আসসালামু আলাইকুম অয়া রাহমাতুল্লাহি অয়া বারকাতুহ
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আ'লামিন। আসসালাতু অয়াসসালাম আ'লা রাসূলিহীল কারিম। আ'ম্মাবা'দ।।
দ্বীনি কাফেলায় শরীক ভাইদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হল ধৈর্য ধারণ করা। দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর থেকে শুরু করে দিন যত সামনের দিকে অতিবাহিত হতে থাকবে এই গুণ ভাইদের জন্য ততই বেশি জরুরী হয়ে পরবে। মনে করে দেখুন আপনি যখন প্রথম দ্বীনের বুঝ পেলেন সেই সময়ের কথা। একজন ভাই (দাঈ) আপনার পিছনে দিনের পর দিন ধৈর্য সহকারে আপনার ইসলাহা করার চেস্টা করেছে। আপনি/আমি অবুঝের মত অনেক উলটা/পালটা প্রশ্ন করেছি সেগুলোর প্রতি বিন্দুমাত্র বিরক্ত না হয়ে সেগুলোর উত্তর জুগিয়েছেন। অতঃপর আপনি আমি এই কাফেলার দিকে অগ্রসর হতে পেরেছি। তাই আমি আপনি যেমন কোন একজন দাঈর (হোক সেটা অফলাইনে কারও সামনা সামনি প্রচেস্টার দ্বারা অথবা অনলাইনে কোন শায়খের বয়ানের দ্বারা) অনেক ধৈর্যের ফসল তেমনি দ্বীনের চাহিদা এটা যে আপনি/আমিও আমাদের কাজে (হোক সেটা দাওয়াহ কাজ বা সাংগঠনিক অন্য কাজ) ধৈর্যশীল হবে। মানুষ হিসেবে আমাদের একটা ফিতরাত এমন যে আমরা নিজেদের ব্যপারে (হোক সেটা নিজ পরিবার বা নিজ তয়িফা বা নিজ কাজের পরিমন্ডলে থাকা ভাইদের ব্যপারে) কিছুটা কম ধৈর্যশীল হই। কারন নিজেদের ক্ষেত্রে এই বোধ কাজ করে যে আমি যদি এটা বুঝে থাকি তাহলে আমারই পরিবারের সদস্য বা আমার তয়িফার একজন বা আমার সেকশনের একজন ভাই কেন এটা বুঝবেন না; তাদের থেকে কোন ভুল কিছু পেয়ে থাকলে অনেক সময় এমন প্রতিক্রিয়া দেখাই যাতে করে কর্ম পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে যায়। এজন্য আমাদের সকলের উচিৎ সকলের প্রতি সমভাবে ধৈর্যশীল হওয়া। মনে রাখা দরকার আল্লাহ সুবহানুতা'আলা অনেক মায়া করে অনেক অনুগ্রহ করে আপনাকে এই কাফেলায় শরীক করেছেন সুতরাং আপনার একটা মুহুর্তের অধৈর্য আচরনের কারণে যেন আপনার কোন ভাই বা অন্য কেউ কষ্ট পেয়ে এই কাফেলার প্রতি বিরূপ ধারণা পোষণ না করেন। এই কাফেলার ইজ্জত, সম্মানের হেফাজত করা আমার আপনার সকলের জিম্মাদারি। আমাদের ব্যক্তিগত ত্রুটি যেন আমাদের এই কাফেলাকে ক্ষতিগ্রস্থ না করে। পাশাপাশি এটাও স্মরণ রাখা দরকার যে আমরা কখনই আমাদের চাহিদামত সবকিছু পাব না। বরং এটাই সত্য যে বেশিরভাগ জিনিস হবে আপনার চাহিদার বিপরীত। খুব ছোট একটা উদাহরণ লক্ষ্য করেনঃ
ধরা যাক, ২ জন ভাই একসাথে এক রুমে থাকা হয়। একজনের বাড়ি সিলেট এবং একজনের বাড়ি দিনাজপুর। বাস্তবতা হিসাব করলে দেখা যাবে খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে রুচি, পছন্দ সবকিছুই আলাদা। একজন তরকারিতে ঝাল পছন্দ করবে একজন ঝাল হলে খেতেই পারবে না। একজন হয়ত গোশত খেতে পছন্দ করবে আরেকজন হয়ত সবজি পছন্দ করবে। এভাবে হিসাব করলে দেখা যাবে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের অবস্থা বিপরীতমুখী হবে। এখন এই ২ ভাই যদি পরস্পরের ব্যপারে ধৈর্যশীল না হন তাহলে ১০ দিনও একসাথে থাকার সুযোগ হবে না।
