বিখ্যাত তাবেয়ী শাইখ সুফিয়ান আস-সাওরীকে রাহঃ একবার প্রশ্ন করা হলঃ
আল্লাহকে ভালোবাসার অর্থ কি?
উত্তরে তিনি বলেন-
'প্রতিটি সুন্দর চেহারা, সুমধুর আওয়াজ ও সুললিত বানীর (অর্থাৎ কবিতা বা সংগীতের) প্রতি আকৃষ্ট না হওয়া।'
হে মুমিন!
আল্লাহ তোমাকে তাওফিক দান করুন- তুমি দৃষ্টির অনিষ্টতা থেকে নিজেকে বাঁচাও!
এ দৃষ্টি অতীতে বহু ইবাদতকারীকেই ধ্বংস করেছে! কত পরহেজগার মুত্তাকীকে দ্বীন থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে!
তুমি দৃষ্টির হেফাজত কর! কারণ, দৃষ্টিই হল সব বিপদের মূল কারণ।
তবে শুরুতে তার চিকিৎসা করা সহজ। কিন্তু যদি তা বার বার হয়ে থাকে,তখন তা শক্তিশালী ব্যাধিতে পরিণত হয়; তার চিকিৎসা আর সহজ
হয় না, তখন তার চিকিৎসা খুবই কষ্টকর।
ইয়াহইয়া বিন মু'আয রাহিমাহুল্লাহ একবার এভাবে দুয়া করলেন যে-
ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে মুনাজাতে দুয়া না করলে রাত ভালো কাটে না,
আপনার ইবাদতে মশগুল না থাকলে দিন ভালো লাগে না,
আপনার স্বরন (যিকর) ছাড়া দুনিয়াতে থাকতে ইচ্ছা করে না,
আপনার ক্ষমা ছাড়া পরকালে পার হতে পারবো না,
আপনার সাক্ষাৎ ছাড়া জান্নাত আমার লাগবে না।
.
'ক্বালব' শব্দটি হচ্ছে একটি আরবী শব্দ। আর এই ক্বালব শব্দটি এসেছে মূল আরবী 'তাক্বাল্লুব' শব্দটি থেকে। যার অর্থ হল ফুটন্ত পানি। একটি
পাত্রে ফুটন্ত পানি যেমন বার বার উঠা-নামা (এমন কিছু যা ঘন ঘন পরিবর্তনশীল) করে আমাদের অন্তরটাও ঠিক তেমনই।
এটার সবচাইতে সুন্দর উদাহরন হচ্ছে একটি ছোট্ট শিশু। যে খিল খিল করে হাসতে থাকে আবার পরক্ষণেই কান্নাকাটি আরম্ভ করে দেয়।
আর তাই আমাদের প্রিয়নবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রায়ই এই বলে দুয়া করতেন যে-
.
يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِى عَلَى دِينِكَ
ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলুব সাব্বিত ক্বালবী আলা দ্বীনিকা।
হে অন্তর পরিবর্তনকারী (রব), আমাদের অন্তরগুলোকে আপনার দ্বীনের প্রতি অবিচল রাখুন।
তাবে-তাবেয়িন আবু সুলাইমান দারানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন-
পৃথিবীর সাথে এমনভাবে ঘনিষ্ঠ হয়ো না যেন তোমার আখিরাত ধবংস হয়ে যায়,
আবার পৃথিবীকে এমনভাবে পরিত্যাগ করো না যেন তুমি মানুষের(মা-বাবা, সমাজের) বোঝা হয়ে যাও।
কোন ন্যায়-নীতিহীন গুনাহগার লোকের ওপর আল কুর’আন যে কতোটা ভারি!
আর ভণ্ড মুনাফিকের জন্য সালাত আর ইবাদত যে কতোটা কঠিন?
নামাজ তো মুনাফিকের জন্য এতোটাই কঠিন, যে তুমি দেখবে সে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে লিখছে, দাঁড়িয়ে আছে কিংবা কথা বলছে, অথচ যেই
না সে ইমামের পেছনে মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য জামাতে দাঁড়ায়, ওমনি তার মনে হয় যেন তার বুকের ওপর কেউ পাহাড় বসিয়ে দিয়েছে!
এই হলো মনের রোগ, আল্লাহর কাছে আমরা মনের রোগ থেকে পানাহ চাই।
আল্লাহকে ভালোবাসার অর্থ কি?
