বোন তোমার নারীত্বের আঁচল এত সুন্দর কেন?
৩য় পর্ব
প্রিয় বোন!
তোমাদের শরীরে স্থীর-চলমান প্রতিটি রক্তের ফোঁটা আমাদের কাছে অমূল্য ধন। হিরার জ্যোতির চাইতেই আরো বেশি অমূল্য রতন। তোমাদের চোখের পাপড়ি সূর্যের আলো আর চাঁদের কিরণের সামনে তুলনাহীন। তোমাদের মায়ার বাঁধন সব মাখলুকের নিকট ওজনবিহীন। এখন তুমিই বলো! এতো গুণে গুণান্বিত যে তাঁদের কি করে ভুলা যায়? এতো মায়া-মাধুরীর মিলনমেলা যেখানে সেখান থেকে কি করে দূরে সরা যায়?
বোন! তোমার মতো কোন এক বোনের গর্ভে জন্ম নেয়া সন্তান হিসেবে তোমাদের কাছে আমাদের কি কোন আবদার থাকতে পারে না? অবশ্যই! অবশ্যই থাকতে পারে। সে আবদারটুকুই তোমাদের কাছে তুলে ধরছি। বিগত দুই পর্বে তোমাদের অনুমতি ছাড়াই লিখেছি বলেছি, আজ আর তা করবো না। বরং আজ সেটা হবে আকুতির আদলে।
বোন তুমি তো জানো!
ফুলের মূলে একটি গুণ আছে। উর্বর ভূমিতে তাঁর পোক্ত কান্ড মূল গ্রথিত থাকে। যদিও তার নড়বড়ে হালকা কান্ডের ঝাকুনিতে সে দুলতে থাকে। কিন্তু কখনোই তা মূলৎপার্টিত হয় না। গোড়া থেকে তাঁর কাণ্ড উঠে আসে না। বরং ফুল সে তার মতই ফুল হয়ে বেঁচে থাকে। সুন্দর নমর তরতাজা হয়ে বেড়ে উঠতে থাকে। এই পৃথিবীকে শোষণহীন সংস্পর্শে নয়নাভিরাম ও দৃষ্টিনন্দন রাখে।
বোন! ঠিকতেমনি তোমার দেহের ভিত এতই মজবুত, হাজারো বিপদ, হাজারো ঝলক, হাজারো বেদনা তোমায় টলাতে পারে না। তোমায় ঝুঁকাতে পারে না। তোমরা খুটিহীন অদ্ভুত এক টাওয়ার। যে কোন সন্তান কাছে দূরে থেকে নেটওয়ার্ক পায়। বাধাবিঘ্নতা সৃষ্টি করে না। ঝড় তুফান কোন আসে যায় না। বরং তোমরা তো তোমরাই!
ফুলের মতোই তোমার প্রদচারণা একান্ত। জমিন অভ্যন্তরে গ্রথিত আল্লাহর ভয়ে ভীত মাটির রুক্ষতায় প্রস্তর খন্ডের মাঝে তোমরা ঈমান খুঁজে বেড়াও। এ যাত্রায় তোমার নিশংকা নিরাপত্তা বিধান রচিত হয়। এটা তোমার সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা। সংকটেও সফল জীবনের পরিচায়ক।উপচে পড়া মুহূর্তেও গভীর সম্পৃক্ততায় ফলদায়ক।
ফুল তার তো কোন গ্লানি নেই। নেই কোন অবমাননা। আছে শুধু মূল্যায়ন। তবে সেটা ঢের সবার কাছে যথাযথ নাও থাকতে পারে। আসলে যার কাছে স্বয়ং নিজেরই মূল্য নেই, তার কাছে ফুলের মূল্য থাকবে কি করে? যারা তার মূল্য বুঝে কেবল তাদের কাছেই আছে। তারাই কেবল স্বার্থক মানুষ। তোমার জীবন তো চির অমূল্য। যারা তা বোঝে না তাতে কারো কিছু আসে যায় না। তারা অথর্ব। তারা নির্বোধ।
