আল্লাহকে ভালোবাসা। আল্লাহর জন্য ভালোবাসা। আল্লাহর জন্য বিদ্ধেষ রাখা।
ভালোবাসা অন্তরের বিষয়। ভালোবাসা মুখ দিয়ে হয় না। মুখ দিয়ে শুধু অন্তরের শুপ্ত ভালোবাসাকে ব্যাক্ত করা যায়। ভালোবাসা দুই প্রকার, ১. সভাবগত ভালোবাসা। যেমন মানুষ তার পরিবার, পরিজন, স্ত্রী- সন্তানদেরকে ভালোবোসে। বন্ধুদেরকে ভালোবাসে। এ প্রকারের ভালোবাসা ইবাদাতের অন্তর্ভুক্ত নয়। ২. দীনি ভালোবাসা অর্থাৎ দীনের খাতিরে কাউকে ভালোবাসা। এখানে কোনও ব্যক্তিগত সার্থ নেই। খালেছ ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকেই কাউকে ভালোবাসা। এটা আবার দুই প্রকার: ১. আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসা। আর এটাই হল সবচে বড় ইবাদাত। ইবনুলি কাইয়ুম রহ: বলেছেন: “রহমানের ইবাদাত হল, আল্লাহ তায়ালার সামনে বান্দার সর্বোচ্চ নত হওয়ার সাথে সাথে তাকে চুড়ান্ত পর্যায়ের ভালোবাসা। আল্লাহ তায়ালাকে বালোবাসা এবং বান্দার নত হওয়া এ *দুটি হল, ইবাদাতের কেন্দ্রবিন্দু। এর উপর ইবাদাতের সমস্ত বিষয় প্রদক্ষিণ করে। সমস্ত ইবাদাতের মধ্যে এটা বড় একটা ইবাদাত। আল্লাহ তায়ালার সাথে অন্য কাউকে ভালোবাসা জায়েয নেই। আল্লাহ তায়ালা বলেন: “মানুষের মধ্যে অনেকে আল্লাহর পরিবর্তে তার সমকক্ষ নির্ধারণ করে। তারা তাদেরকে ভালোবাসে আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসার ন্যায়”। ( সূরা বাকারা, ১৬৫.) এটা মুহাব্বাতের ক্ষেত্রে শিরক। এজন্যই আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: “যারা ঈমান এনেছে তারাই আল্লাহ তায়ালাকে বেশি ভালোবাসে। (সূরা বাকারা, ১৬৫.) তাই মুমিন আল্লাহ তায়ালা ছাড়া অন্য কাউকে ভালোবাসে না। মুর্তির জন্য মুর্তিপুজকদের মুহাব্বাতের চেয়ে আল্লাহর জন্য মুমিনদের মুহা্ব্বাত অধিক বেশি। কারণ, আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা দুনিয়া- আখেরাত উভয় জায়গায় স্থায়ী থাকবে। কিন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভালোবাসা আখেরাতে থাকবে না। তখন আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে উপাসক এবং উপাস্য উভয়ের মাঝে শত্রুতা সৃষ্টি হয়ে যাবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন: “যখন সমস্ত মানুষকে একত্র করা হবে তখন তারা তাদের শত্রুতে পরিনত হবে এবং তারা তাদের ইবাদাতকে অস্বিকার করবে। ( সূরা আহকাফ, ৬.) তিনি আরো বলেন: “তোমরা যে আল্লাহর পরিবর্তে মুর্তিগুলোকে (উপাস্যরুপে) গ্রহণ করেছ, তা কেবল দুনিয়ার জীবনে তোমাদের পরস্পরের বন্ধুত্বের কারণেই। তারপর কিয়ামতের দিন তোমাদের একে অপরকে অস্বিকার করব এবং একে অপরকে লা‘নত করবে। আর তোমাদের ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম। এবং তোমাদের কোনও সাহায্যকারি নেই”। ( সূরা আনকাবুত, ২৫.)”। এই আলোচনা থেকে বুঝা গেল আল্লাহ তায়ালাকে মুহাব্বাত করা বড় একটা ইবাদাত। আমাদের চিন্তা করার বিষয় যে আমাদের মধ্যে এই ইবাদাতটি আছে কি না। অন্তরের দিকে তাকালে তো শুধু দেখতে পাই, পুরা অন্তরজুড়ে দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী নাজ-নিয়ামতের ভালোবাসায় ভরপুর। আল্লাহর ভালোবাসা যদি অন্তরে না থাকে তাহলে আল্লাহ তায়ালার প্রকৃত ইবাদাত আমাদের দ্বারা কিভাবে সম্ভব? তাই আসুন আমরা আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসতে শিখি।
দীনের জন্য ভালোবাসা এর দিতীয় প্রকার হল, “আল্লাহ তায়ালার জন্য কাউকে ভালোবাসা এবং আল্লাহ তায়ালার জন্য কারো প্রতি বিদ্ধেষ রাখা”। এ ব্যাপারে ইনশাইল্লাহ পরবর্তিতে আলোচনা করব।
