জীবন নামের এই ফুল বাগানে, কিছু ফুল কলি থেকেই ঝরে যায়। আবার কিছু ফুল প্রস্ফুটিত হয়ে তাদের সুবাসে জনন্যে আকাশ-বাতাশ সুরভিত করেন। তেমনি দুনিয়া নামক এই ফুলবাগানে প্রত্যকটা বনী আদম একেকটা ফুল! কিন্তু কেউ কলি থেকেউ ঝরে যায়, কেউবা তাদের সুবাসে সারা দুনিয়াকে সুরভিত করেন।
প্রত্যেকটা আদম কলি! মাতৃকোলে যখন বাগানের লাল গোলাপটির মত চমকিতে থাকে; তখন তার পরশে হাসি-কান্নায় সবাই শরীক থাকে। তখনো কিন্তু সে জানেনা, সুদূর ভবিষ্যতে তার জীবনে কী আছে। আরো জানেনা জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কী! সফলতার রাজপথ কোনটি। সে পারবে কী চরিত্রের বলে বলিয়ান হয়ে, দুনিয়া থেকে আধুনিক জাহেলিয়াতের ঘোর অন্ধকার দূর করে সাদা-শুভ্রতার আলো ছড়াতে। তেমনি ভাবে আমরা দেখতে পাই। রোজ প্রত্যুষে বাগানে সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলগুলো দক্ষিণা বাতাসে দুলতে থাকে। রঙ বেরঙের টুনটুনি, বিচিত্র রকমের প্রজাপতি ও মৌমাছি মধু সংগ্রহ ব্যস্ত হয়ে উঠে। দর্শনাথীরা মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। এই ফুলেরও জন্ম-মৃত্যু ছুবহে-শাম-এর অবয়বে বাধা। তাও ফুল তার এই স্বল্প পরিসর জীবনে শত্রু-মিত্র সকলের বহু কল্যাণ সাধন করে। আর এই জন্যই সবাই ফুলকে ভালবাসে।
একই ভাবে মায়ের নিরাপদ আঁচলের নিচে আদম কলীর পাপড়ী গুলো একটু করে বড় হতে থাকে। তখন পিতামাতা তাদের আদরের দুলালকে মানব সমাজে অঙ্কুর থেকে পূর্ণ প্রস্ফুটিত করার জন্য শিক্ষার প্রয়োজনুভব করেন। ঠিক তখনই চিন্তাবিভ্রম ও ব্যাধিগ্রস্হ, সিদ্ধান্তের ছিদ্র দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার বিষাক্ত ছোবলে, কলি থেকেই মরে যায় বরং বলা যায় নিহত হয়, আর কঠিন করে বলা যা হত্যা করা হয়! এখানে হত্যাকৌশল এতো সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম যে মানুষকে জীবিত হত্যা করা হয়। বেঁচে থাকে শুধু খোলস-ধরতা। তাইতো দেখা যায়, তাদের চিন্তায় নেই চেতনার আলো, ভাবনা হয়ে পরে মোহগ্রস্ত! আর এই জন্যই তাদের কাছ থেকে কাটা বিধার যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় অনায়াসে। যেমনি ভাবে সহ্য করতে হচ্ছে আতার্তুক কামাল পাশা কর্তৃক মহান সুলতান আব্দুল হামিদ (রহঃ)-এর পদচ্যুত হওয়া ও উসমানি খিলাফতের...।
মহান সুলতান আব্দুল হামিদ (রহঃ) তাঁর খিলাফতের শেষ জীবনে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে একটি কথা বলেছিলেন যে,
