আলহামদুলিল্লাহ। ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা রাসূলিল্লাহ
আসসালামু আলাইকুম
এখানে অনেক সম্মানীত আলেম আছেন। তাঁদের সামনে কোন কিছু বলতে বা লিখতে সংকোচ লাগে। তবু একটি বিষয়ে আজ লিখছি।
ভায়েরা রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লোহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
"আখলিস দীনাকা, ইয়াকফীকা আল-আমালুল ক্বলীল"_ তিরমিযী
"তোমার দ্বীনকে (নিয়্যত) খালেস/ খাঁটি কর, নাজাতের জন্য অল্প আমলই যথেষ্ট হবে।"
যে কোন কাজের আগে নিয়্যত করা যে আমি এই কাজটি আল্লাহর জন্য করছি। তবে অল্প আমলেই অনেক সাওয়াব পাবেন ও নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে। নিয়্যত খাঁটি করা এটা সয়ং একটি বড় আমল।
ইমাম হাসান আল-বাসরী রহমতুল্লাহি আলাইহ বলেছেন:
" ওয়াল্লাহি! নিয়্যতকে খাঁটি করার চাইতে কঠিন আমল আমি পাইনি"
অন্য একজন সালাফ বলেছেন:
"মানুষ তার অভ্যাসগত কাজে নিয়্যতের কারণে সাওয়াব পেয়ে যায়, আর ইবাদতে নিয়্যতের কারণে (সহীহ নিয়্যতের অভাবে) কম সাওয়াব পায় বা পায় না"
তাই ভায়েরা, যে কোন কাজের আগে নিয়্যতকে একমাত্র আল্লাহর জন্য করি। ঘুমানো, ঘুম থেকে উঠা, জাগ্রত অবস্থা, দুনিয়াবী কাজ সবই আল্লাহর জন্য নিয়্যত করি। আমার দাঁড়ানো আল্লাহর জন্য, বসা আল্লাহর জন্য, খাওয়া আল্লাহর জন্য, না খাওয়া আল্লাহর জন্য, কথা বলা আল্লাহর জন্য, কথা না বলা আল্লাহর জন্য, চাকুরী আল্লাহর জন্য, পড়াশোনা আল্লাহর জন্য, আমার দৃষ্টি আল্লাহর জন্য, শ্রবন আল্লাহর জন্য, নড়াচড়া আল্লাহর জন্য, জ্ঞান আল্লাহর জন্য, চিন্তা আল্লাহর জন্য, ভালবাসা আল্লাহর জন্য, ঘৃণা আল্লাহর জন্য, আনন্দে থাকলে আল্লাহর শোকর, কষ্টে থাকলে সবর ও সাওয়াবের আশা, ইত্যাদি।
আল্লাহ তা'লা বলেছেন: যার মুটামুটি অর্থ:
"নিশ্চয় আমার নামায, আমার ক্বুরবানী, আমার মৃত্যু, আমার জীবন সবই আল্লাহ রব্বুল আলামীনের জন্য"
দ্বিতীয়ত,
নিয়্যতের প্রসার করা। যেমন অযু করছি, কিন্তু নিয়্যত হয়ত নামায পড়ব এ জন্য। বা ক্বুরআন পড়ব এ জন্য। কিন্তু, যদি নিয়্যত করি অযু করছি:
১. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য
২. নামাযের জন্য
৩. ক্বুরআন স্পর্ষ করে তিলাওয়াতের জন্য
৪. পবিত্র হওয়ার জন্য
৫. গুনাহ মাফের জন্য
একটি হাদিস থেকে জানা যায় সাহাবাদের যখনি কোন গুনাহ হয়ে যেত তারা অযু করতেন। কারণ অযু করলে (সগীরা) গুনাহ মাফ হয়।
৬. হাশরের দিন অযুর অংগসমূহ উজ্জ্বল হবে এ জন্য
৭. সুন্নত হিসেবে (অযু রাসূলের দেখানো একটি পথ এ জন্য)
৮. সর্বাবস্থায় অযু অবস্থায় থাকা সুন্নত এ জন্য
৯. ক্বুরআনের হুকম হিসেবে
১০. পরিষ্কার পরিচ্ছন হবার জন্য, (পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আর পবিত্রতা একই কথা নয়) ইত্যাদি।
আবার যখন অযু করে দুই রাকাত নফল নামায পড়ি নিয়্যত করি:
উপরে উল্লেখিত কিছু বিষয়ের সাথে আরও যোগ হবে:
১. এটি ইস্তিখারার সলাত (কোন একটি কাজের জন্য নিয়্যত করে নেই)
২. তাহিয়্যাতুল অযুর নামায
৩. হাযত (মনোবাসনা) পূরণের নামায
৪. তাওবার নামায
৫. রাতে হলে তাহাজ্জুদ নামায
এভাবে এক নামাযেই অনেক সওয়াব পাওয়া যাবে ইন-শা-আল্লাহ।
আল্লাহ ভুল ত্রুটি মাফ করুন ও সকলকে আমাল করার তাওফিক্ব দিন, আমিন।
