কোনটি বড় অপরাধ ? নিষিদ্ধ কাজ করা ? না, করনীয় কাজ না করা ?
ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ. তাঁর 'আল ফাওয়ায়েদ' গ্রন্থে লিখেছেন,
قَالَ سَهلُ بن عَبدِ اللهِ التُّستُرِي : تَركُ الأمرِ عِندَ اللهِ أعظَمُ مِن ارتِكَابِ النَّهيِّ؛ لأنَّ آدَم نُهِيَ عَن أكلِ الشَّجَرَة فَأكَل مِنهَا، فَتَابَ عَلَيهِ، وإبلِيس أُمِرَ أن يَسجُد لآدَم، فَلَم يَسجُد؛ فَلَم يُتَب عَلَيه .
- হযরত সাহাল বিন আব্দুল্লাহ তুসতারী রহ. বলেছেন, করণীয় কাজ না করা নিষিদ্ধ কাজ করা অপেক্ষা বড় অপরাধ।
কারণ, হযরত আদম আলাইহিস সালামকে একটি গাছের ফল খেতে নিষেধ করা হয়েছিল কিন্তু তিনি তা খেয়ে ফেলেন। তারপরও (আল্লাহ তাআলা তাঁকে তওবা করার তওফিক দেন এরপর) আল্লাহ তাআলা তাঁর তওবা কবুল করেন।
পক্ষান্তরে ইবলিসকে হযরত আদম আলাইহিস সালামের সামনে সেজদা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সে সেজদা করেনি। তাই আল্লাহ তাআলা (তাকে তওবা করার তওফিক দেননি সে তওবা করেনি। তাই তিনি) তার প্রতি দয়া করেননি।
এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যে সব কারণে করণীয় কাজ বর্জন করা নিষিদ্ধ কাজ করা অপেক্ষা বড় অপরাধ তা নিম্নরূপ,
প্রথম কারণ : যা হযরত সাহাল তুসতারী রহ. বলেছেন।
দ্বিতীয় কারণ : মানুষ সাধারনত নিষিদ্ধ কাজ করে ফেলে প্রবৃত্তির চাহিদার কারণে কিংবা তীব্র অর্থ সংকটের কারণে।
পক্ষান্তরে করনীয় কাজ বর্জন করে সাধারণত অহংকার ও দাম্ভিকতার কারণে।
*
হাদিসে এসেছে, যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না অন্য হাদিসে এসেছে, কেউ যদি চুরি করে, ব্যভিচার করে তবুও জান্নাতে যাবে যদি সে ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারে।
তৃতীয় কারণ :* আল্লাহ তায়ালার কাছে নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকা অপেক্ষা করনীয় কাজগুলো করা*অধিক পছন্দনীয়।
হাদিসে এসেছে, আল্লাহর কাছে সমস্ত আমলের মধ্যে সর্বাধিক পছন্দনীয় আমল হল নামায।
অন্য হাদিসে জেহাদের কথাও এসেছে)
এ জাতীয় আরো অনেক হাদিস রয়েছে। নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকাও একটি আমল।
(অতএব আল্লাহর কাছে নামায, জেহাদ ইত্যাদি - যা করণীয় কাজ - এগুলো করা নিষিদ্ধ সকল কাজ থেকে বিরত থাকা অপেক্ষা অধিক পছন্দনীয়)
- ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ.
আল ফাওয়ায়েদ 1/119
ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ. তাঁর 'আল ফাওয়ায়েদ' গ্রন্থে লিখেছেন,
قَالَ سَهلُ بن عَبدِ اللهِ التُّستُرِي : تَركُ الأمرِ عِندَ اللهِ أعظَمُ مِن ارتِكَابِ النَّهيِّ؛ لأنَّ آدَم نُهِيَ عَن أكلِ الشَّجَرَة فَأكَل مِنهَا، فَتَابَ عَلَيهِ، وإبلِيس أُمِرَ أن يَسجُد لآدَم، فَلَم يَسجُد؛ فَلَم يُتَب عَلَيه .
- হযরত সাহাল বিন আব্দুল্লাহ তুসতারী রহ. বলেছেন, করণীয় কাজ না করা নিষিদ্ধ কাজ করা অপেক্ষা বড় অপরাধ।
কারণ, হযরত আদম আলাইহিস সালামকে একটি গাছের ফল খেতে নিষেধ করা হয়েছিল কিন্তু তিনি তা খেয়ে ফেলেন। তারপরও (আল্লাহ তাআলা তাঁকে তওবা করার তওফিক দেন এরপর) আল্লাহ তাআলা তাঁর তওবা কবুল করেন।
পক্ষান্তরে ইবলিসকে হযরত আদম আলাইহিস সালামের সামনে সেজদা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সে সেজদা করেনি। তাই আল্লাহ তাআলা (তাকে তওবা করার তওফিক দেননি সে তওবা করেনি। তাই তিনি) তার প্রতি দয়া করেননি।
এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যে সব কারণে করণীয় কাজ বর্জন করা নিষিদ্ধ কাজ করা অপেক্ষা বড় অপরাধ তা নিম্নরূপ,
প্রথম কারণ : যা হযরত সাহাল তুসতারী রহ. বলেছেন।
দ্বিতীয় কারণ : মানুষ সাধারনত নিষিদ্ধ কাজ করে ফেলে প্রবৃত্তির চাহিদার কারণে কিংবা তীব্র অর্থ সংকটের কারণে।
পক্ষান্তরে করনীয় কাজ বর্জন করে সাধারণত অহংকার ও দাম্ভিকতার কারণে।
*
হাদিসে এসেছে, যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না অন্য হাদিসে এসেছে, কেউ যদি চুরি করে, ব্যভিচার করে তবুও জান্নাতে যাবে যদি সে ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারে।
তৃতীয় কারণ :* আল্লাহ তায়ালার কাছে নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকা অপেক্ষা করনীয় কাজগুলো করা*অধিক পছন্দনীয়।
হাদিসে এসেছে, আল্লাহর কাছে সমস্ত আমলের মধ্যে সর্বাধিক পছন্দনীয় আমল হল নামায।
অন্য হাদিসে জেহাদের কথাও এসেছে)
এ জাতীয় আরো অনেক হাদিস রয়েছে। নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকাও একটি আমল।
(অতএব আল্লাহর কাছে নামায, জেহাদ ইত্যাদি - যা করণীয় কাজ - এগুলো করা নিষিদ্ধ সকল কাজ থেকে বিরত থাকা অপেক্ষা অধিক পছন্দনীয়)
- ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহ.
আল ফাওয়ায়েদ 1/119
Comment