ফোরামের নতুন, পুরাতন, ছোট, বড় সকল ভাইদের নিকট আমার ছোট্ট একটা অনুরোধ, আপনারা প্রত্যেকজনের পোষ্টে লাইক অথবা কমেন্ট যেটাই হোক করার চেষ্টা করবেন। কারণ, একজন ভাই যখন একটা লেখা দেন তো অনেক আশা নিয়ে লেখাটা দেন। একটা লেখার পিছনে অনেক কষ্ট করতে হয়। কিন্তু যখন কোনো ভাইয়ের থেকে একটু শান্তনার বানী পান তখন তার সে কষ্ট আর মনে থাকে না। যখন দেখেন আমার লেখাটা কেউ পড়েছেন তখন তার মনটা জুড়িয়ে যায়। পরবর্তিতে লেখার জন্য উৎসাহ পান। কারণ তিনি এ উদ্দেশ্যেই লেখাটা দেন যে, আমার লেখাটা ভাইয়েরা পড়বেন। তারা উপকৃত হবেন। হয়তো কেউ ভালো- মন্দ কোনো কমেন্ট করবেন। আার আপনি তার উদ্দেশ্য পুরোন করলেন, লেখাটা পড়লেন। কিন্তু লাইক কমেন্ট কিছুই করলেন না। তাহলে তিনি কিভাবে বুঝবেন যে, আপনি তার লেখা পড়েছেন। আর লাইক, কমেন্টের কারণে ভাইদের মাঝে উৎসাহ পয়দা হয় এবং পরবর্তিতে শত কষ্ট হলেও একটা লেখা তৈরী করে পোষ্ট দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি যদি দেখেন; আমার লেখায় কোনো লাইকও নেই কমেন্টও নেই, তখন তিনি উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। আস্তে আস্তে সে ভাই আর দাওয়াহতেই আসেন না। আমার নিজের যানা- শোনা এমন ভাই আছেন যিনি প্রথমে কিছুদিন দাওয়াহতে পোষ্ট দিয়েছেন। কিন্তু ভাইদের থেকে উৎসাহ না পাওয়ার কারণে তিনি একবারে ছেড়েই দিয়েছেন। আর তা ছাড়া আমরাতো সকলে একে অপরের ভাই। সবাই একই পথে কাজ করছি। একে অপরকে সহায়তা করব এটাই আমাদের কাম্য। যদি দেখেন কারো লেখা ভালো হয়নাই তাহলে সুন্দরভাবে তাকে শিখিয়ে দেন। কারো বানান ভুল হয়েছে তো সহনশীলতার সাথে তাকে বলে দেন যে, ভাই বানানটা এমন হবে। বিষয়বস্তুতে সমস্যা হলে তাও বলে দেন। লেখার কাঠামোগত কোনো সমস্যা হলে সেটাও বলে দিতে পারেন। কারণ অনেক ভাই আছেন যারা কোনো দিন লেখলেখি করেন নাই। এই প্রথম লেখা শুরু করেছেন। তার ভুল হওয়াটাই সাভাবিক। ভুল না হওয়া অসাভাবিক। তাই এক ভাইয়ের সহায়তায় আর এক ভাই এগিয়ে আসুন। এক অপরের সহায়তা করে আগাতে পারলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আমাদের বিজয় অতিসত্ত্বর দান করবেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে তাওফিক দান করুন।
Announcement
Collapse
No announcement yet.