তুমি কি এটাও জানো? ফুল কতটা বিনয়ী হয়? কতটা বিরাগী হয়? কতটা ধৈর্য্য তাঁর? কতটা মহানুভবতা সে দেখাতে পারে? কেন! তুমি কি দেখো না যে, মানুষের মুখে মুখে তার এত জাগৃতি, হাতে হাতে এত বিস্তৃতি, অন্তরে অন্তরে এত সম্প্রীতি। এতকিছুর পরও কিন্তু সে আত্মম্ভরিতায় জড়ায় না। কখনো অন্যের উপর নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে উঠেপড়ে লাগে না। আত্মশ্লাঘার কালিমা তাঁর নেই।পরশ্রী কাতরতাও তার আদত বহির্ভূত। বরং নিজেকে ঢেকে রাখাই তার স্বভাব।
এটাই তার একমাত্র পছন্দ। এটাই তার স্বভাবধর্ম।তবে সে কিন্তু আড়াল থেকেই নিজের কীর্তি বিনির্মান করে চলে অবিরত। আর সে কীর্তিতে সে সবাইকে ছাপিয়ে পৌছে যায় সবার উচ্চতায়। বোন তুমি কিন্তু তার থেকে কোন অংশে কম নও! তবে তুমি কেন পিছিয়ে থাকবে? পিছিয়ে থাকার ভনিতা করবে? শোভা পায় তোমার দ্বারা নেতিয়ে পড়া এ আচরণ? আশা করা যায় তোমার দ্বারা নতুন পদধ্বনির জাগরণ?
কেন তুমি কি উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা. এর কথা শোনোনি? হযরত মা খাদিজা রা. এর ইসলামে কি অবদান তা পড়োনি? ইতিহাসের সোনালী তবকায় সাঁজানো মানুষগুলোকে নিয়ে একবারও ভাবোনি? হযরত উম্মে সালামা, উম্মে সুলাইম, উম্মে আনাস, উম্মে হুমাইদ, উম্মে মাবাদ আর বিন্তে আসাদ রা. গণ হাদীস বর্ণনা না করলে যে হাদিস ভাণ্ডার অনেকটাই অপূর্ণাঙ্গ থেকে যেতো তা কি বড়দের মুখ থেকে কানে আসেনি! এরা তো তোমার সাথে রক্তের বাঁধন ছিন্ন ঘোষণা করেনি। তোমাকে হাদিস বর্ণনার সূত্র ভুলে যেতে বলেনি। তাহলে তোমার পক্ষ থেকে কেন এই বারাআত?
বোন আমার! যতদিন ইসলামী জিহাদের কৃতিত্ব গাঁথা আলোচিত হবে ততোদিন এই মানচিত্রে নাসীবা, মিহনাহ, উম্মে হাবীব, উম্মে হারাম, হিন্দ আর সুমাইয়া রাযি. এর কথা স্বগৌরবে উচ্চারিত হতেই থাকবে। হযরত আসমা, উম্মে মাসলামা, উম্মে হাবিবাহ, লাইলা, শিফা আর বিনতে কাইসদের কথা উল্লেখ ছাড়া হিজরতের ইতিহাস অপূর্ণাঙ্গ থেকেই যাবে। তাদের এ কৃতিত্ব তোমাদের রয়ে যাওয়া সন্তানদের বুক টান করে দাঁড়াতে শিখাবে। তাই তুমি কেন ধারাবর্ণনার এ বহমান নদী থেকে স্থলে চলে আসবে?
