আল্লাহ তায়ালার ৯৯ নাম
الأسماء الحسنى
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- :« إِنَّ لِلَّهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا مِائَةً غَيْرَ وَاحِدَةٍ مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ وَهُوَ وِتْرٌ يُحِبُّ الْوِتْر
হযরত আবু হোরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, নিশ্চয় আল্লাহর ৯৯ টি গুণবাচক নাম রয়েছে। যে এগুলো আয়ত্ব করবে (মুখস্ত করবে) ও অর্থ বিশ্বাসে আমল করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর তিনি বেজোড়, পছন্দও করেন বেজোড় সংখ্যাকে। (2351 بخاري -)
মুখস্তের সুবিধার্থে প্রথমে নাম; পরে অর্থগুলো দেয়া হলোঃ
هُوَ اللَّهُ الَّذِىْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ الْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلاَمُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ الْغَفَّارُ الْقَهَّارُ الْوَهَّابُ الرَّزَّاقُ الْفَتَّاحُ الْعَلِيْمُ الْقَابِضُ الْبَاسِطُ الَخَافِضُ الرَّافِعُ الْمُعِزُّ الْمُذِلُّ السَّمِيْعُ الْبَصِيْر الْحَكَمُ الْعَدْلُ اللَّطِيْفُ الْخَبِيْرُ الْحَلِيْمُ الْعَظِيْمُ الْغَفُوْرُ الشَّكُوْرُ الْعَلِىُّ الَكَبِيْرُ الْحَفِيْظُ الْمُقِيْتُ الْحَسِيْبُ الْجَلِيْلُ الْكَرِيْمُ الرَّقِيْبُ الْمُجِيْبُ الْوَاسِعُ الْحَكِيْمُ الْوَدُودُ الْمَجِيْدُ الْبَاعِثُ الشَّهِيْدُ الْحَقُّ الْوَكِيْلُ الْقَوِىُّ الْمَتِيْنُ الْوَلِىُّ الْحَمِيْدُ الْمُحْصِىْ الْمُبْدِئُ الْمُعِيْدُ الْمُحْيِىْ الْمُمِيْتُ الْحَىُّ الَقَيُّوْمُ الْوَاجِدُ الْمَاجِدُ الْوَاحِدُ الاَحَدُ الصَّمَدُ الْقَادِرُ الْمُقْتَدِرُ الْمُقَدِّم الْمُؤَخِّرُ الأَوَّلُ الآخِرُ الظَّاهِرُ الْبَاطِنُ الْوَالِىْ الْمُتَعَالِىْ الْبَرُّ التَّوَّابُ الْمُنْتَقِمُ الْعَفُوُّ الرَّءُوْفُ مَالِكُ الْمُلْكِ ذُو الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ الْمُقْسِطُ الْجَامِعُ الْغَنِىُّ الْمُغْنِىْ الْمَانِعُ الضَّارُّ النَّافِعُ النُّوْرُ الْهَادِىْ الْبَدِيْعُ الْبَاقِىْ الْوَارِثُ الرَّشِيْدُ الصَّبُوْرُ
১) هُوَ اللَّهُ الَّذِى لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ : তিনি আল্লাহ যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।
(২) الرَّحْمَنُ: অতিশয় দয়ালু (৩) : الرَّحِيمُ পরম দয়ালু (4) الْمَلِك : বাদশাহ
(৫) الْقُدُّوسُ: পবিত্র (৬) السَّلاَمُ : শান্তিময় (৭) الْمُؤْمِنُ: নিরাপত্তাদাতা
(৮) الْمُهَيْمِنُ: পাহারাদ্বার (৯) الْعَزِيزُ: পরাক্রমশালী (১০) الْجَبَّارُ: প্রতাপশালী
(১১) الْمُتَكَبِّرُ: অহংকারী (১২) الْخَالِقُ: সৃষ্টিকার্তা (১৩) الْبَارِئُ: উদ্ভাবনকারী
(১৪) الْمُصَوِّرُ: আকৃতিদাতা (১৫) الْغَفَّارُ: ক্ষমাশীল (১৬) الْقَهَّارُ: অক্ষমকারী
(১৭) الْوَهَّابُ: মহান দাতা (১৮) الرَّزَّاقُ: রিযিকদাতা (১৯) الْفَتَّاحُ: উন্মুক্তকারী
(২০) الْعَلِيمُ: মহাজ্ঞানী (২১) الْحَكَمُ: মিমাংসাকারী (২২) الْعَدْلُ: ন্যায়নিষ্ঠ
(২৩) اللَّطِيفُ : সূক্ষদর্শী ২৪) الْخَبِيرُ: সবকিছু খবরদ্বার (২৫) الْقَابِضُ : হ্রাসকারী
(২৬) الْبَاسِطُ : বৃদ্ধিকারী (২৭) الَخَافِضُ : নীচুকারী (২৮) الرَّافِعُ : উচুকারী
(২৯) الْمُعِزُّ : মর্যাদা দানকারী (৩০) الْمُذِلُّ : লাঞ্ছনা দানকারী (৩১) السَّمِيعُ : সবকিছু শ্রবণকারী
(৩২) الْبَصِيرُ: সবকিছু দর্শনকারী (৩৩) الْحَلِيمُ: অতি সহনশীল (৩৪) الْعَظِيمُ: মহামর্যাদাবান
(৩৫) الْغَفُورُ: ক্ষমাশীল (৩৬) الشَّكُورُ: গুণগ্রাহী (৩৭) الْعَلِىُّ: সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী
(৩৮) الَكَبِيرُ: সবচে বড় (৩৯) الْحَفِيظُ: সংরক্ষনকারী (৪০) الْمُقِيتُ: আহার্যদাতা
(৪১) الْحَسِيبُ: হিসাব গ্রহণকারী (৪২) الْجَلِيلُ: মহা মহিমাময় (৪৩) الْكَرِيمُ: উদারদাতা
(৪৪) الرَّقِيبُ: পর্যবেক্ষনকারী (৪৫) الْمُجِيبُ: কবুলকারী (৪৬) الْوَاسِعُ: সর্বব্যাপী
(৪৭) الْحَكِيمُ: প্রজ্ঞাময়, হুকুমদাতা (৪৮) الْوَدُود: প্রেমময় (৪৯) الْمَجِيدُ: গৌরবময়
(৫০) الْبَاعِثُ : পূণরায় উত্থানকারী (৫১) الشَّهِيدُ: প্রত্যক্ষকারী (৫২) الْحَقُّ : চিরসত্য
(৫৩) الْوَكِيلُ: সম্পাদনকারী (54) الْقَوِىُّ: শক্তিশালী (৫৪) الْمَتِينُ: সুদৃঢ় ক্ষমতার অধিকারী
(৫৬) الْوَلِىُّ: অভিভাবক (৫৭) الْحَمِيدُ: চির প্রশংসিত (৫৮) الْمُحْصِى: পুংখানুপুংখ হিসাব গ্রহনকারী
(৫৯) الْمُبْدِئُ: চির স্রষ্টা (৬০) الْمُعِيدُ: পূণরায় সৃষ্টিকারী (৬১) الْمُحْيِى: জীবনদানকারী
(৬২) الْمُمِيتُ: মৃত্যুদানকারী (৬৩) الْحَىُّ: চির জীবিত (৬৪) الَقَيُّومُ: চির প্রতিষ্ঠ, সবকিছু প্রতিষ্ঠাকারী (৬৫) الْوَاجِدُ: সবকিছু প্রাপক (৬৬) الْمَاجِدُ: একক মর্যাদাবান (৬৭) الْوَاحِدُ : একক
(৬৮) الصَّمَدُ: অমুখাপেক্ষী (৬৯) الْقَادِرُ: চির সামর্থবান (৭০) الْمُقْتَدِرُ: স্বয়ংক্রিয় শক্তির অধিকারী
(৭১) الْمُقَدِّمُ: অগ্রবর্তীকারী (৭২) الْمُؤَخِّرُ: পশ্চাদবর্তীকারী (৭৩) الأَوَّلُ: প্রথম (অনাদী)
(৭৪) الآخِرُ: শেষ (অনন্ত) (৭৫) الظَّاهِرُ: প্রকাশ্য (৭৬) الْبَاطِنُ: গোপন, গুপ্ত
(৭৭) الْوَالِى: অধিপতি (৭৮) الْمُتَعَالِى: উন্নীত, আলীশান (৭৯) الْبَرُّ: নেকময়
(৮০) التَّوَّابُ: তাওবা গ্রহনকারী (৮১) الْمُنْتَقِمُ: প্রতিশোধ গ্রহনকারী (৮২) الْعَفُوُّ: ক্ষমাকারী
(৮৩) الرَّءُوفُ: দয়াপরবশ (৮৪) مَالِكُ الْمُلْكِ: সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক, প্রকৃত মালিক
(৮৫) ذُو الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ: আযমত ও জালালের অধিকারী (৮৬) الْمُقْسِطُ: ন্যায়বিচারক
(৮৭) الْجَامِعُ: সমবেতকারী (৮৮) الْغَنِىُّ: অভাবমুক্ত (৮৯) الْمُغْنِى: অভাব দূরকারী
(৯০) الْمَانِعُ: প্রতিরোধকারী (৯১) الضَّارُّ: অকল্যাণের মালিক (৯২) النَّافِع: কল্যাণের মালিক
(৯৩) النُّورُ: জ্যোতির্ময় (৯৪) الْهَادِى: হিদায়াতদাতা (৯৫) الْبَدِيعُ: নমুনাবিহীন সৃষ্টিকারী
(৯৬) الْبَاقِى: চির বিদ্যমান (৯৭) الْوَارِثُ: সবকিছুর স্বত্বাধিকারী
