Announcement

Collapse
No announcement yet.

প্রিয় মুফতি ভাইয়েরা...! আপনাদের কাছে জানতে চাই.....

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • প্রিয় মুফতি ভাইয়েরা...! আপনাদের কাছে জানতে চাই.....

    ১/ দ্বীনের জন্য আমি কি পুলিশ, সেনাবাহিনী কিংবা এধরনের অন্য কোন পোস্টে চাকরি নিতে পারবো.....?
    ২/ এক্ষেত্রে যদি ঘোষ দিতে হয় তাহলে কি আমি ঘোষ দিয়ে হলেও চাকরি নেবো..?
    প্রিয় ভাইয়েরা....!
    উত্তর টা আমার খুবই প্রয়োজন,
    আমি ভাইদের কাছে দলিলের আলোকে এই প্রশ্নের উত্তর কামনা করছি...!
    প্রশ্নের উত্তর আমাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে ইনশাআল্লাহ...!

  • #2
    ভাই,আপনি এই ফতোয়া থেকে শিক্ষা নিতে পারেন ৷

    আসসালামু আলাইকুম

    প্রশ্ন: ইরাকে তাগুত সরকারের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করা এবং তাতে যোগদান করার বিধান কী?

    প্রশ্নকর্তাঃ আবু উবাইদাহ

    উত্তর:

    الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على خاتم الأنبياء المرسلين و على آله وصحبه ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين، وبعد

    প্রশ্নকারী ভাই, আল্লাহ তাআলা আমাকে আপনাকে তাঁর পছন্দ ও সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করুন। জেনে রাখা দরকার, তাগুত সরকারের অধীনে চাকুরী করা- ইরাকেই হোক বা অন্য কোনো মুসলিম দেশে, যেখানে কুফুরী বিধিবিধান অগ্রাধিারযোগ্য, যার পরিচালনার দায়িত্বও তাদের হাতে; এমতাবস্থায় বিষয়টি তিন বিধানের কোনো একটির বাইরে না।

    হয়তো কুফরী হবে অথবা হারাম হবে নতুবা মাকরূহ হবে। প্রত্যেকটি বিধান তার কারণ অনুপাতে প্রযোজ্য।



    সুতরাং চাকুরীর মাধ্যমে যদি সরকার ও সরকারি লোকদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করা, তাদের এবং তাদের বিধিবিধান ও নীতিমালার সাহায্য-সহযোগিতা করা উদ্দেশ্য হয়; চাই তা দাওয়াতের মাধ্যমে হোক, পরিচালনার মাধ্যমে হোক অথবা স্বইচ্ছায় তাদের আদালতে গিয়ে হোক, তাহলে সন্দেহ নেই যে, এ জাতীয় চাকুরী সরাসরি শিরক, স্পষ্ট কুফুরী এবং আল্লাহর দ্বীন থেকে সরে যাওয়া।

    যে এ জাতীয় চাকুরীতে লিপ্ত সে তাগুতদেরকে পরিত্যাগ করার মূলনীতি ভঙ্গ করেছে। প্রকৃত বিষয় যাচাই করা ছাড়া তার ইসলাম গ্রহণযোগ্য না।

    আর যদি চাকুরীর মাধ্যমে মানুষের উপর যুলুম ও অন্যায়ভাবে তাদের মাল ভক্ষণ যেমন- কর, ট্যাক্স, বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে শুল্ক ইত্যাদির কালেক্টর হয়ে তাগুতী হুকুমতের সাহায্য করা হয় অথবা ব্যবসায়ী, কৃষকশ্রেণী ও এ জাতীয় নিরীহ লোকদেরকে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে বাধ্য করে তাদের ঋণের উপর সুদ ভক্ষণে তাগুতের সহযোগিতা করা হয়, তাহলে এ ধরণের কর্মচারী সুদী লেনদেনের লেখক বা স্বাক্ষী হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরণের চাকুরী করা অকাট্য হারাম এবং কবীরা গোনাহ।

    যে এর সাথে জড়িত সে ‘তাগুতকে পরিপূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে’ এ বিধানটির উপর আমল করেনি। এর দ্বারা মসলমানের ঈমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সে যে গোনাহে লিপ্ত বা যে গোনাহের কাজে সহযোগিতা করছে সে হিসেবে তার ঈমান দুর্বল হতে থাকে।

