ফরয নামাযের পরে সম্মিলিত করা যাবে কি না, এ ব্যাপারে আমাদের আকাবিরদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে, ইমাম শাতেবী আল ই’তিসাম গ্রন্থে একে বিদআত বলেছেন, (পৃষ্ঠা: ২৬৩-২৬৭ দারুল হাদিস) মেখল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুফতীয়ে আযম মুফতী ফয়জুল্লাহ সাহেবও একে বেদআত গণ্য করতেন। হাটহাজারী মাদ্রাসায়ও ফরয নামাযের পরে মুনাজাত হয় না। তবে আকাবিরে দেওবন্দ ও অধিকাংশ কওমী আলেমগণ এতে তেমন সমস্যা মনে করেন না। এ নিয়ে আহলে হাদিস বন্ধুরা আমাদের সমালোচনা করেন, কিন্তু আমাদের মতে এধরণের সাধারণ বিষয় নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ ও উম্মতের মধ্যে বিভেদ-বিসংবাদ সৃষ্টি করা কাম্য নয় ।
তবে একটি বিষয় হাদিসে সুষ্পষ্টরুপে এসেছে, এবং এতে কারো কোন মতভেদও নেই, তা হলো ফরয ও সুন্নতের মধ্যে বেশি সময় বিলম্ব না করা। সুতরাং ফরয নামাযের পরে সুন্নত থাকলে দোয়া করা বা আযকার পড়ার জন্য বেশি সময় বিলম্ব করা যাবে না। ফুকাহায়ে কেরাম বলেছেন, ফরয নামাযের পর সুন্নত থাকলে সুন্নতের পরে আযকার পড়াই মুস্তাহাব, এখন বিভিন্ন নামাযের পরে সুন্নতের পূর্বে, বিশেষকরে জুমুআর নামাযের পরে আমরা যে দীর্ঘ দোয়া করি এটা হাদিসের খেলাফ এবং হানাফী মাযহাবেরও খেলাফ।
আয়েশা রাযি. বলেন,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরয নামাযের সালাম ফিরানোর পরে আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওমিনকাস সালাম তাবারকতা জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এই দোয়া পড়তে যতটুকু সময় প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি বসতেন না। -সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৯২
সাওবান রাযি. বলেন,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের পরে তিনবার ইস্তেগফার পড়তেন, এরপর اللهم أنت السلام ومنك السلام، تباركت ذا الجلال والإكرام এই দোয়া পড়তেন। -সহিহ মুসলিম, হাদিস ন: ৫৯১
হানাফী মাযহাবের প্রখ্যাত আলেম ইবনুল হুমাম রহিমাহুল্লাহু বলেন,
সুন্নত তরীকা হলো ফরয ও সুন্নত নামাযের মধ্যে আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম এ দোয়া পড়তে যতটুকু সময় লাগে তার চেয়ে বেশি বিলম্ব না করা। -ফাতহুল কাদীর, ১/৪৪০ দারুল ফিকর।
বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন, ফতোয়ায়ে শামী, ১/৫৩০ দারুল ফিকর।
উল্লেখ্য, আল্লামা শামী সহ হানাফী মাযহাবের মুহাক্কিক ফকীহগণ ফরয নামাযের পরে লম্বা দোয়া করা বা আযকার পড়াকে মাকরুহ তানযীহ বা অনুত্তম বলেছেন, সুতরাং এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি বা ঝগড়া-বিবাদ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয় । আমাদের উদ্দেশ্য শুধু হাদিস ও ফিকহের আলোকে সঠিক মাসয়ালাটি মানুষকে জানানো। আল্লাহ আমাদের সহিহ আমল করার তাওফিক দান করুন।
তবে একটি বিষয় হাদিসে সুষ্পষ্টরুপে এসেছে, এবং এতে কারো কোন মতভেদও নেই, তা হলো ফরয ও সুন্নতের মধ্যে বেশি সময় বিলম্ব না করা। সুতরাং ফরয নামাযের পরে সুন্নত থাকলে দোয়া করা বা আযকার পড়ার জন্য বেশি সময় বিলম্ব করা যাবে না। ফুকাহায়ে কেরাম বলেছেন, ফরয নামাযের পর সুন্নত থাকলে সুন্নতের পরে আযকার পড়াই মুস্তাহাব, এখন বিভিন্ন নামাযের পরে সুন্নতের পূর্বে, বিশেষকরে জুমুআর নামাযের পরে আমরা যে দীর্ঘ দোয়া করি এটা হাদিসের খেলাফ এবং হানাফী মাযহাবেরও খেলাফ।
আয়েশা রাযি. বলেন,
كان النبي صلى الله عليه وسلم إذا سلم لم يقعد إلا مقدار ما يقول: «اللهم أنت السلام ومنك السلام، تباركت ذا الجلال والإكرام»
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরয নামাযের সালাম ফিরানোর পরে আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওমিনকাস সালাম তাবারকতা জাল জালালি ওয়াল ইকরাম এই দোয়া পড়তে যতটুকু সময় প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি বসতেন না। -সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৯২
সাওবান রাযি. বলেন,
كان رسول الله صلى الله عليه وسلم، إذا انصرف من صلاته استغفر ثلاثا وقال: «اللهم أنت السلام ومنك السلام، تباركت ذا الجلال والإكرام» قال الوليد: فقلت للأوزاعي: " كيف الاستغفار؟ قال: تقول: أستغفر الله، أستغفر الله
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের পরে তিনবার ইস্তেগফার পড়তেন, এরপর اللهم أنت السلام ومنك السلام، تباركت ذا الجلال والإكرام এই দোয়া পড়তেন। -সহিহ মুসলিম, হাদিস ন: ৫৯১
হানাফী মাযহাবের প্রখ্যাত আলেম ইবনুল হুমাম রহিমাহুল্লাহু বলেন,
إن المسنون عدم الفصل بين الفريضة والسنن إلا قدر ما يقول: اللهم أنت السلام" الخ. كما في حديث عائشة عند مسلم والترمذي. اهـ.
সুন্নত তরীকা হলো ফরয ও সুন্নত নামাযের মধ্যে আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম এ দোয়া পড়তে যতটুকু সময় লাগে তার চেয়ে বেশি বিলম্ব না করা। -ফাতহুল কাদীর, ১/৪৪০ দারুল ফিকর।
বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন, ফতোয়ায়ে শামী, ১/৫৩০ দারুল ফিকর।
উল্লেখ্য, আল্লামা শামী সহ হানাফী মাযহাবের মুহাক্কিক ফকীহগণ ফরয নামাযের পরে লম্বা দোয়া করা বা আযকার পড়াকে মাকরুহ তানযীহ বা অনুত্তম বলেছেন, সুতরাং এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি বা ঝগড়া-বিবাদ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয় । আমাদের উদ্দেশ্য শুধু হাদিস ও ফিকহের আলোকে সঠিক মাসয়ালাটি মানুষকে জানানো। আল্লাহ আমাদের সহিহ আমল করার তাওফিক দান করুন।
Comment