*
#* শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. দামেস্কের জেলে থাকাকালে একবার জেলার তাঁর কাছে এসে বলল,
শাইখ! আমাকে ক্ষমা করবেন। (আমার কিছুই করার নেই) কারণ, আমি হুকুমের গোলাম।
তখন ইবনে তাইমিয়া রহ. তাকে বললেন, আল্লাহর কসম তোমার মত লোকজন না থাকলে ওরা কারও উপর জুলুম করতে পারত না।
#* একবার হযরত সুফিয়ান সাওরী রহ.র কাছে এক দর্জি এসে বলল, আমি সুলতানের কাপড় সেলাই করি। আপনি কি মনে করেন, আমি জালিমের সহযোগী বলে গণ্য হব ?*
উত্তরে হযরত সুফিয়ান সাওরী রহ. বলেন,
بل أنت من الظلمة أنفسهم، ولكن أعوان الظلمة من يبيع منك الإبرة والخيوط .
তুমি বরং জালিমদেরই একজন। জালিমদের সহযোগী হল তারা তোমার কাছে সুঁই-সুতা বিক্রি করে।
#* ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ. বাগদাদের জেলে থাকাকালে একবার জেলার তাঁর কাছে এসে বলল, আবু আব্দুল্লাহ! জালিম এবং জালিমের সহযোগীদের ব্যাপারে যে হাদিস এসেছে, তা কি সহী?
ইমাম আহমদ রহ. বললেন, হ্যাঁ।
--- আমি কি জালিমদের সহযোগী বলে গন্য হব ?
--- তুমি বরং জালিমদেরই একজন।
জালিমের সহযোগী গণ্য হবে সে, যে তোমার কাপড় ধুয়ে দেয়। খাবার রান্না করে দেয়। তোমার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে দেয়।
#* হযরত জাবের রাযি. থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ*
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
اتَّقُوا الظُّلْمَ ؛ فَإنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ القِيَامَةِ .
তোমরা কারো প্রতি জুলুম করা থেকে সাবধান থাকো, কারণ, জুলুম কিয়ামতের দিন অন্ধকার রূপ ধারণ করবে। - সহী মুসলিম
#* হযরত আবূ মূসা রাযি. থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
إنَّ الله لَيُمْلِي لِلظَّالِمِ، فَإِذَا أخَذَهُ لَمْ يُفْلِتْهُ، ثُمَّ قَرَأَ: وكذلك أخذ ربك إذا أخذ القرى وهي ظالمة إن أخذه أليم شديد .
আল্লাহ জালিমকে অবকাশ দেন। যখন* পাকড়াও করেন তখন আর ছাড়েন না।
এরপর তিনি নিম্নোক্ত আয়াত তেলাওয়াত করেন,
*وَكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهِيَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ .
তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও এমনই হয়ে থাকে যখন তিনি জালিম জনপদকে পাকড়াও করেন। নিশ্চয়ই তাঁর পাকড়াও কঠিন যন্ত্রণাদায়ক। সূরা হূদ, ১০২
সহী বুখারী ও মুসলিম
#* হযরত মু‘আয রাযি. থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
َاتَّقِ دَعْوَةَ المَظْلُومِ ؛ فإِنَّهُ لَيْسَ بَيْنَها وَبَيْنَ اللهِ حِجَابٌ
মজলূমের বদ দো‘আ থেকে সাবধান থাকো। কারণ, তার বদ-দো‘আ আর আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই (অর্থাৎ শীঘ্রই কবুল হয়ে যায়)
- সহী বুখারী ও মুসলিম
#* হযরত আবূ হুরাইরাহ রাযি. থেকে বর্ণিত,
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
مَنْ كَانَتْ عِنْدَهُ مَظْلمَةٌ لأَخِيه، مِنْ عِرضِهِ أَوْ مِنْ شَيْءٍ، فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ اليَوْمَ قبْلَ أنْ لاَ يَكُونَ دِينَار وَلاَ دِرْهَمٌ ؛ إنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلمَتِهِ، وَإنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيهِ .
যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের উপর তার সম্ভ্রম বা অন্য কোন বিষয়ে জুলুম করেছে সে যেন আজই তার কাছ থেকে (ক্ষমা চেয়ে) দায় মুক্ত হয়ে যায়, ঐ দিন আসার পূর্বে যে দিন দিনার ও দিরহাম কিছুই থাকবে না। তার যদি কোন নেক আমল থাকে তবে তার জুলুমের পরিমাণ অনুযায়ী তা থেকে নিয়ে নেওয়া হবে। আর যদি নেক আমল না থাকে তবে তার (মযলূম) সঙ্গীর পাপরাশি তার (জালিমের) ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে। - সহী বুখারী
#* হযরত আবূ হুরাইরাহ রাযি. থেকে বর্ণিত,
একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (উপস্থিত সাহাবীদেরকে লক্ষ্য করে) বললেন,
أتدرُونَ مَنِ المُفْلِسُ ؟
তোমরা কি জান, নিঃস্ব কে?