তাছাড়া রবি'আ, উম্মে সিনান, উম্মে যিয়াদ, উমাইয়া, কুয়াইবা আর রুফাইদা রাদিয়াল্লাহু আনহুন্নারা যে কতো সাহাবীকে ইসলামের জন্য জাগ্রত করেছেন। কতো সাহাবীকে গড়ে তুলেছেন মানসিকভাবে,শারীরিকভাবে, তার পরিসংখ্যান করাটাই এখন বড় দায়। তুমি কি তাঁদের সে মহান মর্যাদাপূর্ণ কাতার থেকে অব্যহতি চাচ্ছো? এ নীতিহীন কাজ কিন্তু করো না! তাহলে কোণঠাসার তৃভোজ কোণ কিন্তু তোমায় ছেড়ে দিবে না।
বোন! তুমি তোমার সতীর্থ বোনদের, মায়েদের ইতিহাস একটু পড়ে দেখোনা! তাঁদের স্মৃতির তাঁকগুলো একটু নেড়েচেড়ে দেখোনা! দেখবে কোথায় যে উড়ে যাবে তোমার ভিতরে জমে থাকা সব হীনমন্যতা। কোথায় যে পালাবে বলতে না পারার সব ধরণের জরজীর্ণতা। কিভাবে যে সৃষ্টি হবে তোমার থেকে উচ্চ থেকে সুউচ্চ বাতিঘর। সেটা তুমি ও তোমার রবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং ছড়িয়ে পড়বে ইতিহাসের পাতায়, বাস্তবতায় ময়দানে, বোকা, লাজুক, বেকুবদের মুখে মুখে।
বোন! আমরা জানি তোমার অন্তরে জমা আছে অব্যক্ত দুঃখ কিন্তু তার আড়ালে লুকিয়ে আছে অজানা সুখ। তোমার হৃদয় জগতে শান্তি আছে, তার নেপথ্যে ঢাকা আছে বেদনার মর্মন্তুদ বুনিয়াদ। এখানকার সকল প্রাপ্তিই ক্ষনস্থায়ী ও ভঙ্গুর। প্রতিটি প্রাপ্তির পেছনেই তাড়িয়ে বেড়ায় হারানোর সমূহ আশংকা। কিন্তু জান্নাত, সে তো এক অনাবিল সুখ, অনন্ত শান্তি, ক্ষয়হীন প্রাপ্তি, তৃষ্ণাশূন্য সুধা, যবনিকাহীন শৃঙ্গার। সেখানেই নেই পেয়ে হারানোর শঙ্কা, ক্ষয়ে যাওয়ার ভয়।
তাই পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ হলেও ফিরে যাওয়ার ফুরসত যেন না হয়। অনুমান শক্তি তাড়া করলেও অনুধাবন শক্তি যেন তার কাছে হার না মানে। ঘড়ির কাটা ঠিকঠাক মত না চললেও হাতে যেন সময়ের কমি না হয়। যুগের চাকা সচল না হলেও তোমার হৃদয়ের চাকা যেন তুর্যোগে ঘুরে।
৩য় পর্ব
প্রিয় বোন!
তোমাদের শরীরে স্থীর-চলমান প্রতিটি রক্তের ফোঁটা আমাদের কাছে অমূল্য ধন। হিরার জ্যোতির চাইতেই আরো বেশি অমূল্য রতন। তোমাদের চোখের পাপড়ি সূর্যের আলো আর চাঁদের কিরণের সামনে তুলনাহীন। তোমাদের মায়ার বাঁধন সব মাখলুকের নিকট ওজনবিহীন। এখন তুমিই বলো! এতো গুণে গুণান্বিত যে তাঁদের কি করে ভুলা যায়? এতো মায়া-মাধুরীর মিলনমেলা যেখানে সেখান থেকে কি করে দূরে সরা যায়?
বোন! তোমার মতো কোন এক বোনের গর্ভে জন্ম নেয়া সন্তান হিসেবে তোমাদের কাছে আমাদের কি কোন আবদার থাকতে পারে না? অবশ্যই! অবশ্যই থাকতে পারে। সে আবদারটুকুই তোমাদের কাছে তুলে ধরছি। বিগত দুই পর্বে তোমাদের অনুমতি ছাড়াই লিখেছি বলেছি, আজ আর তা করবো না। বরং আজ সেটা হবে আকুতির আদলে।
বোন তুমি তো জানো!
ফুলের মূলে একটি গুণ আছে। উর্বর ভূমিতে তাঁর পোক্ত কান্ড মূল গ্রথিত থাকে। যদিও তার নড়বড়ে হালকা কান্ডের ঝাকুনিতে সে দুলতে থাকে। কিন্তু কখনোই তা মূলৎপার্টিত হয় না। গোড়া থেকে তাঁর কাণ্ড উঠে আসে না। বরং ফুল সে তার মতই ফুল হয়ে বেঁচে থাকে। সুন্দর নমর তরতাজা হয়ে বেড়ে উঠতে থাকে। এই পৃথিবীকে শোষণহীন সংস্পর্শে নয়নাভিরাম ও দৃষ্টিনন্দন রাখে।
বোন! ঠিকতেমনি তোমার দেহের ভিত এতই মজবুত, হাজারো বিপদ, হাজারো ঝলক, হাজারো বেদনা তোমায় টলাতে পারে না। তোমায় ঝুঁকাতে পারে না। তোমরা খুটিহীন অদ্ভুত এক টাওয়ার। যে কোন সন্তান কাছে দূরে থেকে নেটওয়ার্ক পায়। বাধাবিঘ্নতা সৃষ্টি করে না। ঝড় তুফান কোন আসে যায় না। বরং তোমরা তো তোমরাই!
