হযরত আলী (রাঃ) জুমা*আর,নামাযে খুতবা পাঠের জন্য মিম্বারে উঠলে খারেজীরা দাড়িয়ে যেত৷ বলতো ومن لم يحكم بما أنزل الله فاولءك هم الكافرون তখন হযরত আলী (রা) বলেন- نحن لا نقاتلكم حتي تبرأونا ولانمنعكم أن تحضروا مساجدنا তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু না করলে আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো না ৷ আর তোমাদেরকে আমাদের মসজিদে উপস্থিত হতে ও বাধাঁ প্রদান করবো না৷ তারপর খারেজীরা যখন মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলো, তখন আলী (রাঃ) নাহওয়ানে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন৷ একাদা হযরত আলী (রাঃ) কে জিজ্ঞাস করা হলো, খারেজীরা কি কাফের ৷ তিনি বললেন,তারা কুফুর থেকে পালায়েন করেছে ৷ তারপর জিজ্ঞেস করা হলো, তার কি মুনাফিক? তিনি বললেন মুনাফিকরা তো আল্লাহ তাআলাকে খুব কমই স্মরণ করে ৷ আর এরা তো সারারাত জাগ্যত থেকে নামায আদায় করে আর দিবসে রোযা রাখে ৷ তারপর তাকে জিজ্ঞাস করা হলো, তাহলে তারা কারা৷ তিনি বললেন, এরা আমার ভাই ৷ আ৬াদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে৷ আমরাও এসব সাহসী যুবকদের ব্যাপারে বলবো, যারা আফগান জিহাদ সর্ম্পকে এখানে সেখানে বিভ্রান্তি মূলক কথা বলে বেড়াছে৷ এদের সর্ম্পকে বলবো, এরা আমাদের ভাই ৷যদিও এরা আমাদের ব্যাপারে অবাস্তব,এসঙ্গত কথা বলছে৷ হ্যা,আমরা তাদেরকে খারেজী বা এ ধরনের কিছু বলবো না৷ এখানে আর সেখানে একই কান্ড ঘটছে৷ ইখলাসের সাথে কষ্ঠ দেয়া হচ্ছে৷ কবি বলছে ولاتغل في شيء من الأمر واقتصد كلا طرفي قصد الأمور مذموم অর্থ কোন ব্যাপারেই বাড়াবারি করো না৷ এবং মধ্যম পন্থা আবলম্বন কর৷ বিষয় সমূহের দুই প্রান্তের যে কোন প্রান্ত অবলম্বন নিন্দনীয়৷ আসল ব্যাপার হলো, মানুষের নিকট কখন আসল বিষয়টি অস্পষ্ট থাকে ৷আর তা হয় সাধারণত মানুষ যখন দীনী জ্ঞানহীন হয়৷ অজ্ঞতার মাঝে ডুবে থাকে ৷আর সেই অজ্ঞ মানুষটি অত্যন্ত কঠোরতার সাথে ইসলামের অনুশাসন মেনে চলতে চায়৷ এর পর ড়ঃ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহঃ) তার জিবনের একটি ঘটনা উল্লেখ করেন ৷ তাফসীরে সূরা তওবা পৃষ্টাঃ৩০২-৩ বাংলাটা৷ এখান থেকে আনেক কিছু শিখার আছে৷ আমরা এর থেকে শিক্ষা গ্রহন করি ৷এবং নিজেদের মদ্ধে যারা আমাদের বদনাম করে বা আমাদেরকে কষ্ট দেয় তীদের ব্যাপারে আমার এমন হয়৷
Announcement
Collapse
No announcement yet.
একটি শিক্ষনিয় ঘটনা৷!!!!!!!!!!!
Collapse
X
-
ভাই আপনার সাথে পুরাপুরি এক হতে পারলাম না - কারন সবাই এক বুঝের না, এবং আল্লাহ সবাইকে একই রকম জ্ঞান এবং হিকমত দেন নি। শাইখ আযযাম রহঃ যে সময়ে কথাটা বলেছিলেন আল্লাহু আলাম উনি যদি দেখতেন সেই আফগান মুজাহিদদের বিকৃত পদ্ধতিতে কতল করে দেয়া হচ্ছে তাহলে উনি কি বলতেন!