তাঁরা বললেন,
المفْلسُ فِينَا مَنْ لاَ دِرهَمَ لَهُ ولا مَتَاع -
আমাদের মধ্যে নিঃস্ব ঐ ব্যক্তি যার কাছে কোন দিরহাম নেই এবং কোন আসবাব-পত্রও নেই।
*তখন তিনি বললেন,
إنَّ المُفْلسَ مِنْ أُمَّتي مَنْ يأتي يَومَ القيامَةِ بصَلاَةٍ وَصِيامٍ وزَكاةٍ، ويأتي وقَدْ شَتَمَ هَذَا، وقَذَفَ هَذَا، وَأَكَلَ مالَ هَذَا، وسَفَكَ دَمَ هَذَا، وَضَرَبَ هَذَا، فيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ، وهَذَا مِنْ حَسناتهِ، فإنْ فَنِيَتْ حَسَناتُه قَبْل أنْ يُقضى مَا عَلَيهِ، أُخِذَ منْ خَطَاياهُم فَطُرِحَتْ عَلَيهِ، ثُمَّ طُرِحَ في النَّارِ
আমার উম্মতের মধ্যে (প্রকৃত) নিঃস্ব সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাতের (নেকী) নিয়ে হাযির হবে। কিন্তু সে কাউকে গালি দিয়েছে। কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছে। কারো সম্পদ (অবৈধভাবে) ভক্ষণ করেছে। কাউকে হত্যা করেছে। কাউকে প্রহার করেছে। তখন মজলূমদেরকে তার নেকী দিয়ে দেওয়া হবে। যদি*মজলূমদের পাওনা পরিশোধ হওয়ার পূর্বেই তার নেকী শেষ হয়ে যায় তাহলে তাদের পাপরাশি তাকে দেয়া হবে। এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। - সহী মুসলিম
#* শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. দামেস্কের জেলে থাকাকালে একবার জেলার তাঁর কাছে এসে বলল,
শাইখ! আমাকে ক্ষমা করবেন। (আমার কিছুই করার নেই) কারণ, আমি হুকুমের গোলাম।
তখন ইবনে তাইমিয়া রহ. তাকে বললেন, আল্লাহর কসম তোমার মত লোকজন না থাকলে ওরা কারও উপর জুলুম করতে পারত না।
#* একবার হযরত সুফিয়ান সাওরী রহ.র কাছে এক দর্জি এসে বলল, আমি সুলতানের কাপড় সেলাই করি। আপনি কি মনে করেন, আমি জালিমের সহযোগী বলে গণ্য হব ?*
উত্তরে হযরত সুফিয়ান সাওরী রহ. বলেন,
بل أنت من الظلمة أنفسهم، ولكن أعوان الظلمة من يبيع منك الإبرة والخيوط .
তুমি বরং জালিমদেরই একজন। জালিমদের সহযোগী হল তারা তোমার কাছে সুঁই-সুতা বিক্রি করে।
#* ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ. বাগদাদের জেলে থাকাকালে একবার জেলার তাঁর কাছে এসে বলল, আবু আব্দুল্লাহ! জালিম এবং জালিমের সহযোগীদের ব্যাপারে যে হাদিস এসেছে, তা কি সহী?
ইমাম আহমদ রহ. বললেন, হ্যাঁ।
--- আমি কি জালিমদের সহযোগী বলে গন্য হব ?
--- তুমি বরং জালিমদেরই একজন।
জালিমের সহযোগী গণ্য হবে সে, যে তোমার কাপড় ধুয়ে দেয়। খাবার রান্না করে দেয়। তোমার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে দেয়।
#* হযরত জাবের রাযি. থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ*
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
اتَّقُوا الظُّلْمَ ؛ فَإنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ القِيَامَةِ .
তোমরা কারো প্রতি জুলুম করা থেকে সাবধান থাকো, কারণ, জুলুম কিয়ামতের দিন অন্ধকার রূপ ধারণ করবে। - সহী মুসলিম
#* হযরত আবূ মূসা রাযি. থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
إنَّ الله لَيُمْلِي لِلظَّالِمِ، فَإِذَا أخَذَهُ لَمْ يُفْلِتْهُ، ثُمَّ قَرَأَ: وكذلك أخذ ربك إذا أخذ القرى وهي ظالمة إن أخذه أليم شديد .
