বোন তোমার নারীত্বের আঁচল এত সুন্দর কেন?
{৫ম পর্ব}
বোন! তুমি বলতে পারবে কোথায় নারীর অবদান কম ছিলো? বলতে পারবে কোথায় নারীর কৃতিত্বের ছাপ পড়েনি? উঁচু গলায় বলতে পারবে ময়দান তোমাদের পাঁয়ের স্পর্শ অনুভব করেনি? তলোয়ার তোমাদের সন্তানদের নিয়ে জিহাদী জযবায় মেতে উঠেনি? শাহাদাতের দরজায় নিয়ে হুরদের সাথে সাক্ষাৎ করায়নি?
না বোন! জানি তোমাদের গলার স্বর একটু নিচুই। তোমাদের প্রশংসার বাক্যগুলো খুবই যুৎসই। শুকরিয়ার বাক্যগুলোতে লেগে থাকে প্রাপ্তির হাসি। গর্বের শব্দগুলো যেন তোমাদের কাছে চিরচেনা। তাই এত গুছালো বৃত্তের মাঝে রবের রহমতের শিশির বিন্দুকণা পড়তে খানিকটা সময় লাগেনা। সন্ধ্যা ঘনিয়ে নতুন প্রভাতের আলোর মুখ দেখতে না দেখতেই বরকতে টইটুম্বর হয়ে যায়।
বোন তুমি তো জানো! যে ফুল হয় সে একান্ত কোমল এবং নির্মল আচরণে বেষ্টিত থাকে। সে নিরব নিবীড় দৃষ্টিতে এ পৃথিবীকে প্রত্যক্ষ করে।তার দৃষ্টিতে থাকে নিতান্ত সরলতা আর নিখাদ স্বচ্ছতা। কোন শঠতা নয়। নয় কোন বৈরিতা। কারণ সে তো ফুল, সকল সৌন্দর্যের মূল। অসৌন্দর্য তাকে একদম মানায় না। তুমিও তো সে ফুলের মতই।
ফুল যেমন বদান্যশীল, তেমন উদার অকাতরে অবলীলায় তার সৌন্দর্য বিলায়। সে দানে অকৃপণ। কৃপণতা কোনভাবেই তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। যেই তার সংস্পর্শে আসে সেই কিছুনা কিছু পায় তার থেকে। সবাইকে সে কোন না কোন ভাবে উপকৃত করে। এমনকি তার গাছে থাকা সবুজ পাতাগুলোকেও সে প্রতিদিন সিক্ত করে। তার আর্দ্র ফোটায় সে পাতাগুলোকে সজীব করে তোলে।
তার এই উদাত্ত দান থেকে মূলত কেউই বঞ্চিত হয় না। পাখি বল পোকা বল বা মৌমাছি অথবা জীবজন্তু কোনটাই না। আর মানুষ তো কথাই নেই, অহর্নিশ তার থেকে উদ্যম, চাঞ্চল্য আর ভালোলাগা খুঁজে নেয়। মানুষকে সে অসম্ভব সুখ সুগন্ধি আর সুরভী প্রশান্তি দানে একটি সুস্থ সুন্দর মনন উপহার দেয়। বোন তুমি সে ফুলের মতই এমন। তাই তোমাকেও এ ফুলের শপথ নিতে হবে। ফুলের সৌন্দর্য ধারন করতে হবে।
ফুল তো নিত্য শান্ত খুব সহনশীল, সহিষ্ণু। ধীরে ধীরে স্বভাবজাত বর্ধিষ্ণু। মাটি ফুরে অঙ্কুর উদগীরণ করে। একটু একটু করে বেড়ে ওঠে। দিনের পর দিন লাগিয়ে বড় হয়। একসময় গাছে মুকুল ধরে। কলি হয়। অতঃপর সে কলি একটু আধটু ফুটে অতপর আরেকটু।এভাবে একসময় পূর্ণ ফুল হয়ে আমাদের মোহিত করে। আমাদের ভালো লাগা কেড়ে নেয়। আমরা তাকে ভালোবাসি।খুব ভালোবাসি।
