শব্দটি ছোট হলেও ভয়ানক।এ থেকে পালিয়ে থাকা বড় মুশকিল ।সবাইকে ছুঁয়ে যায়।তবু বাচতে হবে,বিধাতার নীতি ।নইলে রয়েছে কঠিন শাস্তি ।في الدنيا و الآخرة. আর বাচতে পারলে তো দয়ালু রবের দয়ার সাগর ,এরপরই জান্নাতের আশা ।তাহলে আসুন, এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আজ একটু মুজাকারা করি।
ধ্বংসাত্বক এই মহামারীটি হলো,গীবত।মাটে-ঘাটে, বাজারে-বন্দরে, বড় কোন আসরে বা ছোট পরিসরে।যেখানেই মানবের সমাবেশ,সেখানেই এ দানবের প্রবেশ ।এ যুগের মানুষের সাথে এতই মহব্বত,আসতে কোন অনুমতিও লাগেনা।কেবল যে একা আসে, তাই নয় ।সাথে কিছু লাজেম-মালজুমও নিয়ে আসে ।ঝগড়া-ফাসাদ,কুধারণা, বিভেদ-বিচ্ছন্নতা ,এমনকি বড় বড় হাঙ্গামাও।আর অন্তরে তো এমন কালো দাগ পরে, মনে হয় কেউ গলা টিপে ধরেছে ।পবিত্র আত্নাধিকারীরা তা বুঝে।
সব'চে কষ্টের বিষয় হলো,এটি আখেরাতকে বরবাদ করে দেয়।আল্লাহ তা'আলার অসন্তুষ্টি অর্জন ও দোযখের পথ সুগম করা ছাড়া এতে কোন উপকার নেই ।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ايحب أحدكم ان يأكل لحم أخيه ميتا 'তোমাদের কেউ কি নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করে?
' হাদীস শরীফে এসেছে "الغيبة أشد من الزني " গীবত যিনার চেয়ে অধিক ক্ষতিকর ।
গীবতকারীকে আল্লাহ মাফ করবেন না, যদি বান্দা মাফ না করে। কেননা, এটি হক্কুল ইবাদ ।
গীবতকারী ভীতু,হীনমানসিক হয়।তাই তো অন্যের অগোচরে বদনাম করে ।চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যায়।লোকেরা তাচ্ছিল্যের নজরে দেখে ।এর বড় একটি ক্ষতি হলো,কিয়ামতের দিন তার নেকিগুলো গীবতকৃত ব্যক্তিকে দিয়ে দিতে হবে ।এতে যদি,ক্ষতিপূরণ না হয়, তাহলে গীবতকৃত ব্যক্তির পাপগুলো তার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হবে ।এমন ব্যক্তিকে হাদীসে 'দ্বীনের অসহায়' বলা হয়েছে ।
কার্যত এর ইলাজ করা উচিৎ ।গীবতকারীকে সক্ষম হলে বাঁধা দিতে হবে ।অন্যথায় মনোক্ষুন্নতার পরোয়া না করে স্থানত্যাগ করতে হবে ।মনে রাখতে হবে,'অন্যের মনরক্ষা নিজের দ্বীনের ক্ষতি করে নয়।'এ মহাসত্য সর্বাবস্থায় প্রযোজ্য ।আর যদি একান্তই কোন সমস্যা থাকে, তবে বাহানা ধরে উঠে যেতে হবে ।আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বুঝার তাওফীক দান করুন এবং আমলকে শক্তিশালী করুন ।আমিন ।
ধ্বংসাত্বক এই মহামারীটি হলো,গীবত।মাটে-ঘাটে, বাজারে-বন্দরে, বড় কোন আসরে বা ছোট পরিসরে।যেখানেই মানবের সমাবেশ,সেখানেই এ দানবের প্রবেশ ।এ যুগের মানুষের সাথে এতই মহব্বত,আসতে কোন অনুমতিও লাগেনা।কেবল যে একা আসে, তাই নয় ।সাথে কিছু লাজেম-মালজুমও নিয়ে আসে ।ঝগড়া-ফাসাদ,কুধারণা, বিভেদ-বিচ্ছন্নতা ,এমনকি বড় বড় হাঙ্গামাও।আর অন্তরে তো এমন কালো দাগ পরে, মনে হয় কেউ গলা টিপে ধরেছে ।পবিত্র আত্নাধিকারীরা তা বুঝে।
সব'চে কষ্টের বিষয় হলো,এটি আখেরাতকে বরবাদ করে দেয়।আল্লাহ তা'আলার অসন্তুষ্টি অর্জন ও দোযখের পথ সুগম করা ছাড়া এতে কোন উপকার নেই ।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ايحب أحدكم ان يأكل لحم أخيه ميتا 'তোমাদের কেউ কি নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করে?
' হাদীস শরীফে এসেছে "الغيبة أشد من الزني " গীবত যিনার চেয়ে অধিক ক্ষতিকর ।
গীবতকারীকে আল্লাহ মাফ করবেন না, যদি বান্দা মাফ না করে। কেননা, এটি হক্কুল ইবাদ ।
গীবতকারী ভীতু,হীনমানসিক হয়।তাই তো অন্যের অগোচরে বদনাম করে ।চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যায়।লোকেরা তাচ্ছিল্যের নজরে দেখে ।এর বড় একটি ক্ষতি হলো,কিয়ামতের দিন তার নেকিগুলো গীবতকৃত ব্যক্তিকে দিয়ে দিতে হবে ।এতে যদি,ক্ষতিপূরণ না হয়, তাহলে গীবতকৃত ব্যক্তির পাপগুলো তার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হবে ।এমন ব্যক্তিকে হাদীসে 'দ্বীনের অসহায়' বলা হয়েছে ।
কার্যত এর ইলাজ করা উচিৎ ।গীবতকারীকে সক্ষম হলে বাঁধা দিতে হবে ।অন্যথায় মনোক্ষুন্নতার পরোয়া না করে স্থানত্যাগ করতে হবে ।মনে রাখতে হবে,'অন্যের মনরক্ষা নিজের দ্বীনের ক্ষতি করে নয়।'এ মহাসত্য সর্বাবস্থায় প্রযোজ্য ।আর যদি একান্তই কোন সমস্যা থাকে, তবে বাহানা ধরে উঠে যেতে হবে ।আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বুঝার তাওফীক দান করুন এবং আমলকে শক্তিশালী করুন ।আমিন ।
Comment