তাতারীদের 'হালাকু খান' বাগদাদ ধ্বংস করে মুসলিম নিধনের যে পাশবিকতায় মেতে উঠেন, এবং হালাকু খান ইসলামের যত ক্ষতি করেছিলেন! এর চেয়ে সহস্র কোটি গুন বেশি ও অপূরণীয় ক্ষতি করেছেন কামাল পাশা। কামাল পাশা! পৃথিবীর যেই দেশেরই হোক প্রত্যেকটা মুমিন মুসলিম তোমাকে ধিক্কার দেয়। কথাগুলো যদিও অপ্রাসঙ্গিক কিন্তু জরুরি মনে করে লিখে দেওয়া হলো যাতে করে সবারই কলিজার তারে টান লাগে। নিজেদের ইতিহাস জানার জন্য। জীবন যদি সঙ্গ দেয় আগামীতে তালিবান, আল কায়িদা ও সাম্প্রতিক বিশ্ব সম্পর্কে লিখব ইনশাআল্লাহ! ফিরে আসি আদম কলির কাছে। পিতা-মাতা যদি ধার্মিক হয়, তখন তাদের সন্তানকে আসমানী ইলম ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাচ্চা উত্তরসূরি বানানোর জন্য মাদরাসায় পাঠান। শুরু হয় আদম কলির নতুন জীবন। এই আঙিনায় প্রত্যেকটা কাজকর্ম চলাফেরা পরিবর্তন ও নিয়মাফিক। এই বাগানে আদম কলি কখনো কখনো ধারণাতীত অঝোর ধারায় স্নেহ প্রীতি মাখা ভালোবাসা ও পরিচর্যা পান। আবার কখনো মালীর অযত্নে-অবহেলায় পূর্ণ প্রস্ফুটিত গোলাপটিও ঝরে যায়। প্রবেশ করে...! থাক কথাটি বড় যন্ত্রণাদায়ক। এই রকম অনেককে দেখেছি, শুনেছি, যাদের সম্ভাবনা ছিলো বড় কিছু হওয়ার। তাদের কিছু কথা কলমের খোঁচায় কাগজের বুকে লিখলাম যেন তাদের ও আপনাদের মাঝে সময়ের-দূরত্বের পরেও অন্তত দূর্বল হলেও সেতুবন্ধন থাকে। আর সবকথা সবসময় বলতেই নেই, কিছু কথা নিজের জন্য রেখে দিতে হয়। আমি চাই তাদের ম্লান, আম্লান সৃতিগুলো বেঁচে থাকুক, আমার মনের আঙিনায়।
যাইহোক, বড় আফসোস! হয় আজকে মাদরাসাগুলো বিরানভূমি হয়ে আছে। সব আছে তবুও যেনো কিছু নেই, বড় আকাল দরদ-ব্যথাওয়ালা দিলের। বিশ্বাস করো ভাই বড় আকাল! তবে একটা সত্যি কথা বলতেই হয়, সবসময় কলম ও কলবের প্রবাহ জারী হয়না, আর যখন হয় তখন বাঁধ দিতে নেই। বলেই ফেলি কেউ সমালোচনা করলে করুক। তাতে কী যায় আসে আমার। বর্তমান কওমি মাদরাসা গুলো মুজাহিদ আল্লামা কাশেম নানুতুবী (রহঃ)-এর "দেওবন্দ মূলনীতি"র উপর নেই। পদস্খলন ঘটেছে! তারপরও আমরা দেওবন্দী! বড় আশ্চার্যের ব্যাপার! (এটা আমার ধারণা। প্রকৃত বাস্তবতা আল্লাহই ভালো জানেন।) তাইতো জনৈক লেখক সত্য কথাটি চমৎকার করে বলেছেন-
দূর অতীতে তাঁরা ছিলো,
বর্তমানে যদিও দুর্লভ তবুও কিছু...
আর সুদূর ভবিষ্যৎ আপনাদের মেহনতের উপর ইন_শা_আল্লাহ্*!!!