তাই প্রিয় ভাই, আজকে আপনার সাথী ভাই, আপনার মামুর ভাই, আপনার মাসুল ভাই প্রত্যেকের ব্যপারে আপনারা ধৈর্যশীল হোন। কারণ এই পথে দেখবেন একেক জনের ধরণ একেক রকম। আর তাদের সাথে যদি আপনি মানিয়ে চলতে না পারেন তাহলে জিহাদ ক্ষতিগ্রস্থ হবে, আপনি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। শায়খ আব্দুল্লাহ আযযাম (র.) এজন্য বলেছেন-
'' তোমাকে অবশ্যই তোমার ভাইয়ের প্রতি ধৈর্য ধারন করতে হবে যে তোমার সাথে জিহাদে যোগ দিয়েছে, এবং শত্রুর দিকে আক্রমণের ধৈর্য থেকেও অনেক বেশি কষ্ট নিজের ভাইয়ের প্রতি ধৈর্য ধারন করা, এবং এখানে এটা ছাড়া অন্য কোন পথ নেই তোমার জন্য, তুমি জিহাদের ভূমিতে সমস্ত মানুষকে তোমার চাহিদা মত পাবে না, এবং তোমাকে অবশ্যই ধৈর্য ধারন করতে হবে অন্য পানি এবং খাবারের সাথে, প্রকৃতি এবং পাহাড়ের সাথে, অন্যথায় তুমি কখনো জিহাদ করতে পারবে না।''
আর দিনশেষে বিজয় ত তারই জন্য যিনি ধৈর্যের সাথে লক্ষ্যের পানে অবিচল থাকতে পারল।
আল্লাহ সুবহানুতা'আলা আমাদের তৌফিক দান করুন। আমিন।
পরিশেষে সমস্ত প্রশংসা শুধুমাত্র আমাদের রবের জন্য এবং দরুদ ও সালাম সাইয়্যেদুল আম্বিয়া মুহাম্মদ, তাঁর পরিবার এবং সাহাবি আযমাঈনগনের প্রতি।
আসসালামু আলাইকুম অয়া রাহমাতুল্লাহি অয়া বারকাতুহ।।
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আ'লামিন। আসসালাতু অয়াসসালাম আ'লা রাসূলিহীল কারিম। আ'ম্মাবা'দ।।
দ্বীনি কাফেলায় শরীক ভাইদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হল ধৈর্য ধারণ করা। দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর থেকে শুরু করে দিন যত সামনের দিকে অতিবাহিত হতে থাকবে এই গুণ ভাইদের জন্য ততই বেশি জরুরী হয়ে পরবে। মনে করে দেখুন আপনি যখন প্রথম দ্বীনের বুঝ পেলেন সেই সময়ের কথা। একজন ভাই (দাঈ) আপনার পিছনে দিনের পর দিন ধৈর্য সহকারে আপনার ইসলাহা করার চেস্টা করেছে। আপনি/আমি অবুঝের মত অনেক উলটা/পালটা প্রশ্ন করেছি সেগুলোর প্রতি বিন্দুমাত্র বিরক্ত না হয়ে সেগুলোর উত্তর জুগিয়েছেন। অতঃপর আপনি আমি এই কাফেলার দিকে অগ্রসর হতে পেরেছি। তাই আমি আপনি যেমন কোন একজন দাঈর (হোক সেটা অফলাইনে কারও সামনা সামনি প্রচেস্টার দ্বারা অথবা অনলাইনে কোন শায়খের বয়ানের দ্বারা) অনেক ধৈর্যের ফসল তেমনি দ্বীনের চাহিদা এটা যে আপনি/আমিও আমাদের কাজে (হোক সেটা দাওয়াহ কাজ বা সাংগঠনিক অন্য কাজ) ধৈর্যশীল হবে। মানুষ হিসেবে আমাদের একটা ফিতরাত এমন যে আমরা নিজেদের ব্যপারে (হোক সেটা নিজ পরিবার বা নিজ তয়িফা বা নিজ কাজের পরিমন্ডলে থাকা ভাইদের ব্যপারে) কিছুটা কম ধৈর্যশীল হই। কারন নিজেদের ক্ষেত্রে এই বোধ কাজ করে যে আমি যদি এটা বুঝে থাকি তাহলে আমারই পরিবারের