রুহবান ও ফুরসান এর বিরল উপমা
-------------------------------------আকাবিরদের স্মৃতিচারণ-২
সাআদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রাযিয়াল্লাহু আনহু “কাদেসিয়ার যুদ্ধ” শেষে পারস্য সমরাট কেসরার রাজপ্রাসাদে আবতরণ করলেন।
তিনি উমর ইবনে মুকররানকে নির্দেশ দিলেন গনীমতের মাল জামা করে হিসাব করতে। তার সামনে জমা হলো বিভিন্ন প্রকার দুষ্প্রাপ্য দামি ও উত্তম সম্পদ- যা বর্ণনার অতীত গণনারও অতীত।
কর্মচারীরা যখন সকলের উপস্থিতিতে এইসব গণীমতের মাল হিসাব করছিল। তখন হঠাৎ সেখানে খুব ভারী ও বিশাল বড় একটি বাক্স নিয়ে ধূলিমলিন বেশ ও এলোমেলো কেশধারী এক লোক হাজির হল।
লোকটির বেশভূষা দেখে সবাই ভাবল---- “এ আবার কোন আপদ এল”
এই তাচ্ছিল্যভারা দৃষ্টি যখন লোকটির ওপর থেকে সরে বাক্সটির ওপর পড়ল তখন বিস্পয়ের ধাক্কা খেয়ে তারা সাবই সোজা হয়ে বসল। এত চমৎকার বাক্স জীবনে কখনো চোখে পড়েনি! এমনকি এখানে এই যে বিপুল পরিমাণ গনীমত, সেখানেও নেই এর সমতুল্য কিছুই। এরপর বাক্সটির ভেতরে যখন তাদের চোখ পড়ল তখন তো বাকরুদ্ধ হবার যোগাড়, চমতৎকার বক্সটি ছিল দুষ্প্রাপ্য মাণিক্য ও মুক্তা দিয়ে ভরা......
তাচ্ছিল্যপূর্ণ দৃষ্টির শিকার সেই লোকটির দিকেই সকলে তাকল সমীহরে দৃষ্টিতে, যার বাঙ্ময় প্রকাশ ধ্বনিত হলো কারও কারও কন্ঠে----- “তুমি পেলে কোথায় এই অমূল্য সম্পদের খনি” সকলের সুরে ফুটে উঠল অসম্ভব বিস্ময় ও জিজ্ঞাসার তীব্র আকুতি।
অমুক যুদ্ধে, অমুক স্থানে গনীমত পেয়েছি....। লোকটির গায়ে না মাখা সাদামাটা উত্তর।
তুমি কিছু সরিয়ে রাখনিতো?
আল্লাহ তোমাদের ভ্রান্তি দুর করুন......... এই বাক্সটি কেন পরস্যের যাবতীয় সম্পদ ও আমার কাছে কর্তিত নখের বরাবরও নয়..... এতে যদি বাইতুল মালের হক জড়িত না থাকত তবে আল্লাহর কসম আমি “ওটা” ছুয়ে ও দেখতাম না। আমি নিতে চাইলে কিছু কেন পুরোটাই সরিয়ে রাখলে তোমরা জানতে কিভাবে?
কে তুমি হে মহান ব্যক্তি? কী তোমার নাম?
না-না আমার নাম, পরিচয় তোমাদের জানার জন্য দরকারী কিছু নয়। আমার নাম ধরে তোমরা প্রশংসা করবে, অন্যদের কাছে আমার সুনাম ও খ্যতি ছড়াবে, আমাকে ফোলাবে। আল্লাহর কসম আমি সেটা হতে দেবনা। আমি শুধু মহন আল্লাহর প্রশংসা করছি। তাঁর কাছেই চাই এর বিনিময়।
হ্যা ভাই ! বলছিলাম বসরার বিখ্যাত আবেদ ও যাহেদ তাবেয়ী আমের ইবনে আব্দুল্লাহ তামেমী রহ.. এর কথা।
বসরার জনৈক ব্যক্তি আমের ইবনে আব্দুল্লাহ সম্পর্কে এ রকম বর্ণনা করেন---------
আমি একবার এক কাফেলার সঙ্গে সফর করছিলাম, আমের ইবনে আব্দুল্লাহ ছিলেন সে কাফেলার একজন সঙ্গী। চলতে চলতে যখ সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল। আমরা একটি ঝোপের নিকট পৌঁছে যাত্রা বিরতি করলাম।
আমের রহ. নিজের সামান একত্রিত করে ঘোড়াটিকে একটি গাছের সঙ্গে বাঁধলেন। ঘোড়ার রশি কিছুটা লম্ব রাখলেন। তার সামনে পরিমাণ মতো ঘাস দিয়ে প্রবেশ করলেন গভীর অরণ্যে। দেখলাম যেতে যেতে তনি একিট ছোট্ট ঢিপির কাছে থামলেন। চতুর্তদিক দিয়ে ঘন গাছপালায় ঘেরা। এই নির্জন ঢিপিতে ঢুকে তিনি নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন। আমি অপলক দৃষ্টিতে সেই বিস্ময়কর দৃশ্য দেখতে লাগলাম। এত পরিপূর্ণ, খুশু-খুযূপূর্ণ এত চমৎকার নামায আমার জীবনে আর কখনো দেখিনি।
দীর্ঘ সময় নামায আদায়ের পর তিনি দুআ করতে শুরু করলেন, দুহাত তুলে বলতে লাগলেন---
“হে আল্লাহ! তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ আপন নির্দেশে তারপর আপন ইচ্ছায় আমাকে দুনিয়ার নানান পরীক্ষায় ফেলে নির্দেশ দিয়েছ নিজেকে বাঁচাও”
হে সির্বশক্তিমান, মহাপরাক্রমশালী! তুমি আপন দায়া ও অনুগ্রহে যদি আমাকে না বাঁচাও, তবে আমি কীভাবে নিজেকে বাঁচাব? কীরূপে আত্মরক্ষা করব?
