সূরা তাওবার ১১৮ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
'হে ঈমানদারগণ তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের সঙ্গ অবলম্বন কর।'
সাধারণত আমাদের দেশের ইসলাহী মুরুব্বীগণ, হক্কানী পীর সাহেবগণ এই আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়েই আমাদেরকে তাদের সঙ্গ অবলম্বন করতে বলেন। এখন দেখার বিষয় হল, আল-কুরআনে আল্লাহ তাআলা সাদেকীন বলে কাদেরকে বুঝিয়েছে? আল-কুরআনে সাদেকীনদের কোনো সংঙ্গা বা পরিচয় পাওয়াযায় কিনা? অবশ্যই কুরআনে সাদেকীনদের সংঙ্গা রয়েছে। কারণ আল্লাহ তাআলা সাদেকীনদের সঙ্গ অবলম্বন করতে বলবেন আর তাদের পরিচয় দিবেন না, তা তো হয় না।
সূরা হুজুরাত এবং সূরা হাশরে আল্লাহ তাআলা সাদেকীনদের পরিচয় উল্লেখেন করেছেন। হুজুরাতের ১৫ নং আয়াতে ইরশাদ করছেন,
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا وَجَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ. الحجرات:15
'তারাই মুমিন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনার পর সন্দেহ পোষণ করে না এবং আল্লাহর পথে জান ও মাল দিয়ে জিহাদ করে। তারাই সাদেকীন (সত্যনিষ্ঠ)।'
কারা গনীমতের মালের ভাগ পাবে তাদের আলোচনা করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা সূরা হাশরের ৮ নং আয়াতে বলেন,
لِلْفُقَرَاءِ الْمُهَاجِرِينَ الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا وَيَنْصُرُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ. الحشر:8
'(গনীমতের ঐ সম্পদ) দেশ ত্যাগী নিস্ব:দের জন্য যারা, আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টিলাভের অন্বেষণে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাহায্যার্থে নিজেদের বাস্তু-ভিটা ও ধন-সম্পদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে। তারাই সাদেকীন (সত্যবাদী)।'
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সাহায্য করার অর্থ হল, আল্লাহর প্রেরিত কিতাব এবং রাসূল সা: এর আদর্শ (সুন্নাহ) বিশ্বময় প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাফেরদের সাথে জিহাদ করা। (দেখুন, তাফসীরে তবারী, সূরা মুহাম্মাদের ৪৭ নং আয়াতের ব্যাখ্যা।)
আল্লাহ তাআলা মুত্তাকী হওয়ার জন্য যে ধরণের সাদেকীন বা সত্যবাদীদের সঙ্গ অবলম্বন করতে বলেছেন, উপরিউক্ত দুটি আয়াত থেকে আমরা তাদের নিম্নোক্ত গুণাবলী পেয়ে থাকি:
১. তারা আল্লাহ উপর ঈমান রাখে।
২. তারা রাসূল সা. এর উপর ঈমান রাখে।
৩. তারা পোখ্তা ঈমানদার; তাদের ঈমানে সামান্য কোনো সন্দেহ নেই।
৪. তারা আল্লাহর পথে নিজের জান দিয়ে জিহাদ করে।
৫. তারা আল্লাহর পথে নিজের ধন-সম্পদ দিয়েও জিহাদ করে।
৬. তারা কুরআন-সুন্নাহ প্রতিষ্ঠার জন্য কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করে।
৭. তারা দ্বীনের জন্য এত বেশি কুরবানী পেশ করবে যে, প্রয়োজনে নিজের দেশ, ধন-সম্পদ ও ঘর-বাড়ি ছেড়ে দিয়ে এমন জায়গায় চলে যাবে, যেখানে গিয়ে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর দ্বীন পালন করতে পাবরে।
আমরা যেসব শাইখগণকে সাদেকীনদের মসনদে বসিয়ে তাদের সঙ্গ অবলম্বন করে মুত্তাকী হতে চাচ্ছি, তাদের মধ্যে আল-কুরআনে বিবৃত প্রকৃত সাদেকীনদের গুণাবলী আছে কিনা তা বার বার ভেবে দেখা উচিত। যদি না থাকে তাহলে মরিচিকার পিছনে ছুট নিজের সময় নষ্ট করবেন না। প্রকৃত সাদেকীনদের অনুসন্ধান করতে থাকুন। আল্লাহর কাছে কাকুতি মিনতি করে দুআ করতে থাকুন। পেয়ে যাবেন ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ তার বান্দাকে নিরাশ করেন না।
বি.দ্র. আমি আমাদের সমাজের ইসলাহী মুরুব্বীগণকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তাদেরকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সঙ্গায়িত 'সাদেকীনদের' অন্তর্ভুক্ত মনে করি না। কারণ আমি তাদের মধ্যে কুরআনে বিবৃত সদেকীনদের সবগুলো গুণ পাই না।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
