Announcement

Collapse
No announcement yet.

জরুরী ফতোয়া জানতে চায় মুফতী ভাইয়েরা,

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জরুরী ফতোয়া জানতে চায় মুফতী ভাইয়েরা,

    তাওহীদ ও রিসারাতে বিশ্বাসী কাউকে ততক্ষন পর্যন্ত মুরতাদ ফতোয়া দেয়া যাবেনা যতক্ষণনা সে নিজেকে মুরতাদ বলে ঘোষণা না দেয়৷

    এক ভাইয়ের বক্তব্য, এইটা কতটুকু শরীয়ত সম্মত।

    ঈমান সবার আগে
    সর্বোত্তম আমল হলো
    আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
    আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

  • #2
    পাগলের প্রলাপ!! ভারতের হিন্দুরাও নাকি নিজেদেরকে কাফের বলতে অপছন্দ করে! মৌলিক স্বীকৃতির সাথে সাথে ঈমানের উপর থাকার জন্য শিরক থেকে বেচে থাকা ব্যজতির উপর ফরজ নয় কি???
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      আসসালামুআলাইকুম ভা,,,,,, ঈমান তিনটি জিনিষের সমষ্টিঃঃ মুখেস্বীকার করা, আন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা, তদনুযায়ী কাজ করা। এখন কেউ যদি এর যেকোনো একটি অস্বীকার করে তবে তার ঈমান পরিপুর্ন নয়। ভুল হলে ক্ষমা করবেন। জাজাকাল্লাহ খাইরান

      Comment


      • #4
        ঈমান আনার পর কেও যদি ঈমান ভেঙ্গে যায় মত কাজ করে তাহলে তার ঈমান ভেঙ্গে যাবে চাই সে নিজেকে মুসলিম দাবী করুক নাই করুক।

        Comment


        • #5
          আখি, এটি কুরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী সম্পূর্ণ বেদআতী কথা, যা ইসলামের তেরশত বছরে কেউই বলেননি, তাবুকের যুদ্ধের সফরে মুনাফিকরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মুমিনদের নিয়ে ব্যাঙ্গ করেছিল, এ সংবাদ রাসূলের কাছে পৌঁছলে রাসূল তাদের ডেকে পাঠান, তারা রাসূলের কাছে এসে উযরখাহি করতে থাকে, আমরা তো সফরের কষ্ট লাঘব করার জন্য একটু হাসিতামাশা করছিলাম, এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

          وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلْعَبُ قُلْ أَبِاللَّهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُولِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُونَ (65) لَا تَعْتَذِرُوا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ

          যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন তাহলে তারা বলবে, আমরা তো খেল-তামাশা করছিলাম, আপনি বলুন, তোমরা বাহানা করো না, নিশ্চয়ই তোমরা ঈমান আনার পর কাফের হয়ে গেছো। -সূরা তাওবা, আয়াত, ৬৪, ৬৫ (তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৪/১৫০-১৫১, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ)

          ইবনে কাসীর রহিমাহুল্লাহু বলেন,
          لا تعتذروا قد كفرتم بعد إيمانكم أي بهذا المقال الذي استهزأتم به

          ‘তোমরা ওযরখাহি করো না, তোমরা যে ব্যাঙ্গাত্মক কথা বলেছো এর কারণে তোমরা ঈমান আনার পর কাফের হয়ে গেছো’। -তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৪/১৫১

          ইমাম ইবনে জারীর তবারী (মৃত্যু: ৩১০ হি.) বলেন,
          يقول تعالى ذكره لنبيه محمد صلى الله عليه وسلم: قل لهؤلاء الذين وصفت لك صفتهم: (لا تعتذروا) ، بالباطل، فتقولوا: (كنا نخوض ونلعب) = (قد كفرتم)، يقول: قد جحدتم الحق بقولكم ما قلتم في رسول الله صلى الله عليه وسلم والمؤمنين به (بعد إيمانكم)، يقول: بعد تصديقكم به وإقراركم به. (14/336 ط. مؤسسة الرسالة، الطبعة: الأولى، 1420 ه)

          ‘আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলছেন, আপনি উল্লিখিত লোকদের বলুন, তোমরা মিথ্যা অজুহাত পেশ করে এ কথা বলোনা যে, তোমরা খেলতামাশা করছিলে, তোমরা তো রাসূল *ও মুমিনদের ব্যাপারে তোমাদের উক্ত কথা বলার দ্বারা হককে অস্বীকার করেছো, হককে স্বীকার করা ও তার প্রতি ইমান আনার পর’। -তাফসীরে তবারী, ১৪/৩৩৬ মুআসসাসাতুল রিসালাহ।

