আসুন, লিপ্ত হই সত্যিকারের প্রতিযোগিতায়!!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহি ওয়াহদাহ ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আ’লা মাল্লা নাবিয়্যা বা’দাহ। আম্মা বা’দ -
সবাইকে পবিত্র রমজান মাসের শুভেচ্ছা। শিরোনাম দেখেই হয়তো চমকে উঠেছেন অনেকে! ‘সত্যিকারের প্রতিযোগিতা’! এটা আবার কোনটা! এরকম ভাবনা মনে আসাটা স্বাভাবিক। তাই, সত্যিকারের প্রতিযোগিতাটি উপস্থাপন করার পূর্বে প্রচলিত কিছু প্রতিযোগিতার কথা উল্লেখ করতে ইচ্ছা করছি। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক প্রতিযোগিতা পর্ব! দৈনন্দিন জীবনে আমাদের প্রায় প্রত্যেকেই নানা ধরণের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হই। কেউ বৈধ পন্থায় আবার কেউ অবৈধ পথ অবলম্বন করে প্রতিযোগিতা করে। যাইহোক, চলমান প্রতিযোগিতাগুলো কি আসলেই প্রতিযোগিতা!? প্রতিযোগিতার অন্যতম শর্ত হলো সকল প্রতিযোগীদের জন্য বিজয় অর্জনের সমান সুযোগ থাকা। মনে করুন, ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিযোগিতায় কোন ঘোড়াটি বিজয় লাভ করতে পারে তা আমরা কিছুটা আন্দাজ করতে পারি। যে ঘোড়াটি বেশি দৌড়াতে পারে বলে আমরা জানি, ঐ ঘোড়াটিই যে প্রথম হতে পারে সে ব্যাপারে আমরা অনেকটা নিশ্চিত থাকি। বাস্তবেও, কোন সমস্যা না হলে সেই ঘোড়াটিই প্রথম হয়। একটু চিন্তা করুন, এখানে প্রতিযোগিতার অন্যতম শর্তটি প্রতিফলিত হলো না। এমনিভাবে, যার দেহে শক্তি বেশি এবং যে অধিক কৌশলী সেই যে কুস্তিতে বিজয়ী হবে তাও অনেকটা নিশ্চিত বলা যায়। এক্ষেত্রেও, প্রতিযোগিতার শর্তটি পাওয়া যায় না। একইভাবে, প্রতিযোগিতার উল্লেখিত শর্তটি পাওয়া যায় না তথাকথিত ‘সুন্দরী প্রতিযোগিতা’, ক্রিকেট, ফুটবল, পড়ালেখা, বাড়ি-ঘর নির্মাণ ইত্যাদি চলমান কোন প্রতিযোগিতাতেই। তাই, এসকল প্রতিযোগিতায় বিজয় অর্জন করার মাঝে নিজের সার্থকতা নেই। এখন প্রশ্ন হলো- তাহলে সত্যিকারের প্রতিযোগিতার শর্তটি পাওয়া যায় কোথায়? হ্যাঁ, মনে হয় এখন এই চিন্তাটিই সবার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাই চলুন দেরি না করে শুরু করি সত্যিকারের প্রতিযোগিতা! আকাঙ্ক্ষিত সত্যিকারের প্রতিযোগিতা হলো ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করা, অথচ আজ আমরা এই প্রতিযোগিতা থেকে গাফেল। এটা এমন এক প্রতিযোগিতা যেখানে কোন প্রতিযোগীকেই সফল বলা যায়না, আবার নির্দিষ্ট সময় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত(মৃত্যু) কাউকেই নিশ্চিতভাবে ব্যর্থও বলা যায় না। প্রতিটি মুহূর্তেই প্রতিযোগীদের মাঝে চলে প্রতিযোগিতা। এটা এমন এক আশ্চর্য প্রতিযোগিতা যে, প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বীকে সাহায্য করাও আপনার জন্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার কারণ হতে পারে। যেমন- প্রতিদ্বন্দ্বীকে ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করা প্রতিযোগিতায় আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আবার, প্রতিদ্বন্দ্বীও আপনার কথা অনুযায়ী কাজ করলে তা আপনার জন্যও লাভজনক হবে, তার জন্যও উপকারী হবে। তবে, এখানে একটি বিষয় হলো- এটা একটি বিস্তৃত প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় সফল হতে পারে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীও।
অতএব, দেরি না করে আজ থেকেই শুরু করুন এই বরকতময় প্রতিযোগিতা। আর এক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে আরো কিছু আমল খুব গুরুত্বের সাথে করুন। সেগুলো হলো- কে কতটুকু দায়িত্বশীলের কথা অমান্য করতে পারেন সেটা নিয়ে গর্ববোধ না করে, দায়িত্বশীলের আনুগত্যের ব্যাপারে প্রতিযোগিতা করুন। আপনার দ্বীনী ভাই যখন অযথা ঘুরতে বের হয়, তাকে ভালো কাজের দিকে উৎসাহিত করুন। আপনি তার সাথে না গিয়ে কুরআনুল কারীম তেলাওয়াতে মগ্ন হোন। আপনার জন্য সুসংবাদ বয়ে আনবে এই প্রতিযোগিতা ইনশাআল্লাহ। তাই, আসুন সকলেই লিপ্ত হই সত্যিকারের প্রতিযোগিতায়! আর সাহায্য করি একে-অপরকে, নিজের সফলতা ত্বরান্বিত করতে।