'হে ঈমানদারগণ তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের সঙ্গ অবলম্বন কর।'
সাধারণত আমাদের দেশের ইসলাহী মুরুব্বীগণ, হক্কানী পীর সাহেবগণ এই আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়েই আমাদেরকে তাদের সঙ্গ অবলম্বন করতে বলেন। এখন দেখার বিষয় হল, আল-কুরআনে আল্লাহ তাআলা সাদেকীন বলে কাদেরকে বুঝিয়েছে? আল-কুরআনে সাদেকীনদের কোনো সংঙ্গা বা পরিচয় পাওয়াযায় কিনা? অবশ্যই কুরআনে সাদেকীনদের সংঙ্গা রয়েছে। কারণ আল্লাহ তাআলা সাদেকীনদের সঙ্গ অবলম্বন করতে বলবেন আর তাদের পরিচয় দিবেন না, তা তো হয় না।
সূরা হুজুরাত এবং সূরা হাশরে আল্লাহ তাআলা সাদেকীনদের পরিচয় উল্লেখেন করেছেন। হুজুরাতের ১৫ নং আয়াতে ইরশাদ করছেন,
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا وَجَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ. الحجرات:15
'তারাই মুমিন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনার পর সন্দেহ পোষণ করে না এবং আল্লাহর পথে জান ও মাল দিয়ে জিহাদ করে। তারাই সাদেকীন (সত্যনিষ্ঠ)।'
কারা গনীমতের মালের ভাগ পাবে তাদের আলোচনা করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা সূরা হাশরের ৮ নং আয়াতে বলেন,
لِلْفُقَرَاءِ الْمُهَاجِرِينَ الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا وَيَنْصُرُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ. الحشر:8
'(গনীমতের ঐ সম্পদ) দেশ ত্যাগী নিস্ব:দের জন্য যারা, আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টিলাভের অন্বেষণে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাহায্যার্থে নিজেদের বাস্তু-ভিটা ও ধন-সম্পদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে। তারাই সাদেকীন (সত্যবাদী)।'
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সাহায্য করার অর্থ হল, আল্লাহর প্রেরিত কিতাব এবং রাসূল সা: এর আদর্শ (সুন্নাহ) বিশ্বময় প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাফেরদের সাথে জিহাদ করা। (দেখুন, তাফসীরে তবারী, সূরা মুহাম্মাদের ৪৭ নং আয়াতের ব্যাখ্যা।)
আল্লাহ তাআলা মুত্তাকী হওয়ার জন্য যে ধরণের সাদেকীন বা সত্যবাদীদের সঙ্গ অবলম্বন করতে বলেছেন, উপরিউক্ত দুটি আয়াত থেকে আমরা তাদের নিম্নোক্ত গুণাবলী পেয়ে থাকি:
১. তারা আল্লাহ উপর ঈমান রাখে।
২. তারা রাসূল সা. এর উপর ঈমান রাখে।
৩. তারা পোখ্তা ঈমানদার; তাদের ঈমানে সামান্য কোনো সন্দেহ নেই।
৪. তারা আল্লাহর পথে নিজের জান দিয়ে জিহাদ করে।
৫. তারা আল্লাহর পথে নিজের ধন-সম্পদ দিয়েও জিহাদ করে।
৬. তারা কুরআন-সুন্নাহ প্রতিষ্ঠার জন্য কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করে।
৭. তারা দ্বীনের জন্য এত বেশি কুরবানী পেশ করবে যে, প্রয়োজনে নিজের দেশ, ধন-সম্পদ ও ঘর-বাড়ি ছেড়ে দিয়ে এমন জায়গায় চলে যাবে, যেখানে গিয়ে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর দ্বীন পালন করতে পাবরে।
আমরা যেসব শাইখগণকে সাদেকীনদের মসনদে বসিয়ে তাদের সঙ্গ অবলম্বন করে মুত্তাকী হতে চাচ্ছি, তাদের মধ্যে আল-কুরআনে বিবৃত প্রকৃত সাদেকীনদের গুণাবলী আছে কিনা তা বার বার ভেবে দেখা উচিত। যদি না থাকে তাহলে মরিচিকার পিছনে ছুট নিজের সময় নষ্ট করবেন না। প্রকৃত সাদেকীনদের অনুসন্ধান করতে থাকুন। আল্লাহর কাছে কাকুতি মিনতি করে দুআ করতে থাকুন। পেয়ে যাবেন ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ তার বান্দাকে নিরাশ করেন না।
বি.দ্র. আমি আমাদের সমাজের ইসলাহী মুরুব্বীগণকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তাদেরকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সঙ্গায়িত 'সাদেকীনদের' অন্তর্ভুক্ত মনে করি না। কারণ আমি তাদের মধ্যে কুরআনে বিবৃত সদেকীনদের সবগুলো গুণ পাই না।
Comment