ফুলের মতোই তোমার প্রদচারণা একান্ত। জমিন অভ্যন্তরে গ্রথিত আল্লাহর ভয়ে ভীত মাটির রুক্ষতায় প্রস্তর খন্ডের মাঝে তোমরা ঈমান খুঁজে বেড়াও। এ যাত্রায় তোমার নিশংকা নিরাপত্তা বিধান রচিত হয়। এটা তোমার সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা। সংকটেও সফল জীবনের পরিচায়ক।উপচে পড়া মুহূর্তেও গভীর সম্পৃক্ততায় ফলদায়ক।
ফুল তার তো কোন গ্লানি নেই। নেই কোন অবমাননা। আছে শুধু মূল্যায়ন। তবে সেটা ঢের সবার কাছে যথাযথ নাও থাকতে পারে। আসলে যার কাছে স্বয়ং নিজেরই মূল্য নেই, তার কাছে ফুলের মূল্য থাকবে কি করে? যারা তার মূল্য বুঝে কেবল তাদের কাছেই আছে। তারাই কেবল স্বার্থক মানুষ। তোমার জীবন তো চির অমূল্য। যারা তা বোঝে না তাতে কারো কিছু আসে যায় না। তারা অথর্ব। তারা নির্বোধ।
তুমি কি এটাও জানো? ফুল কতটা বিনয়ী হয়? কতটা বিরাগী হয়? কতটা ধৈর্য্য তাঁর? কতটা মহানুভবতা সে দেখাতে পারে? কেন! তুমি কি দেখো না যে, মানুষের মুখে মুখে তার এত জাগৃতি, হাতে হাতে এত বিস্তৃতি, অন্তরে অন্তরে এত সম্প্রীতি। এতকিছুর পরও কিন্তু সে আত্মম্ভরিতায় জড়ায় না। কখনো অন্যের উপর নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে উঠেপড়ে লাগে না। আত্মশ্লাঘার কালিমা তাঁর নেই।পরশ্রী কাতরতাও তার আদত বহির্ভূত। বরং নিজেকে ঢেকে রাখাই তার স্বভাব।
এটাই তার একমাত্র পছন্দ। এটাই তার স্বভাবধর্ম।তবে সে কিন্তু আড়াল থেকেই নিজের কীর্তি বিনির্মান করে চলে অবিরত। আর সে কীর্তিতে সে সবাইকে ছাপিয়ে পৌছে যায় সবার উচ্চতায়। বোন তুমি কিন্তু তার থেকে কোন অংশে কম নও! তবে তুমি কেন পিছিয়ে থাকবে? পিছিয়ে থাকার ভনিতা করবে? শোভা পায় তোমার দ্বারা নেতিয়ে পড়া এ আচরণ? আশা করা যায় তোমার দ্বারা নতুন পদধ্বনির জাগরণ?
কেন তুমি কি উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা. এর কথা শোনোনি? হযরত মা খাদিজা রা. এর ইসলামে কি অবদান তা পড়োনি? ইতিহাসের সোনালী তবকায় সাঁজানো মানুষগুলোকে নিয়ে একবারও ভাবোনি? হযরত উম্মে সালামা, উম্মে সুলাইম, উম্মে আনাস, উম্মে হুমাইদ, উম্মে মাবাদ আর বিন্তে আসাদ রা. গণ হাদীস বর্ণনা না করলে যে হাদিস ভাণ্ডার অনেকটাই অপূর্ণাঙ্গ থেকে যেতো তা কি বড়দের মুখ থেকে কানে আসেনি! এরা তো তোমার সাথে রক্তের বাঁধন ছিন্ন ঘোষণা করেনি। তোমাকে হাদিস বর্ণনার সূত্র ভুলে যেতে বলেনি। তাহলে তোমার পক্ষ থেকে কেন এই বারাআত?
