগাড়। তুমি না থাকলে হয়তো পৃথিবীটা এত সুন্দর হতো না। তুমি না থাকলে হয়তো পৃথিবীটা এত সুরম্য সুশ্রী লাগত না।
সবার কাছেই সব আছে তবুও কি যেন নেই নেই মনে হতো। তোমায় ছাড়া আকাশ কেমন যেন ফ্যাকাশে দেখাতো। তুমি আছো বলেই পৃথিবীটা এত রঙিন। এত সুন্দর। এত মনোমুগ্ধকর। সাত রং সাজে বেলা ফুরাবার আগে। পশ্চিম দিগন্তে লালিমার আকার ধারণ করে আধার ছেয়ে যাবার পূর্বমুহূর্তে।
তুমি জানো! তোমার অস্তিত্ব জুড়ে সৌন্দর্য। তুমি তোমার বাবার ঘরের আশার আলো। সেখানে সুন্দর ফুল হয়ে বেড়ে ওঠো। প্রতিদিন আগের চেয়ে আরো সুন্দর হয়ে ফুটে ওঠো। ফুটে উঠো তোমার বাবার স্নেহশীল অস্তিত্ব জুড়ে সুগন্ধি ছড়াবার জন্য। ফুটে উঠো তোমার মায়ের দূখী মুখ থেকে কষ্টের অশ্রুকে মুছে দেয়ার জন্য। তাঁর কাধে বোঝা হয়ে অর্পিত হাজারো দায়িত্বভার থেকে কিছুটা হলেও কমিয়ে দেওয়ার জন্য।
তার মমতা শুষে নিয়ে আত্মাকে সুরভী বিলানোর জন্য। তুমি প্রস্ফুটিত হও তোমার ভাইয়ের সুখ হতে। তার প্রীতি সম্প্রীতি হতে। তার দূরত্ব চুকাতে। তার দুঃখ ঘোচাতে। ফুল হয়ে পাপড়িতে অশ্রু কান্না মুছে দিতে। তুমি এভাবেই অবিরাম সুরভী ছড়িয়ে যাও সর্বত্র। সবাইকে মোহিত করে যাও যত্র তত্র। অকাতরে স্নিগ্ধতা বিলিয়ে দাও। কারণ তুমি যে ফুল! আর এটাই তো ফুলের বৈশিষ্ট্য। ফুল তার এ বৈশিষ্ট্য হারায় না কখনো।
এই তো! কিছুদিন আগে একজন দরদী মালির কাছে গিয়েছিলাম। একটু আদর সোহাগ পেতে। ইলম ও আমলের একটু ঘ্রাণ নিতে। ফুলের কাছে গেলে যেমন আলতো একটু ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছা করে ঠিক তেমনি।
এই দরদী মালিরই মুখের ভাষ্য। তিনি বলছেন-আচ্ছা বাবারা তোমরা কি জানো? ফুল হয়ে ফোটার জন্য বাগানে যখন কলি আসে তখন সবুজ পাতার আড়ালে জন্ম নেয় কিছু সবুজ কুঁড়ি। যেগুলো সাধারণত সবচে বেশি উজ্জ্বলতা নিয়ে প্রস্ফুটিত হয়। অথচ মানব জাতির মুসলিম বোনদের প্রতিটি সন্তানই সবুজ কুঁড়ি। এদের যত্ন না নেয়ায় অধিকাংশই মানব হিসেবে বেড়ে উঠে। কিন্তু মানুষ হিসেবে নয়।
বোন আমার! আমরা তো জানি তোমার বুকের সন্তান তোমার মুখের মলিনতা সহ্য করতে পারবে না। তোমার জীবন প্রদীপ ফুৎকার দিয়ে নিভিয়ে দিতে চাইবে! এটাও সইতে পারবে না। বরং হাসিমুখে মৃত্যুর ঝুঁকি গ্রহণ করবে। সন্ধার ঘনঘোর আঁধারের অবসান ঘটাবে। তবুও বোন তোমার শরীরে কিঞ্চিৎ টাচ হতে দিবে না।
কেন? কেন? বোন আমার! কারণ তোমার বিশাল বিস্তৃত ভরাডুবি রুপ লাবণ্য, আচার আচরণ, ত্যাগ-তিতিক্ষা, বিনয়তা আর সবিনয়তার সামনে মানব পুরুষ নতজানু কেউ সন্তান হয়ে, কেউ স্বামী হয়ে, কেউ বাবা হয়ে, আবার কেউ রক্তের বাঁধন হয়ে। তোমার বসন্তের অপেক্ষায় এখনো তারা বুক বেঁধে বসে আছে।