সবাইকে পবিত্র রমজান মাসের শুভেচ্ছা। শিরোনাম দেখেই হয়তো চমকে উঠেছেন অনেকে! ‘সত্যিকারের প্রতিযোগিতা’! এটা আবার কোনটা! এরকম ভাবনা মনে আসাটা স্বাভাবিক। তাই, সত্যিকারের প্রতিযোগিতাটি উপস্থাপন করার পূর্বে প্রচলিত কিছু প্রতিযোগিতার কথা উল্লেখ করতে ইচ্ছা করছি। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক প্রতিযোগিতা পর্ব! দৈনন্দিন জীবনে আমাদের প্রায় প্রত্যেকেই নানা ধরণের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হই। কেউ বৈধ পন্থায় আবার কেউ অবৈধ পথ অবলম্বন করে প্রতিযোগিতা করে। যাইহোক, চলমান প্রতিযোগিতাগুলো কি আসলেই প্রতিযোগিতা!? প্রতিযোগিতার অন্যতম শর্ত হলো সকল প্রতিযোগীদের জন্য বিজয় অর্জনের সমান সুযোগ থাকা। মনে করুন, ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিযোগিতায় কোন ঘোড়াটি বিজয় লাভ করতে পারে তা আমরা কিছুটা আন্দাজ করতে পারি। যে ঘোড়াটি বেশি দৌড়াতে পারে বলে আমরা জানি, ঐ ঘোড়াটিই যে প্রথম হতে পারে সে ব্যাপারে আমরা অনেকটা নিশ্চিত থাকি। বাস্তবেও, কোন সমস্যা না হলে সেই ঘোড়াটিই প্রথম হয়। একটু চিন্তা করুন, এখানে প্রতিযোগিতার অন্যতম শর্তটি প্রতিফলিত হলো না। এমনিভাবে, যার দেহে শক্তি বেশি এবং যে অধিক কৌশলী সেই যে কুস্তিতে বিজয়ী হবে তাও অনেকটা নিশ্চিত বলা যায়। এক্ষেত্রেও, প্রতিযোগিতার শর্তটি পাওয়া যায় না। একইভাবে, প্রতিযোগিতার উল্লেখিত শর্তটি পাওয়া যায় না তথাকথিত ‘সুন্দরী প্রতিযোগিতা’, ক্রিকেট, ফুটবল, পড়ালেখা, বাড়ি-ঘর নির্মাণ ইত্যাদি চলমান কোন প্রতিযোগিতাতেই। তাই, এসকল প্রতিযোগিতায় বিজয় অর্জন করার মাঝে নিজের সার্থকতা নেই। এখন প্রশ্ন হলো- তাহলে সত্যিকারের প্রতিযোগিতার শর্তটি পাওয়া যায় কোথায়? হ্যাঁ, মনে হয় এখন এই চিন্তাটিই সবার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাই চলুন দেরি না করে শুরু করি সত্যিকারের প্রতিযোগিতা! আকাঙ্ক্ষিত সত্যিকারের প্রতিযোগিতা হলো ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করা, অথচ আজ আমরা এই প্রতিযোগিতা থেকে গাফেল। এটা এমন এক প্রতিযোগিতা যেখানে কোন প্রতিযোগীকেই সফল বলা যায়না, আবার নির্দিষ্ট সময় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত(মৃত্যু) কাউকেই নিশ্চিতভাবে ব্যর্থও বলা যায় না। প্রতিটি মুহূর্তেই প্রতিযোগীদের মাঝে চলে প্রতিযোগিতা। এটা এমন এক আশ্চর্য প্রতিযোগিতা যে, প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বীকে সাহায্য করাও আপনার জন্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার কারণ হতে পারে। যেমন- প্রতিদ্বন্দ্বীকে ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করা প্রতিযোগিতায় আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আবার, প্রতিদ্বন্দ্বীও আপনার কথা অনুযায়ী কাজ করলে তা আপনার জন্যও লাভজনক হবে, তার জন্যও উপকারী হবে। তবে, এখানে একটি বিষয় হলো- এটা একটি বিস্তৃত প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় সফল হতে পারে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীও।
অতএব, দেরি না করে আজ থেকেই শুরু করুন এই বরকতময় প্রতিযোগিতা। আর এক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে আরো কিছু আমল খুব গুরুত্বের সাথে করুন। সেগুলো হলো- কে কতটুকু দায়িত্বশীলের কথা অমান্য করতে পারেন সেটা নিয়ে গর্ববোধ না করে, দায়িত্বশীলের আনুগত্যের ব্যাপারে প্রতিযোগিতা করুন। আপনার দ্বীনী ভাই যখন অযথা ঘুরতে বের হয়, তাকে ভালো কাজের দিকে উৎসাহিত করুন। আপনি তার সাথে না গিয়ে কুরআনুল কারীম তেলাওয়াতে মগ্ন হোন। আপনার জন্য সুসংবাদ বয়ে আনবে এই প্রতিযোগিতা ইনশাআল্লাহ। তাই, আসুন সকলেই লিপ্ত হই সত্যিকারের প্রতিযোগিতায়! আর সাহায্য করি একে-অপরকে, নিজের সফলতা ত্বরান্বিত করতে।
আর্টিকেলটি ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে শরীক হোন দ্বীনী কাজে।
আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আমীন।
আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আমীন।
Comment