Announcement

Collapse
No announcement yet.

নাশিদ শ্রবণের বিধান

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • নাশিদ শ্রবণের বিধান

    প্রশ্ন:
    আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ!

    যে সকল সঙ্গীতে বাজনা নেই এবং যেগুলো কোনো খারাপ প্রভাব বিস্তারকারী নয়, সেসব সঙ্গীত শোনার বিধান কি? কেউ কেউ বলেন, ফিতনা বিস্তারকারী কিছু না থাকলেও এসব শোনা নাজায়েয। যেমন- জিহাদী নাশিদ, আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টিকারী ও বিবাহ শাদিতে গাওয়া নাশিদ। এ সকল নাশিদ কি নাজায়েয গণ্য হবে, যার ফলে তা শোনা হারাম হবে? আল্লাহ তায়ালা আপনাদের সব রকমের কল্যাণ দান করুন। আপনাদের মাঝে বারাকাহ্ দান করুন।

    উত্তর:
    ওয়ালাইকুমুস সালামু ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ! অশ্লীলতা, বাদ্য বাজনা ও উত্তেজনা সৃষ্টিকারী বিষয়াদি থেকে মুক্ত নাশিদ শোনাতে কোন অসুবিধা নেই। এগুলো শোনা বৈধ। বিশেষত যদি এমন নাশিদ হয় যেগুলো উৎসাহ-উদ্দীপনা *সৃষ্টি করে। যেমন- জিহাদী নাশিদ।

    (এর দলীল):

    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম আনজাশাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর হুদিপাঠ (উট চালনার সঙ্গীতবিশেষ) শোনতেন।

    হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে তার নিজ কবিতা আবৃত্তি ও হুদিপাঠে সমর্থন করেছেন।

    তিনি তাবুক যুদ্ধ থেকে ফিরে এলে যে বাদি তাঁর সম্মুখে দফ বাজাবে বলে মান্নত করেছিলো, তিনি তাকে তার মান্নতে সমর্থন করেছেন।

    আনসারদের এক বিবাহে তিনি হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে নাশিদ ও আনন্দ প্রকাশে উৎসাহ দিয়েছেন।


    এ কারণে বিবাহ-শাদি ও বিভিন্ন আনন্দানুষ্ঠান- যেগুলো খুশি ও আনন্দ প্রকাশের ক্ষেত্র, সেগুলোতে- এ ধরণের নাশিদ মুস্তাহাব।

    তবে সতর্ক থাকতে হবে, এসব নাশিদ শোনায় যেন সীমাতিক্রম না হয়। এমন যেন না হয় যে, নাশিদ শ্রবণ কুরআন শ্রবণের উপর প্রাধান্য পেয়ে যায়। শ্রোতা যেন এমন না হয়ে যায় যে, যে কুরআনে কারীম অন্তরের জীবনীসুধা, তা শ্রবণে প্রভাবান্বিত হওয়ার চেয়ে, নাশিদ শুনে বিহবল ও প্রভাবান্বিত হয় বেশি।

    মূল হল- একজন মুসলমান বেশী বেশী কুরআন পড়বে ও শুনবে। তবে কখনো কখনো অন্তরের প্রফুল্লতার জন্য শরীয়তসম্মত নাশিদ শুনতে কোন সমস্যা নেই।

    উত্তর প্রদানে
    শায়খ আবু উসামা আশশামী
    সদস্য: শরয়ী বিভাগ, মিম্বারুত তাওহিদ
    ২২/১১/২০০৯ ইং
    -----------------------------
    حكم الاستماع إلى الأناشيد ؟

    رقم السؤال: 443 القسم : الفقه وأصوله
    تاريخ النشر: 22 /11/2009 المجيب: اللجنة الشرعية في المنبر
    السؤال :
    السلام عليكم ورحمة الله وبركاته..
    ما هو حكم الاستماع إلى الأناشيد الخالية من الإيقاع والموسيقى والدفوف والمؤثرات..فهناك من يقول بأنها غير جائزة رغم أنها لا تحتوي ما يثير الفتن كأناشيد الجهاد والإخوة في الله والإعراس..فهل تعتبر هذه الأناشيد غير جائزة يحرم استماعها؟ وجزاكم الله عنا كل خير..بارك الله فيكم.
    السائل: عازفة الرصاص
    * * *
    الجواب:

    وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته..
    الاستماع إلى النشيد الخالي من الإيقاع والموسيقى والدفوف والمؤثرات لا حرج فيه وهو مباح خاصة إذا كان من النشيد الذي يثير الحماسة كأناشيد الجهاد فالنبي صلى الله عليه وسلم كان يستمع لحداء أنجشة وأقر عبد الله بن رواحة على شعره وعلى تغنيه وحدائه به وأقر الجارية على نذرها أن تضرب بالدف على رأسه عندما عاد من غزوة تبوك وحث عائشة على إظهار النشيد والفرح في عرس للأنصار لذا يستحب مثل هذا النشيد في الأفراح والأعراس التي هي مناسبات لإظهار الفرح ...
    مع الانتباه إلى عدم الإسراف في سماع هذه الأناشيد حتى يغلب سماعها على سماع القرآن ويصبح السامع يطرب لها ويتأثر بها أكثر من تأثره بالقران الكريم الذي هو حياة القلوب ، والأصل أن يكثر المسلم من قراءة القران والاستماع له ولا حرج عليه أن يروح عن نفسه بالاستماع إلى النشيد المباح في بعض الأحيان ... والله أعلم.

    إجابة عضو اللجنة الشرعية :
    الشيخ أبو أسامة الشامي









  • #2
    জাযাকাল্লাহ ভাই, চালিয়ে যান।

    Comment


    • #3
      jazakumullah.vai obbahoto rakhun.

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ
        হে ওলামায়ে কেরাম আমরা আপনাদের সন্তান
        AQIS

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আপনার মেহনতকে কবুল করুন। আপনার ইলম দ্বারা আমাদের সকলকে উপকৃত হওয়ার তৌফিক দান করুন। আপনাকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন। আমিন।
          আর ভাই! চালিয়ে যান। উম্মত অনেক উপৃকত হবে। ইনশাআল্লাহ।
          ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

          Comment

          Working...
          X