অতএব তুমি তোমার নিজের জীবনকে গড়ে তুলো এবং অন্য আরেকজন বোনের জীবনকে গঠন করে দাও। নিজে আত্মশুদ্ধি অর্জন করো। অন্য বোনকেও অর্জন করিয়ে দাও। নিজে ইসলাম চর্চা করো। অন্য বোনদের সাথে ইলহামের মোযাকারা করো। নিজ হাতে কলম তুলে নাও। সন্তানদের হাতে অস্ত্র তুলে দাও। এ জাতিকে কৃতার্থ করো। নববী মানহাযের সেই স্রোত ধারা যেখান থেকে চুয়ে চুয়ে বহমান হয়ে এসেছে সেখান থেকে আবার সজোড়ে সচল করে দাও। নিজ সন্তানকে কুরবান করে ঝান্ডাধারী বাহিনীর জোয়ারকে আরো বেগমান করে দাও।
হারিয়ে যাওয়া ত্ববকাতুন নিসা ফিল ইলমি আবার ফিরিয়ে দাও। তোমার নিজ অবদানে একটি বিপ্লবী ধারা জুড়িয়ে দাও। তোমার ঔরশ থেকে যেন শামের প্রহরী ভূমিষ্ট হয়। হিন্দের ভূমিকে রক্ষার জন্য কাসিম আর খালিদের যেন আগমন ঘটে। এই ভূ-পৃষ্ঠের তখত-তাউসকে তছনছ করার জন্য তোমার প্রতিটি সন্তান যেন হয় দ্বীনে ইলাহির সৈনিক। প্রতিটি বোনের তামান্না যেন হয় আমি হবো একজন বীর শহীদের মা। আর আমার ঔরশ থেকেই জারি হবে শহীদের নহর।
বোন আমার! কথায় বলে না। গাছ তর নাম কি ফলে পরিচয়। তোমার অস্তিত্বের এ সৌন্দর্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য, তোমার বিসর্জনের এ ময়দানকে স্বরণীয় রাখার জন্য, নিজ সত্তা ও ভূমিষ্ঠ হওয়া সত্তার দ্বীনি পরিচর্যার বিকল্প নেই। রুবুবিয়্যাতের সঠিক ইলম ছাড়া তোমার এ অস্তিত্ব নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক। শরীয়ার এ খুঁটিকে মজবুত করার লক্ষ্যেই রবের পক্ষ হতে তোমাকে সন্তানের মা হিসেবে দান।
তুমি যদি নিজেকে সে অনুযায়ী কদর না করো। তোমার উপর রবের এ নিয়ামতকে অস্বীকার করো। তোমার ঔরশে প্রভুর এ দানকে অনৈতিকভাবে গড়ে তুলো। তোমার আঁচলে সন্তানকে লুকিয়ে রেখে সভ্যতার পরিচয় দাও তাহলে এ হবে ইহজগতের শ্রেষ্ঠ বোকামি। আর পরজগতের নিশ্চিত পরাজয়ের গ্লানি।
বোন! তোমার অবদানের কথা আমরা ভুলে যাবো! সেটা কিভাবে? কোন দিক থেকে? কোন জিনিসের লোভে পরে? তোমার চেতনার সম্পর্ক প্রিয় রাসূলের স্ত্রীদের সাথে। তোমার রক্তের বাঁধন প্রিয় সাহাবীর মেয়েদের সাথে। তোমার ত্যাগের সম্পর্ক উম্মে আম্মারা, হযরত যানিরা ও হযরত দাওসিয়া রাদিআল্লাহুন্নাদের সাথে।
আরো শোনবে! তোমার প্রতিভার ঝলকে কালের পরতে পরতে জন্ম নিয়েছে কিছু সিংহশার্দুল। তোমার প্রচেষ্টা আর মোনাজাতের অশ্রুর পানিতে
লুকিয়ে আছে কিছু বীর পুরুষ। যারা রোম পারশ্য জাতিকে জাদুর চমক দেখিয়েছে। যারা হিংস্র হায়েনাদের নখর থাবায় আটকে থাকা বাইতুল মাকদিস উদ্ধার করেছে।
বোন আমার! দীর্ঘ এ লেখার ইতি টানার আগে তোমাকে শুনাবো একটি সুসংবাদ। বিশ বিশটি বছর যে আফগান ভূমিকে মানব পশুরা নরকে পরিণত করেছে সে ভূমিতে তোমার ঔরসজাত বীর সন্তান মুজাহিদরা কালিমার পতাকা খচিত করেছে। মোড়লদের কুর্ণকুহরে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন ঠিকঠাক মত পোষ করতে পেরেছে।
আল্লাহু আকবার কাবিরা! লাকাল হামদু ওলাকাশ শুকরো ইয়া রাব্বাল আলামিন।
বোন আমার!