    যদি চাকুরী করার ক্ষেত্রে উল্লিখিত দুটি বিষয়ের কোনোটি বা দুটিই কারো মাঝে না পাওয়া যায়, যেমন- ওয়াকফের ইমাম-খতিব, মুয়াজ্জিন; শিক্ষামন্ত্রনালয়ের শিক্ষক বা কর্মচারি, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা, পৌরসভার চাকুরিজীবি। ইত্যাদি চাকুরিকে কমপক্ষে এতটুকু তো ধরা যায় যে, সে তাগুত সরকারের সংখ্যা বাড়াচ্ছে, তাদের মাঝে নিজেকে খাটো করছে।

    এসব চাকুরি করতে গিয়ে যদি কোনো প্রকার গোনাহে লিপ্ত না হয়, তাহলে এ ধরণের চাকুরি তৃতীয় প্রকার বিধানের অন্তর্ভূক্ত হবে, যা ইতিপূর্বে আমরা উল্লেখ করেছি। তা হচ্ছে মাকরূহ। যে এ প্রকার কাজে শামিল হলো না সে তাগুতকে পরিত্যাগ করার বিধান পরিপূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করলো।



    দ্বিতীয় প্রকার মাসআলা প্রসঙ্গে শায়খ ওয়ালিদ আবু মুহাম্মদ আল-মাকদিসী হা. তার রিসালা ‘আল-ইশরাক্বাহ ফী সুআলাতি সুওয়াক্বাহ’-এ বলেন,

    فالذي قلناه ونقوله: ( أننا نحب للأخ الموحد أن يكون بعيداً عن هذه الحكومات من باب كمال اجتنابه لها، ولا شك أن منهاج حياة كل موحد هو قوله تعالى: {أن اعبدوا الله واجتنبوا الطاغوت} فذلك معنى “لا إله إلا الله”، لكن منه ما هو شرط للإيمان وتركه ناقض للإيمان، كاجتناب عبادة الطاغوت واجتناب التحاكم إليه مختاراً واجتناب حراسة تشريعاته وقوانينه الكفرية أو القسم على احترامها ونحو ذلك، ومنه ما هو من كمال الإيمان وتركه ناقص للإيمان وليس بناقض للإيمان كيسير الركون والمداهنة أو تكثير سواد ظلمهم ونحو ذلك من المعاصي. أهـ

    “আমরা যা বলেছি এবং বলে যাবো, ‘তাওহীদবাদী ভাইয়ের উচিৎ তাগুত সরকার থেকে পরিপূর্ণরূপে দূরে থাকা। কোনো রকম সন্দেহ নেই যে, প্রতিটি মুমিনের জীবনপদ্ধতি হবে এ আয়াতটি, ‘তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং তাগুতকে পরিত্যাগ করো।’

    এ হচ্ছে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর অর্থ। কিন্তু যে বিষয়টি ঈমানের জন্য শর্ত, যা ছেড়ে দিলে ঈমানের মধ্যে কমতি চলে আসবে, তা হচ্ছে, তাগুতের উপাসনা পরিত্যাগ করা, নিজ ইচ্ছায় তাদের আদালতে যাওয়া থেকে বিরত থাকা, তাদের বিধিবিধান ও আইন-কানুন সংরক্ষণ করা বা শ্রদ্ধা করা থেকে বেচে থাকা, ইত্যাদি।

    আর যে বিষয়টি ঈমানকে পরিপূর্ণ করে, যাকে ছেড়ে দিলে ঈমান হ্রাস হয়ে যায়; তবে ঈমান নষ্ট হয়ে যায় না, যেমন- তাদের উপর আস্থা রাখা ও তাদের সাথে সন্ধিচুক্তি করাকে সহজভাবে দেখা বা যুলুমের ক্ষেত্রে তাদের দল ভারি করা, ইত্যাদি বিভিন্ন রকম গোনাহ থেকে নিজেকে হেফাজত করা।”



    এরপর শায়খ হাফিজাহুল্লাহ মাসআলার টিকায় বলেন,

    ولا يفهم من هذا التهوين من شأن هذه المعاصي، فإن فيها ما هو من الكبائر ولكن المراد تمييزها عن المكفرات، ومن كان له قلب يكفيه الوعيد الذي ذكره الله عز وجل في كثير من الآيات كقوله تعالى في الركون اليسير: {ولولا أن ثبتناك لقد كدت تركن إليهم شيئاً قليلاً إذا لأذقناك ضعف الحياة والضعف الممات ثم لا تجد لك علينا نصيرا.]

