বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালাতু আসসালামু ওলা রাসুলিল্লাহ ওয়া আসহাবিহি আজমাঈন, আম্মাবাদ
প্রিয় ভাই আমরা অনেকেই হয়তো সুরা ইয়াসিন প্রতিদিন সকালে পাঠ করে থাকি।এই সুরার ফাযায়েল অনেক। তার মাঝে একটি হল একবার পড়লে ১০ খতম কুরআন পড়ার সওয়াব। কেউ কেউ এই সুরা থেকে আসমান ও জমিনের সৃষ্টির অনেক রহস্যের কথা বের করি। বিজ্ঞান ও কুরআন এর আলোচনা করলে ঘুরে ফিরেই আল কুরআনের এই সুরার বিভিন্ন আয়াত চলে আসে। কিন্তু এই সুরার একটি ঘটনার কিছু আয়াত বড়ই মাজলুম। আজ যেন এর উপর আমল করার মানুষ নেই, বললেই চলে।
এই আয়াতসমুহ শুরু হয়েছে সুরা ইয়াসিনের ১৩ নং আয়াত থেকে শেষ হয়েছে ২৯ নং আয়াতে গিয়ে।
কি বলা হয়েছে এই আয়াত সমুহে? এটি ছিল একটি জনপদের ঘটনা যারা পাপাচারি ছিল তাদের কাছে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল প্রথমে ২ জন নবী (আঃ) এবং পরে তাদের সাহায্যকারী হিসেবে আরও ১ জন নবী (আঃ)কে পাঠান যাতে করে সেই জনপদের লোকেরা হেদায়েতের অনুসরণ করে। তো সেই কাফের সম্প্রদায় কি করেছিল? তারা হেদায়তের অনুসরন তো করেই নি বরঞ্চ নবী (আঃ)গনকে অত্যাচার শুরু করে দেয়। দ্বীনের, নবী (আঃ) গনের এই বিপদ দেখে সেই নগরের প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে আসে এবং সেই কাফের কউমকে বলে কেন তারা নবী (আঃ)গনের অনুসরণ করছে না, যখন তারা তাদের ভালো চায় এবং তারা বিনিময়ে কোন প্রতিদান চায় না। আর সেই ব্যক্তি ৩জন নবী (আঃ)গনকে তার ঈমানের সাক্ষ্য প্রদান করে। ব্যাস এইটুকর কারণেই সেই মহৎ ব্যক্তিকে শহীদ করে দেওয়া হয়ে। ( বিস্তারিত ঘটনা তাফসীর ইবনে কাসিরে পাবেন)
প্রিয় ভাই এই ঘটনা কি এই জন্যই আল্লাহ আমাদের জানিয়েছেন যে আমরা এটি শুনবো, পড়বো আর এই ঘটনা বর্ণনা করে কান্না করবো? আর কি কোন উদ্দেশ্য নেই? আমরা কি সেই মহৎ ব্যক্তির মত হতে পারি না? এই শিক্ষা কি আমরা নিতে পারি না? যখন দ্বীনের সম্মানে আঘাত আসছিল,যখন নবী (আঃ)গনের সম্মানে আঘাত আসছিল তখন সেই ব্যক্তি কি করেছিলেন? তিনি কি নিজের দরগা, খানকাহ, মাদ্রাসা, ক্যারিয়ার নিয়ে নিজ বাসাতেই পরে ছিলেন, বা তিনি কি মজে ছিলেন নিজের পরিবার, আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে? তথাকথিক হেকমত আর সহিহ আকিদার শিক্ষা দিতে কি পরে ছিলেন? তিনি কি বলেছিলেন আগে ঈমান পাকা করবো তারপর আকিদা সহিহ করবো তারপর দ্বীনের জন্য কথা বলবো?? না ভাই। তিনি এমন কিছুই করেন নি।
