বিখ্যাত যাহিদ(দুনিয়াত্যাগী),ইবাদতকারি,রোজাদার ও নামাজ আদায়কারি বিলাল ইবনে সাদ(রহিমাহুল্লাহ) এর কিছু বয়ানঃ
"আমাদের পাপিষ্ঠ সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট মহান আল্লাহ্* আমাদেরকে দুনিয়াবিমুখ হতে বলেছেন আর আমরা দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছি।
তোমার যে ভাই তোমার সঙ্গে সাক্ষাত হলে তোমাকে মহান আল্লাহ্*র নেয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং তোমাকে তোমার দোষ ধরিয়ে দেয়, সে তোমার নিকট ওই ভাই অপেক্ষা বেশী প্রিয় ও উত্তম, যে তোমার সঙ্গে সাক্ষাত হলে তোমার নিকট কিছু দীনার ধরিয়ে দেয়।
প্রকাশ্যে মহান আল্লাহ্*র বন্ধু আর গোপনে শত্রু এমন হয়ো না। আবার প্রকাশ্যে শয়তান,নফস-প্রবৃত্তির শত্রু আর গোপনে তাদের বন্ধু হয়ো না। তুমি দুই মুখ এবং দুই যবানওয়ালা হয়ো না যে,প্রশংসা লাভের উদ্দেশ্যে মানুষের সামনে প্রকাশ করবে তুমি মহান আল্লাহকে ভয় কর অথচ তোমার অন্তর পাপাচারি।
হে মানবমণ্ডলী তোমরা ধংস হওয়ার জন্য সৃষ্টি হওনি। তোমাদের সৃষ্টি চিরদিন বেঁচে থাকার জন্য কিন্তু তোমরা এক গৃহ থেকে অন্য গৃহে স্থানান্তরিত হচ্ছো শুধু। যেমন স্থানান্তরিত হয়েছো মেরুদণ্ড থেকে জরায়ুতে , তারপর জরায়ু থেকে দুনিয়াতে, দুনিয়া থেকে কবরে ,কবর থেকে হাশরে।তারপর হাশর থেকে জান্নাতে কিংবা জাহান্নামে।
হে রহমানের বান্দাগন ! তোমাদের কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তুমি কি মৃত্যু কে ভালোবাসো?সে বলে না! তারপর যদি জিজ্ঞেস করা হয় কেন? সে বলে আমল করার জন্য। তারপর যদি বলা হয়, ঠিক আছে, আমল কর। বলে এই তো শুরু করছি। তার অর্থ এই দাঁড়ালো যে সে মৃত্যুকে ও ভালবাসে না,আমল করা ও পছন্দ করে না। তার নিকট প্রিয় হল সে মহান আল্লাহ্*র আমল কে বিলম্বিত করবে কিন্তু মহান আল্লাহ্* তার থেকে দুনিয়ার স্বার্থ বিলম্বিত করুন, তা তার পছন্দ নয়।
আমল শুরু করার আগে দেখে নাও আমল দ্বারা তোমাদের উদ্দেশ্য কি? যদি তা একনিষ্ঠভাবে মহান আল্লাহ্*র জন্য হয় তাহলে আমল করতে থাক।আর যদি গায়রুল্লাহর জন্য হয় তাহলে অযথা নিজেকে কষ্টে ফেল না। কারন মহান আল্লাহ্* খাঁটি আমল ছাড়া কবুল করেন না।
তুমি যদি কাউকে আত্মম্ভরিতার সাথে হঠকারিতাবশত প্রার্থনা/দুয়া পরিহার করতে দেখো, তাহলে বুজবে তার অবক্ষয়/ধ্বংস পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।"
ইমাম আওযাই(রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ
দামেশকের মানুষ পানির জন্য প্রার্থনা করতে বেড়িয়ে আসে, বিলাল ইবনে সাদ তাদের সম্মুখে দাঁড়িয়ে বললেন, হে উপস্থিত লোকসকল! তোমরা কি অপরাধ শিকার করছ ? তারা বলল হ্যাঁ।
তিনি তখন বললেন হে আল্লাহ্* তুমি বলেছ সৎকর্মপরায়নদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নাই।
আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করেছি। অতএব তুমি আমাদের পাপ মোচন কর ও আমাদেরকে ক্ষমা কর।
আওযাই(রহিমাহুল্লাহ) বলেন, ফলে সেদিনই তারা পানি পেয়ে যায়।
[ইবনে আসাকির(রহিমাহুল্লাহ) সুত্রে বর্ণিত, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া কিতাব এর ১০ম খণ্ড থেকে]