(৯৮) الرَّشِيدُ: সত্যদর্শী, পথ প্রদর্শনকারী (৯৯) الصَّبُورُ: ধৈর্যশীল।
mvjv‡gi c‡ii wRKimg~n:
• أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ তিনবার . اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি(তিনবার)। হে আল্লাহ ! তুমি শান্তিময় আর তোমার পক্ষ থেকেই শান্তির আগমন। তুমি বরকতময় হে মর্যাদা ও মহত্বের অধিকারী !
• لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মা‘বুদ নেই, তিনি এক তার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তারই এবং প্রশংসা মাত্রই তার। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! তুমি যা দিবে, তা থেকে বাধা দেয়ার কেউ নেই। আর তুমি যা দিবেনা, তা দেয়ার মত কেউ নেই। তোমার গযব হতে কোন বিত্তশালী বা পদমর্যাদার অধিকারীকে তার ধনসম্পদ বা পদমর্যাদা রক্ষা করতে পারেনা।
• لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَلَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই, তিনি এক তার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তারই এবং প্রশংসা মাত্রই তার। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। কোন পাপ কাজ রোগ-শোক, বিপদ আপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় নেই এবং কোন সৎ কাজ করারও ক্ষমতা নেই আল্লাহর তাওফীক ছাড়া। আল্লাহ ছাড়া ইবাদতে যোগ্য কোন মাবুদ নেই। আমরা একমাত্র তারই ইবাদত করি। নেয়ামত সমূহ তাঁরই, অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই। আমরা তার দেয়া জীবন বিধান একমাত্র তার জন্য একনিষ্ঠভাবে মান্য করি। যদিও কাফেরদের নিকট তা অপ্রীতিকর।
• سُبْحاَنَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلّهِ وَاللّهُ اَكْبَر (৩৩বার) অত:পর এই দোয়া পরবে :-
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
আল্লাহ পবিত্রতা ঘোষনা করছি, প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ সর্বর্শ্রেষ্ঠ (৩৩বার) অত:পর এই দোয়া পরবে :- আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই, তিনি এক তার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তরাই, প্রশংসা মাত্রই তার। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
الإخلاص سورة
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ (1) اللَّهُ الصَّمَدُ (2) لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ (3) وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ (4)
সূরা ইখলাস: তুমি বল আল্লাহ এক। আল্লাহ এমন এক সত্তা যার নিকট সবকিছু মুখাপেক্ষী। তিনি জন্ম দেন নাই। এবং জন্ম নেন নাই। আর তার সমকক্ষও কেউ নেই।
سورة الفلق
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ (1) مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ (2) وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ (3) وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ (4) وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ (5)
সূরা ফালাক: বল আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ঠ থেকে। অন্ধকার রাতের অনিষ্ঠ থেকে যখন তা সমাগত হয়। গ্রন্থিতে ফুৎকার দিয়ে যাদুকারিনীদের অনিষ্ঠ থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ঠ থেকে যখন সে হিংসা করে।
سورة الناس
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ (1) مَلِكِ النَّاسِ (2) إِلَهِ النَّاسِ (3) مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ (4) الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ (5) مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ (6)
সূরা নাস: বল আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের পালনকর্তার, মানুষের অধিপতির, মানুষের মাবুদের, তার অনিষ্ঠ থেকে যে কুমন্ত্রণা দেয়, আত্মগোপন করে। যে কুমন্ত্রনা দেয় মানুষের অন্তরে, জ্বিনদের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
آية الكرسي
اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী, তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারেনা এবং নিদ্রাও না। আকাশ পৃথিবীতে যা কিছু বিরাজমান সবই তার। কে আছে এমন যে সুপারিশ করবে তার কাছে তার অনুমতি ছাড়া? আগে এবং পিছের সব কিছুই তিনি জানেন। তার জ্ঞানের কোন কিছুই তারা পরিবেষ্টিত করতে পারেনা। কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তার সিংহাসন সকল আকাশ পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর এ দুটোর সংরক্ষণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়। তিনি সর্বোচ্চ, সর্বাপেক্ষা মহান। (প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর ১ বার)
• لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই। তিনি এক তার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তারই, প্রশংসা মাত্রই তার। তিনি জীবিত করেন, তিনিই মৃত্যু দান করেন। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (মাগরিব ও ফজরের নামাযের পর দশবার।)
• اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلًا مُتَقَبَّلًا
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী বিদ্যা, পবিত্র জীবিকা ও গ্রহণযোগ্য আমল প্রর্থনা করি। (ফযরের নামাযের সালাম ফিরানোর পর)
সকাল-সন্ধ্যার জিকরসমূহ:
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ وَحْدَهٌ ، وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَىْ مَنْ لَا نَبِيَّ بَعْدَهٌ
সকল প্রশংসা একমাত্র মহান আল্লাহর জন্য, দরুদ ও সালাম ঐ সত্তার প্রতি যার পরে কোন নবী নেই।
• اية الكرسيّ
اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ : আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী, তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারেনা এবং নিদ্রাও না। আকাশ পৃথিবীতে যা কিছু বিরাজমান সবই তার। কে আছে এমন যে সুপারিশ করবে তার কাছে তার অনুমতি ছাড়া? আগে এবং পিছের সব কিছুই তিনি জানেন। তার জ্ঞানের কোন কিছুই তারা পরিবেষ্টিত করতে পারেনা। কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তার সিংহাসন সকল আকাশ পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর এ দুটোর সংরক্ষণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়। তিনি সর্বোচ্চ, সর্বাপেক্ষা মহান।
