আজ আপনাদের সামনে যে বিষয়টি আলোকপাত করব, তা অতি গুরুত্বপূর্ণ।একে আমরা 'গুনাহবর্জনপদ্ধতি' বা 'পাপপরিত্যাগকৌশল' বা অন্য কোন শিরোনামেও ব্যক্ত করতে পারি ।যেভাবেই ব্যক্ত করিনা কেন মূল বিষয় একটিই ।আর তা হলো,কীভাবে গুনাহ থেকে বেচে থাকা যায়।।গুনাহ বর্জনের এ পদ্ধতিকে আমরা একটি ভূমিকা ও তিনটি পয়েন্ট এবংএকটি পরিশিষ্টতে সাজাতে পারি।ভূমিকাতে আমি কয়েকটি অসাধারণ কথা আবৃত্তি করছি,ভালো করে শুনুন, হয়তোবা একটি কথাই আপনার জীবনে রাখতে পারে অতুলনীয় ভূমিকা ।কেননা, একটি কথা বা কাজ ঘুরিয়ে দিয়েছে জীবনের মোর,এমন বহু নজির আছে এ ধরাতে।হোক সেটি ছোট বা বড়।এইতো গতকাল কথা হলো এক র্যাব কর্মকর্তার সাথে ।কবরে সাপ দেখাই ছিল যার জীবনমোর পরিবর্তনের কারণ।
যে যে অবস্থায় মারা যাবে,সে অবস্থায়ই তার পুনরুত্থান হবে।তাই গুনাহ করার সময় চিন্তা করুন, এ অবস্থায় মারা গেলে, কেমন হবে তার পরিণতি।অপৃতিকর এ জীবন তো একটি ডাইরির মতো ।মৃত্যুর পরে শুরুতে কেউ কেউ এর একটি দু’টি পৃস্টা উল্টালেও কিছুদিন পরে যার যার কাজে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে ।প্রথম ধাপের বংশধর চলে গেলে এরপর কেউ আর স্মরণও করে না ।আস্তে আস্তে তো এর অস্তিত্বের কথাই ভুলে যায় ।তাই বলি ভাই! জীবন তো একটাই ।শাহাদাতের সুযোগ একবার হাতছাড়া করলে আর কি ফিরে পাবার আশা আছে? শহীদের মাঝেও তো তারতম্য আছে ।যে যত পাপমুক্ত, তার মর্যাদা হবে তত উর্ধে ।সবার কি মুজাহিদ হওয়ার সৌভাগ্য জুটে ।শাহাদাতের মর্যাদাই বা ক'জনের ভাগ্যে আছে।তাহলে ছোটখাট কেন? বড় স্তরের আশা-চেস্টাই বুদ্ধিমানের কাজ ।ذلك فضل الله يأتيه من يشاء والله ذو الفضل العظيم
নফসের অবস্থা দুধের শিশুর মতো ।দুধপানের অভ্যাস না ছাড়ালে, সে অনুরাগেই বাচ্চাটি বড় হয়ে যাবে ।ছাড়িয়ে দিলে, ছুটে যাবে ।এক কবি বলেছেন,
মনের গতি পাপের দিকে,রুখ তারে জোরে ।
নইলে তুমি ভেসে যাবে ভয়াল পাপের তোড়ে ।
কষ্ট করে হটাও যদি খেয়ালের এই গতি,
একটু পরেই থেমে যাবে ফাঁপানো এই নদী ।
প্রকাশ্য কি অপ্রকাশ্য,হোক না তাহা ছোট ,
সব গুনাহের বাঁধা ছিড়ে,প্রভুর কাছে ছুট ।
অন্তরে তোর সদা ফিকির, সদা যিকির মুখে ,
রাস্তা তবে একদমই সাফ,পাবি মাওলাকে।
নফসের সাথে যুদ্ধরত থাক অবিরত ,
খবিছটাকে করতে হবে শক্ত পরাজিত ।
পরাজিতের ভান ধরিয়া ঘাপটি মেরে থাকে ।
বিচ্ছুটা যে কেবল শুধু টুপি পরেই থাকে ।
বলতে বলতে অনেক দূর চলে এলাম ।এবার বলি মূল্যবান নাসিহত ।না না, পরামর্শ ।
*একদম খুশুখজুর সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন ।
*গোনাহের সকল উপকরণ দূরে রাখুন ।
*শেষ রাতের নামাজ কন্টিনিউ করুন ।
*মাঝে মাঝে রোজা রাখুন ।
*দৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণ করুন ।