তোমার ভালবাসা পেলে আমি আর কিচ্ছু চাই না, আর কোনো কিছুর পরোয়াও করিনা। তোমার ভালোবাসা পেলে আমি আর ফিরেও দেখিনা কীভাবে গেল আমার সকাল আর কীভাবে গেল আমার সন্ধ্যা…
প্রতিটি মানুষেরই নানান প্রয়োজন ও প্রয়োজনীয়তা আছে… আছে অভাব, কিন্তু “তোমার ক্ষমা ছাড়া আমেরের নেই কোন অভাব, নেই কোনো প্রয়োজন।
ইয়া আল্লাহ তুমি মিটিয়ে দাও আমার এবং সব মানুষের সকল অভাব, ইয়া আকরামুল আকরামীন।
বসরার লোকটি বলেন :……………………
এই দৃশ্য দেখতে দেখতে এক সময় আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। এর পর যতবার জাগলাম, তাকে সেই নামাযে অথবা মুনাজাতেই দেখলাম প্রভাতের আলো ফোটা পর্যন্ত।
আমের ইবনে আব্দুল্লাহ যেমন ছিলেন ইবাদগুযার, তেমনি ছিলেন একজন ঘোড়সাওয়ার মুজাহিদও। যখনই জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর আহবান আসত তিনিই থাকতেন সর্বাগ্রে সাড়া প্রাদনকারী। তিনি রনাঙ্গণে শরীক হলে সর্ব প্রথম মুজাহিদদের মাঝে নিরীক্ষণ চালিয়ে কিছু লোক বাছাই করে তাদের ডেকে বলতেন….
আমি তোমাদের সঙ্গী হতে চাই যদি তোমরা তিনটি শর্তে রাজি থাকো…....................
এক.. আমি তোমাদের খেদমত করব, এ ব্যপারে কেউ আপত্তি করতে পারবেনা।
দুই.. আমিই সব সময় আযান দিব অন্য কেউ আযান দেওয়ার দাবি জানাতে পারবেনা।
তিন.. আমি সামর্থ অনুযায়ী সাথীদের জন্য ব্যয় করব কেউ বাধা দিতে পারবেনা।
আমের ইবনে আব্দুল্লাহ তার জীবন কে ভাগ করে নিয়েছিলেন তিন ভাগে………………………………
এক… কুরআন শিক্ষার জন্য।
দুই… নির্জন ইবাদতের জন্য।
তিন.. জিহাদের জন্য, এ সময়ে তিনি খাপমুক্ত তরবারি নিয়ে শঙ্কাহীনভাবে শত্রুর রিবুদ্ধে লড়াই করতেন।
আমের রহ.. ছিলেন সেই বিরল মুজাহিদদের একজন, যারা রক্ত দেওয়ার সময় থাকেন সাবার আগে, আর গণীমত বন্টনের সময় সবার পিছনে।
যুহদ ও তাকওয়া পূর্নতা পেয়েছে আট ব্যক্তির মাধ্যমে, যাদরে শির্ষে রয়েছেন আমের ইবনে আব্দুল্লাহ তামীমী।
-----আলকামা ইবনে মুরসাদ
হে আল্লাহ, রাহমান রাহীম! আপনার অশেষ করুনায় আমাদের শামিল করে দিন সেই মহান মুজাহীদ ও শহীদদের কাতারে। যারা আপন রবের সন্তুষ্টি লাভে ধন্য হয়েছেন। আমিন।
-------------------------------------আকাবিরদের স্মৃতিচারণ-২
সাআদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রাযিয়াল্লাহু আনহু “কাদেসিয়ার যুদ্ধ” শেষে পারস্য সমরাট কেসরার রাজপ্রাসাদে আবতরণ করলেন।
তিনি উমর ইবনে মুকররানকে নির্দেশ দিলেন গনীমতের মাল জামা করে হিসাব করতে। তার সামনে জমা হলো বিভিন্ন প্রকার দুষ্প্রাপ্য দামি ও উত্তম সম্পদ- যা বর্ণনার অতীত গণনারও অতীত।
কর্মচারীরা যখন সকলের উপস্থিতিতে এইসব গণীমতের মাল হিসাব করছিল। তখন হঠাৎ সেখানে খুব ভারী ও বিশাল বড় একটি বাক্স নিয়ে ধূলিমলিন বেশ ও এলোমেলো কেশধারী এক লোক হাজির হল।
লোকটির বেশভূষা দেখে সবাই ভাবল---- “এ আবার কোন আপদ এল”