الإخلاص سورة
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ (1) اللَّهُ الصَّمَدُ (2) لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ (3) وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ (4)
সূরা ইখলাস: তুমি বল আল্লাহ এক। আল্লাহ এমন এক সত্তা যার নিকট সবকিছু মুখাপেক্ষী। তিনি জন্ম দেন নাই। এবং জন্ম নেন নাই। আর তার সমকক্ষও কেউ নেই।
سورة الفلق
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ (1) مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ (2) وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ (3) وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ (4) وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ (5) : সূরা ফালাক: বল আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ঠ থেকে। অন্ধকার রাতের অনিষ্ঠ থেকে যখন তা সমাগত হয়। গ্রন্থিতে ফুৎকার দিয়ে যাদুকারিনীদের অনিষ্ঠ থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ঠ থেকে যখন যে হিংসা করে।
سورة الناس
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ (1) مَلِكِ النَّاسِ (2) إِلَهِ النَّاسِ (3) مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ (4) الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ (5) مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ (6) : সূরা নাস: বল আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের পালনকর্তার, মানুষের অধিপতির, মানুষের মা‘বুদের নিকট, যে আত্মগোপন করে কুমন্ত্রণা দেয় তার অনিষ্ঠ থেকে। যে কুমন্ত্রনা দেয় মানুষের অন্তরে, জ্বিনদের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
• أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ رَبِّ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِي هَذَا الْيَوْمِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهُ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِي هَذَا الْيَوْمِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهُ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْكَسَلِ وَسُوءِ الْكِبَرِ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِيْ النَّارِ وَعَذَابٍ فِيْ الْقَبْرِ : আমরা এবং সমগ্র জগত আল্লাহর আরাধনার জন্য সকালে উপনিত হয়েছি। আর সমুদয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই। তিনি এক তার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তারই, প্রশংসা মাত্রই তার। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে প্রভু ! এই দিনের মাঝে এবং উহার পরে যা কিছু মঙ্গল নিহিত আছে আমি তোমার নিকট উহার প্রর্থনা করছি। আর এই দিনের মাঝে এবং উহার পরে যা কিছু অমঙ্গল নিহিত আছে, উহা হতে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। প্রভু ! আলস্য এবং বর্ধক্যের কষ্ট হতে আমি তোমার আশ্রয় প্রর্থনা করি। প্রভু ! দোযখের আযাব হতে এবং কবরের আযাব হতে তোমার আশ্রয় কামনা করি। আর সন্ধায় বলবে, ...أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ এবং هَذَا الْيَوْمِ এর স্থানে هَذِهِ اللَّيْلَةِ আর مَا بَعْدَهُ এর স্থানে مَا بَعْدَهَا বলবে।
• اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ: হে আল্লাহ ! আমরা তোমারই অনুগ্রহে প্রত্যুষে উপনিত হয়। এবং তোমারই অনুগ্রহে সন্ধায় উপনিত হই। তোমারই মর্জিতে আমরা জীবিত রয়েছি, তোমারই ইচ্ছায় আমরা মৃত্যুবরণ করব। আর তোমারই দিকে কিয়ামত দিবসে উত্থিত হয়ে আমরা সমবেত হব। আর সন্ধায় বলবে.. اللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
• اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ : হে আল্লাহ ! তুমি আমার প্রভু, তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ আর আমি হচ্ছি তোমার বান্দাহ। আমি আমার সাধ্যমত আমার প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গিকারাবদ্ধ রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ঠ হতে তোমার আশ্রয় ভিক্ষা করি। আমার প্রতি তোমার নিয়ামতের স্বীকৃতি প্রদান করছি। আর আমি আমার গোনাহ খাতা স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমাকে মাফ করে দাও। নিশ্চয় তুমি ছাড়া আর কেহই গোনাহ সমুহের মার্জনাকারী নাই।
• اللَّهُمَّ إِنِّي أَصْبَحْتُ أُشْهِدُكَ وَأُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ وَمَلَائِكَتَكَ وَجَمِيعَ خَلْقِكَ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ وَحْدَكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ :
• হে আল্লাহ ! তোমার অনুগ্রহে সকালে উপনিত হয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছি তোমার এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি তোমার আরশের বহনকারীদের এবং তোমার সকল ফেরেশতা ও তোমার সকল সৃষ্টির। নিশ্চয় তুমি আল্লাহ। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কেহ নেই। তুমি এক, তোমার কোন শরীক নেই। এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমার বান্দাহ ও রাসূল। (চারবার)
• اللَّهُمَّ مَا أَصْبَحَ بِيْ مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ، فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ"
হে আল্লাহ ! আমার সাথে নেয়ামতপ্রাপ্ত হয়ে তোমার সৃষ্টির মাঝে যে কেউ সকালে উপনিত হয়েছে, এসব নেয়ামত তোমার হতে। তুমি এক তোমার কোন শরীক নেই। প্রশংসা মাত্র তোমার,আর সকল প্রকার কৃতজ্ঞাতার প্রাপ্য তুমি।
• اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي سَمْعِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ : হে আল্লাহ ! তুমি আমার দেহের নিরাপত্তা দান কর। তুমি আমার কর্ণের নিরাপত্তা দান কর। তুমি আমার চক্ষুতে নিরাপত্তা দান কর। আল্লাহ তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নাই। হে আল্লাহ আমি তোমার আশ্রয় চাচ্ছি কুফুরী ও দারিদ্রতা হতে। আমি তোমার আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব হতে। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই। (তিনবার )
• حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ : আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই। আমি তার উপর নির্ভর করি। তিনি মহান আরশের প্রতিপালক। (সাত বার)
• اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ والْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَأَهْلِي وَمَالِي اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي وَآمِنْ رَوْعَاتِي اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِي وَعَنْ يَمِينِي وَعَنْ شِمَالِي وَمِنْ فَوْقِي وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দুনিয়া আখেরাতের নিরাপত্তা কামনা করছি। হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং স্বীয় দীন, দুনিয়ার এবং পরিবার ও ধন-সম্পদের নিরাপত্তা কামনা করছি। হে আল্লাহ! তুমি আমার গোপন দোষ-ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখ, চিন্তা ও উদ্ধিগ্নতাকে শান্তি ও নিরাপত্তায় রূপান্তরিত করে দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে নিরাপদে রাখো, আমার সম্মূখের এবং পশ্চাদের বিপদ হতে, আমার ডানের এবং বামের বিপদ হতে আর উর্ধদেশের গযব হতে। তোমার মহত্বের দোহাই দিয়ে তোমার কাছে আশ্রয় প্রর্থনা করছি। আমার নিম্নদেশ হতে আগত বিপদ হতে, তথা মাটি ধ্বসে আগত মৃত্যু হতে।
• اللَّهُمَّ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ وَأَنْ اَقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِيْ سُوْءًا أَوْ أَجُرَّهُ إِلَى مُسْلِمٍ: হে আল্লাহ ! গোপন-প্রকাশ্যের জ্ঞানের অধিকারী ! আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা ! সব বস্তুর প্রভু প্রতিপালক এবং সমস্ত কিছুর মালিক ! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই। আমি আমার প্রবৃত্তির অনিষ্ঠ হতে আর শয়তান ও তার শিরকের অনিষ্ঠ হতে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি নিজের অনিষ্ঠ হতে এবং কোন মুসলামনের অনিষ্ঠ করা হতে তোমার আশ্রয় চাচ্ছি। (তিনবার)
• بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ : আমি সেই আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি, যার নামে শুরু করলে আকাশ ও পৃথিবীর কোন বস্তুই কোনরূপ অনিষ্ঠ সাধন করতে পারেনা। বস্তুত তিনি হচ্ছেন সর্ব-শ্রোতা সর্ব-জ্ঞাত।
• رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ نَبِيًّا : আমি আল্লাহ কে প্রভু হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবী হিসেবে লাভ করে পরিতুষ্ট। (তিনবার)
• يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتِغِيْثُ أَصْلِحْ لِيْ شَأْنِيْ كُلَّهُ وَلَا تَكِلْنِيْ إِلَى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ"
: হে চিরঞ্জীব ! হে চিরসংরক্ষক ! তোমার রহমতের জন্য আমি তোমার দরবারে জানাই সকাতর নিবেদন। তুমি আমার সকল অবস্থা সংশোধন করে দাও। তুমি চোখের পলক পরিমাণ এক মুহর্তের জন্যও আমাকে আমার উপর ছেড়ে দিও না।”
• أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذَا الْيَوْمِ فَتْحَهُ وَنَصْرَهُ وَنُورَهُ وَبَرَكَتَهُ وَهُدَاهُ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِيهِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهُ : সকল জগতের প্রতিপালক আল্লাহর অনুগ্রহে আমরা ও সকল জগত প্রভাতে উপনিত হলাম। হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে কামনা করি এই দিনের কল্যাণ; বিজয় ও সাহায্য, নূর ও রবকত এবং হেদায়েত। আর আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই এই দিনের এবং এই দিনের পরের অকল্যাণ হতে।
• أَصْبَحْنَا عَلَى فِطْرَةِ الْإِسْلَامِ وَعَلَى كَلِمَةِ الْإِخْلَاصِ وَعَلَى دِينِ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى مِلَّةِ أَبِينَا إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا كَانَ مِنْ الْمُشْرِكِينَ : (আল্লাহর অনুগ্রহে) আমরা প্রত্যুষে উপনিত হয়েছি ইসলামের ফিতরতের উপর ও ইখলাসের উপর। আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) দ্বীনের উপর। আমাদের পিতা ইবরাহিম আ. এর মিল্লাতের উপর। তিনি ছিলেন একনিষ্ট মুসলিম, তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।
• سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ : আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার প্রশংসার সাথে। তার সৃষ্টি বস্তুসমূহের সংখ্যার সমান, তার নিজের সন্তুষ্টির সমান।তার আরশের ওজনের সমান ও তার বাণীসমূহের কালি পরিমাণ অসংখ্যবার। (তিনবার)
• سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ : আমি আল্লাহ পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার প্রশংসার সাথে। (একশতবার)
• " لَا إِلهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَئٍ قَدِيْرٌ: আল্লাহ ব্যতিত ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ নেই, তিনি এক। তার কোন শরীক নাই। রাজত্ব তার জন্যই, প্রশংসা মাত্রই তার। তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। (দশবার/একশতবার, সময়ের স্বল্পতা ও ব্যস্ততার প্রতি লক্ষ করে)
• أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأتُوْبُ إِلَيْهِ" : আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রর্থনা করি এবং তার প্রতিই তাওবা করছি। (একশত বার )
• أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ : আল্লাহর পূর্ণ গুণাবালীর বাক্য দ্বারা তার নিকট আমি অনিষ্ঠকর সৃষ্টির অপকার থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। (তিনবার)
• اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ : হে আল্লাহ ! আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর আপনি রহমত নাযিল করুন।(দশবার)