ফুল কিন্তু তরতর করে বেড়ে ওঠা অন্তরীক্ষচারী নয়।ঠিক তেমনি তুমিও হে রমণী, জন্ম থেকে তোমার যৌবনে পৌঁছাতে হয় ঢের দেরি। যে নারীত্ব তোমার লালিত্য, তাকে বরণ করে নিতে নিজেকে সময় দাও অনেক বেশি। ধৈর্য ধরো, হে ফুল সম নারীকুল! তোমার ভেতর আপন সৌন্দর্য গঠিত হতে একটু সময় দাও। তুমি তো অতি নিস্পাপ অন্তঃকরণে আলো ছড়িয়ে পৃথিবীতে আসো।
অতঃপর ধীরে ধীরে আপন স্বকীয়তা নিয়ে বেড়ে ওঠো। মাখামাখি শৈশব উতড়ে চাঞ্চল্যকর-কৈশোর যখন ফুরায় ফুরায় ভাব এমন সময় তোমার দেহে যৌবনের ছোঁয়া লাগে। গায়ে-গতরে সৌন্দর্যের রং মাখে। আকর্ষণীয় অবয়বে তুমি আবির্ভূত হও। চিত্তাকর্ষক চোখজুড়ানো তোমার মোহে আবিষ্ট হয় সকলে।তোমাকে তখন উপেক্ষা করবে এমন কেউ কি আছে বলো?না।
তখন তুমি ভরাট যুবতী। উপচে পড়া যৌবনময়ী। অনিন্দ্যসুন্দর রমণী। কিন্তু তুমি কি কখনো ভেবে দেখেছো যে, সে পর্যন্ত পৌঁছতে তোমাকে কতটা দীর্ঘ সময় পার করতে হয়েছে! এর মাঝে জীবনের কত নানান উত্থান-পতন ক্রমবর্ধমান পরিবর্তন তোমাকে সয়ে নিতে হয়েছে! তাই সে সময় পর্যন্ত তুমি অপেক্ষা করো। এটাই তোমার জন্য শ্রেয়।খুব তড়িঘড়ি করে এক ঝাপে, রতড়িৎ পদক্ষেপে এক অবস্থান থেকে অন্য অবস্থানে স্থানান্তরিত হওয়া কারো জন্যই কাম্য নয়। এটা নেহাৎ ক্ষতিকর।
তুমি বরং তোমার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতার সাথে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাও। নিছক সময় গড়ানোই কোন সার্থক জীবন নয়। বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষণকে উপভোগ করতে হয়। জীবনের প্রতিটি ধাপেই উপভোগ করার মত অনেক উপাদান রয়েছে।প্রতিটি মোড়েই সুখ-দুঃখের মাত্রা ভিন্ন। নিজেকে খুঁজে পাওয়ার যাত্রাও সেখানে বিভিন্ন। তাই আমরা যদি তার সবটা উপভোগ করতে না পারি তবে আমাদের জীবনটা যেন অনেকটা অপূর্ণই রয়ে গেল।
অনেক ভালো লাগার মুহূর্ত, সুখকর অনুভূতি আমাদের থেকে হারিয়ে গেলো। এজন্য আমাদের ভবিষ্যৎ জীবন সুন্দর করতে হলে আমাদের অতীত জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ থেকে বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। কেননা আমাদের জীবন বহুরৈখিক বাস্তবতায় বিজড়িত। সুতরাং বোন আমার! তুমি কস্মিনকালেও এটা ভেবোনা। একথা তোমার কখনোই ভাবা উচিত নয় যে জীবন মানেই হলো কিছু সাজ সজ্জা আর অন্তসার শুন্য কিছু চাকচিক্য। আপাত মোহনীয় সৌন্দর্য। জীবন মানে তো রকমারি উঁচু হিল, রং বে-রঙের প্রসাধনী আর আঁটোসাঁটো পরিধেয়। না।
