Announcement

Collapse
No announcement yet.

বিয়ের উদ্দেশ্য কেমন হওয়া চাই।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বিয়ের উদ্দেশ্য কেমন হওয়া চাই।

    নাজমুদ্দীন আইয়ুব (রহ.)। সুলতান সালাহুদ্দীন আইয়ুবীর (রা.) পিতা। তার হাতে তিকরীতের শাসনভারের গুরুদায়িত্ব। কিন্তু বিয়ের বয়েস পেরিয়ে যাচ্ছে, তবুও বিয়ের নামগন্ধ নেই। এটা দেখে ভাই আসাদুদ্দীন শিরকূহ চিন্তিত হয়ে পড়লেন:

    -কিরে বিয়ে থা করবে না?

    -আমার মনমতো পাত্রী পাচ্ছি না তো।

    -আমি পাত্রী দেখবো তোমার জন্যে?

    -পাত্রীটা কে শুনি?

    -মালিক শাহের মেয়ে অথবা নিযামুল মুলকের মেয়ে?

    -নাহ, তারা আমার কাঙ্খিত পাত্রী নয়।

    -তা তোমার কাঙ্খিত পাত্রীর বৈশিষ্ট্য কী বলো তো!

    -আমি চাই একজন সুশীলা স্ত্রী, যে আমার হাত ধরে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। যে আমাকে একটি নেক সন্তান উপহার দিবে। সে-সন্তানকে যথাযথ লালন-পালন করে বড় করবে। বড় হয়ে সে ছেলে হবে একজন দুর্দান্ত ঘোড়সওয়ার, সাহসী মুজাহিদ। আরও বড় হয়ে যে মুসলমানদের জন্যে বায়তুল মুকাদ্দাস ফিরিয়ে আনবে।

    দুই:


    দু'ভাইয়ে যখন কথা হচ্ছিল, তারা ছিলেন তিকরীতে, যেরুযালেম থেকে অনেক অনেক দূরে। বায়তুল মুকাদ্দাস ছিল ক্রুশেডারদের হাতে। কিন্তু নাজমুদ্দীনের তনুমন পড়ে ছিল আল আকসার পানে। এমনকি নিজের বিয়েটা পর্যন্ত স্বপ্নের সাথে জড়িয়ে ফেলেছিলেন।

    আসাদুদ্দীন ভাইয়ের কথায় আশ্বস্ত হতে পারলেন না:

    -তুমি যেমন কনের আশায় বসে আছ, ইহজীবনে পাবে কিনা আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে।

    -যে ইখলাসের সাথে আল্লাহকে রাযি করার জন্যে কোনও নিয়্যাত করে, আল্লাহ তাকে তা দিয়ে দেন।

    উক্ত ঘটনার কয়েক দিন পর, নাজমুদ্দীন তিকরীতেরই এক শায়খের মজলিসে বসে আছেন। তার সাথে কথা বলছেন। এমন সময় এক যুবতী এসে পর্দার আড়াল থেকে শায়খকে সালাম দিল। শায়খ সালামের উত্তর দিয়ে বললেন:

    -তোমার জন্যে যে পাত্রটা পাঠিয়েছিলাম, তাকে তোমরা ফিরিয়ে দিলে কেন? কে কম কিসে?

    -শায়খ! আপনার পাঠানো পাত্র জ্ঞানে-গরিমায় কোনও অংশে ফেলনা নয়। রূপে-গুণে-পদে-অর্থেও বাছার মতো নয়।

    -তাহলে ফেরত দিলে কেন?

    -শায়খ! এই পাত্রের মধ্যে আমার কাঙ্খিত বৈশিষ্ট্য নেই।

    -তুমি কেমন পাত্র চাও?

    - আমি চাই একজন নেককার পাত্র, যে আমার হাত ধরে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। যে আমাকে একটি নেক সন্তান উপহার দিবে। সে সন্তানকে যথাযথ লালন-পালন করে বড় করবে। বড় হয়ে সে ছেলে হবে একজন দুর্দান্ত ঘোড়সওয়ার, সাহসী মুজাহিদ। আরও বড় হয়ে যে মুসলমানদের জন্যে বায়তুল মুকাদ্দাস ফিরিয়ে আনবে।

    নাজমুদ্দীন অবাক হয়ে দুজনের কথোপকথন শুনছিলেন মেয়েটার শেষ কথা শুনে তিনি একেবারে বাক্যহারা হয়ে গেলেন। দুইজন অপরিচিত মানুষের কথা এমন অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায় কী করে? তিনি ভাবনার অতলে হারিয়ে গিয়েছিলেন। হঠাৎ সম্বিত ফিরে পেয়েই বলে উঠলেন:

    -শায়খ! আমি এই পূণ্যবতী মানুষটাকে বিয়ে করতে চাই।

    -নাহ, তা কী করে সম্ভব! এই মেয়ে আমাদের মহল্লার সবচেয়ে গরীব ঘরের সন্তান। তুমি হলে আমাদের ওয়ালী! গভর্নর!