ভালোবাসা অন্তরের বিষয়। ভালোবাসা মুখ দিয়ে হয় না। মুখ দিয়ে শুধু অন্তরের শুপ্ত ভালোবাসাকে ব্যাক্ত করা যায়। ভালোবাসা দুই প্রকার, ১. সভাবগত ভালোবাসা। যেমন মানুষ তার পরিবার, পরিজন, স্ত্রী- সন্তানদেরকে ভালোবোসে। বন্ধুদেরকে ভালোবাসে। এ প্রকারের ভালোবাসা ইবাদাতের অন্তর্ভুক্ত নয়। ২. দীনি ভালোবাসা অর্থাৎ দীনের খাতিরে কাউকে ভালোবাসা। এখানে কোনও ব্যক্তিগত সার্থ নেই। খালেছ ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকেই কাউকে ভালোবাসা। এটা আবার দুই প্রকার: ১. আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসা। আর এটাই হল সবচে বড় ইবাদাত। ইবনুলি কাইয়ুম রহ: বলেছেন: “রহমানের ইবাদাত হল, আল্লাহ তায়ালার সামনে বান্দার সর্বোচ্চ নত হওয়ার সাথে সাথে তাকে চুড়ান্ত পর্যায়ের ভালোবাসা। আল্লাহ তায়ালাকে বালোবাসা এবং বান্দার নত হওয়া এ *দুটি হল, ইবাদাতের কেন্দ্রবিন্দু। এর উপর ইবাদাতের সমস্ত বিষয় প্রদক্ষিণ করে। সমস্ত ইবাদাতের মধ্যে এটা বড় একটা ইবাদাত। আল্লাহ তায়ালার সাথে অন্য কাউকে ভালোবাসা জায়েয নেই। আল্লাহ তায়ালা বলেন: “মানুষের মধ্যে অনেকে আল্লাহর পরিবর্তে তার সমকক্ষ নির্ধারণ করে। তারা তাদেরকে ভালোবাসে আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসার ন্যায়”। ( সূরা বাকারা, ১৬৫.) এটা মুহাব্বাতের ক্ষেত্রে শিরক। এজন্যই আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: “যারা ঈমান এনেছে তারাই আল্লাহ তায়ালাকে বেশি ভালোবাসে। (সূরা বাকারা, ১৬৫.) তাই মুমিন আল্লাহ তায়ালা ছাড়া অন্য কাউকে ভালোবাসে না। মুর্তির জন্য মুর্তিপুজকদের মুহাব্বাতের চেয়ে আল্লাহর জন্য মুমিনদের মুহা্ব্বাত অধিক বেশি। কারণ, আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা দুনিয়া- আখেরাত উভয় জায়গায় স্থায়ী থাকবে। কিন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভালোবাসা আখেরাতে থাকবে না। তখন আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে উপাসক এবং উপাস্য উভয়ের মাঝে শত্রুতা সৃষ্টি হয়ে যাবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন: “যখন সমস্ত মানুষকে একত্র করা হবে তখন তারা তাদের শত্রুতে পরিনত হবে এবং তারা তাদের ইবাদাতকে অস্বিকার করবে। ( সূরা আহকাফ, ৬.) তিনি আরো বলেন: “তোমরা যে আল্লাহর পরিবর্তে মুর্তিগুলোকে (উপাস্যরুপে) গ্রহণ করেছ, তা কেবল দুনিয়ার জীবনে তোমাদের পরস্পরের বন্ধুত্বের কারণেই। তারপর কিয়ামতের দিন তোমাদের একে অপরকে অস্বিকার করব এবং একে অপরকে লা‘নত করবে। আর তোমাদের ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম। এবং তোমাদের কোনও সাহায্যকারি নেই”। ( সূরা আনকাবুত, ২৫.)”। এই আলোচনা থেকে বুঝা গেল আল্লাহ তায়ালাকে মুহাব্বাত করা বড় একটা ইবাদাত। আমাদের চিন্তা করার বিষয় যে আমাদের মধ্যে এই ইবাদাতটি আছে কি না। অন্তরের দিকে তাকালে তো শুধু দেখতে পাই, পুরা অন্তরজুড়ে দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী নাজ-নিয়ামতের ভালোবাসায় ভরপুর। আল্লাহর ভালোবাসা যদি অন্তরে না থাকে তাহলে আল্লাহ তায়ালার প্রকৃত ইবাদাত আমাদের দ্বারা কিভাবে সম্ভব? তাই আসুন আমরা আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসতে শিখি।
দীনের জন্য ভালোবাসা এর দিতীয় প্রকার হল, “আল্লাহ তায়ালার জন্য কাউকে ভালোবাসা এবং আল্লাহ তায়ালার জন্য কারো প্রতি বিদ্ধেষ রাখা”। এ ব্যাপারে ইনশাইল্লাহ পরবর্তিতে আলোচনা করব।
Comment