বোন আমার! যতদিন ইসলামী জিহাদের কৃতিত্ব গাঁথা আলোচিত হবে ততোদিন এই মানচিত্রে নাসীবা, মিহনাহ, উম্মে হাবীব, উম্মে হারাম, হিন্দ আর সুমাইয়া রাযি. এর কথা স্বগৌরবে উচ্চারিত হতেই থাকবে। হযরত আসমা, উম্মে মাসলামা, উম্মে হাবিবাহ, লাইলা, শিফা আর বিনতে কাইসদের কথা উল্লেখ ছাড়া হিজরতের ইতিহাস অপূর্ণাঙ্গ থেকেই যাবে। তাদের এ কৃতিত্ব তোমাদের রয়ে যাওয়া সন্তানদের বুক টান করে দাঁড়াতে শিখাবে। তাই তুমি কেন ধারাবর্ণনার এ বহমান নদী থেকে স্থলে চলে আসবে?
তাছাড়া রবি'আ, উম্মে সিনান, উম্মে যিয়াদ, উমাইয়া, কুয়াইবা আর রুফাইদা রাদিয়াল্লাহু আনহুন্নারা যে কতো সাহাবীকে ইসলামের জন্য জাগ্রত করেছেন। কতো সাহাবীকে গড়ে তুলেছেন মানসিকভাবে,শারীরিকভাবে, তার পরিসংখ্যান করাটাই এখন বড় দায়। তুমি কি তাঁদের সে মহান মর্যাদাপূর্ণ কাতার থেকে অব্যহতি চাচ্ছো? এ নীতিহীন কাজ কিন্তু করো না! তাহলে কোণঠাসার তৃভোজ কোণ কিন্তু তোমায় ছেড়ে দিবে না।
বোন! তুমি তোমার সতীর্থ বোনদের, মায়েদের ইতিহাস একটু পড়ে দেখোনা! তাঁদের স্মৃতির তাঁকগুলো একটু নেড়েচেড়ে দেখোনা! দেখবে কোথায় যে উড়ে যাবে তোমার ভিতরে জমে থাকা সব হীনমন্যতা। কোথায় যে পালাবে বলতে না পারার সব ধরণের জরজীর্ণতা। কিভাবে যে সৃষ্টি হবে তোমার থেকে উচ্চ থেকে সুউচ্চ বাতিঘর। সেটা তুমি ও তোমার রবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং ছড়িয়ে পড়বে ইতিহাসের পাতায়, বাস্তবতায় ময়দানে, বোকা, লাজুক, বেকুবদের মুখে মুখে।
বোন! আমরা জানি তোমার অন্তরে জমা আছে অব্যক্ত দুঃখ কিন্তু তার আড়ালে লুকিয়ে আছে অজানা সুখ। তোমার হৃদয় জগতে শান্তি আছে, তার নেপথ্যে ঢাকা আছে বেদনার মর্মন্তুদ বুনিয়াদ। এখানকার সকল প্রাপ্তিই ক্ষনস্থায়ী ও ভঙ্গুর। প্রতিটি প্রাপ্তির পেছনেই তাড়িয়ে বেড়ায় হারানোর সমূহ আশংকা। কিন্তু জান্নাত, সে তো এক অনাবিল সুখ, অনন্ত শান্তি, ক্ষয়হীন প্রাপ্তি, তৃষ্ণাশূন্য সুধা, যবনিকাহীন শৃঙ্গার। সেখানেই নেই পেয়ে হারানোর শঙ্কা, ক্ষয়ে যাওয়ার ভয়।
তাই পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ হলেও ফিরে যাওয়ার ফুরসত যেন না হয়। অনুমান শক্তি তাড়া করলেও অনুধাবন শক্তি যেন তার কাছে হার না মানে। ঘড়ির কাটা ঠিকঠাক মত না চললেও হাতে যেন সময়ের কমি না হয়। যুগের চাকা সচল না হলেও তোমার হৃদয়ের চাকা যেন তুর্যোগে ঘুরে।
Comment