সকল ভাইয়ের নিকট আবেদন।
Collapse
X
-
আল্লাহ আপনার মেহনত কবুল করুন আমিন( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883
-
তবে এটি ও খেয়ালে রাখার বিষয় যে কাজ যত বাহ্যিক লাভ শুন্য হবে ততবেশী আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রিয় হবে , একই কাজ জিহাদ এবং আল্লাহর পথে মাল খরচঃ মক্কা বিজয়ের পুর্বে তার মার্যাদা এবং পরে তার মার্যাদা এক নহে আগে এর মর্যাদা ছিল অনেক বেশী। আল্লাহ তয়ালা মুত্তাকি, গুপ্ত, নির্লিপ্ত মানুষের( দান,প্রসংসা,নিন্দার... প্রতি) অমুখাপেক্ষি বান্দা কে ভালো বাসেন। কালিমায়ে তায়্যিবার উদাহরন হলো তাঁর শিকড় গভিরে , আর কালিমায়ে খবিসার উদাহরন হলো তার শিকড় উপরে। ইখলাছের সাথে বীজ বপন করে গেলে এক সময় এর সাখা প্রসাখা আকাশে উঠবে । প্রকাশ্য দানের চেয়ে গুপনে দানের ছাওয়াব ৭০ গুন বেশী। আমরা যেন ৭০ গুনের খেয়াল ও রাখি ।
এই জন্য রোল হলো ফরজ কাজ প্রকাশ্যে করা , আর নফল ঐচ্ছিক কাজ গুলো গুপনে করা ,
আমীরের আনুগত্য নিজের যিম্মাদারি আদায় ফরজ , গুনাহের সনেদেহ থেকে বেচে থাকা এগুলো ফরজ। আই আল্লাহ আমার ভিতর বাহিরের চেয়ে আরো সুন্দর করো আর বাহির কে ও মানা সই সুন্দর রাখো।
Comment
-
ভাই! বিষয়টি আগেই অনেকবার উত্থাপন করা হয়েছিল ।
আপনি আবার স্বরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
তবে ভাই
ফোরাম যারা চালাতেন তারা ব্যস্ত থাকেন যার কারণে কমেন্ট করতে পারেন না ।
আর যারা কমেন্ট করার অনারা কমেন্ট করেন-ই।
আর কম সংখ্যক ভাইয়েরাই ভিজিট করে থাকেন যদিও অনেক ভাইয়ের আইডি রয়েছে ।আনসার কে ভালবাসা ঈমানের অংশ ।
Comment
-
Originally posted by murabit View Postতবে এটি ও খেয়ালে রাখার বিষয় যে কাজ যত বাহ্যিক লাভ শুন্য হবে ততবেশী আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রিয় হবে , একই কাজ জিহাদ এবং আল্লাহর পথে মাল খরচঃ মক্কা বিজয়ের পুর্বে তার মার্যাদা এবং পরে তার মার্যাদা এক নহে আগে এর মর্যাদা ছিল অনেক বেশী। আল্লাহ তয়ালা মুত্তাকি, গুপ্ত, নির্লিপ্ত মানুষের( দান,প্রসংসা,নিন্দার... প্রতি) অমুখাপেক্ষি বান্দা কে ভালো বাসেন। কালিমায়ে তায়্যিবার উদাহরন হলো তাঁর শিকড় গভিরে , আর কালিমায়ে খবিসার উদাহরন হলো তার শিকড় উপরে। ইখলাছের সাথে বীজ বপন করে গেলে এক সময় এর সাখা প্রসাখা আকাশে উঠবে । প্রকাশ্য দানের চেয়ে গুপনে দানের ছাওয়াব ৭০ গুন বেশী। আমরা যেন ৭০ গুনের খেয়াল ও রাখি ।
এই জন্য রোল হলো ফরজ কাজ প্রকাশ্যে করা , আর নফল ঐচ্ছিক কাজ গুলো গুপনে করা ,
আমীরের আনুগত্য নিজের যিম্মাদারি আদায় ফরজ , গুনাহের সনেদেহ থেকে বেচে থাকা এগুলো ফরজ। আই আল্লাহ আমার ভিতর বাহিরের চেয়ে আরো সুন্দর করো আর বাহির কে ও মানা সই সুন্দর রাখো।
তবে আমাদের ঈমানতো দুর্বল। এ জন্যই তো আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর একটু সহজ করেছেন। ইসলামের প্রখম যামানায় যখন মুসলমানদের ঈমান মজবুত, অটল তখন কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদের ক্ষেত্রে তাদের হুকুম ছিলো, দুই শত জনের মুকাবেলায় বিশ জন থাকলে তারা আর যুদ্ধের ময়দান থেকে পালাতে পারবে না। যুদ্ধের ময়দানে তাদের অটল থাকতে হবে। কিন্তু পরবর্তিতে ঈমানের মধ্যে দুর্বলতা আসার কারণে আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের উপর একটু সহজ করেছেন। এখোন আর দুই শত এর মুকাবেলায় বিশ জন নয় বরং দুই শত এর মুকাবেলায় এক শত। অর্থাৎ অর্ধেক।
( তাই ঈমানের দুর্বলতার কারণে আমাদের একটু বাহ্যিক অবস্থার প্রয়োজন হয়। এভাবে করতে করতে এক সময় আল্লাহ তায়ালা আমাদের ঈমান বাড়ায় দিবেন। ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদেরকে তার সন্তুষ্টির সাথে দীনের কাজ করার তাওফিক দান করুন।
Comment
Comment