তুমি সবার প্রিয় ভাজন। তুমি সবার আস্তার প্রতীক। তোমার সুষমায় সজীব হয়ে উঠে অবুঝ পুষ্পকলি। তোমার স্পর্শে জ্বলে উঠে তৃভোজ হৃদয়কড়ি। তোমার নেক চাহনিতে বাকা দিল হয়ে উঠে উর্ধধ্বনি। তোমার রাগ-ঢাক অন্তরমহলে গড়ে তুলে গগনসিঁড়ি।
বোন তুমি জানো! তুমি কে? তুমি মহামহিমের আলোস্নাত, স্নিগ্ধ শুভ্র রহমতের ফোয়ারা। তুমি পুতপবিত্র পরম ভাগ্যবতী বিদুষী নারী। খোদার আনুগত্যে তোমার জীবনে রয়েছে বরকতের জারি। নিখাদ শুদ্ধতায় তোমার এ বেড়ে ওঠা। তুমি যেন সেখানে বৃষ্টিধারার মতই স্বচ্ছ। যে স্বচ্ছতায় দুধের শুভ্রতা মিশে আছে। আর সে শুভ্রতায় চাঁদের নির্মল হাসি লেগে আছে, তুমি তো তাই।
তুমি তো যুগে যুগে ফুল হয়ে বেঁচে আছো। ফুলের মত সুন্দর তোমার জীবন। কলির মত নিষ্পাপ তোমার আচরণ। তুমি! ফুলের মতো সুগন্ধি ছড়িয়ে বেড়াও। তোমার চারপাশ সে সুগন্ধি মোহিত হয়ে থাকে তোমার কাছে কৃতজ্ঞ হয়ে। আর তুমি এ ধরায় শোভা হয়ে থাকো। তাই এ ধরিত্রী তোমার সে শোভা সৌন্দর্যে এতটা সুভিত ও বৈচিত্র।
বোন! তুমি হাজারো বীরের কবিতা। তুমি অসংখ্য রণ ভাবুকের ভাবনা। তুমি আঁধারের অবসান। তোমার কথার বলার আর্ট, উপস্থাপনের সৌন্দর্য প্রতিটি সন্তানের মন জুড়ায়। তাতে সবার বোধ সুধায়। তুমি বাস্তবেই ততটা সৌন্দর্যের আধার। সত্যিই ততটা মোহের যোগাড়। তুমি না থাকলে হয়তো পৃথিবীটা এত সুন্দর হতো না। তুমি না থাকলে হয়তো পৃথিবীটা এত সুরম্য সুশ্রী লাগত না।
সবার কাছেই সব আছে তবুও কি যেন নেই নেই মনে হতো। তোমায় ছাড়া আকাশ কেমন যেন ফ্যাকাশে দেখাতো। তুমি আছো বলেই পৃথিবীটা এত রঙিন। এত সুন্দর। এত মনোমুগ্ধকর। সাত রং সাজে বেলা ফুরাবার আগে। পশ্চিম দিগন্তে লালিমার আকার ধারণ করে আধার ছেয়ে যাবার পূর্বমুহূর্তে।
তুমি জানো! তোমার অস্তিত্ব জুড়ে সৌন্দর্য। তুমি তোমার বাবার ঘরের আশার আলো। সেখানে সুন্দর ফুল হয়ে বেড়ে ওঠো। প্রতিদিন আগের চেয়ে আরো সুন্দর হয়ে ফুটে ওঠো। ফুটে উঠো তোমার বাবার স্নেহশীল অস্তিত্ব জুড়ে সুগন্ধি ছড়াবার জন্য। ফুটে উঠো তোমার মায়ের দূখী মুখ থেকে কষ্টের অশ্রুকে মুছে দেয়ার জন্য। তাঁর কাধে বোঝা হয়ে অর্পিত হাজারো দায়িত্বভার থেকে কিছুটা হলেও কমিয়ে দেওয়ার জন্য।