ভাই আমি আপনার পোস্টের নেক উদ্দেশ্য কে প্রশ্ন করছিনা তবে অনেক সময়ে বিষয়গুলো পরিষ্কার করে দেয়া প্রয়োজন হয়। আমি আপনাকে প্রশ্ন করি, "যারা ইমারাতে ইসলামিয়ার মুজাহিদিন দের হত্যা করে দেয় তদের কে কি আমি ভাই বলবো?" কোন কোন সময়ে সত্য কে সত্য ভাবে প্রকাশ করতে হয় যদিও তা কস্ট দেয়। না হলে তা ফিতনার জন্ম দেয়।
আপনি বলতে পারেন শাইখ আযযাম রহঃ এমন বলেছেন, জি সেটা আমি অস্বীকার করছিনা। কিন্তু আপনাকে এটাও ভেবে দেখতে হবে শাইখ এই সময়ে থাকলেও একই কথা বলতেন কিনা! আপনি কিংবা আমি নিশ্চিত জানিনা। যেহেতু পরিস্থিতি এক না! আপনি কি মনে করেন শাইখ আযযাম রহঃ তাদের কে আমাদের ভাই বলতেন যারা "শামে মুসলিম ভাই বোনদের সম্পদ হালাল মনে করে"
আপনি নিশ্চয়ই জানেন, কেউ যদি কাউকে কাফের বলে তবে তাদের দুই জনের মধ্যে নিশ্চিত একজন কাফের, "যারা ঢালাও ভাবে মুসলিম দের তাকফির করছে তারা কি আমাদের ভাই বলবেন?"
আবারো বলছি ভাই, আপনার পোস্ট এর নেক উদ্দেশ্য কে আমি প্রশ্ন করছিনা, তবে কখনো কখন বিষয় গুলো পরিষ্কার করে দেয়া ভালো। আল্লাহ সত্য প্রকাশ করতে লজ্জা করেন না, আমাদেরও করা উচিৎ না, তাও কিনা সত্য প্রকাশ না করা হলে যদি উম্মতের মাঝে ফিতনা তৈরি হয়!
উম্মতের কল্যানের জন্য আমরা বাড়াবাড়িও করবো না আবার ছাড়াছাড়িও করবোনা - যারা মুজাহিদিন দের কে হত্যা করে দেয় আর তাদের এই বিষয়ে যদি সবাই চুপ থাকত তাহলে সেই বিভ্রান্তির দায় কে নিত?
আল্লাহ আমার কথার ভুল এবং বুঝের ভুল থেকে আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন
ওয়াসসালামLast edited by s_forayeji; 05-10-2017, 11:12 AM.মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি
-
যাযাকাল্লাহ ভাই৷ ভাই এই পুষ্ট দ্বারা যারা খারেজীদের কে খারেজী না বলাহ বা শামে তাদের সাথে যুদ্ধকে সমার্থন নাকরা উদ্দেস নয়৷ বরং সেটাকে আমী সমার্থন করি৷ এখানে আমার উদ্দেস হলো ৷এটা থেকে আমাদের শিক্ষানিরে আমাদের দেশে যারা আমাদের সর্ম্পকে পূর্ণ জানা না থাকার করণে আদের বিরুদ্ধীতা করছে ৷ তাদের সাথে আমাদের এরুপ আচরন করতে হবে৷ কথা ও লেখা লেখির সময় খেয়াল রাখী৷
Comment
-
জাযাকাল্লাহ ভাই
ভাই এই পুষ্ট দ্বারা আমার খারেজীদের কে খারেদী না বলা বা শামে তাদের সাথে যুদ্ধ না করা উদ্দেশন নয় বরং আমদের দেশে যার আমাদের সর্ম্পকে পূণ জ্ঞান নাথাকার করণে আমাদের বিরুদ্ধিতা করছে৷ তাদের ব্যাপারে আমাদের কে এই আর্দশ গ্রহন করতে হবে কথা ও কাজের ক্ষেত্রে এবং লেখার খেত্রেও আদব ভজায় কখবে৷
Comment
-
আলী র. খারেজীদের সাথে যুদ্ধ করেছে আমরাও জিহাদ করবো ইনশাআল্লাহ। আর এটাই বাস্তবতা। আমরা তাদের জিহাদ না করলে তারা আমাদেরকে ছেড়ে দিবে?? কখনো নই, ছাড়বে না। কাজেই প্রয়োজন উনুপাতে যুদ্ধ চলবে/ চলছে।আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।
Comment
Comment