Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমি জানতে চাই...

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমি জানতে চাই...

    মসজিদ আল্লাহর ঘর আর মাদ্রাসা নবী সাঃ এর ঘর/বাগান.. এই কথাটার দলিল কি.?এই কথাটা কি শুদ্ধ.?যদি অশুদ্ধ হয় শুদ্ধ কোনটি.?
    নবিকে সৃষ্টি না করলে কোন কিছু সৃষ্টি করা হতনা..এই কথাটার কোন ভিত্তি আছে কি..? না থাকলে, কিসের উপর ভিত্তি করে বলা হয়.?
    সাত আসমানের উপর সবকিছু সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ ও মুহাম্মদ সাঃ এর নাম লিখা ছিল...
    এই তিনটা বিষয়ের দলিল ভিত্তিক উত্তর কামনা করছি.........









    হে আল্লাহ.! তোমার কালামের প্রতিটি বিধান তোমার জমিনের প্রতিটি ইঞ্চি ইঞ্চি মাটিতে কায়েমের তৌফিক দাও এবং আমার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেও....আমিন

  • #2
    ভাই আপনি চিন্তিত হবেননা , ভাইয়েরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দিবেন,ইনশাআল্লাহ।

    Comment


    • #3
      অপেক্ষা করুন, ভাইয়েরা আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন।
      والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

      Comment


      • #4

        الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله. اما بعد
        “মসজিদ আল্লাহর ঘর আর মাদ্রাসা নবী সাঃ এর ঘর” এটি হাদিস নয়। আমাদের জানামতে ঠিক এ শব্দ-বাক্যে কথাটি নির্ভরযোগ্য ও প্রসিদ্ধ কোনো হাদিসগ্রন্থে নেই। তবে কথাটির প্রথমাংশের (মসজিদ আল্লাহর ঘর) সমর্থনে বিভিন্ন হাদিস পাওয়া যায়।
        (দেখুন: এসব হাদিস নয় ২/৬৫, প্রচলিত ভুল: ১৮৩। এ দুটি কিতাব মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক সাহেব দা. বা. এর তত্ত্বাবধানে লিখিত এবং মারকাজুদ দাওয়া থেকে প্রকাশিত। বইগুলো ক্রয় করলে আশা করি এমন আরো প্রচলিত ভুল হাদিস, ভুল আমল, ভুল রেওয়াজ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন।)

        “নবিকে সৃষ্টি না করলে কোন কিছু সৃষ্টি করা হতনা”
        এটিও হাদিস নয়। এ সম্পর্কে যে হাদিসটি দলিল হিসেবে পেশ করা হয়, তা জাল, মওযু ও বানোয়াট। এ হাদিসটিকে জাল বলেছেন, আল্লামা শাওকানী রহ. (আল ফাওয়ায়েদুল মাজমুআ: ৩২৬) আল্লামা সাগানী রহ. (আল ফাওয়ায়েদুল মাজমুআ: ৩২৬)

        “সাত আসমানের উপর সবকিছু সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ ও মুহাম্মদ সাঃ এর নাম লিখা ছিল”
        এটিও একটি বানোয়াট কথা। এটি হাদিস নয়। এ সম্পর্কে বানোয়াট যে হাদিসটি আছে, তার মুল পাঠ হলো: (আল্লাহ তায়ালা বলেন) আমি পানির উপর আরশ সৃস্টির পর তা নরাচরা শুরু করলো। অতপর আরশের উপর লিখে দিলাম “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” এটা লিখার পর আরশ স্থির হলো”।
        এ হাদিসটি ইমাম হাকীম তার মুস্তাদরাকে উল্লেখ করেছেন। হাফেজ যাহাবী রহ. বলেন: আমার ধারনা মতে হাদীসটি মওযু ও বানোয়াট।
        হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. লিসানুল মিযানে যাহাবীর একথার সমর্থন করেছেন।

        শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ ধরণের কথা কোন সহিহ হাদিসে নেই, যয়ীফ হাদিসেও নেই। সাহাবা থেকেও বর্নিত নেই। এটা যে কে বলেছে, তাও জানা নেই। (মাজমুউল ফতাওয়া: ১১/৮৬-৯৬)
        (ইসলামকা ডটকম থেকে সংক্ষেপিত)

        মোটকথা তিনোটি কথাই বানোয়াট। এর কোন ভিত্তি নেই। শুধু মসজিদ আল্লাহর ঘর এ কথাটির সমর্থনে সহিহ হাদিস রয়েছে।
        মাদরাসা নবীর ঘর একথাটি সঠিক না হলেও; মাদরাসা যে উত্তম জায়গা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
        فقط. والله تعلى اعلم بالصواب
        ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ। আপনার উত্তরে মুগ্ধ হয়েছি। আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন। আমিন।
          কে আছো জোয়ান, হও আগোয়ান।

          Comment

          Working...
          X