الأسماء الحسنى
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- :« إِنَّ لِلَّهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا مِائَةً غَيْرَ وَاحِدَةٍ مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ وَهُوَ وِتْرٌ يُحِبُّ الْوِتْر
হযরত আবু হোরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, নিশ্চয় আল্লাহর ৯৯ টি গুণবাচক নাম রয়েছে। যে এগুলো আয়ত্ব করবে (মুখস্ত করবে) ও অর্থ বিশ্বাসে আমল করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর তিনি বেজোড়, পছন্দও করেন বেজোড় সংখ্যাকে। (2351 بخاري -)
মুখস্তের সুবিধার্থে প্রথমে নাম; পরে অর্থগুলো দেয়া হলোঃ
هُوَ اللَّهُ الَّذِىْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ الْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلاَمُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ الْغَفَّارُ الْقَهَّارُ الْوَهَّابُ الرَّزَّاقُ الْفَتَّاحُ الْعَلِيْمُ الْقَابِضُ الْبَاسِطُ الَخَافِضُ الرَّافِعُ الْمُعِزُّ الْمُذِلُّ السَّمِيْعُ الْبَصِيْر الْحَكَمُ الْعَدْلُ اللَّطِيْفُ الْخَبِيْرُ الْحَلِيْمُ الْعَظِيْمُ الْغَفُوْرُ الشَّكُوْرُ الْعَلِىُّ الَكَبِيْرُ الْحَفِيْظُ الْمُقِيْتُ الْحَسِيْبُ الْجَلِيْلُ الْكَرِيْمُ الرَّقِيْبُ الْمُجِيْبُ الْوَاسِعُ الْحَكِيْمُ الْوَدُودُ الْمَجِيْدُ الْبَاعِثُ الشَّهِيْدُ الْحَقُّ الْوَكِيْلُ الْقَوِىُّ الْمَتِيْنُ الْوَلِىُّ الْحَمِيْدُ الْمُحْصِىْ الْمُبْدِئُ الْمُعِيْدُ الْمُحْيِىْ الْمُمِيْتُ الْحَىُّ الَقَيُّوْمُ الْوَاجِدُ الْمَاجِدُ الْوَاحِدُ الاَحَدُ الصَّمَدُ الْقَادِرُ الْمُقْتَدِرُ الْمُقَدِّم الْمُؤَخِّرُ الأَوَّلُ الآخِرُ الظَّاهِرُ الْبَاطِنُ الْوَالِىْ الْمُتَعَالِىْ الْبَرُّ التَّوَّابُ الْمُنْتَقِمُ الْعَفُوُّ الرَّءُوْفُ مَالِكُ الْمُلْكِ ذُو الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ الْمُقْسِطُ الْجَامِعُ الْغَنِىُّ الْمُغْنِىْ الْمَانِعُ الضَّارُّ النَّافِعُ النُّوْرُ الْهَادِىْ الْبَدِيْعُ الْبَاقِىْ الْوَارِثُ الرَّشِيْدُ الصَّبُوْرُ
১) هُوَ اللَّهُ الَّذِى لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ : তিনি আল্লাহ যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।
(২) الرَّحْمَنُ: অতিশয় দয়ালু (৩) : الرَّحِيمُ পরম দয়ালু (4) الْمَلِك : বাদশাহ
(৫) الْقُدُّوسُ: পবিত্র (৬) السَّلاَمُ : শান্তিময় (৭) الْمُؤْمِنُ: নিরাপত্তাদাতা
(৮) الْمُهَيْمِنُ: পাহারাদ্বার (৯) الْعَزِيزُ: পরাক্রমশালী (১০) الْجَبَّارُ: প্রতাপশালী
(১১) الْمُتَكَبِّرُ: অহংকারী (১২) الْخَالِقُ: সৃষ্টিকার্তা (১৩) الْبَارِئُ: উদ্ভাবনকারী
(১৪) الْمُصَوِّرُ: আকৃতিদাতা (১৫) الْغَفَّارُ: ক্ষমাশীল (১৬) الْقَهَّارُ: অক্ষমকারী
(১৭) الْوَهَّابُ: মহান দাতা (১৮) الرَّزَّاقُ: রিযিকদাতা (১৯) الْفَتَّاحُ: উন্মুক্তকারী
(২০) الْعَلِيمُ: মহাজ্ঞানী (২১) الْحَكَمُ: মিমাংসাকারী (২২) الْعَدْلُ: ন্যায়নিষ্ঠ
(২৩) اللَّطِيفُ : সূক্ষদর্শী ২৪) الْخَبِيرُ: সবকিছু খবরদ্বার (২৫) الْقَابِضُ : হ্রাসকারী
(২৬) الْبَاسِطُ : বৃদ্ধিকারী (২৭) الَخَافِضُ : নীচুকারী (২৮) الرَّافِعُ : উচুকারী
(২৯) الْمُعِزُّ : মর্যাদা দানকারী (৩০) الْمُذِلُّ : লাঞ্ছনা দানকারী (৩১) السَّمِيعُ : সবকিছু শ্রবণকারী
(৩২) الْبَصِيرُ: সবকিছু দর্শনকারী (৩৩) الْحَلِيمُ: অতি সহনশীল (৩৪) الْعَظِيمُ: মহামর্যাদাবান
(৩৫) الْغَفُورُ: ক্ষমাশীল (৩৬) الشَّكُورُ: গুণগ্রাহী (৩৭) الْعَلِىُّ: সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী
(৩৮) الَكَبِيرُ: সবচে বড় (৩৯) الْحَفِيظُ: সংরক্ষনকারী (৪০) الْمُقِيتُ: আহার্যদাতা
(৪১) الْحَسِيبُ: হিসাব গ্রহণকারী (৪২) الْجَلِيلُ: মহা মহিমাময় (৪৩) الْكَرِيمُ: উদারদাতা
(৪৪) الرَّقِيبُ: পর্যবেক্ষনকারী (৪৫) الْمُجِيبُ: কবুলকারী (৪৬) الْوَاسِعُ: সর্বব্যাপী
(৪৭) الْحَكِيمُ: প্রজ্ঞাময়, হুকুমদাতা (৪৮) الْوَدُود: প্রেমময় (৪৯) الْمَجِيدُ: গৌরবময়
(৫০) الْبَاعِثُ : পূণরায় উত্থানকারী (৫১) الشَّهِيدُ: প্রত্যক্ষকারী (৫২) الْحَقُّ : চিরসত্য
(৫৩) الْوَكِيلُ: সম্পাদনকারী (54) الْقَوِىُّ: শক্তিশালী (৫৪) الْمَتِينُ: সুদৃঢ় ক্ষমতার অধিকারী
(৫৬) الْوَلِىُّ: অভিভাবক (৫৭) الْحَمِيدُ: চির প্রশংসিত (৫৮) الْمُحْصِى: পুংখানুপুংখ হিসাব গ্রহনকারী
(৫৯) الْمُبْدِئُ: চির স্রষ্টা (৬০) الْمُعِيدُ: পূণরায় সৃষ্টিকারী (৬১) الْمُحْيِى: জীবনদানকারী
(৬২) الْمُمِيتُ: মৃত্যুদানকারী (৬৩) الْحَىُّ: চির জীবিত (৬৪) الَقَيُّومُ: চির প্রতিষ্ঠ, সবকিছু প্রতিষ্ঠাকারী (৬৫) الْوَاجِدُ: সবকিছু প্রাপক (৬৬) الْمَاجِدُ: একক মর্যাদাবান (৬৭) الْوَاحِدُ : একক
(৬৮) الصَّمَدُ: অমুখাপেক্ষী (৬৯) الْقَادِرُ: চির সামর্থবান (৭০) الْمُقْتَدِرُ: স্বয়ংক্রিয় শক্তির অধিকারী
(৭১) الْمُقَدِّمُ: অগ্রবর্তীকারী (৭২) الْمُؤَخِّرُ: পশ্চাদবর্তীকারী (৭৩) الأَوَّلُ: প্রথম (অনাদী)
(৭৪) الآخِرُ: শেষ (অনন্ত) (৭৫) الظَّاهِرُ: প্রকাশ্য (৭৬) الْبَاطِنُ: গোপন, গুপ্ত
(৭৭) الْوَالِى: অধিপতি (৭৮) الْمُتَعَالِى: উন্নীত, আলীশান (৭৯) الْبَرُّ: নেকময়
(৮০) التَّوَّابُ: তাওবা গ্রহনকারী (৮১) الْمُنْتَقِمُ: প্রতিশোধ গ্রহনকারী (৮২) الْعَفُوُّ: ক্ষমাকারী
(৮৩) الرَّءُوفُ: দয়াপরবশ (৮৪) مَالِكُ الْمُلْكِ: সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক, প্রকৃত মালিক
(৮৫) ذُو الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ: আযমত ও জালালের অধিকারী (৮৬) الْمُقْسِطُ: ন্যায়বিচারক
(৮৭) الْجَامِعُ: সমবেতকারী (৮৮) الْغَنِىُّ: অভাবমুক্ত (৮৯) الْمُغْنِى: অভাব দূরকারী
(৯০) الْمَانِعُ: প্রতিরোধকারী (৯১) الضَّارُّ: অকল্যাণের মালিক (৯২) النَّافِع: কল্যাণের মালিক
(৯৩) النُّورُ: জ্যোতির্ময় (৯৪) الْهَادِى: হিদায়াতদাতা (৯৫) الْبَدِيعُ: নমুনাবিহীন সৃষ্টিকারী
(৯৬) الْبَاقِى: চির বিদ্যমান (৯৭) الْوَارِثُ: সবকিছুর স্বত্বাধিকারী
(৯৮) الرَّشِيدُ: সত্যদর্শী, পথ প্রদর্শনকারী (৯৯) الصَّبُورُ: ধৈর্যশীল।