          দেখুন এখানে মুনাফিকরা নিজেদের ইরতেদাদের ঘোষণা তো দূরের কথা বরং উযরখাহী করে বলছে তারা কুফরী কাজটা ঠাট্টাচ্ছলে করেছে, এটা তাদের অন্তরের বিশ্বাস নয়, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে বলছেন, তোমরা ঈমান আনার পরে কাফের হয়ে গেছো, আর কেউ ঈমান আনার পরে কাফের হলে তাকেই শরয়ী পরিভাষা অনুযায়ী মুরতাদ বলা হয়।

          ইবলিশ কি নিজের ইরতেদাদের ঘোষণা দিয়েছিল ? সে তো শুধু আল্লাহর হুকুম মানতে عناد বা অস্বীকার করেছিল, এ কারণে আল্লাহ তায়ালা তাকে কাফের সাব্যস্ত করেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, أَبَى وَاسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ ‘সে আল্লাহর হুকুম মানতে অস্বীকৃতি জানাল, অহংকার করলো, এবং কাফের হয়ে গেল’। -সূরা বাকারা, আয়াত, ৩৪।

          তাছাড়া ফুকাহায়ে কেরামের ইজমায়ী সিদ্ধান্ত হলো কেউ ঠাট্টাচ্ছলে কুফরী কথা বললেও সে কাফের হয়ে যাবে, যদিও যে কথাটা সে বলেছে সেটা সে বিশ্বাস না করে, তো দেখুন, এখানে ইরতিদাদের ঘোষণার শর্ত কোথায়, নিঃসন্দেহে ইরতেদাদের শর্ত করা উম্মতের ইজমার খেলাফ। আল্লামা শামী বলেন,

          قال في البحر: والحاصل: أن من تكلم بكلمة للكفر هازلا أو لاعبا كفر عند الكل، ولا اعتبار باعتقاده، كما صرح به في الخانية. (رد المحتار: 4/224 ط. دار الفكر)

          ‘বাহুরুল রায়েকে (ইবনে নুজাইম) বলেন, সারকথা হলো, যে কুফরী শব্দ বলবে, যদিও তা ঠাট্টাচ্ছলে হয়, তাহলে সকলের মতে সে কাফের হয়ে যাবে, এক্ষেত্রে ইকেতাদ-বিশ্বাস ধর্তব্য নয়, যেমনটা ফতোয়া খানীতে সুস্পষ্টরুপে বলা হয়েছে। -ফতোয়ায়ে শামী, ৪/২২৪

          তেমনিভাবে কেউ মূর্তিকে সিজদা করলে, রাসূলকে গালি দিলে, কিংবা জরুরিয়্যাতে দ্বীন অর্থাৎ দ্বীনের স্বতঃসিদ্ধ কোন বিষয়কে অস্বীকার করলে, আলেমদের ঐক্যমতে সে কাফের হয়ে যাবে, তো এখানে ইরতেদাদের ঘোষণার শর্ত কোথায়। আল্লামা শামী বলেন,
          قال في المسايرة: وبالجملة فقد ضم إلى التصديق بالقلب، أو بالقلب واللسان في تحقيق الإيمان أمور الإخلال بها إخلال بالإيمان اتفاقا، كترك السجود لصنم، وقتل نبي والاستخفاف به، وبالمصحف والكعبة. وكذا مخالفة أو إنكار ما أجمع عليه بعد العلم به.

          (ইমাম ইবনুল হুমাম) মুসায়ারা গ্রন্থে বলেন, ইমানের ক্ষেত্রে অন্তরের বিশ্বাসের সাথে সর্বসম্মতিক্রমে আরো কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, যার কোন একটি থাকলে ইমান থাকে না। যেমন, *মূর্তিকে সিজদা করা, নবী, কুরআন বা কা’বা নিয়ে ঠাট্টা করা, তেমনিভাবে দ্বীনের কোন সর্বসম্মত বিষয় জানার পরেও অস্বীকার করা। -ফতোয়ায়ে শামী, ৪/২২২ দারুল ফিকর।
          الجهاد محك الإيمان

          জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

          Comment


          • #6
            অভিজ্ঞ মুফতি ভাইয়েরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দিবেন ইনশাআল্লাহ!
            আরেকটু অপেক্ষা করেন ভাই...!!
            বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
            কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

            Comment

            Working...
            X