প্রত্যেকটা আদম কলি! মাতৃকোলে যখন বাগানের লাল গোলাপটির মত চমকিতে থাকে; তখন তার পরশে হাসি-কান্নায় সবাই শরীক থাকে। তখনো কিন্তু সে জানেনা, সুদূর ভবিষ্যতে তার জীবনে কী আছে। আরো জানেনা জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কী! সফলতার রাজপথ কোনটি। সে পারবে কী চরিত্রের বলে বলিয়ান হয়ে, দুনিয়া থেকে আধুনিক জাহেলিয়াতের ঘোর অন্ধকার দূর করে সাদা-শুভ্রতার আলো ছড়াতে। তেমনি ভাবে আমরা দেখতে পাই। রোজ প্রত্যুষে বাগানে সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলগুলো দক্ষিণা বাতাসে দুলতে থাকে। রঙ বেরঙের টুনটুনি, বিচিত্র রকমের প্রজাপতি ও মৌমাছি মধু সংগ্রহ ব্যস্ত হয়ে উঠে। দর্শনাথীরা মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। এই ফুলেরও জন্ম-মৃত্যু ছুবহে-শাম-এর অবয়বে বাধা। তাও ফুল তার এই স্বল্প পরিসর জীবনে শত্রু-মিত্র সকলের বহু কল্যাণ সাধন করে। আর এই জন্যই সবাই ফুলকে ভালবাসে।
একই ভাবে মায়ের নিরাপদ আঁচলের নিচে আদম কলীর পাপড়ী গুলো একটু করে বড় হতে থাকে। তখন পিতামাতা তাদের আদরের দুলালকে মানব সমাজে অঙ্কুর থেকে পূর্ণ প্রস্ফুটিত করার জন্য শিক্ষার প্রয়োজনুভব করেন। ঠিক তখনই চিন্তাবিভ্রম ও ব্যাধিগ্রস্হ, সিদ্ধান্তের ছিদ্র দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার বিষাক্ত ছোবলে, কলি থেকেই মরে যায় বরং বলা যায় নিহত হয়, আর কঠিন করে বলা যা হত্যা করা হয়! এখানে হত্যাকৌশল এতো সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম যে মানুষকে জীবিত হত্যা করা হয়। বেঁচে থাকে শুধু খোলস-ধরতা। তাইতো দেখা যায়, তাদের চিন্তায় নেই চেতনার আলো, ভাবনা হয়ে পরে মোহগ্রস্ত! আর এই জন্যই তাদের কাছ থেকে কাটা বিধার যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় অনায়াসে। যেমনি ভাবে সহ্য করতে হচ্ছে আতার্তুক কামাল পাশা কর্তৃক মহান সুলতান আব্দুল হামিদ (রহঃ)-এর পদচ্যুত হওয়া ও উসমানি খিলাফতের...।
মহান সুলতান আব্দুল হামিদ (রহঃ) তাঁর খিলাফতের শেষ জীবনে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে একটি কথা বলেছিলেন যে,
'এখন তারা আমার মূল্য বুঝবে না, বুঝবে আমার মৃত্যুর পরে'!।