mvjv‡gi c‡ii wRKimg~n:
• أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ তিনবার . اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি(তিনবার)। হে আল্লাহ ! তুমি শান্তিময় আর তোমার পক্ষ থেকেই শান্তির আগমন। তুমি বরকতময় হে মর্যাদা ও মহত্বের অধিকারী !
• لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মা‘বুদ নেই, তিনি এক তার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তারই এবং প্রশংসা মাত্রই তার। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! তুমি যা দিবে, তা থেকে বাধা দেয়ার কেউ নেই। আর তুমি যা দিবেনা, তা দেয়ার মত কেউ নেই। তোমার গযব হতে কোন বিত্তশালী বা পদমর্যাদার অধিকারীকে তার ধনসম্পদ বা পদমর্যাদা রক্ষা করতে পারেনা।
• لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَلَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই, তিনি এক তার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তারই এবং প্রশংসা মাত্রই তার। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। কোন পাপ কাজ রোগ-শোক, বিপদ আপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় নেই এবং কোন সৎ কাজ করারও ক্ষমতা নেই আল্লাহর তাওফীক ছাড়া। আল্লাহ ছাড়া ইবাদতে যোগ্য কোন মাবুদ নেই। আমরা একমাত্র তারই ইবাদত করি। নেয়ামত সমূহ তাঁরই, অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই। আমরা তার দেয়া জীবন বিধান একমাত্র তার জন্য একনিষ্ঠভাবে মান্য করি। যদিও কাফেরদের নিকট তা অপ্রীতিকর।
• سُبْحاَنَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلّهِ وَاللّهُ اَكْبَر (৩৩বার) অত:পর এই দোয়া পরবে :-
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
আল্লাহ পবিত্রতা ঘোষনা করছি, প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ সর্বর্শ্রেষ্ঠ (৩৩বার) অত:পর এই দোয়া পরবে :- আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই, তিনি এক তার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তরাই, প্রশংসা মাত্রই তার। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
الإخلاص سورة
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ (1) اللَّهُ الصَّمَدُ (2) لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ (3) وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ (4)
সূরা ইখলাস: তুমি বল আল্লাহ এক। আল্লাহ এমন এক সত্তা যার নিকট সবকিছু মুখাপেক্ষী। তিনি জন্ম দেন নাই। এবং জন্ম নেন নাই। আর তার সমকক্ষও কেউ নেই।
سورة الفلق
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ (1) مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ (2) وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ (3) وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ (4) وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ (5)
সূরা ফালাক: বল আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ঠ থেকে। অন্ধকার রাতের অনিষ্ঠ থেকে যখন তা সমাগত হয়। গ্রন্থিতে ফুৎকার দিয়ে যাদুকারিনীদের অনিষ্ঠ থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ঠ থেকে যখন সে হিংসা করে।
سورة الناس
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ (1) مَلِكِ النَّاسِ (2) إِلَهِ النَّاسِ (3) مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ (4) الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ (5) مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ (6)
সূরা নাস: বল আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের পালনকর্তার, মানুষের অধিপতির, মানুষের মাবুদের, তার অনিষ্ঠ থেকে যে কুমন্ত্রণা দেয়, আত্মগোপন করে। যে কুমন্ত্রনা দেয় মানুষের অন্তরে, জ্বিনদের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
آية الكرسي
اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী, তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারেনা এবং নিদ্রাও না। আকাশ পৃথিবীতে যা কিছু বিরাজমান সবই তার। কে আছে এমন যে সুপারিশ করবে তার কাছে তার অনুমতি ছাড়া? আগে এবং পিছের সব কিছুই তিনি জানেন। তার জ্ঞানের কোন কিছুই তারা পরিবেষ্টিত করতে পারেনা। কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তার সিংহাসন সকল আকাশ পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর এ দুটোর সংরক্ষণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়। তিনি সর্বোচ্চ, সর্বাপেক্ষা মহান। (প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর ১ বার)
• لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই। তিনি এক তার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তারই, প্রশংসা মাত্রই তার। তিনি জীবিত করেন, তিনিই মৃত্যু দান করেন। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (মাগরিব ও ফজরের নামাযের পর দশবার।)
• اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلًا مُتَقَبَّلًا
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী বিদ্যা, পবিত্র জীবিকা ও গ্রহণযোগ্য আমল প্রর্থনা করি। (ফযরের নামাযের সালাম ফিরানোর পর)
সকাল-সন্ধ্যার জিকরসমূহ:
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ وَحْدَهٌ ، وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَىْ مَنْ لَا نَبِيَّ بَعْدَهٌ
সকল প্রশংসা একমাত্র মহান আল্লাহর জন্য, দরুদ ও সালাম ঐ সত্তার প্রতি যার পরে কোন নবী নেই।
• اية الكرسيّ
اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ : আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী, তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারেনা এবং নিদ্রাও না। আকাশ পৃথিবীতে যা কিছু বিরাজমান সবই তার। কে আছে এমন যে সুপারিশ করবে তার কাছে তার অনুমতি ছাড়া? আগে এবং পিছের সব কিছুই তিনি জানেন। তার জ্ঞানের কোন কিছুই তারা পরিবেষ্টিত করতে পারেনা। কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তার সিংহাসন সকল আকাশ পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর এ দুটোর সংরক্ষণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়। তিনি সর্বোচ্চ, সর্বাপেক্ষা মহান।
