একাধিক মতনে "তায়িফায়ে মানসূরাহ্"(সাহায্যপ্রাপ্ত দল)'র হাদিস [মুসনাদে আহমদ খ:৫,পৃ:২৮১, আবু দাউদ -পৃ:৪২৫২,২১৭০,ইবনে মাজাহ -৪১০০,নাসাঈ-৩৩৩৩]থেকে আমরা জানতে পাই —
দলটি পুরোপুরি হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
পৃথিবীর যেকোন স্থানে এরূপ একটি দল সর্বদাই থাকবে।
তারা তাদের বিরোধিতাকারী ও ক্ষতিসাধন কারীদের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর হেফাজতে থাকবে।
তারা নিন্দুকের নিন্দার পরোয়া করবে না।
তারা সত্যের উপর (সশস্ত্র) লড়াই করবে।
(এতসব বিষয় মিলানোর পর সহজেই অনুমেয় যে, যুগে যুগে এরাই গুরাবা হবে।তাই সাহায্যপ্রাপ্ত দলকে চেনার জন্য গুরাবার হাদিসগুলোও আমরা নিতে পারি)
এসকল বৈশিষ্ট্যের আলোকে অকাট্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা একথা বলতে পারি যে,মুজাহিদীনে কেরাম -ই হলেন হাদিসে বর্ণিত সাহায্যপ্রাপ্ত দল। আর এরদোগান ইমরান খানসহ বিশ্বের তাবৎ স্বীকৃত শাসকদের কুফুরীর বিষয়টা অতি স্পর্শকাতর' একটি বিষয়। আর এই বিষয়ে সংগঠন নাম পতাকা নির্বিশেষে সকল মুজাহিদীনে কেরাম একমত। এরূপ সেনসিটিভ একটি বিষয়ে ভুল করলে কখনোই পুরোপুরি হকের উপর থাকা সাব্যস্ত হয়না। অথচ হাদিসে বলা হয়েছে তারা দল ও শ্রেণীগতভাবে পুরোপুরি হকের উপর থাকবে। আর যেহেতু এই বৈশিষ্ট্যগুলো দলগত, তাই মুজাহিদদেরকে সাপোর্ট করে এমন কেউ যদি বিচ্ছিন্নভাবে অন্য কোন ধারণা পোষণ করে, তাহলে সেটা ঐক্যমত্যের সাংঘর্ষিক হবে না। বরং, সেটা সঠিক পন্থা সম্পর্কে ওই ব্যক্তির নিজস্ব অজ্ঞতা।
আশা করি, বিষয়টি সকলেই অনুধাবন করতে পেরেছেন!
Comment