জীবন মানে শুধুই নিজেকে দর্শনীয় আর আকর্ষণীয় করার রকমারি প্রচেষ্টা নয়। তাহলে তুমি কি তোমাকে এতোটা মূল্যহীন ভাবো? তুমি কি শুধুই কোন কামুকের কামনা, আর প্রবৃত্তির চাহিদা? তুমি কি কারো চক্ষু শীতল আর ভোগের সামগ্রী ? তাহলে তোমার এ জীবন কি এতটাই তুচ্ছ, উদ্দেশ্যহীন আর অনর্থক? নিষ্পৃশ্য? না। হতেই পারে না। কখনোই হতে পারে না। কারণ তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি। মায়ের জাতি।
বোন! তোমাদের ইলম আমলের সতীত্বপূর্ণ মালাগুলো দেখলে আমাদের হৃদয় দুআরে প্রতিভার শাখাগুলো সতেজ হয়ে উঠে। উম্মে মূসা কেহেরমানাহ, ফাতেমা বিন্তে আইয়্যাশ, সাতীতা, সিত্তুল উযারা, আসমা হামদানী হানাফী, আমাতুল লতীফ হান্মবলী, তাকিয়্যা আরমানাযী, হাসানাহ তবারী, যাহেদা তাহেরী ও ফাতেমা ফেহরীসহ আরো যে কত হাজার এমন মহীয়সী নারী অন্ধকারে আলোক বর্তিকা হয়ে নিজেদেরকে ইসলামী ইলমী ব্যাক্তিত্বরুপে প্রতিষ্ঠিত করেছিলো সেটা শুধুই কাল ইতিহাস.স্বর্ণজ্জোল করে রেখেছে।
তোমাদের এমন স্বার্থক কর্ম প্রয়াস নিয়ে রচিত হয়েছে শত শত গ্রন্থ নিসাউন লাহা তারিখ, মাশাহিরুন নিসাইল মুসলিমাত, আখবারুন নিসা ফি সিয়ারি আলামিন নুবালা, আল হাদায়িকুল গিনা ফি আখবারিন নিসা, আলামুন নিসাইল মুমীনাত, নিসাউম মুমীনাত ফিত তারিখিল ইসলামী, নিসাউন লাহুন্না ফিত তারিখিল ইসলামিয়্যি নাসিব, নিসাউন খালিদাত ইবারাত তারিখ ও আল মুআল্লিফাত মিনান নিসা ও মুআল্লাফাতুহুন্না ফিত তারিখিল ইসলামিয়্যি ইত্যাদি আরো অসংখ্য কিতাব।
{৫ম পর্ব}
বোন! তুমি বলতে পারবে কোথায় নারীর অবদান কম ছিলো? বলতে পারবে কোথায় নারীর কৃতিত্বের ছাপ পড়েনি? উঁচু গলায় বলতে পারবে ময়দান তোমাদের পাঁয়ের স্পর্শ অনুভব করেনি? তলোয়ার তোমাদের সন্তানদের নিয়ে জিহাদী জযবায় মেতে উঠেনি? শাহাদাতের দরজায় নিয়ে হুরদের সাথে সাক্ষাৎ করায়নি?
না বোন! জানি তোমাদের গলার স্বর একটু নিচুই। তোমাদের প্রশংসার বাক্যগুলো খুবই যুৎসই। শুকরিয়ার বাক্যগুলোতে লেগে থাকে প্রাপ্তির হাসি। গর্বের শব্দগুলো যেন তোমাদের কাছে চিরচেনা। তাই এত গুছালো বৃত্তের মাঝে রবের রহমতের শিশির বিন্দুকণা পড়তে খানিকটা সময় লাগেনা। সন্ধ্যা ঘনিয়ে নতুন প্রভাতের আলোর মুখ দেখতে না দেখতেই বরকতে টইটুম্বর হয়ে যায়।
বোন তুমি তো জানো! যে ফুল হয় সে একান্ত কোমল এবং নির্মল আচরণে বেষ্টিত থাকে। সে নিরব নিবীড় দৃষ্টিতে এ পৃথিবীকে প্রত্যক্ষ করে।তার দৃষ্টিতে থাকে নিতান্ত সরলতা আর নিখাদ স্বচ্ছতা। কোন শঠতা নয়। নয় কোন বৈরিতা। কারণ সে তো ফুল, সকল সৌন্দর্যের মূল। অসৌন্দর্য তাকে একদম মানায় না। তুমিও তো সে ফুলের মতই।