তার মমতা শুষে নিয়ে আত্মাকে সুরভী বিলানোর জন্য। তুমি প্রস্ফুটিত হও তোমার ভাইয়ের সুখ হতে। তার প্রীতি সম্প্রীতি হতে। তার দূরত্ব চুকাতে। তার দুঃখ ঘোচাতে। ফুল হয়ে পাপড়িতে অশ্রু কান্না মুছে দিতে। তুমি এভাবেই অবিরাম সুরভী ছড়িয়ে যাও সর্বত্র। সবাইকে মোহিত করে যাও যত্র তত্র। অকাতরে স্নিগ্ধতা বিলিয়ে দাও। কারণ তুমি যে ফুল! আর এটাই তো ফুলের বৈশিষ্ট্য। ফুল তার এ বৈশিষ্ট্য হারায় না কখনো।
এই তো! কিছুদিন আগে একজন দরদী মালির কাছে গিয়েছিলাম। একটু আদর সোহাগ পেতে। ইলম ও আমলের একটু ঘ্রাণ নিতে। ফুলের কাছে গেলে যেমন আলতো একটু ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছা করে ঠিক তেমনি।
এই দরদী মালিরই মুখের ভাষ্য। তিনি বলছেন-আচ্ছা বাবারা তোমরা কি জানো? ফুল হয়ে ফোটার জন্য বাগানে যখন কলি আসে তখন সবুজ পাতার আড়ালে জন্ম নেয় কিছু সবুজ কুঁড়ি। যেগুলো সাধারণত সবচে বেশি উজ্জ্বলতা নিয়ে প্রস্ফুটিত হয়। অথচ মানব জাতির মুসলিম বোনদের প্রতিটি সন্তানই সবুজ কুঁড়ি। এদের যত্ন না নেয়ায় অধিকাংশই মানব হিসেবে বেড়ে উঠে। কিন্তু মানুষ হিসেবে নয়।
বোন আমার! আমরা তো জানি তোমার বুকের সন্তান তোমার মুখের মলিনতা সহ্য করতে পারবে না। তোমার জীবন প্রদীপ ফুৎকার দিয়ে নিভিয়ে দিতে চাইবে! এটাও সইতে পারবে না। বরং হাসিমুখে মৃত্যুর ঝুঁকি গ্রহণ করবে। সন্ধার ঘনঘোর আঁধারের অবসান ঘটাবে। তবুও বোন তোমার শরীরে কিঞ্চিৎ টাচ হতে দিবে না।
কেন? কেন? বোন আমার! কারণ তোমার বিশাল বিস্তৃত ভরাডুবি রুপ লাবণ্য, আচার আচরণ, ত্যাগ-তিতিক্ষা, বিনয়তা আর সবিনয়তার সামনে মানব পুরুষ নতজানু কেউ সন্তান হয়ে, কেউ স্বামী হয়ে, কেউ বাবা হয়ে, আবার কেউ রক্তের বাঁধন হয়ে। তোমার বসন্তের অপেক্ষায় এখনো তারা বুক বেঁধে বসে আছে।
অতএব তুমি তোমার নিজের জীবনকে গড়ে তুলো এবং অন্য আরেকজন বোনের জীবনকে গঠন করে দাও। নিজে আত্মশুদ্ধি অর্জন করো। অন্য বোনকেও অর্জন করিয়ে দাও। নিজে ইসলাম চর্চা করো। অন্য বোনদের সাথে ইলহামের মোযাকারা করো। নিজ হাতে কলম তুলে নাও। সন্তানদের হাতে অস্ত্র তুলে দাও। এ জাতিকে কৃতার্থ করো। নববী মানহাযের সেই স্রোত ধারা যেখান থেকে চুয়ে চুয়ে বহমান হয়ে এসেছে সেখান থেকে আবার সজোড়ে সচল করে দাও। নিজ সন্তানকে কুরবান করে ঝান্ডাধারী বাহিনীর জোয়ারকে আরো বেগমান করে দাও।