আল্লাহ জালিমকে অবকাশ দেন। যখন* পাকড়াও করেন তখন আর ছাড়েন না।
এরপর তিনি নিম্নোক্ত আয়াত তেলাওয়াত করেন,
*وَكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهِيَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ .
তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও এমনই হয়ে থাকে যখন তিনি জালিম জনপদকে পাকড়াও করেন। নিশ্চয়ই তাঁর পাকড়াও কঠিন যন্ত্রণাদায়ক। সূরা হূদ, ১০২
সহী বুখারী ও মুসলিম
#* হযরত মু‘আয রাযি. থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
َاتَّقِ دَعْوَةَ المَظْلُومِ ؛ فإِنَّهُ لَيْسَ بَيْنَها وَبَيْنَ اللهِ حِجَابٌ
মজলূমের বদ দো‘আ থেকে সাবধান থাকো। কারণ, তার বদ-দো‘আ আর আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই (অর্থাৎ শীঘ্রই কবুল হয়ে যায়)
- সহী বুখারী ও মুসলিম
#* হযরত আবূ হুরাইরাহ রাযি. থেকে বর্ণিত,
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
مَنْ كَانَتْ عِنْدَهُ مَظْلمَةٌ لأَخِيه، مِنْ عِرضِهِ أَوْ مِنْ شَيْءٍ، فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ اليَوْمَ قبْلَ أنْ لاَ يَكُونَ دِينَار وَلاَ دِرْهَمٌ ؛ إنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلمَتِهِ، وَإنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيهِ .
যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের উপর তার সম্ভ্রম বা অন্য কোন বিষয়ে জুলুম করেছে সে যেন আজই তার কাছ থেকে (ক্ষমা চেয়ে) দায় মুক্ত হয়ে যায়, ঐ দিন আসার পূর্বে যে দিন দিনার ও দিরহাম কিছুই থাকবে না। তার যদি কোন নেক আমল থাকে তবে তার জুলুমের পরিমাণ অনুযায়ী তা থেকে নিয়ে নেওয়া হবে। আর যদি নেক আমল না থাকে তবে তার (মযলূম) সঙ্গীর পাপরাশি তার (জালিমের) ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে। - সহী বুখারী
#* হযরত আবূ হুরাইরাহ রাযি. থেকে বর্ণিত,
একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (উপস্থিত সাহাবীদেরকে লক্ষ্য করে) বললেন,
أتدرُونَ مَنِ المُفْلِسُ ؟
তোমরা কি জান, নিঃস্ব কে?
তাঁরা বললেন,
المفْلسُ فِينَا مَنْ لاَ دِرهَمَ لَهُ ولا مَتَاع -
আমাদের মধ্যে নিঃস্ব ঐ ব্যক্তি যার কাছে কোন দিরহাম নেই এবং কোন আসবাব-পত্রও নেই।
*তখন তিনি বললেন,
إنَّ المُفْلسَ مِنْ أُمَّتي مَنْ يأتي يَومَ القيامَةِ بصَلاَةٍ وَصِيامٍ وزَكاةٍ، ويأتي وقَدْ شَتَمَ هَذَا، وقَذَفَ هَذَا، وَأَكَلَ مالَ هَذَا، وسَفَكَ دَمَ هَذَا، وَضَرَبَ هَذَا، فيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ، وهَذَا مِنْ حَسناتهِ، فإنْ فَنِيَتْ حَسَناتُه قَبْل أنْ يُقضى مَا عَلَيهِ، أُخِذَ منْ خَطَاياهُم فَطُرِحَتْ عَلَيهِ، ثُمَّ طُرِحَ في النَّارِ
আমার উম্মতের মধ্যে (প্রকৃত) নিঃস্ব সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাতের (নেকী) নিয়ে হাযির হবে। কিন্তু সে কাউকে গালি দিয়েছে। কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছে। কারো সম্পদ (অবৈধভাবে) ভক্ষণ করেছে। কাউকে হত্যা করেছে। কাউকে প্রহার করেছে। তখন মজলূমদেরকে তার নেকী দিয়ে দেওয়া হবে। যদি*মজলূমদের পাওনা পরিশোধ হওয়ার পূর্বেই তার নেকী শেষ হয়ে যায় তাহলে তাদের পাপরাশি তাকে দেয়া হবে। এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। - সহী মুসলিম
Comment