ফুল যেমন বদান্যশীল, তেমন উদার অকাতরে অবলীলায় তার সৌন্দর্য বিলায়। সে দানে অকৃপণ। কৃপণতা কোনভাবেই তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। যেই তার সংস্পর্শে আসে সেই কিছুনা কিছু পায় তার থেকে। সবাইকে সে কোন না কোন ভাবে উপকৃত করে। এমনকি তার গাছে থাকা সবুজ পাতাগুলোকেও সে প্রতিদিন সিক্ত করে। তার আর্দ্র ফোটায় সে পাতাগুলোকে সজীব করে তোলে।
তার এই উদাত্ত দান থেকে মূলত কেউই বঞ্চিত হয় না। পাখি বল পোকা বল বা মৌমাছি অথবা জীবজন্তু কোনটাই না। আর মানুষ তো কথাই নেই, অহর্নিশ তার থেকে উদ্যম, চাঞ্চল্য আর ভালোলাগা খুঁজে নেয়। মানুষকে সে অসম্ভব সুখ সুগন্ধি আর সুরভী প্রশান্তি দানে একটি সুস্থ সুন্দর মনন উপহার দেয়। বোন তুমি সে ফুলের মতই এমন। তাই তোমাকেও এ ফুলের শপথ নিতে হবে। ফুলের সৌন্দর্য ধারন করতে হবে।
ফুল তো নিত্য শান্ত খুব সহনশীল, সহিষ্ণু। ধীরে ধীরে স্বভাবজাত বর্ধিষ্ণু। মাটি ফুরে অঙ্কুর উদগীরণ করে। একটু একটু করে বেড়ে ওঠে। দিনের পর দিন লাগিয়ে বড় হয়। একসময় গাছে মুকুল ধরে। কলি হয়। অতঃপর সে কলি একটু আধটু ফুটে অতপর আরেকটু।এভাবে একসময় পূর্ণ ফুল হয়ে আমাদের মোহিত করে। আমাদের ভালো লাগা কেড়ে নেয়। আমরা তাকে ভালোবাসি।খুব ভালোবাসি।
ফুল কিন্তু তরতর করে বেড়ে ওঠা অন্তরীক্ষচারী নয়।ঠিক তেমনি তুমিও হে রমণী, জন্ম থেকে তোমার যৌবনে পৌঁছাতে হয় ঢের দেরি। যে নারীত্ব তোমার লালিত্য, তাকে বরণ করে নিতে নিজেকে সময় দাও অনেক বেশি। ধৈর্য ধরো, হে ফুল সম নারীকুল! তোমার ভেতর আপন সৌন্দর্য গঠিত হতে একটু সময় দাও। তুমি তো অতি নিস্পাপ অন্তঃকরণে আলো ছড়িয়ে পৃথিবীতে আসো।
অতঃপর ধীরে ধীরে আপন স্বকীয়তা নিয়ে বেড়ে ওঠো। মাখামাখি শৈশব উতড়ে চাঞ্চল্যকর-কৈশোর যখন ফুরায় ফুরায় ভাব এমন সময় তোমার দেহে যৌবনের ছোঁয়া লাগে। গায়ে-গতরে সৌন্দর্যের রং মাখে। আকর্ষণীয় অবয়বে তুমি আবির্ভূত হও। চিত্তাকর্ষক চোখজুড়ানো তোমার মোহে আবিষ্ট হয় সকলে।তোমাকে তখন উপেক্ষা করবে এমন কেউ কি আছে বলো?না।
তখন তুমি ভরাট যুবতী। উপচে পড়া যৌবনময়ী। অনিন্দ্যসুন্দর রমণী। কিন্তু তুমি কি কখনো ভেবে দেখেছো যে, সে পর্যন্ত পৌঁছতে তোমাকে কতটা দীর্ঘ সময় পার করতে হয়েছে! এর মাঝে জীবনের কত নানান উত্থান-পতন ক্রমবর্ধমান পরিবর্তন তোমাকে সয়ে নিতে হয়েছে! তাই সে সময় পর্যন্ত তুমি অপেক্ষা করো। এটাই তোমার জন্য শ্রেয়।খুব তড়িঘড়ি করে এক ঝাপে, রতড়িৎ পদক্ষেপে এক অবস্থান থেকে অন্য অবস্থানে স্থানান্তরিত হওয়া কারো জন্যই কাম্য নয়। এটা নেহাৎ ক্ষতিকর।