    “এখানে এ কথা মনে করার কোনো অবকাশ নেই যে, এ আলোচনা দ্বারা এসব গোনাহকে হালকাভাবে দেখা হয়েছে; কারণ, এ প্রত্যেকটি গোনাহই কবিরা গোনাহ। বরং এখানে এ সব গোনাহকে কুফুরী গোনাহ থেকে আলাদা করা উদ্দেশ্য। যার হৃদয় আছে তার জন্য আয়াতে কারিমায় উল্লেখিত আল্লাহর ধমকিই যথেষ্টে।

    আল্লাহ তাআলা সরল আস্থা পোষণ করার ব্যপরে বলেন,

    ‘আমি আপনাকে দৃঢ়পদ না রাখলে আপনি তাদের প্রতি কিছুটা ঝুঁকেই পড়তেন। তখন আমি অবশ্যই আপনাকে ইহজীবন ও পরজীবনে দ্বিগুণ শাস্তির আস্বাদন করাতাম। এ সময় আপনি আমার মোকাবেলায় কোনো সাহয্যকারী পেতেন না।’ -সূরা ইসরা:৭৪-৭৫”

    এ বিধান ব্যপকভাবে মুসলিম রাষ্ট্রসমূহে অবস্থিত তাগুত সরকারের অধীনে কাজ করা এবং তাদের সাথে সংশ্লিষ্টতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

    পক্ষান্তরে ইরাকে তাগুত সরকারের অধীনে চাকুরি করা এবং তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা- যেখানের বর্তমান অবস্থা কারো অজানা নয়, যেখানে তাগুত সরকার যুদ্ধের আগুন জালিয়ে দিয়েছে, ক্রশপুজারী ও তাদের মুশরিক সহযোগী এবং ইসলামের ঝাণ্ডাবাহী ও তাওহিদী দলের মঝে আগুন প্রজ্জলিত করেছে, আল্লাহর বান্দা ও শয়তানের সহচরদের মাঝে সংঘাতের চাকা ঘুরাচ্ছে।

    সুতরাং তাদের অধীনে চাকরিরত কোনো শিক্ষককে কাফের বলা না গেলেও এবং কিছু কিছু মুবাহ কাজ যেমন- গনিত ইত্যাদির মত সাধারণ বিষয় যার মাধ্যমে আইন-কানুন ও সরকারি লোকদেরকে সম্মান প্রদর্শন করা হয় না- এসব পাঠদান করার দ্বারা বাহ্যিকভাবে তাকে গোনাহগার সাব্যস্ত করা না গেলেও, পরুক্ষভাবে সে গোনাহগার এ দৃষ্টি কোন থেকে যে, সে জবরদখলকারীদের ছায়ায় মুজাহিদ ভাইদের পরিত্যাগ করেছে, আল্লাহর পথে জিহাদ করার মত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফরজে আইন সে ছেড়ে দিয়েছে। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন,

    العدو الصائل الذي يفسد الدين والدنيا لا شئ أوجب بعد الإيمان من دفعه.) أهـ. الفتاوى الكبرى

    “আগ্রাসী শত্রু যে দ্বীন-দুনিয়া উভয় দিকে অশান্তি সৃষ্টি করে তাকে প্রতিহত করা ঈমানের পর সবচে বড় দায়িত্ব।’ -আল-ফাতওয়া আল-কুবরা”

    অতএব, প্রশ্নকারী ভাই, আপনাকে উপদেশ দিচ্ছি যে, তাদের সাথে শামিল হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না, যারা তাওহিদ ও জিহাদের ঝাণ্ডা সমুন্নত করছে।

    আপনি আগ্রহী হয়ে উঠুন তাদের মাঝে কাজ করার জন্য, তাদের সাহয্য-সহযোগিতা করার জন্য। যদি সম্ভব না হয় কমপক্ষে তাদের দল ভারি রাখুন। এ ব্যাপারে অবসন্ন না হওয়া। আল্লাহ তাআলা আমাকে আপনাকে তার নৈকট্য ও সন্তুষ্টির পথে চলার পেরণা দান করুন।

