এক ভাই কমেন্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন, প্রশ্নটির উত্তর যেহেতু সবারই জানা থাকা জরুরী, তাই নতুন থ্রেডে উত্তর দিচ্ছি:
প্রশ্ন: জিহাদের কাজ করতে গিয়ে তার পরিবার চলার মত টাকা যদি না হয়, আর জিহাদের জন্য মাল জরুরী তাই আগে মাল সংগ্রহ করে পরে জিহাদে গেলে তবে তার কি ফরজ তরকের গুনাহ হবে???
উত্তর: পূর্বে জিহাদ ফরযে আইন হওয়ার সময় যে বিধান ছিল তা এখন সবক্ষেত্রে হুবহু প্রয়োগ হবে না। কেননা আমরা দীর্ঘমেয়াদী গ্লোবাল যুদ্ধে রয়েছি, আমাদের উপর যেমনিভাবে দখলদার কাফেরদের হতে মুসলিমভূমিগুলো মুক্ত করা ফরয, তেমনি মুরতাদ শাসকদের হটিয়ে ইসলামী হুকুমত কায়েম করাও ফরয। তাই জিহাদের জন্য হিজরত করে ময়দানেই যেতে হবে, বিষয়টা এমন নয়, বরং প্রতিটি ভূখন্ডের মুসলিমদের সেই দেশের তাগুত সরকারের বিপক্ষে যুদ্ধ করতে হবে। আর এখনও যেহেতু স্বশস্ত্র যুদ্ধের মারহালা আসেনি, বরং প্রস্তুতি চলছে, আর প্রস্তুতির কাজগুলো অর্থাৎ তাওহিদ ও জিহাদের প্রতি দাওয়াত, , যথাসাধ্য প্রস্তুতিগ্রহণ, অর্থ সংগ্রহ ইত্যাদি যেহেতু জীবিকা উপার্জনের পাশাপাশিও সম্ভব তাই যতক্ষণ পর্যন্ত অন্য কোন জিহাদের ময়দানে নির্দিষ্টভাবে আপনার প্রয়োজন দেখা না দেয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি পরিবারের ভরণপোষণের পাশাপাশি বেশি থেকে বেশি জিহাদের কাজ করার চেষ্টা করুন। কেননা পরিবারের ভরণপোষণ ও জিহাদ দুটিই ফরয দ্বায়িত্ব, তাই যতক্ষণ পর্যন্ত একটি আরেকটির সাথে সাংঘর্ষিক না হয়ে যায়, ততক্ষণ দুটিই পালন করতে হবে। হাঁ, যদি কখনো দুটি সাংঘর্ষিক হয়ে যায়, যেমন, আপনার বিশেষ কোন যোগ্যতার কারণে নির্দিষ্টভাবে কোন জিহাদের ময়দানে আপনার প্রয়োজন দেখা দেয়, কিংবা মুরতাদ শাসকের বিপক্ষে যুদ্ধ শুরু করার কারণে সকলের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তখন পরিবারকে আল্লাহর নিকট সোপর্দ করে আপনাকে জিহাদের ময়দানে বেরিয়ে যেতে হবে।
এ বিষয়ে মিম্বারুত তাওহিদের একটি ফতোয়া অনুবাদ করে দিচ্ছি।
প্রশ্ন: এক ভাই আমার নিকট একটি মাসয়ালা জানতে চান, তিনি জিহাদে বের হতে চান, আল্লাহর ইচ্ছায় তার পথও সুগম, কিন্তু সমস্যা হলো, তিনি পরিবারের বড় ছেলে, একটি দুগ্ধপায়ী শিশু ব্যতীত তার কোন ভাই নেই, তার পিতার বয়স পঞ্চাশ ছুইছুই, তিনি ডায়াবেটিসের রোগী। তার মাও ডায়াবেটিস ও প্রেসারে আক্রান্ত। তিনি কি জিহাদে যাবেন না পরিবারের ভরণপোষণের জন্য থেকে যাবেন?
প্রশ্নকারী
আররায়াতুল ইসলামিয়্যাহ
আররায়াতুল ইসলামিয়্যাহ
উত্তর: পূর্বেও মিম্বারে এধরণের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে, যার খোলাসা হলো,যদি (আপনার বিশেষ যোগ্যতা বা অন্য কোন কারণে) আপনার প্রতি মুজাহিদদের প্রয়োজন দেখা না দেয়, কিংবা আপনার দ্বারা তাদের বড় কোন উপকার হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে এবং (আগ্রাসী) কাফেররা আপনার ভূমিতে আক্রমণ না করে থাকে এবং আপনার দেশের মুজাহিদগণ মুরতাদ শাসকদের বিপক্ষে যুদ্ধ শুরু না করে থাকে, আপনার সাহায্যের তাদের প্রয়োজন না পড়ে, তাহলে পিতা-মাতার সেবার জন্য আপনি তাদের পাশে থাকতে পারবেন। যদি আপনি তাওহিদ ও জিহাদের দাওয়াতের কাজে নিয়োজিত থাকেন, জিহাদের প্রতি আপনার দূর্বার আকর্ষণ থাকে এবং জিহাদের জন্য (যথাসাধ্য) প্রস্তুতি নিতে থাকেন, তাহলে আশা করি আল্লাহ তায়ালা আপনাকে জিহাদের সওয়াব দান করবেন। যতদিন না আল্লাহ তায়ালা অন্য কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন।
উত্তর প্রদান
শায়েখ আবু উসামা শামী
সদস্য-শরিয়া বিভাগ
মিম্বারুত তাওহিদ
هل ينفر للجهاد ووالداه مريضان ... رقم السؤال: 440
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
كتب الله أجركم وسد على الحق خطاكم ... لدي سؤال عرضه لي أحد الاخوه الافاضل وهو أنه يريد النفير وطريقه سالك بأذن الله لكنه أكبر أخوانه في بيته ولايوجد ذكر غيره الا طفل رضيع وابوه شارف على الخمسين وبه مرض السكري وامه كذلك عندها سكري وضغط ايضا شفاهم الله ... فيقول هل ينفر لارض الجهاد أم يبقى يرعى والديه للسبب الذي ذكرت ... أسال الله أن يكتب أجركم ويجعمنا وأياكم في جنات النعيم
السائل: الرايه اسلاميه
المجيب: اللجنة الشرعية في المنبر
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته ... أخي السائل: سبقت الإجابة عن سؤال مشابه لسؤالك فارجع إليه في قسم الجهاد وأحكامه إن شئت ... ... والخلاصة أنه ما لم تتعين حاجة المجاهدين إليك أوكان عندك نفع عظيم لهم ولجهادهم، و لم يحل العدو بأرضك ولا باشر المجاهدون قتال المرتدين عندك ولااحتاجوا لنصرتك، فإن لم يكن ينطبق على حالتك شيء من هذه الصور؛ فلا حرج عليك من البقاء بجانب ... والديك لرعايتهما؛ وما دمت تشتغل بالدعوة إلى التوحيد والجهاد على بصيرة في بلدك، وتحدث نفسك بالجهاد والغزو وتسعى في اعدادها لذلك فنرجو لك ثواب المجاهدين إلى أن يقضي الله أمرا كان مفعولا ... والله اعلم
أجابه، عضو اللجنة الشرعية: ... الشيخ أبو أسامة الشامي
Comment