ওয়া সল্লাল্লাহু আলা নাবিয়্যীনা মুহাম্মাদ।
আসসালামু আলাইকুম
এখানে অনেক সম্মানীত আলেম আছেন। তাঁদের সামনে কোন কিছু বলতে বা লিখতে সংকোচ লাগে। তবু একটি বিষয়ে আজ লিখছি।
ভায়েরা রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লোহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
"আখলিস দীনাকা, ইয়াকফীকা আল-আমালুল ক্বলীল"_ তিরমিযী
"তোমার দ্বীনকে (নিয়্যত) খালেস/ খাঁটি কর, নাজাতের জন্য অল্প আমলই যথেষ্ট হবে।"
যে কোন কাজের আগে নিয়্যত করা যে আমি এই কাজটি আল্লাহর জন্য করছি। তবে অল্প আমলেই অনেক সাওয়াব পাবেন ও নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে। নিয়্যত খাঁটি করা এটা সয়ং একটি বড় আমল।
ইমাম হাসান আল-বাসরী রহমতুল্লাহি আলাইহ বলেছেন:
" ওয়াল্লাহি! নিয়্যতকে খাঁটি করার চাইতে কঠিন আমল আমি পাইনি"
অন্য একজন সালাফ বলেছেন:
"মানুষ তার অভ্যাসগত কাজে নিয়্যতের কারণে সাওয়াব পেয়ে যায়, আর ইবাদতে নিয়্যতের কারণে (সহীহ নিয়্যতের অভাবে) কম সাওয়াব পায় বা পায় না"
তাই ভায়েরা, যে কোন কাজের আগে নিয়্যতকে একমাত্র আল্লাহর জন্য করি। ঘুমানো, ঘুম থেকে উঠা, জাগ্রত অবস্থা, দুনিয়াবী কাজ সবই আল্লাহর জন্য নিয়্যত করি। আমার দাঁড়ানো আল্লাহর জন্য, বসা আল্লাহর জন্য, খাওয়া আল্লাহর জন্য, না খাওয়া আল্লাহর জন্য, কথা বলা আল্লাহর জন্য, কথা না বলা আল্লাহর জন্য, চাকুরী আল্লাহর জন্য, পড়াশোনা আল্লাহর জন্য, আমার দৃষ্টি আল্লাহর জন্য, শ্রবন আল্লাহর জন্য, নড়াচড়া আল্লাহর জন্য, জ্ঞান আল্লাহর জন্য, চিন্তা আল্লাহর জন্য, ভালবাসা আল্লাহর জন্য, ঘৃণা আল্লাহর জন্য, আনন্দে থাকলে আল্লাহর শোকর, কষ্টে থাকলে সবর ও সাওয়াবের আশা, ইত্যাদি।
আল্লাহ তা'লা বলেছেন: যার মুটামুটি অর্থ:
"নিশ্চয় আমার নামায, আমার ক্বুরবানী, আমার মৃত্যু, আমার জীবন সবই আল্লাহ রব্বুল আলামীনের জন্য"
দ্বিতীয়ত,
নিয়্যতের প্রসার করা। যেমন অযু করছি, কিন্তু নিয়্যত হয়ত নামায পড়ব এ জন্য। বা ক্বুরআন পড়ব এ জন্য। কিন্তু, যদি নিয়্যত করি অযু করছি:
১. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য
২. নামাযের জন্য
৩. ক্বুরআন স্পর্ষ করে তিলাওয়াতের জন্য
৪. পবিত্র হওয়ার জন্য
৫. গুনাহ মাফের জন্য
একটি হাদিস থেকে জানা যায় সাহাবাদের যখনি কোন গুনাহ হয়ে যেত তারা অযু করতেন। কারণ অযু করলে (সগীরা) গুনাহ মাফ হয়।
৬. হাশরের দিন অযুর অংগসমূহ উজ্জ্বল হবে এ জন্য
৭. সুন্নত হিসেবে (অযু রাসূলের দেখানো একটি পথ এ জন্য)
৮. সর্বাবস্থায় অযু অবস্থায় থাকা সুন্নত এ জন্য
৯. ক্বুরআনের হুকম হিসেবে
১০. পরিষ্কার পরিচ্ছন হবার জন্য, (পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আর পবিত্রতা একই কথা নয়) ইত্যাদি।
আবার যখন অযু করে দুই রাকাত নফল নামায পড়ি নিয়্যত করি:
উপরে উল্লেখিত কিছু বিষয়ের সাথে আরও যোগ হবে:
১. এটি ইস্তিখারার সলাত (কোন একটি কাজের জন্য নিয়্যত করে নেই)
২. তাহিয়্যাতুল অযুর নামায
৩. হাযত (মনোবাসনা) পূরণের নামায
৪. তাওবার নামায
৫. রাতে হলে তাহাজ্জুদ নামায
এভাবে এক নামাযেই অনেক সওয়াব পাওয়া যাবে ইন-শা-আল্লাহ।
আল্লাহ ভুল ত্রুটি মাফ করুন ও সকলকে আমাল করার তাওফিক্ব দিন, আমিন।
ওয়া সল্লাল্লাহু আলা নাবিয়্যীনা মুহাম্মাদ।
Comment