আতা ইবনে আবী রাবাহ (রহ- এর ছিল দুটি অনন্য বৈশিষ্ট্য, যা তাঁকে দীন ও ইলমের সর্বোচ্চ মর্যাদার *শিখরে পৌঁছে দিয়েছিল- এক- নিজের খাহেশাত ও প্রবৃত্তির উপর তাঁর ছিল পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ । ফলে নফসকে তিনি কখনোই ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় উপভোগের সুযোগ দেন নি ।
দুই- নিজের সময়ের ব্যাপারে ছিলেন এমন কঠিন সচেতন যে অপ্রয়োজনীয় কথা ও কাজে সামান্য সময়ও নষ্ট হতে দেন নি ।
কুফানগরীর একজন বিশিষ্ট আলিম ও আবিদ মহাম্মাদ ইবনে সুকাহ তাঁর একদল দর্শনার্থীকে বলেন-
‘ আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কথা শোনাব যার দ্বারা তোমরা হয়ত উপকৃত হবে যেমন আমি হয়েছি?’
তারা সবাই বললেন-
‘অবশ্যই ।’
‘একদিন আতা ইবনে আবী রাবাহ আমাকে বললেন- হে ভ্রাতুষ্পুত্র! আমাদের মহান পূর্বসূরীগণ শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কথাই বলতেন এবং শুনতেন । অপ্রয়োজনীয় কথা তারা মোটেও পছন্দ করতেন না ।’
‘চাচা ! তাঁদের মতে ‘প্রয়োজনীয়’ ও ‘অপ্রয়োজনীয়’ বিষয় দুটোর একটু ব্যাখ্যা দিবেন কি ?’
‘তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় কথা ছিল পাঁচ ধরণের-
(ক) কিতাবুল্লাহ তিলাওয়াত ও তার আলোচনা….
(খ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস রেওয়ায়াত এবং তার আলোচনা….
(গ) সতকাজের আদেশ ও অসত কাজের নিষেধ….
(ঘ) ইলমের আলোচনা…..
(ঙ) জীবন ও জীবিকা সম্পর্কে অত্যাবশ্যকীয় কথা….
এগুলো ছাড়া আর সবই ছিলো তাঁদের কাছে অপ্রয়োজনীয় ।
এরপর তিনি আমার মুখের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন-
তোমরা কি এসব আয়াত অস্বীকার করবে-
“ অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত রয়েছেন । সম্মানিত আমার আমল লেখকবৃন্দ ।” – ইনফিতার : ১০-১১
“ এবং তোমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে রয়েছেন দুজন ফেরেশতা যারা ডানে ও বামে বসে আমল গ্রহণ করেন । সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তাই গ্রহণ করার জন্যে তার কাছে সদা প্রহরী রয়েছে ।” – কাফ : ১৭-১৮
এরপর তিনি বললেন-
‘আমাদের কারো সম্মুখে যদি প্রতিদিনের আমলনামা প্রকাশ করা হয়, তবে কি সে নিজের অধিকাংশ বেহুদা আমল দেখে লজ্জিত হবে না ?
সেকি আফসোস করে বলবে না- হায় হায় ! অধিকাংশ আমলই তো দীন-দুনিয়ার সঙ্গে সংশ্রবহীন ।’
মাওলানা মাসউদুর রহমান অনূদিত -‘ তাবেঈদের ঈমানদীপ্ত জীবন ‘ থেকে ।
দুই- নিজের সময়ের ব্যাপারে ছিলেন এমন কঠিন সচেতন যে অপ্রয়োজনীয় কথা ও কাজে সামান্য সময়ও নষ্ট হতে দেন নি ।
কুফানগরীর একজন বিশিষ্ট আলিম ও আবিদ মহাম্মাদ ইবনে সুকাহ তাঁর একদল দর্শনার্থীকে বলেন-
‘ আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কথা শোনাব যার দ্বারা তোমরা হয়ত উপকৃত হবে যেমন আমি হয়েছি?’
তারা সবাই বললেন-
‘অবশ্যই ।’
‘একদিন আতা ইবনে আবী রাবাহ আমাকে বললেন- হে ভ্রাতুষ্পুত্র! আমাদের মহান পূর্বসূরীগণ শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কথাই বলতেন এবং শুনতেন । অপ্রয়োজনীয় কথা তারা মোটেও পছন্দ করতেন না ।’
‘চাচা ! তাঁদের মতে ‘প্রয়োজনীয়’ ও ‘অপ্রয়োজনীয়’ বিষয় দুটোর একটু ব্যাখ্যা দিবেন কি ?’
‘তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় কথা ছিল পাঁচ ধরণের-
(ক) কিতাবুল্লাহ তিলাওয়াত ও তার আলোচনা….
(খ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস রেওয়ায়াত এবং তার আলোচনা….
(গ) সতকাজের আদেশ ও অসত কাজের নিষেধ….
(ঘ) ইলমের আলোচনা…..
(ঙ) জীবন ও জীবিকা সম্পর্কে অত্যাবশ্যকীয় কথা….
এগুলো ছাড়া আর সবই ছিলো তাঁদের কাছে অপ্রয়োজনীয় ।
এরপর তিনি আমার মুখের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন-
তোমরা কি এসব আয়াত অস্বীকার করবে-
“ অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত রয়েছেন । সম্মানিত আমার আমল লেখকবৃন্দ ।” – ইনফিতার : ১০-১১
“ এবং তোমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে রয়েছেন দুজন ফেরেশতা যারা ডানে ও বামে বসে আমল গ্রহণ করেন । সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তাই গ্রহণ করার জন্যে তার কাছে সদা প্রহরী রয়েছে ।” – কাফ : ১৭-১৮
এরপর তিনি বললেন-
‘আমাদের কারো সম্মুখে যদি প্রতিদিনের আমলনামা প্রকাশ করা হয়, তবে কি সে নিজের অধিকাংশ বেহুদা আমল দেখে লজ্জিত হবে না ?
সেকি আফসোস করে বলবে না- হায় হায় ! অধিকাংশ আমলই তো দীন-দুনিয়ার সঙ্গে সংশ্রবহীন ।’
মাওলানা মাসউদুর রহমান অনূদিত -‘ তাবেঈদের ঈমানদীপ্ত জীবন ‘ থেকে ।
Comment