Announcement

Collapse
No announcement yet.

তাগুতদের নির্যাতনে আত্মগোপনে যাওয়া, সকল নবী-রাসূল এবং সালেহীনের অবিচ্ছিন্ন সুন্না

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তাগুতদের নির্যাতনে আত্মগোপনে যাওয়া, সকল নবী-রাসূল এবং সালেহীনের অবিচ্ছিন্ন সুন্না

    তাগুতদের নির্যাতনে আত্মগোপনে যাওয়া, সকল নবী-রাসূল এবং সালেহীনের অবিচ্ছিন্ন সুন্নাহ!


    তিরমিযী শরীফে বর্ণিত এক হাদীসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

    الْفَرَّارُونَ بِدِينِهِمْ، يَجْتَمِعُونَ إِلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ
    “নিজেদের দিন রক্ষার্থে পালিয়ে বেড়ানো ব্যক্তিরা হযরত ঈসা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম এর সাথে সম্মিলিত হবে।”

    তাগুতদের থেকে পালিয়ে বেড়ানো, সকল নবী ও সালেহীনের সুন্নাহ।
    এ বিষয়ে নিচে কয়েকটি ঘটনা বর্ণনা করা হচ্ছে।
    ১- মূসা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম মিশর থেকে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় বেরিয়ে পড়েছেন, ফেরাউনের ভয়ে।
    ২- আসহাবুল কাহাফ তথা গুহাবাসীগণ তাদের সময়কার তাগুত শাসকের নির্যাতনের ভয়ে গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, নিজেদের দ্বীন রক্ষার জন্য।
    ৩. স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাথী হযরত আবু বকর রাযি. গুহাতে আশ্রয় গ্রহন করেছিলেন।
    ৪- এমনি করে অনেক ইমাম ও উলামা জালেম ও তাগুতদের চোখ থেকে বাঁচার জন্য অনেক দূর দূর পালিয়ে চলে গেছেন। নিজেদের আবাসভূমি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
    যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছেন হযরত আহমদ ইবনে হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত হাসান বসরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
    এমনি করে আরো অনেক বড় বড় উলামা।

    তাই যদি পৃথিবী তোমার কাছে সংকুচিত হয়ে যায়, আশ্রয় দেওয়ার মত কাউকে খুঁজে না পাও, তাহলে বিশ্বাস করো আল্লাহ তোমাকে আশ্রয় দেবেন, তিনি তোমাকে সাহায্য করবেন।
    আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

    إِلَّا تَنصُرُوهُ فَقَدْ نَصَرَهُ اللَّهُ إِذْ أَخْرَجَهُ الَّذِينَ كَفَرُوا ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا فَأَنزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَيْهِ وَأَيَّدَهُ بِجُنُودٍ لَّمْ تَرَوْهَا وَجَعَلَ كَلِمَةَ الَّذِينَ كَفَرُوا السُّفْلَىٰ وَكَلِمَةُ اللَّهِ هِيَ الْعُلْيَا وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ ﴿التوبة: ٤٠﴾
    “যদি তোমরা তাকে (রসূলকে) সাহায্য না কর, তবে মনে রেখো, আল্লাহ তার সাহায্য করেছিলেন, যখন তাকে কাফেররা বহিষ্কার করেছিল, তিনি ছিলেন দু’জনের একজন, যখন তারা গুহার মধ্যে ছিলেন। তখন তিনি আপন সঙ্গীকে বললেন বিষন্ন হয়ো না, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। অতঃপর আল্লাহ তার প্রতি স্বীয় সান্তনা নাযিল করলেন এবং তাঁর সাহায্যে এমন বাহিনী পাঠালেন, যা তোমরা দেখনি। বস্তুতঃ আল্লাহ কাফেরদের মাথা নীচু করে দিলেন আর আল্লাহর কথাই সদা সমুন্নত এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” (সূরা তাওবা ৯: ৪০)



    সুতরাং বিচলিত হয়ো না। হে আমার ভাই! কারণ আল্লাহ তোমার সঙ্গে রয়েছেন।
    তুমি সুসংবাদ গ্রহণ করো স্থায়ী নিরাপত্তার। জীবনে যদি তুমি নিরাপত্তা নাও পেয়ে থাকো অসুবিধা নেই, কারণ আল্লাহ তাআলা তোমার জন্য নিরাপত্তা প্রস্তুত করে রেখেছেন, আখেরাতের প্রতিটি ঘাঁটিতে। তোমার কবরে, কেয়ামতের ময়দানে , কবরের কঠিন শাস্তি থেকে তুমি নিরাপদ। কেয়ামতের ভয়াবহ দিনের শাস্তি থেকে তুমি নিরাপদ*। সেদিন তুমি নিরাপত্তার' সাথে প্রবেশ করবে জান্নাতে চির নিরাপদ ভবনসমূহে।
    আল্লাহ তা‘আলা বলেন–

    فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ
    “সেদিন তাদের কোনো ভীতি থাকবে না এবং তারা বিচলিতও হবে না।”
    আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে যুগে যুগে তাওহীদের সাথে তাগুতদের আচরণ কেমন ছিল এবং সেক্ষেত্রে তাওহিদীদের ও জালিমদের শেষ ফল কেমন হয়েছিল, তা সুস্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন।
    আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

    وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِرُسُلِهِمْ لَنُخْرِجَنَّكُم مِّنْ أَرْضِنَا أَوْ لَتَعُودُنَّ فِي مِلَّتِنَا فَأَوْحَىٰ إِلَيْهِمْ رَبُّهُمْ لَنُهْلِكَنَّ الظَّالِمِينَ ﴿ابراهيم: ١٣﴾ وَلَنُسْكِنَنَّكُمُ الْأَرْضَ مِن بَعْدِهِمْ ذَٰلِكَ لِمَنْ خَافَ مَقَامِي وَخَافَ وَعِيدِ ﴿ابراهيم: ١٤﴾
    “কাফেররা পয়গম্বরগণকে বলেছিলঃ আমরা তোমাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেব অথবা তোমরা আমাদের ধর্মে ফিরে আসবে। তখন তাদের কাছে তাদের পালনকর্তা ওহী প্রেরণ করলেন যে, আমি জালিমদেরকে অবশ্যই ধ্বংস করে দেব। তাদের পর তোমাদেরকে দেশে আবাদ করব। এটা ঐ ব্যক্তি পায়, যে আমার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে এবং আমার আযাবের ওয়াদাকে ভয় করে।” (সূরা ইবরাহীম ১৪: ১৪)
    প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ থেকে আমরা আপনাদের সামনে সুসংবাদ বার্তা তুলে ধরছি। হযরত আনাস রাযি. বলেন- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে লক্ষ্য করে ইরশাদ করেন –

    " أنتم اليوم على بينة من ربكم ، تأمرون بالمعروف وتنهون عن المنكر وتجاهدون في سبيل الله ، ثم تظهر فيكم السكرتان ، سكرة الجهل وسكرة حب العيش ، وستحولون عن ذلك ، فلا تأمرون بمعروف ، ولا تنهون عن منكر ، ولا تجاهدون في سبيل الله ، القائمون يومئذ بالكتاب والسنة لهم أجر خمسين صديقا ، قالوا : يا رسول الله منا أو منهم ؟ قال: لا ، بل منكم " رواه أبو نُعيم وهو حديث صحيح
    “বর্তমানে তোমরা তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে সুস্পষ্ট অবস্থার উপর রয়েছো। তোমরা সৎকাজের আদেশ করছো অন্যায় থেকে বারণ করছ এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করছো। কিন্তু এরপরে তোমাদের মাঝে দু’টি বিপর্যয় দেখা দেবে। একটি হল মূর্খতা, অপরটি হল পার্থিব জীবনের প্রতি লালসা। তখন তোমরা সৎকাজের আদেশ করবে না, অসৎ কাজ থেকে বারণ করবে না এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে না। ওই সময় তোমাদের মধ্য থেকে যারা কিতাব ও সুন্নাহর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তাদের প্রতিদান হবে ৫০ জন সিদ্দীকের সমান। সাহাবাগণ প্রশ্ন করলেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ! ৫০ জন কি আমাদের মধ্য হতে না তাদের মধ্য হতে? বললেন না, বরং তোমাদের মধ্য হতে।” আবু নুআঈম বর্ণিত, হাদীসটি সহীহ।


    সুতরাং হে ভাই একটু লক্ষ্য করো! কুরবানী যতো বড়, প্রতিদানও তত বড়।



    ***************************
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

  • #2
    আল্লাহু আকবার কাবিরা সুবাহানাল্লাহ অনেক উপকারী লেখা আল্লাহ তা'য়াল আপনার ইলমের মান বাড়িয়ে দিক আমীন।

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ্..ঈমান জাগানিয়া আলোচনা..!! যা আমাদের জিহাদের চলার পথে নববি মানহাজের অনুসরণ এবং সর্বোত্তম কুরবাণীর অনুপ্রেরণা দান করবে ..ইনশাআল্লাহ্
      আল্লাহ তা’য়ালা ভাইয়ের ইলমে ও আমালে বারাকাহ্ দান করুন ..আমিন..।।
      যদি তোমরা জিহাদে বের না হও তবে তিনি তোমাদের কঠিন শাস্তি দিবেন এবং অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। আর তোমরা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (সূরা তাওবা, আয়াত: ৩৯)

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদের কাজগুলো কবুল করুন, আমীন।
        اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

        Comment


        • #5
          ''ওই সময় তোমাদের মধ্য থেকে যারা কিতাব ও সুন্নাহর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তাদের প্রতিদান হবে ৫০ জন সিদ্দীকের সমান। সাহাবাগণ প্রশ্ন করলেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ! ৫০ জন কি আমাদের মধ্য হতে না তাদের মধ্য হতে ? বললেন না, বরং তোমাদের মধ্য হতে।”

          আল্লাহু আকবর ! আল্লাহু আকবর ! আমাদের এত বড় মর্যাদা !

          ইয়া রাব্বুল আ'লামিন মেহেরবানী করে তুমি আমাদেরকে এই মর্যাদার উপযুক্ত বানিয়ে দাও।আমিন।
          এসো জিহাদ শিখি

          Comment


          • #6
            আল্লাহ তা‘আলা দুই ভয়কে একত্রিত করবেন না। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে ভয়কে সঙ্গী করে জীবন অতিবাহিত করেছে, সে আখিরাতে নির্ভয় থাকবে। যেমন: হকপন্থী উলামায়ে কেরাম ও মুজাহিদীন। যারা তাগুতের ভয়ে হককে গোপন করেন না। ববং হকের পথে নিজের জীবন কুরবান করে দেন।
            আর যে দুনিয়া নির্ভয়ে জীবন অতিবাহিত করেছে, তারা সেদিন ভয়ের মাঝে থাকবে। যেমন: তাগুতরা ও তাদের সঙ্গী-সাথীরা তথা তাদের বিভিন্ন বাহিনী। যারা জমিনে দম্ভ ভরে পদচারণা করে।
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment

            Working...
            X