অথচ কামাল পাশা মুসলমানের সন্তান ছিলো; কিন্তু আমাদের জাত-শত্রুরা তাকে আরব জাতীয়তাবাদের স্লোগান উজ্জীবিত করে খিলাফত ধ্বংসে হাতলের মতো ব্যবহার করেছেন।তাতারীদের 'হালাকু খান' বাগদাদ ধ্বংস করে মুসলিম নিধনের যে পাশবিকতায় মেতে উঠেন, এবং হালাকু খান ইসলামের যত ক্ষতি করেছিলেন! এর চেয়ে সহস্র কোটি গুন বেশি ও অপূরণীয় ক্ষতি করেছেন কামাল পাশা। কামাল পাশা! পৃথিবীর যেই দেশেরই হোক প্রত্যেকটা মুমিন মুসলিম তোমাকে ধিক্কার দেয়। কথাগুলো যদিও অপ্রাসঙ্গিক কিন্তু জরুরি মনে করে লিখে দেওয়া হলো যাতে করে সবারই কলিজার তারে টান লাগে। নিজেদের ইতিহাস জানার জন্য। জীবন যদি সঙ্গ দেয় আগামীতে তালিবান, আল কায়িদা ও সাম্প্রতিক বিশ্ব সম্পর্কে লিখব ইনশাআল্লাহ! ফিরে আসি আদম কলির কাছে। পিতা-মাতা যদি ধার্মিক হয়, তখন তাদের সন্তানকে আসমানী ইলম ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাচ্চা উত্তরসূরি বানানোর জন্য মাদরাসায় পাঠান। শুরু হয় আদম কলির নতুন জীবন। এই আঙিনায় প্রত্যেকটা কাজকর্ম চলাফেরা পরিবর্তন ও নিয়মাফিক। এই বাগানে আদম কলি কখনো কখনো ধারণাতীত অঝোর ধারায় স্নেহ প্রীতি মাখা ভালোবাসা ও পরিচর্যা পান। আবার কখনো মালীর অযত্নে-অবহেলায় পূর্ণ প্রস্ফুটিত গোলাপটিও ঝরে যায়। প্রবেশ করে...! থাক কথাটি বড় যন্ত্রণাদায়ক। এই রকম অনেককে দেখেছি, শুনেছি, যাদের সম্ভাবনা ছিলো বড় কিছু হওয়ার। তাদের কিছু কথা কলমের খোঁচায় কাগজের বুকে লিখলাম যেন তাদের ও আপনাদের মাঝে সময়ের-দূরত্বের পরেও অন্তত দূর্বল হলেও সেতুবন্ধন থাকে। আর সবকথা সবসময় বলতেই নেই, কিছু কথা নিজের জন্য রেখে দিতে হয়। আমি চাই তাদের ম্লান, আম্লান সৃতিগুলো বেঁচে থাকুক, আমার মনের আঙিনায়।
যাইহোক, বড় আফসোস! হয় আজকে মাদরাসাগুলো বিরানভূমি হয়ে আছে। সব আছে তবুও যেনো কিছু নেই, বড় আকাল দরদ-ব্যথাওয়ালা দিলের। বিশ্বাস করো ভাই বড় আকাল! তবে একটা সত্যি কথা বলতেই হয়, সবসময় কলম ও কলবের প্রবাহ জারী হয়না, আর যখন হয় তখন বাঁধ দিতে নেই। বলেই ফেলি কেউ সমালোচনা করলে করুক। তাতে কী যায় আসে আমার। বর্তমান কওমি মাদরাসা গুলো মুজাহিদ আল্লামা কাশেম নানুতুবী (রহঃ)-এর "দেওবন্দ মূলনীতি"র উপর নেই। পদস্খলন ঘটেছে! তারপরও আমরা দেওবন্দী! বড় আশ্চার্যের ব্যাপার! (এটা আমার ধারণা। প্রকৃত বাস্তবতা আল্লাহই ভালো জানেন।) তাইতো জনৈক লেখক সত্য কথাটি চমৎকার করে বলেছেন-
"দেশের মাটি এখনো উর্বর আছে,
প্রয়োজন শুধু উন্নত বীজ ও দরদী কৃষকের"।
তবে এটাও সত্য কিছু হৃদয় আছে এখনো জ্বলে জোনাকির মতো। কাঁদে উম্মতের ব্যথায় ব্যথিত হয়ে, তাঁরা চেষ্টা করে উম্মতের জখমে দাওয়া প্রলেপ মেখে দিতে। প্রয়োজন শুধু উন্নত বীজ ও দরদী কৃষকের"।
দূর অতীতে তাঁরা ছিলো,
বর্তমানে যদিও দুর্লভ তবুও কিছু...
আর সুদূর ভবিষ্যৎ আপনাদের মেহনতের উপর ইন_শা_আল্লাহ্*!!!
Comment