মুহাব্বাতের দিতীয় প্রকার: আল্লাহ তায়ালার জন্য কাউকে ভালোবসা। যখন আমরা আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসলাম, তখন আল্লাহ তায়ালাকে এই ভালোবাসার দাবিতে আমাদের উপর আর একটা অপরিহর্যতা বর্তায়। তা হল আল্লাহ তায়ালার জন্য কাউকে ভালোবাসা। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যাকে ভালোবাসেন, যেই আমলকে ভালোবাসেন তাকে, সেই আমলকে ভালোবাসা। আল্লাহ তায়ালা আহলে ঈমানদেরকে ভালোবাসেন। তাকওয়া ওয়ালাদেরকে ভালোবাসেন। তাওবাকারীদেরকে ভালোবাসেন। পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে ভালোবাসেন। (সূরা বাকারা ২২২ নং আয়াত) । তিনি সৎকর্মশীলদেরকে ভালোবাসেন। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৯৫)। তাই আমাদের কর্তব্য তাদেরকে ভালোবাসা। কারণ, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ভালোবসেন। আর ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যদের মধ্যে সর্বপ্রথম হল, ফেরেশতাগণ। তারপর নবী-রাসূলগণ। এরপর আওলিয়া- সালেহীন। তারপর সমস্ত মুসলমান।
এটাকে বলে আল্লাহ তায়ালার জন্য ভালোবাসা। এবং এটা ঈমানের একটা রশি। যেমন, হাদীসে এসেছে; যার মধ্যে তিনটি গুণ থাকবে সে ঈমানের স্বাদ পাবে, তার মধ্যে একটা হল, কাউকে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্যই ভালোবাসা। তাই তুমি আল্লাহর ওলিদেরকে ভালোবাসবে, যেহেতু আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ভালোবাসেন। আর আল্লাহ তায়ালার শত্রুদের প্রতি বিদ্ধেষ রাখবে, যেহেতু আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি বিদ্ধেষ রাখেন। সুতরাং কাউকে ভালোবাসা, কারো প্রতি বিদ্ধেষ রাখা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্যই হবে। দুনিয়ার কোনও উদ্দেশ্যে নয়। তাই বান্দা ঈমানের স্বাধ পাবেনা যতক্ষণ না সে আল্লাহ তায়ালার জন্য কাউকে ভালোবাসবে এবং আল্লাহ তায়ালার জন্যই কারো প্রতি বিদ্ধেষ রাখবে। আল্লাহ তায়ালার জন্য কারো সাথে বন্ধুত্ব করবে আবার আল্লাহ তায়ালার জন্যই কারো সাথে শত্রুতা করবে। ইবনে আব্বাস রা: বলেছেন: এখন মানুষের ভ্রাত্তিত্বের বন্ধন অধিকাংশ হয়ে গেছে দুনিয়ার উদ্দেশ্যে। অথচ এর বিনিময়ে সে কিছুই পাবে না। আল্লাহ তায়ালার জন্য ভালোবাসা দুনিয়া আখেরাতে উভয় জায়গায় বাকি থাকবে। কিন্তু দুনিয়ার জন্য মুহাব্বাত দুনিয়াতেই শেষ হয়ে যাবে। আর আখেরাতে সেটা শত্রুতায় পরিনত হবে। সূরা ঝুখরুফের মধ্যে এমনই বলা হয়েছে।
কোরআন-সুন্নাহ, শরীয়তের মূলনিতীও এটাই যে বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত আত্মসমর্পনকারি মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে প্রবৃত্ত্বি থেকে মুক্ত হতে পারবে। আর যে প্রবৃত্ত্বি থেকে মুক্ত হওয়া জরুরী তা হল, মুহাব্বাতের ক্ষেত্রে প্রবৃত্ত্বি এবং বিদ্ধেষ রাখার ক্ষেত্রে প্রবৃত্ত্বি। সুতরাং যে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলকে ভালোবাসে এবং আল্লাহ ও আল্লার রাসূল যাকে ভালোবাসে তাকে ভালোবাসে সে তার প্রবৃত্ত্বি থেকে মুক্ত হতে পেরেছে। আর যে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের প্রতি এবং আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল যাকে ভালোবাসে তা প্রতি বিদ্ধেষ রেখেছে সে তা প্রবৃত্ত্বি থেকে মুক্ত হতে পারেনি। বরং প্রবৃত্তি তাকে সেদিকে টেনে নিয়ে গেছে।