এই তাচ্ছিল্যভারা দৃষ্টি যখন লোকটির ওপর থেকে সরে বাক্সটির ওপর পড়ল তখন বিস্পয়ের ধাক্কা খেয়ে তারা সাবই সোজা হয়ে বসল। এত চমৎকার বাক্স জীবনে কখনো চোখে পড়েনি! এমনকি এখানে এই যে বিপুল পরিমাণ গনীমত, সেখানেও নেই এর সমতুল্য কিছুই। এরপর বাক্সটির ভেতরে যখন তাদের চোখ পড়ল তখন তো বাকরুদ্ধ হবার যোগাড়, চমতৎকার বক্সটি ছিল দুষ্প্রাপ্য মাণিক্য ও মুক্তা দিয়ে ভরা......
তাচ্ছিল্যপূর্ণ দৃষ্টির শিকার সেই লোকটির দিকেই সকলে তাকল সমীহরে দৃষ্টিতে, যার বাঙ্ময় প্রকাশ ধ্বনিত হলো কারও কারও কন্ঠে----- “তুমি পেলে কোথায় এই অমূল্য সম্পদের খনি” সকলের সুরে ফুটে উঠল অসম্ভব বিস্ময় ও জিজ্ঞাসার তীব্র আকুতি।
অমুক যুদ্ধে, অমুক স্থানে গনীমত পেয়েছি....। লোকটির গায়ে না মাখা সাদামাটা উত্তর।
তুমি কিছু সরিয়ে রাখনিতো?
আল্লাহ তোমাদের ভ্রান্তি দুর করুন......... এই বাক্সটি কেন পরস্যের যাবতীয় সম্পদ ও আমার কাছে কর্তিত নখের বরাবরও নয়..... এতে যদি বাইতুল মালের হক জড়িত না থাকত তবে আল্লাহর কসম আমি “ওটা” ছুয়ে ও দেখতাম না। আমি নিতে চাইলে কিছু কেন পুরোটাই সরিয়ে রাখলে তোমরা জানতে কিভাবে?
কে তুমি হে মহান ব্যক্তি? কী তোমার নাম?
না-না আমার নাম, পরিচয় তোমাদের জানার জন্য দরকারী কিছু নয়। আমার নাম ধরে তোমরা প্রশংসা করবে, অন্যদের কাছে আমার সুনাম ও খ্যতি ছড়াবে, আমাকে ফোলাবে। আল্লাহর কসম আমি সেটা হতে দেবনা। আমি শুধু মহন আল্লাহর প্রশংসা করছি। তাঁর কাছেই চাই এর বিনিময়।
হ্যা ভাই ! বলছিলাম বসরার বিখ্যাত আবেদ ও যাহেদ তাবেয়ী আমের ইবনে আব্দুল্লাহ তামেমী রহ.. এর কথা।
বসরার জনৈক ব্যক্তি আমের ইবনে আব্দুল্লাহ সম্পর্কে এ রকম বর্ণনা করেন---------
আমি একবার এক কাফেলার সঙ্গে সফর করছিলাম, আমের ইবনে আব্দুল্লাহ ছিলেন সে কাফেলার একজন সঙ্গী। চলতে চলতে যখ সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল। আমরা একটি ঝোপের নিকট পৌঁছে যাত্রা বিরতি করলাম।
আমের রহ. নিজের সামান একত্রিত করে ঘোড়াটিকে একটি গাছের সঙ্গে বাঁধলেন। ঘোড়ার রশি কিছুটা লম্ব রাখলেন। তার সামনে পরিমাণ মতো ঘাস দিয়ে প্রবেশ করলেন গভীর অরণ্যে। দেখলাম যেতে যেতে তনি একিট ছোট্ট ঢিপির কাছে থামলেন। চতুর্তদিক দিয়ে ঘন গাছপালায় ঘেরা। এই নির্জন ঢিপিতে ঢুকে তিনি নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন। আমি অপলক দৃষ্টিতে সেই বিস্ময়কর দৃশ্য দেখতে লাগলাম। এত পরিপূর্ণ, খুশু-খুযূপূর্ণ এত চমৎকার নামায আমার জীবনে আর কখনো দেখিনি।
দীর্ঘ সময় নামায আদায়ের পর তিনি দুআ করতে শুরু করলেন, দুহাত তুলে বলতে লাগলেন---
“হে আল্লাহ! তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ আপন নির্দেশে তারপর আপন ইচ্ছায় আমাকে দুনিয়ার নানান পরীক্ষায় ফেলে নির্দেশ দিয়েছ নিজেকে বাঁচাও”
হে সির্বশক্তিমান, মহাপরাক্রমশালী! তুমি আপন দায়া ও অনুগ্রহে যদি আমাকে না বাঁচাও, তবে আমি কীভাবে নিজেকে বাঁচাব? কীরূপে আত্মরক্ষা করব?