    والله أعلم و أحكم، وصلى الله على نبينا محمد و على آله وصحبه أجمعين



    উত্তর দাতা: লাজনাতুশ শারইয়্যাহ-এর সদস্য

    শায়খ আবুন নূর ফিলিস্তিনী হাফিজাহুল্লাহ

    (আংশিক পরিমার্জিত)
    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

    Comment


    • #3
      আশাকরি ভাইয়ের আগানো রুপ উত্তর হয়েছে।
      ان المتقین فی جنت ونعیم
      سورة الطور

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তায়ালা আপনার কাজকে কবুল করুন,আমিন।
        ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

        Comment


        • #5
          Originally posted by দীনের প্রহরী View Post
          ১/ দ্বীনের জন্য আমি কি পুলিশ, সেনাবাহিনী কিংবা এধরনের অন্য কোন পোস্টে চাকরি নিতে পারবো.....?
          ২/ এক্ষেত্রে যদি ঘোষ দিতে হয় তাহলে কি আমি ঘোষ দিয়ে হলেও চাকরি নেবো..?
          প্রিয় ভাইয়েরা....!
          উত্তর টা আমার খুবই প্রয়োজন,
          আমি ভাইদের কাছে দলিলের আলোকে এই প্রশ্নের উত্তর কামনা করছি...!
          প্রশ্নের উত্তর আমাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে ইনশাআল্লাহ...!

          উত্তর:
          بسم الله، والحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله، وبعد...
          মুহতারাম ভাই, কোন বাতিলই বাহিনি ছাড়া টিকতে পারে না। বর্তমান কুফরি রাষ্ট্রগুলোর ভিত্তিও এই বাহিনির উপরই। এদের সাথে যোগ দিলে আপনিও কুফরের বাহিনির সদস্য হয়ে পড়বেন। আপনার রক্তও তখন তেমনি হালাল হয়ে যাবে, যেমন তাদের রক্ত হালাল। শায়খ আবুল ওয়ালিদ মাকদিসি বলেন,
          أما جيوش الطواغيت وأنصارهم فالأصل فيهم الكفر ما لم يظهر لنا خلاف ذلك؛ لأن الظاهر منهم أنهم يوالون الشرك والكفر بتوليهم القانون الوضعي والتشريع الكفري، ولأنهم يناصرون أرباب ذلك الشرك والكفر على الموحدين؛ قال تعالى: {الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ} [النساء: 76]، وقال تعالى: {إِنَّ فِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَجُنُودَهُمَا كَانُوا خَاطِئِينَ} [القصص: 8]، وقال تعالى: {وَقَالُوا رَبَّنَا إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا فَأَضَلُّونَا السَّبِيلَا} [الأحزاب: 67] ...
          وبناء على ما سبق، فكل فرد يعمل في هذه الجيوش أو يعمل في الأجهزة الطاغوتية التي تسمى بالأمنية فهو مرتد بعينه، ويُستثنى من هذا الحكم من ظهر لنا في حقه مانع من موانع التكفير المعتبر؛ مانع حقيقي لا مُتوهم.
          “তাগুতবাহিনি ও তাদের সহযোগিদের মূল বিধান হল কুফর; যতক্ষণ না আমাদের কাছে এর বিপরীত কিছু প্রকাশ পায়। কেননা, স্পষ্ট এটাই যে, কুফরি বিধান ও সংবিধানের পক্ষপাতিত্বের কারণে তারা কুফর ও শিরকের পক্ষপাতিত্ব করছে। তাছাড়া তারা তাওহিদপন্থীদের বিরুদ্ধে উক্ত শিরক ও কুফরের নেতাদের সহায়তা করছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

          “যারা ঈমানদার তারা লড়াই করে আল্লাহর রাহে। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে তাগুতের পথে।”- নিসা ৭৬

          আরো ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই ফিরআউন, হামান ও তাদের বাহিনি সকলেই ছিল অপরাধী।- কাসাস ৮

          আরো ইরশাদ করেন,
          “তারা আরো বলবে, হে আমাদের রব! আমরা আমাদের নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আনুগত্য করেছিলাম। তখন তারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছি।”- আহযাব ৭৬