সুতরাং এখানে মূলনিতী হল, মুমিনের মুiহাব্বাত হতে হবে সালফে সালেহীনের আক্বিদা অনুসারে এবং তার বিদ্ধেষ হবে কোরআন- সুন্নাহ অনুসারে। যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: “আপনার রবের কসম, ওরা মুমিন হবে না যতক্ষণ না ওরা নিজেদের মাঝে সংঘটিত বিবাদের ক্ষেত্রে আপনাকেই বিচারক বানাবে। অতঃপর আপনার ফায়সালা সম্বন্ধে নিজেদের মনে কোনও সংকীর্ণতা বোধ করবে না এবং (তা) সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নেবে”। (সূরা নিসা, ৬৫) হাদীসে আছে; রাসূল সা: বলেছেন: “তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না তার প্রবৃত্ত্বি আমি যা নিয়ে এসেছি তার অনুগামী হবে”। আর কারো জন্য পরিপুর্ণ ঈমান তো এটাই যে, সে প্রবৃত্ত্বি থেকে মুক্তি লাভ করতে পেরেছে।
আমরা বুঝতে পারলাম, আল্লাহ তায়ালাকে বালোবাসা, আল্লাহ তায়ালার জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহ তায়ালার জন্য বিদ্ধেষ রাখা পরিপুর্ণ মুমিন হওয়ার জন্য শর্ত। তবে আল্লাহ তায়ালা জন্য কার প্রতি ভালোবাসা রাখতে হবে এবং কার প্রতি বিদ্ধেষ রাখতে হবে- বিষয়টা স্পষ্ট হওয়া দরকার।
উলামাগণ এ দিকে লক্ষ মানুষকে তিন শ্রেনীতে ভাগ করেছেন; ১. তাদের প্রতি পরিপুর্ণ ভালোবাসা রাখতে হবে বিদ্ধেষের কোনও মিশ্রণ ঘটানো যাবে না। ২. তাদের প্রতি পরিপুর্ণ বিদ্ধেষ রাখতে হবে ভালোবাসার কোনও মিশ্রণ ঘটানো যাবে না। ৩. তাদের প্রতি এক দৃষ্টিকোন থেকে ভালোবাসা রাখতে হবে অন্য দৃষ্টিকোন থেকে বিদ্ধেষ রাখতে হবে।
প্রথম শ্রেণীর আলোচনা তো মুটামুটি হল। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে ভালোবাসেন তাদের প্রতি পরিপুর্ণ ভালোবাসা রাখতে হবে বিদ্ধেষের কোনও মিশ্রণ ঘটানো যাবে না। এরা হল, আহলুল আদলী ওয়াল আমানাহ।
পরবর্তিতে ইনশাআল্লাহ ২য়, ৩য় শ্রেণী নিয়ে আলোচনা করব।
এটাকে বলে আল্লাহ তায়ালার জন্য ভালোবাসা। এবং এটা ঈমানের একটা রশি। যেমন, হাদীসে এসেছে; যার মধ্যে তিনটি গুণ থাকবে সে ঈমানের স্বাদ পাবে, তার মধ্যে একটা হল, কাউকে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্যই ভালোবাসা। তাই তুমি আল্লাহর ওলিদেরকে ভালোবাসবে, যেহেতু আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ভালোবাসেন। আর আল্লাহ তায়ালার শত্রুদের প্রতি বিদ্ধেষ রাখবে, যেহেতু আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি বিদ্ধেষ রাখেন। সুতরাং কাউকে ভালোবাসা, কারো প্রতি বিদ্ধেষ রাখা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্যই হবে। দুনিয়ার কোনও উদ্দেশ্যে নয়। তাই বান্দা ঈমানের স্বাধ পাবেনা যতক্ষণ না সে আল্লাহ তায়ালার জন্য কাউকে ভালোবাসবে এবং আল্লাহ তায়ালার জন্যই কারো প্রতি বিদ্ধেষ রাখবে। আল্লাহ তায়ালার জন্য কারো সাথে বন্ধুত্ব করবে আবার আল্লাহ তায়ালার জন্যই কারো সাথে শত্রুতা করবে। ইবনে আব্বাস রা: বলেছেন: এখন মানুষের ভ্রাত্তিত্বের বন্ধন অধিকাংশ হয়ে গেছে দুনিয়ার উদ্দেশ্যে। অথচ এর বিনিময়ে সে কিছুই পাবে না। আল্লাহ তায়ালার জন্য ভালোবাসা দুনিয়া আখেরাতে উভয় জায়গায় বাকি থাকবে। কিন্তু দুনিয়ার জন্য মুহাব্বাত দুনিয়াতেই শেষ হয়ে যাবে। আর আখেরাতে সেটা শত্রুতায় পরিনত হবে। সূরা ঝুখরুফের মধ্যে এমনই বলা হয়েছে।