তিনি ছিলেন সহজ সরল এক ব্যক্তি, যার মাঝে কথিত হেকমত ছিল না, ছিল না আকিদা সহিহ করার নামে দ্বীনের অবমাননা দেখে চুপ থাকার বাহানা। আর তাই তো আল্লাহ আযযা ওয়া জাল তার ঘটনা আল কুরআনে বর্ণনা করেছেন আর যেন আমাদের শিক্ষা দিচ্ছেন হে আমার গোলামরা তোমরা আমার এই গোলামের মত হয়ে যাও, যখনই দ্বীনের সম্মানে, নবী (সাঃ)এর সম্মানে আঘাত আসবে তখনই সকল মাসলাহাত,কথিত হেকমত, আর আকিদা সহিহ করার নামে পশ্চাদপসারন করা বন্ধ কর, সেই কাফেরদের জবাই কর নিজের জীবন বিলিয়ে দেও আর যদি সেই আল্লাহ দ্রোহীদের জীবন তুমি না নিতে পারো তবে আমি এক বাহিনী প্রেরন করবো যারা তোমার রক্তের প্রতিশোধ নিবে।
হে আমার ভাই আল্লাহ আমাদের রক্ত বৃথা যেতে দিবেন না। তিনি আমাদের রক্তের বদলা নিবেন, যদিও আমাদের রক্তে অনেক গুনাহ মিশে আছে। হে আমার ভাই যদি দাওয়াহ দিতে গিয়ে/ জিহাদ করতে গিয়ে আপনি শহীদ হয়ে যান তবে আপনি চিন্তা করবেন না। কারন আল্লাহ এই কাফেরদের হত্যা করবেনই। তিনি হয়তো আবাবিল পাঠাবেন না, কিন্তু ঠিকই কাকা ইবন আমের আর খালিদ বিন ওয়ালিদদের পাঠিয়ে দিবেন।
হে আমার ভাই সুরা ইয়াসিন শুধু বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্যই আল্লাহ নাযিল করেন নি, বা নাযিল হয় নি শুধুই ঝাড়ফুকের জন্য। আল্লাহ তো আমাদেরকে এই কিতাব দিয়েছেন গাইড লাইন হিসেবে। সকল সমস্যার সমাধান হিসেবে। আজ এই বাংলার জমিনে যদি দ্বীনের অবমাননা, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর অবমাননা একটি ফিতনা হয় তবে এর সমাধান তো নিতে হবে আল কুরআন থেকেই...
আল্লাহ আমাদের সবাইকে আল কুরআন বুঝে পড়ার এবং এর গভীর বুঝ হাসিল করার তৌফিক দান করুন।
আমিন।
আসসালাতু আসসালামু ওলা রাসুলিল্লাহ ওয়া আসহাবিহি আজমাঈন, আম্মাবাদ
প্রিয় ভাই আমরা অনেকেই হয়তো সুরা ইয়াসিন প্রতিদিন সকালে পাঠ করে থাকি।এই সুরার ফাযায়েল অনেক। তার মাঝে একটি হল একবার পড়লে ১০ খতম কুরআন পড়ার সওয়াব। কেউ কেউ এই সুরা থেকে আসমান ও জমিনের সৃষ্টির অনেক রহস্যের কথা বের করি। বিজ্ঞান ও কুরআন এর আলোচনা করলে ঘুরে ফিরেই আল কুরআনের এই সুরার বিভিন্ন আয়াত চলে আসে। কিন্তু এই সুরার একটি ঘটনার কিছু আয়াত বড়ই মাজলুম। আজ যেন এর উপর আমল করার মানুষ নেই, বললেই চলে।
এই আয়াতসমুহ শুরু হয়েছে সুরা ইয়াসিনের ১৩ নং আয়াত থেকে শেষ হয়েছে ২৯ নং আয়াতে গিয়ে।
কি বলা হয়েছে এই আয়াত সমুহে? এটি ছিল একটি জনপদের ঘটনা যারা পাপাচারি ছিল তাদের কাছে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল প্রথমে ২ জন নবী (আঃ) এবং পরে তাদের সাহায্যকারী হিসেবে আরও ১ জন নবী (আঃ)কে পাঠান যাতে করে সেই জনপদের লোকেরা হেদায়েতের অনুসরণ করে। তো সেই কাফের সম্প্রদায় কি করেছিল? তারা হেদায়তের অনুসরন তো করেই নি বরঞ্চ নবী (আঃ)গনকে অত্যাচার শুরু করে দেয়। দ্বীনের, নবী (আঃ) গনের এই বিপদ দেখে সেই নগরের প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে আসে এবং সেই কাফের কউমকে বলে কেন তারা নবী (আঃ)গনের অনুসরণ করছে না, যখন তারা তাদের ভালো চায় এবং তারা বিনিময়ে কোন প্রতিদান চায় না। আর সেই ব্যক্তি ৩জন নবী (আঃ)গনকে তার ঈমানের সাক্ষ্য প্রদান করে। ব্যাস এইটুকর কারণেই সেই মহৎ ব্যক্তিকে শহীদ করে দেওয়া হয়ে। ( বিস্তারিত ঘটনা তাফসীর ইবনে কাসিরে পাবেন)