الإخلاص سورة
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ (1) اللَّهُ الصَّمَدُ (2) لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ (3) وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ (4)
সূরা ইখলাস: তুমি বল আল্লাহ এক। আল্লাহ এমন এক সত্তা যার নিকট সবকিছু মুখাপেক্ষী। তিনি জন্ম দেন নাই। এবং জন্ম নেন নাই। আর তার সমকক্ষও কেউ নেই।
سورة الفلق
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ (1) مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ (2) وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ (3) وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ (4) وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ (5) : সূরা ফালাক: বল আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ঠ থেকে। অন্ধকার রাতের অনিষ্ঠ থেকে যখন তা সমাগত হয়। গ্রন্থিতে ফুৎকার দিয়ে যাদুকারিনীদের অনিষ্ঠ থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ঠ থেকে যখন যে হিংসা করে।
سورة الناس
بسم الله الرحمن الرحيم
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ (1) مَلِكِ النَّاسِ (2) إِلَهِ النَّاسِ (3) مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ (4) الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ (5) مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ (6) : সূরা নাস: বল আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের পালনকর্তার, মানুষের অধিপতির, মানুষের মা‘বুদের নিকট, যে আত্মগোপন করে কুমন্ত্রণা দেয় তার অনিষ্ঠ থেকে। যে কুমন্ত্রনা দেয় মানুষের অন্তরে, জ্বিনদের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
• أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ رَبِّ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِي هَذَا الْيَوْمِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهُ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِي هَذَا الْيَوْمِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهُ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْكَسَلِ وَسُوءِ الْكِبَرِ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِيْ النَّارِ وَعَذَابٍ فِيْ الْقَبْرِ : আমরা এবং সমগ্র জগত আল্লাহর আরাধনার জন্য সকালে উপনিত হয়েছি। আর সমুদয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই। তিনি এক তার কোন শরীক নেই। রাজত্ব তারই, প্রশংসা মাত্রই তার। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে প্রভু ! এই দিনের মাঝে এবং উহার পরে যা কিছু মঙ্গল নিহিত আছে আমি তোমার নিকট উহার প্রর্থনা করছি। আর এই দিনের মাঝে এবং উহার পরে যা কিছু অমঙ্গল নিহিত আছে, উহা হতে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। প্রভু ! আলস্য এবং বর্ধক্যের কষ্ট হতে আমি তোমার আশ্রয় প্রর্থনা করি। প্রভু ! দোযখের আযাব হতে এবং কবরের আযাব হতে তোমার আশ্রয় কামনা করি। আর সন্ধায় বলবে, ...أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ এবং هَذَا الْيَوْمِ এর স্থানে هَذِهِ اللَّيْلَةِ আর مَا بَعْدَهُ এর স্থানে مَا بَعْدَهَا বলবে।
• اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ: হে আল্লাহ ! আমরা তোমারই অনুগ্রহে প্রত্যুষে উপনিত হয়। এবং তোমারই অনুগ্রহে সন্ধায় উপনিত হই। তোমারই মর্জিতে আমরা জীবিত রয়েছি, তোমারই ইচ্ছায় আমরা মৃত্যুবরণ করব। আর তোমারই দিকে কিয়ামত দিবসে উত্থিত হয়ে আমরা সমবেত হব। আর সন্ধায় বলবে.. اللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
• اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ : হে আল্লাহ ! তুমি আমার প্রভু, তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ আর আমি হচ্ছি তোমার বান্দাহ। আমি আমার সাধ্যমত আমার প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গিকারাবদ্ধ রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ঠ হতে তোমার আশ্রয় ভিক্ষা করি। আমার প্রতি তোমার নিয়ামতের স্বীকৃতি প্রদান করছি। আর আমি আমার গোনাহ খাতা স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমাকে মাফ করে দাও। নিশ্চয় তুমি ছাড়া আর কেহই গোনাহ সমুহের মার্জনাকারী নাই।
• اللَّهُمَّ إِنِّي أَصْبَحْتُ أُشْهِدُكَ وَأُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ وَمَلَائِكَتَكَ وَجَمِيعَ خَلْقِكَ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ وَحْدَكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ :
• হে আল্লাহ ! তোমার অনুগ্রহে সকালে উপনিত হয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছি তোমার এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি তোমার আরশের বহনকারীদের এবং তোমার সকল ফেরেশতা ও তোমার সকল সৃষ্টির। নিশ্চয় তুমি আল্লাহ। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কেহ নেই। তুমি এক, তোমার কোন শরীক নেই। এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমার বান্দাহ ও রাসূল। (চারবার)
• اللَّهُمَّ مَا أَصْبَحَ بِيْ مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ، فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ"
হে আল্লাহ ! আমার সাথে নেয়ামতপ্রাপ্ত হয়ে তোমার সৃষ্টির মাঝে যে কেউ সকালে উপনিত হয়েছে, এসব নেয়ামত তোমার হতে। তুমি এক তোমার কোন শরীক নেই। প্রশংসা মাত্র তোমার,আর সকল প্রকার কৃতজ্ঞাতার প্রাপ্য তুমি।
• اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي سَمْعِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ : হে আল্লাহ ! তুমি আমার দেহের নিরাপত্তা দান কর। তুমি আমার কর্ণের নিরাপত্তা দান কর। তুমি আমার চক্ষুতে নিরাপত্তা দান কর। আল্লাহ তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নাই। হে আল্লাহ আমি তোমার আশ্রয় চাচ্ছি কুফুরী ও দারিদ্রতা হতে। আমি তোমার আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব হতে। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই। (তিনবার )
• حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ : আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই। আমি তার উপর নির্ভর করি। তিনি মহান আরশের প্রতিপালক। (সাত বার)
• اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ والْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَأَهْلِي وَمَالِي اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي وَآمِنْ رَوْعَاتِي اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِي وَعَنْ يَمِينِي وَعَنْ شِمَالِي وَمِنْ فَوْقِي وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দুনিয়া আখেরাতের নিরাপত্তা কামনা করছি। হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং স্বীয় দীন, দুনিয়ার এবং পরিবার ও ধন-সম্পদের নিরাপত্তা কামনা করছি। হে আল্লাহ! তুমি আমার গোপন দোষ-ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখ, চিন্তা ও উদ্ধিগ্নতাকে শান্তি ও নিরাপত্তায় রূপান্তরিত করে দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে নিরাপদে রাখো, আমার সম্মূখের এবং পশ্চাদের বিপদ হতে, আমার ডানের এবং বামের বিপদ হতে আর উর্ধদেশের গযব হতে। তোমার মহত্বের দোহাই দিয়ে তোমার কাছে আশ্রয় প্রর্থনা করছি। আমার নিম্নদেশ হতে আগত বিপদ হতে, তথা মাটি ধ্বসে আগত মৃত্যু হতে।
• اللَّهُمَّ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ وَأَنْ اَقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِيْ سُوْءًا أَوْ أَجُرَّهُ إِلَى مُسْلِمٍ: হে আল্লাহ ! গোপন-প্রকাশ্যের জ্ঞানের অধিকারী ! আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা ! সব বস্তুর প্রভু প্রতিপালক এবং সমস্ত কিছুর মালিক ! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই। আমি আমার প্রবৃত্তির অনিষ্ঠ হতে আর শয়তান ও তার শিরকের অনিষ্ঠ হতে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি নিজের অনিষ্ঠ হতে এবং কোন মুসলামনের অনিষ্ঠ করা হতে তোমার আশ্রয় চাচ্ছি। (তিনবার)
• بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ : আমি সেই আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি, যার নামে শুরু করলে আকাশ ও পৃথিবীর কোন বস্তুই কোনরূপ অনিষ্ঠ সাধন করতে পারেনা। বস্তুত তিনি হচ্ছেন সর্ব-শ্রোতা সর্ব-জ্ঞাত।
• رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ نَبِيًّا : আমি আল্লাহ কে প্রভু হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবী হিসেবে লাভ করে পরিতুষ্ট। (তিনবার)
• يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتِغِيْثُ أَصْلِحْ لِيْ شَأْنِيْ كُلَّهُ وَلَا تَكِلْنِيْ إِلَى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ"
: হে চিরঞ্জীব ! হে চিরসংরক্ষক ! তোমার রহমতের জন্য আমি তোমার দরবারে জানাই সকাতর নিবেদন। তুমি আমার সকল অবস্থা সংশোধন করে দাও। তুমি চোখের পলক পরিমাণ এক মুহর্তের জন্যও আমাকে আমার উপর ছেড়ে দিও না।”
• أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذَا الْيَوْمِ فَتْحَهُ وَنَصْرَهُ وَنُورَهُ وَبَرَكَتَهُ وَهُدَاهُ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِيهِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهُ : সকল জগতের প্রতিপালক আল্লাহর অনুগ্রহে আমরা ও সকল জগত প্রভাতে উপনিত হলাম। হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে কামনা করি এই দিনের কল্যাণ; বিজয় ও সাহায্য, নূর ও রবকত এবং হেদায়েত। আর আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই এই দিনের এবং এই দিনের পরের অকল্যাণ হতে।
• أَصْبَحْنَا عَلَى فِطْرَةِ الْإِسْلَامِ وَعَلَى كَلِمَةِ الْإِخْلَاصِ وَعَلَى دِينِ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى مِلَّةِ أَبِينَا إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا كَانَ مِنْ الْمُشْرِكِينَ : (আল্লাহর অনুগ্রহে) আমরা প্রত্যুষে উপনিত হয়েছি ইসলামের ফিতরতের উপর ও ইখলাসের উপর। আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) দ্বীনের উপর। আমাদের পিতা ইবরাহিম আ. এর মিল্লাতের উপর। তিনি ছিলেন একনিষ্ট মুসলিম, তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।
• سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ : আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার প্রশংসার সাথে। তার সৃষ্টি বস্তুসমূহের সংখ্যার সমান, তার নিজের সন্তুষ্টির সমান।তার আরশের ওজনের সমান ও তার বাণীসমূহের কালি পরিমাণ অসংখ্যবার। (তিনবার)
• سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ : আমি আল্লাহ পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার প্রশংসার সাথে। (একশতবার)
• " لَا إِلهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَئٍ قَدِيْرٌ: আল্লাহ ব্যতিত ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ নেই, তিনি এক। তার কোন শরীক নাই। রাজত্ব তার জন্যই, প্রশংসা মাত্রই তার। তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। (দশবার/একশতবার, সময়ের স্বল্পতা ও ব্যস্ততার প্রতি লক্ষ করে)
• أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأتُوْبُ إِلَيْهِ" : আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রর্থনা করি এবং তার প্রতিই তাওবা করছি। (একশত বার )
• أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ : আল্লাহর পূর্ণ গুণাবালীর বাক্য দ্বারা তার নিকট আমি অনিষ্ঠকর সৃষ্টির অপকার থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। (তিনবার)
• اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ : হে আল্লাহ ! আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর আপনি রহমত নাযিল করুন।(দশবার)
Comment