কোরআন-সুন্নাহ, শরীয়তের মূলনিতীও এটাই যে বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত আত্মসমর্পনকারি মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে প্রবৃত্ত্বি থেকে মুক্ত হতে পারবে। আর যে প্রবৃত্ত্বি থেকে মুক্ত হওয়া জরুরী তা হল, মুহাব্বাতের ক্ষেত্রে প্রবৃত্ত্বি এবং বিদ্ধেষ রাখার ক্ষেত্রে প্রবৃত্ত্বি। সুতরাং যে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলকে ভালোবাসে এবং আল্লাহ ও আল্লার রাসূল যাকে ভালোবাসে তাকে ভালোবাসে সে তার প্রবৃত্ত্বি থেকে মুক্ত হতে পেরেছে। আর যে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের প্রতি এবং আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল যাকে ভালোবাসে তা প্রতি বিদ্ধেষ রেখেছে সে তা প্রবৃত্ত্বি থেকে মুক্ত হতে পারেনি। বরং প্রবৃত্তি তাকে সেদিকে টেনে নিয়ে গেছে।
সুতরাং এখানে মূলনিতী হল, মুমিনের মুiহাব্বাত হতে হবে সালফে সালেহীনের আক্বিদা অনুসারে এবং তার বিদ্ধেষ হবে কোরআন- সুন্নাহ অনুসারে। যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: “আপনার রবের কসম, ওরা মুমিন হবে না যতক্ষণ না ওরা নিজেদের মাঝে সংঘটিত বিবাদের ক্ষেত্রে আপনাকেই বিচারক বানাবে। অতঃপর আপনার ফায়সালা সম্বন্ধে নিজেদের মনে কোনও সংকীর্ণতা বোধ করবে না এবং (তা) সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নেবে”। (সূরা নিসা, ৬৫) হাদীসে আছে; রাসূল সা: বলেছেন: “তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না তার প্রবৃত্ত্বি আমি যা নিয়ে এসেছি তার অনুগামী হবে”। আর কারো জন্য পরিপুর্ণ ঈমান তো এটাই যে, সে প্রবৃত্ত্বি থেকে মুক্তি লাভ করতে পেরেছে।
আমরা বুঝতে পারলাম, আল্লাহ তায়ালাকে বালোবাসা, আল্লাহ তায়ালার জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহ তায়ালার জন্য বিদ্ধেষ রাখা পরিপুর্ণ মুমিন হওয়ার জন্য শর্ত। তবে আল্লাহ তায়ালা জন্য কার প্রতি ভালোবাসা রাখতে হবে এবং কার প্রতি বিদ্ধেষ রাখতে হবে- বিষয়টা স্পষ্ট হওয়া দরকার।
উলামাগণ এ দিকে লক্ষ মানুষকে তিন শ্রেনীতে ভাগ করেছেন; ১. তাদের প্রতি পরিপুর্ণ ভালোবাসা রাখতে হবে বিদ্ধেষের কোনও মিশ্রণ ঘটানো যাবে না। ২. তাদের প্রতি পরিপুর্ণ বিদ্ধেষ রাখতে হবে ভালোবাসার কোনও মিশ্রণ ঘটানো যাবে না। ৩. তাদের প্রতি এক দৃষ্টিকোন থেকে ভালোবাসা রাখতে হবে অন্য দৃষ্টিকোন থেকে বিদ্ধেষ রাখতে হবে।
প্রথম শ্রেণীর আলোচনা তো মুটামুটি হল। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে ভালোবাসেন তাদের প্রতি পরিপুর্ণ ভালোবাসা রাখতে হবে বিদ্ধেষের কোনও মিশ্রণ ঘটানো যাবে না। এরা হল, আহলুল আদলী ওয়াল আমানাহ।
পরবর্তিতে ইনশাআল্লাহ ২য়, ৩য় শ্রেণী নিয়ে আলোচনা করব।
Comment