উত্তরে তিনি বলেন-
'প্রতিটি সুন্দর চেহারা, সুমধুর আওয়াজ ও সুললিত বানীর (অর্থাৎ কবিতা বা সংগীতের) প্রতি আকৃষ্ট না হওয়া।'
- (আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রাহঃ রচিত আল-মুনাব্বিহাত থেকে)
==============================হে মুমিন!
আল্লাহ তোমাকে তাওফিক দান করুন- তুমি দৃষ্টির অনিষ্টতা থেকে নিজেকে বাঁচাও!
এ দৃষ্টি অতীতে বহু ইবাদতকারীকেই ধ্বংস করেছে! কত পরহেজগার মুত্তাকীকে দ্বীন থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে!
তুমি দৃষ্টির হেফাজত কর! কারণ, দৃষ্টিই হল সব বিপদের মূল কারণ।
তবে শুরুতে তার চিকিৎসা করা সহজ। কিন্তু যদি তা বার বার হয়ে থাকে,তখন তা শক্তিশালী ব্যাধিতে পরিণত হয়; তার চিকিৎসা আর সহজ
হয় না, তখন তার চিকিৎসা খুবই কষ্টকর।
(ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ)
==============================ইয়াহইয়া বিন মু'আয রাহিমাহুল্লাহ একবার এভাবে দুয়া করলেন যে-
ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে মুনাজাতে দুয়া না করলে রাত ভালো কাটে না,
আপনার ইবাদতে মশগুল না থাকলে দিন ভালো লাগে না,
আপনার স্বরন (যিকর) ছাড়া দুনিয়াতে থাকতে ইচ্ছা করে না,
আপনার ক্ষমা ছাড়া পরকালে পার হতে পারবো না,
আপনার সাক্ষাৎ ছাড়া জান্নাত আমার লাগবে না।
.
(আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রাহিমাহুল্লাহ এর আল মুনাব্বিহাত থেকে)
=============================='ক্বালব' শব্দটি হচ্ছে একটি আরবী শব্দ। আর এই ক্বালব শব্দটি এসেছে মূল আরবী 'তাক্বাল্লুব' শব্দটি থেকে। যার অর্থ হল ফুটন্ত পানি। একটি
পাত্রে ফুটন্ত পানি যেমন বার বার উঠা-নামা (এমন কিছু যা ঘন ঘন পরিবর্তনশীল) করে আমাদের অন্তরটাও ঠিক তেমনই।
এটার সবচাইতে সুন্দর উদাহরন হচ্ছে একটি ছোট্ট শিশু। যে খিল খিল করে হাসতে থাকে আবার পরক্ষণেই কান্নাকাটি আরম্ভ করে দেয়।
আর তাই আমাদের প্রিয়নবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রায়ই এই বলে দুয়া করতেন যে-
.
يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِى عَلَى دِينِكَ
ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলুব সাব্বিত ক্বালবী আলা দ্বীনিকা।
হে অন্তর পরিবর্তনকারী (রব), আমাদের অন্তরগুলোকে আপনার দ্বীনের প্রতি অবিচল রাখুন।
(শাইখ আনোয়ার আল আওলাকি রাহিমাহুল্লাহ)
==============================তাবে-তাবেয়িন আবু সুলাইমান দারানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন-
পৃথিবীর সাথে এমনভাবে ঘনিষ্ঠ হয়ো না যেন তোমার আখিরাত ধবংস হয়ে যায়,
আবার পৃথিবীকে এমনভাবে পরিত্যাগ করো না যেন তুমি মানুষের(মা-বাবা, সমাজের) বোঝা হয়ে যাও।
(আল মুনাব্বিহাত আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রাহিমাহুল্লাহ)
==============================কোন ন্যায়-নীতিহীন গুনাহগার লোকের ওপর আল কুর’আন যে কতোটা ভারি!
আর ভণ্ড মুনাফিকের জন্য সালাত আর ইবাদত যে কতোটা কঠিন?
নামাজ তো মুনাফিকের জন্য এতোটাই কঠিন, যে তুমি দেখবে সে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে লিখছে, দাঁড়িয়ে আছে কিংবা কথা বলছে, অথচ যেই
না সে ইমামের পেছনে মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য জামাতে দাঁড়ায়, ওমনি তার মনে হয় যেন তার বুকের ওপর কেউ পাহাড় বসিয়ে দিয়েছে!
এই হলো মনের রোগ, আল্লাহর কাছে আমরা মনের রোগ থেকে পানাহ চাই।
(ইমাম আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিমাহুল্লাহ।)
Comment