*প্রতিদিনের আমলনামা মাসউলকে দিয়ে চেক করান।
*যখনই বাজে চিন্তা আসে ওঠে ওযু করে নামাজ পড়ুন ।
*চোখ দিয়ে অধিক পরিমাণে অশ্রু ঝরান ।
*অসীম ধৈর্য্য, আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও রুনাজারির ভেতর দিয়ে সময় অতিঅতিবাহিত করুন ।
*মনে রাখবেন, ফোকাস হারালে পা পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে ।
যে যে অবস্থায় মারা যাবে,সে অবস্থায়ই তার পুনরুত্থান হবে।তাই গুনাহ করার সময় চিন্তা করুন, এ অবস্থায় মারা গেলে, কেমন হবে তার পরিণতি।অপৃতিকর এ জীবন তো একটি ডাইরির মতো ।মৃত্যুর পরে শুরুতে কেউ কেউ এর একটি দু’টি পৃস্টা উল্টালেও কিছুদিন পরে যার যার কাজে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে ।প্রথম ধাপের বংশধর চলে গেলে এরপর কেউ আর স্মরণও করে না ।আস্তে আস্তে তো এর অস্তিত্বের কথাই ভুলে যায় ।তাই বলি ভাই! জীবন তো একটাই ।শাহাদাতের সুযোগ একবার হাতছাড়া করলে আর কি ফিরে পাবার আশা আছে? শহীদের মাঝেও তো তারতম্য আছে ।যে যত পাপমুক্ত, তার মর্যাদা হবে তত উর্ধে ।সবার কি মুজাহিদ হওয়ার সৌভাগ্য জুটে ।শাহাদাতের মর্যাদাই বা ক'জনের ভাগ্যে আছে।তাহলে ছোটখাট কেন? বড় স্তরের আশা-চেস্টাই বুদ্ধিমানের কাজ ।ذلك فضل الله يأتيه من يشاء والله ذو الفضل العظيم
নফসের অবস্থা দুধের শিশুর মতো ।দুধপানের অভ্যাস না ছাড়ালে, সে অনুরাগেই বাচ্চাটি বড় হয়ে যাবে ।ছাড়িয়ে দিলে, ছুটে যাবে ।এক কবি বলেছেন,
মনের গতি পাপের দিকে,রুখ তারে জোরে ।
নইলে তুমি ভেসে যাবে ভয়াল পাপের তোড়ে ।
কষ্ট করে হটাও যদি খেয়ালের এই গতি,
একটু পরেই থেমে যাবে ফাঁপানো এই নদী ।
প্রকাশ্য কি অপ্রকাশ্য,হোক না তাহা ছোট ,
সব গুনাহের বাঁধা ছিড়ে,প্রভুর কাছে ছুট ।
অন্তরে তোর সদা ফিকির, সদা যিকির মুখে ,
রাস্তা তবে একদমই সাফ,পাবি মাওলাকে।
নফসের সাথে যুদ্ধরত থাক অবিরত ,
খবিছটাকে করতে হবে শক্ত পরাজিত ।
পরাজিতের ভান ধরিয়া ঘাপটি মেরে থাকে ।
বিচ্ছুটা যে কেবল শুধু টুপি পরেই থাকে ।
বলতে বলতে অনেক দূর চলে এলাম ।এবার বলি মূল্যবান নাসিহত ।না না, পরামর্শ ।
*একদম খুশুখজুর সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন ।
*গোনাহের সকল উপকরণ দূরে রাখুন ।
*শেষ রাতের নামাজ কন্টিনিউ করুন ।
*মাঝে মাঝে রোজা রাখুন ।
*দৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণ করুন ।
*প্রতিদিনের আমলনামা মাসউলকে দিয়ে চেক করান।
*যখনই বাজে চিন্তা আসে ওঠে ওযু করে নামাজ পড়ুন ।
*চোখ দিয়ে অধিক পরিমাণে অশ্রু ঝরান ।
*অসীম ধৈর্য্য, আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও রুনাজারির ভেতর দিয়ে সময় অতিঅতিবাহিত করুন ।
*মনে রাখবেন, ফোকাস হারালে পা পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে ।
Comment