Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমার দু’টি মাসয়ালা জানার ছিল?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমার দু’টি মাসয়ালা জানার ছিল?

    আসসালামু আলাইকুম।
    আমার দু’টি মাসয়ালা জানার ছিল? যদি কোন আলেমের পরামর্শ দেন তাহলে খুব উপকৃত হতাম?
    ১। আমার দুলাভাই আমার জন্য একটি চাকরি ঠিক করেছিল। এটি একটি আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান। চাকরিটি আমার দুলাভাই অন্য একজন এর মাধ্যমে দিয়েছে। আসল কথা হল সে আমার দুলাভাই এর কাছে ১,০০,০০০ /= টাকা চায়। এর মধ্যে ৫৬,০০০/= টাকা ঐ প্রতিষ্ঠান জামানত হিসেবে নিবে। এবং চাকরির মেয়াদ শেষ হলে ঐ ৫৬,০০০/= টাকা পেনশন সহ দিয়ে দিবে। কিনÍু বাকি ৩৫,০০০/= টাকা ঐ লোকটি নিবে।আর ঐ লোকটি প্রতিষ্ঠান এর কেউ নন। এটি একটি আই টি প্রতিষ্ঠান। আমি এখনও চাকরিটি নেইনি। এই চাকরি কি আমার জন্য জায়েয/ হালাল হবে?
    দলিল সহকারে জানতে চাই?

    ২। আমি টুপি বিক্রেতার কাছে একটি টুপি বাকি ক্রয় করি। টুপির মুল্য ৩০০/= টাকা।কিন্তু আমি দুর্ভাগ্যক্রমে ৩০০/= দিতে পারিনি।এবং উনার সাথে এখনও কোন যোগাযোগ করতে পারছিনা। আমি কি করতে পারি?

    যদি মাসয়ালা গুলো কারো জানা থাকে তাহলে দয়া করে দলিল সহ জানালে খুব উপকৃত হব?
    আপনাদের দ¦ীনি ভাই।

  • #2
    ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.
    সম্মানিত ভাই- এ জাতীয় মাসআলাগুলো অফলাইনে নির্ভরযোগ্য যেকোন দারুল ইফতা/ফতোয়া বিভাগ থেকেই তো সহজে নিতে পারেন মনে হয়।
    আল্লাহ তা‘আলা আসান করে দিন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      আপনার ২ নং মাসআলার উত্তর:
      মুহতারাম ভাই- বান্দার হক যতক্ষণ পর্যন্ত আদায় না করা হবে বা হকদার নিজে মাফ করে না দিবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত মাফ হবে না। এক্ষেত্রে তাওবা করার দ্বারাও মাফ হবে না। কারণ, তাওবা করার দ্বারা বান্দার হক মাফ হয় না। সুতরাং কেউ যদি মনে করে যে, শুধু তাওবা করলেই বান্দার হক আদায় হয়ে যাবে আর সে দায়মুক্ত হয়ে যাবে, তাহলে এটা শয়তানের ধোকা ছাড়া আর কিছুই নয়।
      এজন্য আপনার করণীয় হলো: তার হক আদায় করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যাহত রাখা। একান্তই যদি তাকে পাওয়া না যায়, বা তার কোন সন্ধান না পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়, তাহলে এই পরিমাণ টাকা তার পক্ষ থেকে সদকা দিতে হবে। অবশ্য আপনি নিজেও যদি সদকা গ্রহনের উপযুক্ত হন, তাহলে নিজেও রেখে দিতে পারেন। আশা করা যায়- আপনার এই চেষ্টা-প্রচেষ্টা করার দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে ক্ষমা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন, ইনশা আল্লাহ।
      তবে হ্যাঁ, পরবর্তীতে যদি তাকে পাওয়া যায়, তাহলে তার হক আদায় করে দিতে হবে। আর যদি সে মাফ করে দেয়, তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। আল্লাহু আ‘লাম।
      Last edited by Munshi Abdur Rahman; 11-03-2019, 05:07 PM.
      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

      Comment


      • #4
        এ বিষয়ে মাসিক আল কাউসারে প্রকাশিত একটি ফতোয়া

        ৩৪৬১. প্রশ্ন
        যদি কোনো ব্যক্তি ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয় তাহলে সে চাকরি থেকে যে বেতন পাবে তা তার জন্য হালাল হবে না কি হারাম? কুরআন হাদীস দ্বারা সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ হব।

        উত্তর
        ঘুষ দেওয়া-নেওয়া হারাম। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষদাতা ও গ্রহিতাকে অভিসম্পাত করেছেন। Ñজামে তিরমিযী, হাদীস ১৩৩৭

        তাই ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া জায়েয হবে না। এতে একদিকে ঘুষ প্রদানের কবীরা গুনাহ হয়,অন্যদিকে ঘুষদাতা অযোগ্য হলে অন্য চাকরিপ্রার্থীর হক নষ্ট করারও গুনাহ হয়। তাই এমন কাজ থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।

        অবশ্য কেউ যদি প্রকৃতপক্ষে চাকরির যোগ্য হয় এবং ঘুষ প্রদান হারাম হওয়া সত্তে¡ও ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয় আর পরবর্তীতে সে যথাযথভাবে দায়িত্ব আঞ্জাম দেয় তাহলে এভাবে চাকরি নেওয়া নাজায়েয হলেও বেতন হালাল হয়ে যাবে। কিন্তু যদি সে তার কর্মক্ষেত্রের অযোগ্য হয় এবং যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে তার জন্য ঐ চাকরিতে থাকা বৈধ হবে না। আর ঠিকমত দায়িত্ব পালন না করে বেতন নেওয়াও বৈধ হবে না।
        কে আছো জোয়ান, হও আগোয়ান।

        Comment

        Working...
        X