"আমাদের পাপিষ্ঠ সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট মহান আল্লাহ্* আমাদেরকে দুনিয়াবিমুখ হতে বলেছেন আর আমরা দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছি।
তোমার যে ভাই তোমার সঙ্গে সাক্ষাত হলে তোমাকে মহান আল্লাহ্*র নেয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং তোমাকে তোমার দোষ ধরিয়ে দেয়, সে তোমার নিকট ওই ভাই অপেক্ষা বেশী প্রিয় ও উত্তম, যে তোমার সঙ্গে সাক্ষাত হলে তোমার নিকট কিছু দীনার ধরিয়ে দেয়।
প্রকাশ্যে মহান আল্লাহ্*র বন্ধু আর গোপনে শত্রু এমন হয়ো না। আবার প্রকাশ্যে শয়তান,নফস-প্রবৃত্তির শত্রু আর গোপনে তাদের বন্ধু হয়ো না। তুমি দুই মুখ এবং দুই যবানওয়ালা হয়ো না যে,প্রশংসা লাভের উদ্দেশ্যে মানুষের সামনে প্রকাশ করবে তুমি মহান আল্লাহকে ভয় কর অথচ তোমার অন্তর পাপাচারি।
হে মানবমণ্ডলী তোমরা ধংস হওয়ার জন্য সৃষ্টি হওনি। তোমাদের সৃষ্টি চিরদিন বেঁচে থাকার জন্য কিন্তু তোমরা এক গৃহ থেকে অন্য গৃহে স্থানান্তরিত হচ্ছো শুধু। যেমন স্থানান্তরিত হয়েছো মেরুদণ্ড থেকে জরায়ুতে , তারপর জরায়ু থেকে দুনিয়াতে, দুনিয়া থেকে কবরে ,কবর থেকে হাশরে।তারপর হাশর থেকে জান্নাতে কিংবা জাহান্নামে।
হে রহমানের বান্দাগন ! তোমাদের কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তুমি কি মৃত্যু কে ভালোবাসো?সে বলে না! তারপর যদি জিজ্ঞেস করা হয় কেন? সে বলে আমল করার জন্য। তারপর যদি বলা হয়, ঠিক আছে, আমল কর। বলে এই তো শুরু করছি। তার অর্থ এই দাঁড়ালো যে সে মৃত্যুকে ও ভালবাসে না,আমল করা ও পছন্দ করে না। তার নিকট প্রিয় হল সে মহান আল্লাহ্*র আমল কে বিলম্বিত করবে কিন্তু মহান আল্লাহ্* তার থেকে দুনিয়ার স্বার্থ বিলম্বিত করুন, তা তার পছন্দ নয়।
আমল শুরু করার আগে দেখে নাও আমল দ্বারা তোমাদের উদ্দেশ্য কি? যদি তা একনিষ্ঠভাবে মহান আল্লাহ্*র জন্য হয় তাহলে আমল করতে থাক।আর যদি গায়রুল্লাহর জন্য হয় তাহলে অযথা নিজেকে কষ্টে ফেল না। কারন মহান আল্লাহ্* খাঁটি আমল ছাড়া কবুল করেন না।
তুমি যদি কাউকে আত্মম্ভরিতার সাথে হঠকারিতাবশত প্রার্থনা/দুয়া পরিহার করতে দেখো, তাহলে বুজবে তার অবক্ষয়/ধ্বংস পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।"
ইমাম আওযাই(রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ
দামেশকের মানুষ পানির জন্য প্রার্থনা করতে বেড়িয়ে আসে, বিলাল ইবনে সাদ তাদের সম্মুখে দাঁড়িয়ে বললেন, হে উপস্থিত লোকসকল! তোমরা কি অপরাধ শিকার করছ ? তারা বলল হ্যাঁ।
তিনি তখন বললেন হে আল্লাহ্* তুমি বলেছ সৎকর্মপরায়নদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নাই।
আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করেছি। অতএব তুমি আমাদের পাপ মোচন কর ও আমাদেরকে ক্ষমা কর।
আওযাই(রহিমাহুল্লাহ) বলেন, ফলে সেদিনই তারা পানি পেয়ে যায়।
[ইবনে আসাকির(রহিমাহুল্লাহ) সুত্রে বর্ণিত, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া কিতাব এর ১০ম খণ্ড থেকে]
Comment