প্রিয় ভাই এই ঘটনা কি এই জন্যই আল্লাহ আমাদের জানিয়েছেন যে আমরা এটি শুনবো, পড়বো আর এই ঘটনা বর্ণনা করে কান্না করবো? আর কি কোন উদ্দেশ্য নেই? আমরা কি সেই মহৎ ব্যক্তির মত হতে পারি না? এই শিক্ষা কি আমরা নিতে পারি না? যখন দ্বীনের সম্মানে আঘাত আসছিল,যখন নবী (আঃ)গনের সম্মানে আঘাত আসছিল তখন সেই ব্যক্তি কি করেছিলেন? তিনি কি নিজের দরগা, খানকাহ, মাদ্রাসা, ক্যারিয়ার নিয়ে নিজ বাসাতেই পরে ছিলেন, বা তিনি কি মজে ছিলেন নিজের পরিবার, আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে? তথাকথিক হেকমত আর সহিহ আকিদার শিক্ষা দিতে কি পরে ছিলেন? তিনি কি বলেছিলেন আগে ঈমান পাকা করবো তারপর আকিদা সহিহ করবো তারপর দ্বীনের জন্য কথা বলবো?? না ভাই। তিনি এমন কিছুই করেন নি।
তিনি ছিলেন সহজ সরল এক ব্যক্তি, যার মাঝে কথিত হেকমত ছিল না, ছিল না আকিদা সহিহ করার নামে দ্বীনের অবমাননা দেখে চুপ থাকার বাহানা। আর তাই তো আল্লাহ আযযা ওয়া জাল তার ঘটনা আল কুরআনে বর্ণনা করেছেন আর যেন আমাদের শিক্ষা দিচ্ছেন হে আমার গোলামরা তোমরা আমার এই গোলামের মত হয়ে যাও, যখনই দ্বীনের সম্মানে, নবী (সাঃ)এর সম্মানে আঘাত আসবে তখনই সকল মাসলাহাত,কথিত হেকমত, আর আকিদা সহিহ করার নামে পশ্চাদপসারন করা বন্ধ কর, সেই কাফেরদের জবাই কর নিজের জীবন বিলিয়ে দেও আর যদি সেই আল্লাহ দ্রোহীদের জীবন তুমি না নিতে পারো তবে আমি এক বাহিনী প্রেরন করবো যারা তোমার রক্তের প্রতিশোধ নিবে।
হে আমার ভাই আল্লাহ আমাদের রক্ত বৃথা যেতে দিবেন না। তিনি আমাদের রক্তের বদলা নিবেন, যদিও আমাদের রক্তে অনেক গুনাহ মিশে আছে। হে আমার ভাই যদি দাওয়াহ দিতে গিয়ে/ জিহাদ করতে গিয়ে আপনি শহীদ হয়ে যান তবে আপনি চিন্তা করবেন না। কারন আল্লাহ এই কাফেরদের হত্যা করবেনই। তিনি হয়তো আবাবিল পাঠাবেন না, কিন্তু ঠিকই কাকা ইবন আমের আর খালিদ বিন ওয়ালিদদের পাঠিয়ে দিবেন।
হে আমার ভাই সুরা ইয়াসিন শুধু বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্যই আল্লাহ নাযিল করেন নি, বা নাযিল হয় নি শুধুই ঝাড়ফুকের জন্য। আল্লাহ তো আমাদেরকে এই কিতাব দিয়েছেন গাইড লাইন হিসেবে। সকল সমস্যার সমাধান হিসেবে। আজ এই বাংলার জমিনে যদি দ্বীনের অবমাননা, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর অবমাননা একটি ফিতনা হয় তবে এর সমাধান তো নিতে হবে আল কুরআন থেকেই...
আল্লাহ আমাদের সবাইকে আল কুরআন বুঝে পড়ার এবং এর গভীর বুঝ হাসিল করার তৌফিক দান করুন।
আমিন।
Comment