সদস্য বা আমার তয়িফার একজন বা আমার সেকশনের একজন ভাই কেন এটা বুঝবেন না; তাদের থেকে কোন ভুল কিছু পেয়ে থাকলে অনেক সময় এমন প্রতিক্রিয়া দেখাই যাতে করে কর্ম পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে যায়। এজন্য আমাদের সকলের উচিৎ সকলের প্রতি সমভাবে ধৈর্যশীল হওয়া। মনে রাখা দরকার আল্লাহ সুবহানুতা'আলা অনেক মায়া করে অনেক অনুগ্রহ করে আপনাকে এই কাফেলায় শরীক করেছেন সুতরাং আপনার একটা মুহুর্তের অধৈর্য আচরনের কারণে যেন আপনার কোন ভাই বা অন্য কেউ কষ্ট পেয়ে এই কাফেলার প্রতি বিরূপ ধারণা পোষণ না করেন। এই কাফেলার ইজ্জত, সম্মানের হেফাজত করা আমার আপনার সকলের জিম্মাদারি। আমাদের ব্যক্তিগত ত্রুটি যেন আমাদের এই কাফেলাকে ক্ষতিগ্রস্থ না করে। পাশাপাশি এটাও স্মরণ রাখা দরকার যে আমরা কখনই আমাদের চাহিদামত সবকিছু পাব না। বরং এটাই সত্য যে বেশিরভাগ জিনিস হবে আপনার চাহিদার বিপরীত। খুব ছোট একটা উদাহরণ লক্ষ্য করেনঃ
ধরা যাক, ২ জন ভাই একসাথে এক রুমে থাকা হয়। একজনের বাড়ি সিলেট এবং একজনের বাড়ি দিনাজপুর। বাস্তবতা হিসাব করলে দেখা যাবে খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে রুচি, পছন্দ সবকিছুই আলাদা। একজন তরকারিতে ঝাল পছন্দ করবে একজন ঝাল হলে খেতেই পারবে না। একজন হয়ত গোশত খেতে পছন্দ করবে আরেকজন হয়ত সবজি পছন্দ করবে। এভাবে হিসাব করলে দেখা যাবে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের অবস্থা বিপরীতমুখী হবে। এখন এই ২ ভাই যদি পরস্পরের ব্যপারে ধৈর্যশীল না হন তাহলে ১০ দিনও একসাথে থাকার সুযোগ হবে না।
তাই প্রিয় ভাই, আজকে আপনার সাথী ভাই, আপনার মামুর ভাই, আপনার মাসুল ভাই প্রত্যেকের ব্যপারে আপনারা ধৈর্যশীল হোন। কারণ এই পথে দেখবেন একেক জনের ধরণ একেক রকম। আর তাদের সাথে যদি আপনি মানিয়ে চলতে না পারেন তাহলে জিহাদ ক্ষতিগ্রস্থ হবে, আপনি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। শায়খ আব্দুল্লাহ আযযাম (র.) এজন্য বলেছেন-
'' তোমাকে অবশ্যই তোমার ভাইয়ের প্রতি ধৈর্য ধারন করতে হবে যে তোমার সাথে জিহাদে যোগ দিয়েছে, এবং শত্রুর দিকে আক্রমণের ধৈর্য থেকেও অনেক বেশি কষ্ট নিজের ভাইয়ের প্রতি ধৈর্য ধারন করা, এবং এখানে এটা ছাড়া অন্য কোন পথ নেই তোমার জন্য, তুমি জিহাদের ভূমিতে সমস্ত মানুষকে তোমার চাহিদা মত পাবে না, এবং তোমাকে অবশ্যই ধৈর্য ধারন করতে হবে অন্য পানি এবং খাবারের সাথে, প্রকৃতি এবং পাহাড়ের সাথে, অন্যথায় তুমি কখনো জিহাদ করতে পারবে না।''
আর দিনশেষে বিজয় ত তারই জন্য যিনি ধৈর্যের সাথে লক্ষ্যের পানে অবিচল থাকতে পারল।
আল্লাহ সুবহানুতা'আলা আমাদের তৌফিক দান করুন। আমিন।
পরিশেষে সমস্ত প্রশংসা শুধুমাত্র আমাদের রবের জন্য এবং দরুদ ও সালাম সাইয়্যেদুল আম্বিয়া মুহাম্মদ, তাঁর পরিবার এবং সাহাবি আযমাঈনগনের প্রতি।
আসসালামু আলাইকুম অয়া রাহমাতুল্লাহি অয়া বারকাতুহ।।
Comment