তোমার ভালবাসা পেলে আমি আর কিচ্ছু চাই না, আর কোনো কিছুর পরোয়াও করিনা। তোমার ভালোবাসা পেলে আমি আর ফিরেও দেখিনা কীভাবে গেল আমার সকাল আর কীভাবে গেল আমার সন্ধ্যা…
প্রতিটি মানুষেরই নানান প্রয়োজন ও প্রয়োজনীয়তা আছে… আছে অভাব, কিন্তু “তোমার ক্ষমা ছাড়া আমেরের নেই কোন অভাব, নেই কোনো প্রয়োজন।
ইয়া আল্লাহ তুমি মিটিয়ে দাও আমার এবং সব মানুষের সকল অভাব, ইয়া আকরামুল আকরামীন।
বসরার লোকটি বলেন :……………………
এই দৃশ্য দেখতে দেখতে এক সময় আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। এর পর যতবার জাগলাম, তাকে সেই নামাযে অথবা মুনাজাতেই দেখলাম প্রভাতের আলো ফোটা পর্যন্ত।
আমের ইবনে আব্দুল্লাহ যেমন ছিলেন ইবাদগুযার, তেমনি ছিলেন একজন ঘোড়সাওয়ার মুজাহিদও। যখনই জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর আহবান আসত তিনিই থাকতেন সর্বাগ্রে সাড়া প্রাদনকারী। তিনি রনাঙ্গণে শরীক হলে সর্ব প্রথম মুজাহিদদের মাঝে নিরীক্ষণ চালিয়ে কিছু লোক বাছাই করে তাদের ডেকে বলতেন….
আমি তোমাদের সঙ্গী হতে চাই যদি তোমরা তিনটি শর্তে রাজি থাকো…....................
এক.. আমি তোমাদের খেদমত করব, এ ব্যপারে কেউ আপত্তি করতে পারবেনা।
দুই.. আমিই সব সময় আযান দিব অন্য কেউ আযান দেওয়ার দাবি জানাতে পারবেনা।
তিন.. আমি সামর্থ অনুযায়ী সাথীদের জন্য ব্যয় করব কেউ বাধা দিতে পারবেনা।
আমের ইবনে আব্দুল্লাহ তার জীবন কে ভাগ করে নিয়েছিলেন তিন ভাগে………………………………
এক… কুরআন শিক্ষার জন্য।
দুই… নির্জন ইবাদতের জন্য।
তিন.. জিহাদের জন্য, এ সময়ে তিনি খাপমুক্ত তরবারি নিয়ে শঙ্কাহীনভাবে শত্রুর রিবুদ্ধে লড়াই করতেন।
আমের রহ.. ছিলেন সেই বিরল মুজাহিদদের একজন, যারা রক্ত দেওয়ার সময় থাকেন সাবার আগে, আর গণীমত বন্টনের সময় সবার পিছনে।
যুহদ ও তাকওয়া পূর্নতা পেয়েছে আট ব্যক্তির মাধ্যমে, যাদরে শির্ষে রয়েছেন আমের ইবনে আব্দুল্লাহ তামীমী।
-----আলকামা ইবনে মুরসাদ
হে আল্লাহ, রাহমান রাহীম! আপনার অশেষ করুনায় আমাদের শামিল করে দিন সেই মহান মুজাহীদ ও শহীদদের কাতারে। যারা আপন রবের সন্তুষ্টি লাভে ধন্য হয়েছেন। আমিন।
Comment