    নাজমুদ্দীন শায়খকে সব কথা খুলে বললেন। শায়খ সব শুনে অজান্তেই একটা আয়াত তিলাওয়াত করলেন:

    -তাঁর (আল্লাহর) অন্যতম একটা নিদর্শন হলো, তিনি তোমাদের জন্যে, তোমাদের থেকেই স্ত্রীদেরকে সৃষ্টি করেছেন। যেন তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি লাভ করতে পারো।

    দুইজন মহৎপ্রাণ যুবক-যুবতীর বিয়ে হয়ে গেল। আল্লাহ তা‘আলা তাদের ইখলাস ও নিয়্যাতের বরকতে তাদেরকে দান করলেন:

    = গাজী সালাহুদ্দীন আইয়ুবীকে (রহ.)।


    তিন:


    আমাদের বিয়ের উদ্দেশ্য কী হয়?

    আমরা কেন বিয়ে করি?

    আমাদের সন্তান জন্মদানের পেছনে কী নিয়্যাত থাকে?

    আসুন না, আমাদের বিয়ে ও সন্তান জন্মদান আরেকজন সালাহুদ্দীনের জন্যে হোক!

    মসজিদে আকসা আজ কাঁদছে।

    ইহুদিরা নিচ দিয়ে মাটি খুঁড়ে মাযলুম মসজিদকে ধ্বসিয়ে ফেলার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।

    কেউ কি আছেন?



    আর আমি কি করি? সর্বোচ্চ দ্বীনদার একটি পাত্রি তালাশ করি, যাতে দুনিয়াতে সুখে থাকতে পারি আর আখিরাতে কামিয়াব হতে পারি। কিন্তু ভালোর মধ্যেওতো একটা স্তর আছে। এটা ভালো ঠিক যেমন যেমন রুপা মূল্যবান, কিন্তু স্বর্ণ আরো মূল্যবান তার থেকেও মূল্যবান হীরা। আমার নিয়ত থাকে ঐ রূপা থেকেও নিম্নস্তরের! আল্লাহ আমাদের বড় বড় নিয়ত করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

    এরকম সবজায়গায় সবকাজে আমার নিয়ত এমন ছোট!
    কিন্তু আল্লাহপাক আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে প্রেরন করেছেন।
    আর এটার কারন এই যে আমরা সৎকাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করবো।
    তথা দ্বীনের সম্পূর্ণ জিম্মাদারি পালন করবো।

    একঃ নিয়ত সর্বোচ্চ হওয়া চাই।
    দুইঃ এর সাথে সর্বোচ্চ চেষ্টা। দ্বীনের মেহনতের জিম্মাদারী পৌছে দেয়া
    তিনঃ দোয়া করা।


    মহান রব্বুল কারীম ইব্রাহীম (আলাইহিসসালাম) এর দোয়ার বরকতে রসূল (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ইব্রাহীম (আলাইহিসসালামের) এর বংশ থেকে প্রেরন করেছেন।
    এখনতো আমরা নিয়ত করার হিম্মতই করতে পারিনা।
    চেষ্টা আর দোয়াতো পরে হবে....ইয়া রব্ব আমাদেরকে বড় বড় নিয়ত, চেষ্টা এবং দোয়া করার তৌফিক দান করুন।
    আমিন...

    হাতুড়ি তার উদ্দেশ্য পূরণের জন্য যেমন অপেক্ষমান থাকে আমাদের কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য পূরনের জন্য শুধু ওই বাক্সের ভিতরে অপেক্ষমান থাকলে চলবেনা বরং উদ্দেশ্যপূরনের সকল উপলক্ষ্য সঠিক ভাবে তৈরি করতে হবে।

    সবচেয়ে বড় যেটা সেটা হলো পাহাড় পরিমান ইমানের হিম্মত নিয়ে দাড়াতে হবে.....


    (collected & edited)

    রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

  • #2
    গাজী সালাহউদ্দিন যখন তার মায়ের গর্ভে তখন তার মা স্বপ্ন দেখলেন আল্লাহ তাকে একটি তরবারি দান করেছেন।
    যখন হিত্তিনের যুদ্ধে সালাহউদ্দিন আইয়ুবী (রঃ) সিরিয়া পুনরুদ্ধার করেন ক্রুশেডারদের নিকট থেকে। তখন মুসলিমরা তাকে বলছিল, হে সালাহউদ্দিন এবার একটু বিশ্রাম নিন একটু আরাম করুন। তিনি উত্তরে বলেছিলেন, কিভাবে খাবার আমার কাছে মজাদার হবে, পানি সুমিষ্ট হবে যখন বাইতুল মাকদিস ক্রুশেডারদের দখলে?
    রবের প্রতি বিশ্বাস যত শক্তিশালী হবে, অন্তরে শয়তানের মিত্রদের ভয় তত কমে যাবে।

    Comment


    • #3
      তিনি দুনিয়াকে এমন ভাবে ত্যাগ করেছিলেন যে, টাকা না থাকায় হজ্জটাও করতে পারেন নি। অথচ সুলতান !!!
      মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
      রোম- ৪৭

      Comment


      • #4
        সালাউদ্দিন আইউয়ুবি (রহঃ) এর জীবনি সর্ম্পকে জানুন......

        লিংকঃ http://anonym.to/?https://ia801608.u...SalahAdDin.mp3

        Comment

        Working...
        X