Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমার প্রশ্ন.. প্রকৃত তাবলিগ তথা কুরআন সুন্নাহর সঠিক প্রচারণার বিধান কি.?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমার প্রশ্ন.. প্রকৃত তাবলিগ তথা কুরআন সুন্নাহর সঠিক প্রচারণার বিধান কি.?

    আমার দ্বীনি ভাইয়েরা.! আপনাদের কাছে আমি জানতে চাই..........
    প্রকৃত তাবলিগ তথা কুরআন সুন্নাহর সঠিক প্রচারণার বিধান কি.?
    নফল/সুন্নত/ওয়াজিব/ফরজ....? দলিল ভিত্তিক উত্তর খুবই প্রয়োজন...
    """"""
    কারণ এক ভাই বলেছেন প্রকৃত তাবলীগ ফরজ.. আরেক ভাই বলেছেন কোন তাবলীগ ই ফরজ নয়...
    যে ভাই প্রকৃত তাবলীগকে ফরজ বলেছেন তিনি দলিল দিয়েছেন সূরায়ে মায়েদার ৬৭ নং আয়াত দ্বারা(""""ياهاالرسول بلغ ما أنزل إليك من ربك
    আর যে ভাই বলেছেন কোন তাবলীগ ই ফরজ নয় তিনি বলেন এটা তো রাসূল সাঃ কে বলেছে, তুমি তো.............
    ""এর বিপরীতে প্রকৃত তাবলীগ ফরজের প্রবক্তা ভাই কুরআনের অনেকগুলো এমন দলিল পেশ করেছেন যেসব আয়াতে আল্লাহ কেবল তাঁর রাসূলকে সম্বোধন করে ওয়াহিদ এর সিগা ব্যবহার করেছেন.......
    """""
    """"""যাইহোক ভাইদের কাছে বিস্তারিত দলিলভিত্তিক উত্তরের আশা করছি....

  • #2
    দাওয়াত ও তাবলীগ ফরযে কেফায়া, আল্লাহ তায়ালা বলেন,

    وَلْتَكُنْ مِنْكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنْ الْمُنْكَرِ وَأُوْلَئِكَ هُمْ الْمُفْلِحُونَ

    তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকবে যারা কল্যাণের প্রতি আহ্বান করবে, সৎকাজের আদেশ করবে, এবং অসৎ কাজ হতে বারণ করবে, তারাই সফলকাম। সূরা আলে ইমরান, আয়াত, ১০৪

    এই আয়াতের ভিত্তিতেই উলামায়ে কেরাম আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকারকে ফরযে কেফায়া বলেছেন, সুতরাং এই আয়াতের ভিত্তিতে দাওয়াত ও তাবলীগও ফরযে কেফায়া হবে, তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কোন পদ্ধতি গ্রহণ করা জরুরী নয়, বরং যে কোন ভাবে মুসলমানদের নিকট কুরআন-হাদিস পৌঁছানোই যথেষ্ট।

    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, بلغوا عني ولو آية তোমরা আমার থেকে (কুরআন-হাদিসের) যা কিছু শোন তা (অন্যদের নিকট) পৌঁছাও, যদিও তা একটি বাক্যই হয়। (সহিহ বুখারী, ৩৪৬১)

    মোল্লা আলী কারী বলেন,
    والأظهر أن المراد الكلام المفيد وهو أعم من الآية والحديث

    হাদিসে “আয়াত” দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, অর্থবোধক বাক্য, চাই তা কুরআন হোক বা হাদিস। -মেরকাত, ১/২৮১

    উল্লেখ্য, আয়াতে কল্যাণের দিকে আহ্বান করার কথা বলা হয়েছে, আর সবচেয়ে বড় কল্যাণ হলো ইসলাম, মূলত ইসলামের দিকে আহ্বানের জন্যই ইকদামী বা আক্রমণাত্মাক জিহাদকে ফরযে কেফায়া করা হয়েছে, ইমামুল হারামাইন আবুল মাআলী জুয়াইনী বলেন, জিহাদ-কিতাল হচ্ছে دعوت قهرية বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দাওয়াত (ইমাম নববী, রওযাতুত তালিবীন, ১/৪৬০)

    আমি তড়িঘড়িকরে সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলাম, ভাইয়েরা বিস্তারিত তাহকীকী জবাব দিবেন ইনশাআল্লাহ।

    الجهاد محك الإيمان

    জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

    Comment

    Working...
    X