তুমি বরং তোমার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতার সাথে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাও। নিছক সময় গড়ানোই কোন সার্থক জীবন নয়। বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষণকে উপভোগ করতে হয়। জীবনের প্রতিটি ধাপেই উপভোগ করার মত অনেক উপাদান রয়েছে।প্রতিটি মোড়েই সুখ-দুঃখের মাত্রা ভিন্ন। নিজেকে খুঁজে পাওয়ার যাত্রাও সেখানে বিভিন্ন। তাই আমরা যদি তার সবটা উপভোগ করতে না পারি তবে আমাদের জীবনটা যেন অনেকটা অপূর্ণই রয়ে গেল।
অনেক ভালো লাগার মুহূর্ত, সুখকর অনুভূতি আমাদের থেকে হারিয়ে গেলো। এজন্য আমাদের ভবিষ্যৎ জীবন সুন্দর করতে হলে আমাদের অতীত জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ থেকে বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। কেননা আমাদের জীবন বহুরৈখিক বাস্তবতায় বিজড়িত। সুতরাং বোন আমার! তুমি কস্মিনকালেও এটা ভেবোনা। একথা তোমার কখনোই ভাবা উচিত নয় যে জীবন মানেই হলো কিছু সাজ সজ্জা আর অন্তসার শুন্য কিছু চাকচিক্য। আপাত মোহনীয় সৌন্দর্য। জীবন মানে তো রকমারি উঁচু হিল, রং বে-রঙের প্রসাধনী আর আঁটোসাঁটো পরিধেয়। না।
জীবন মানে শুধুই নিজেকে দর্শনীয় আর আকর্ষণীয় করার রকমারি প্রচেষ্টা নয়। তাহলে তুমি কি তোমাকে এতোটা মূল্যহীন ভাবো? তুমি কি শুধুই কোন কামুকের কামনা, আর প্রবৃত্তির চাহিদা? তুমি কি কারো চক্ষু শীতল আর ভোগের সামগ্রী ? তাহলে তোমার এ জীবন কি এতটাই তুচ্ছ, উদ্দেশ্যহীন আর অনর্থক? নিষ্পৃশ্য? না। হতেই পারে না। কখনোই হতে পারে না। কারণ তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি। মায়ের জাতি।
বোন! তোমাদের ইলম আমলের সতীত্বপূর্ণ মালাগুলো দেখলে আমাদের হৃদয় দুআরে প্রতিভার শাখাগুলো সতেজ হয়ে উঠে। উম্মে মূসা কেহেরমানাহ, ফাতেমা বিন্তে আইয়্যাশ, সাতীতা, সিত্তুল উযারা, আসমা হামদানী হানাফী, আমাতুল লতীফ হান্মবলী, তাকিয়্যা আরমানাযী, হাসানাহ তবারী, যাহেদা তাহেরী ও ফাতেমা ফেহরীসহ আরো যে কত হাজার এমন মহীয়সী নারী অন্ধকারে আলোক বর্তিকা হয়ে নিজেদেরকে ইসলামী ইলমী ব্যাক্তিত্বরুপে প্রতিষ্ঠিত করেছিলো সেটা শুধুই কাল ইতিহাস.স্বর্ণজ্জোল করে রেখেছে।
তোমাদের এমন স্বার্থক কর্ম প্রয়াস নিয়ে রচিত হয়েছে শত শত গ্রন্থ নিসাউন লাহা তারিখ, মাশাহিরুন নিসাইল মুসলিমাত, আখবারুন নিসা ফি সিয়ারি আলামিন নুবালা, আল হাদায়িকুল গিনা ফি আখবারিন নিসা, আলামুন নিসাইল মুমীনাত, নিসাউম মুমীনাত ফিত তারিখিল ইসলামী, নিসাউন লাহুন্না ফিত তারিখিল ইসলামিয়্যি নাসিব, নিসাউন খালিদাত ইবারাত তারিখ ও আল মুআল্লিফাত মিনান নিসা ও মুআল্লাফাতুহুন্না ফিত তারিখিল ইসলামিয়্যি ইত্যাদি আরো অসংখ্য কিতাব।
Comment