হারিয়ে যাওয়া ত্ববকাতুন নিসা ফিল ইলমি আবার ফিরিয়ে দাও। তোমার নিজ অবদানে একটি বিপ্লবী ধারা জুড়িয়ে দাও। তোমার ঔরশ থেকে যেন শামের প্রহরী ভূমিষ্ট হয়। হিন্দের ভূমিকে রক্ষার জন্য কাসিম আর খালিদের যেন আগমন ঘটে। এই ভূ-পৃষ্ঠের তখত-তাউসকে তছনছ করার জন্য তোমার প্রতিটি সন্তান যেন হয় দ্বীনে ইলাহির সৈনিক। প্রতিটি বোনের তামান্না যেন হয় আমি হবো একজন বীর শহীদের মা। আর আমার ঔরশ থেকেই জারি হবে শহীদের নহর।
বোন আমার! কথায় বলে না। গাছ তর নাম কি ফলে পরিচয়। তোমার অস্তিত্বের এ সৌন্দর্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য, তোমার বিসর্জনের এ ময়দানকে স্বরণীয় রাখার জন্য, নিজ সত্তা ও ভূমিষ্ঠ হওয়া সত্তার দ্বীনি পরিচর্যার বিকল্প নেই। রুবুবিয়্যাতের সঠিক ইলম ছাড়া তোমার এ অস্তিত্ব নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক। শরীয়ার এ খুঁটিকে মজবুত করার লক্ষ্যেই রবের পক্ষ হতে তোমাকে সন্তানের মা হিসেবে দান।
তুমি যদি নিজেকে সে অনুযায়ী কদর না করো। তোমার উপর রবের এ নিয়ামতকে অস্বীকার করো। তোমার ঔরশে প্রভুর এ দানকে অনৈতিকভাবে গড়ে তুলো। তোমার আঁচলে সন্তানকে লুকিয়ে রেখে সভ্যতার পরিচয় দাও তাহলে এ হবে ইহজগতের শ্রেষ্ঠ বোকামি। আর পরজগতের নিশ্চিত পরাজয়ের গ্লানি।
বোন! তোমার অবদানের কথা আমরা ভুলে যাবো! সেটা কিভাবে? কোন দিক থেকে? কোন জিনিসের লোভে পরে? তোমার চেতনার সম্পর্ক প্রিয় রাসূলের স্ত্রীদের সাথে। তোমার রক্তের বাঁধন প্রিয় সাহাবীর মেয়েদের সাথে। তোমার ত্যাগের সম্পর্ক উম্মে আম্মারা, হযরত যানিরা ও হযরত দাওসিয়া রাদিআল্লাহুন্নাদের সাথে।
আরো শোনবে! তোমার প্রতিভার ঝলকে কালের পরতে পরতে জন্ম নিয়েছে কিছু সিংহশার্দুল। তোমার প্রচেষ্টা আর মোনাজাতের অশ্রুর পানিতে
লুকিয়ে আছে কিছু বীর পুরুষ। যারা রোম পারশ্য জাতিকে জাদুর চমক দেখিয়েছে। যারা হিংস্র হায়েনাদের নখর থাবায় আটকে থাকা বাইতুল মাকদিস উদ্ধার করেছে।
বোন আমার! দীর্ঘ এ লেখার ইতি টানার আগে তোমাকে শুনাবো একটি সুসংবাদ। বিশ বিশটি বছর যে আফগান ভূমিকে মানব পশুরা নরকে পরিণত করেছে সে ভূমিতে তোমার ঔরসজাত বীর সন্তান মুজাহিদরা কালিমার পতাকা খচিত করেছে। মোড়লদের কুর্ণকুহরে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন ঠিকঠাক মত পোষ করতে পেরেছে।
আল্লাহু আকবার কাবিরা! লাকাল হামদু ওলাকাশ শুকরো ইয়া রাব্বাল আলামিন।
Comment