          উপরোক্ত মূলনীতি অনুযায়ী এসব বাহিনি বা শান্তিরক্ষা মিশন নামধারী তাগুতবাহিনিতে যারা কাজ করবে তাদের প্রত্যেক সদস্যই বি-আইনিহি মুরতাদ; যতক্ষণ না আমাদের কাছে তাকফিরের প্রতিবন্ধক গ্রহণযোগ্য কোন কারণ পাওয়া যায়। আর তা প্রকৃত অর্থেই প্রতিবন্ধক হতে হবে, ধারণাপ্রসূত নয়।”- মিম্বারুত তাওহিদ, ফতোয়া নয় ৩৯৪


          আর দ্বীনের কথা যা বলেছেন, তো ভাই, দ্বীনের খিদমত করতে হবে দ্বীনি পন্থায়। দ্বীনের নিয়তে কুফর বা হারাম করা জায়েয নয়। বাহিনিতে ভর্তি হওয়ার পর আপনি আপনার ইচ্ছায় চলতে পারবেন না, তাদের ইচ্ছায় চলতে হবে। তারা যত হারাম করবে তাতে আপনাকেও শরীক হতে হবে। নতুবা তারা আপনাকে বেতন দেবে কেনো? এভাবে কিছু দিন হারাম ও কুফর করতে করতে অবশেষে আপনি দ্বীন থেকেই বিচ্যূত হবেন বলে আশঙ্কা। আল্লাহ মাফ করুন। অতএব, দ্বীনের খিদতের নিয়তেও এসব বাহিনিতে যোগ দেয়া জায়েয নয়। 1

          ***

          1
          একজনশায়খক্ষতিসাধনেরউদ্দেশ্যেতাগুতবাহিনিতেভর্তিজায়েযহবেবলেছিলেনশায়খমাকদিসিতাপ্রত্যাখানকরেবলেন,

          ولو أن كلام الشيخ واستدلاله كان على من هداه الله إلى التوحيد وهو في جيش الطاغوت أصلاً، فرام استغلال وجوده في نصرة دين الله والنكاية في أعدائه، فأرْجأَ إظهار دينه وتوحيده وبراءته من الشرك وأهله، دون أن يرتكب كفراً، ليُظهرَ دينه وبراءته من الطاغوت بأشرقِ صورة؛ وذلك بجهاد أعداء الدين وجِلادهم في فرصة أو ظرف يتحينه، كما فعل نعيم بن مسعود رضي الله عنه حين كتم إسلامه في غزوة الأحزاب وكان نديماً لبني قريظة، وفي قصته أن النبي صلى الله عليه وسلم قال له: (خَذِّل عنّا" ففعل، وكان ذلك سبباً في رحيل الأحزاب كما ذكر أهل السير والمغازي، وكذلك ما فعله محمد بن مسلمة في قتله لكعب بن الأشرف، ونحوه، مما هو معلوم وثابت ويدل على جواز كتمان الدين أو التخفي ومخادعة الكفار بعدم إظهار عداوتهم لأجل قتل رؤوسهم أو النكاية فيهم.
          أقول: فلو اقتصر المصنف على مثل هذه الصورة لما خالفناه، بشرط أن لا يرتكب فاعلها ما هو كفر أو ردّة، بل يكون حاله في تلك المدة كحال من اندسّ في صفوفهم متخفياً بزيّهم أو استعمل بعض المعاريض والحيل الموهمة، التي هي من جنس المخادعة في الحروب، كل ذلك لم نكن لنخالفه فيه، ولكنه جوّز الالتحاق بجيش الطاغوت ابتداءً لأجل هذا القصد. ومعلوم ما يقترفه من يفعل ذلك من مكفرات مختلفة، في المراحل التي يمر بها في دراسته أو دوراته أو تخرجه وخدمته.
          والأصل الأصيل الذي لا يخالفنا فيه المصنف أن مثل هذه المكفرات لا يسوّغ ارتكاب شيء منها إلا في الإكراه، فتجويز شيء من ذلك، واستثنائه لأجل المصلحة التي ذكرها، يحتاج إلى دليل مسند صحيح صريح، وهو الشيء الذي لم يأت به المصنف هنا. اهـ النكت اللوامع
          Last edited by Munshi Abdur Rahman; 12-05-2019, 12:29 PM.

          Comment


          • #6
            ইলম ও জিহাদ ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
            আল্লাহ তা‘আলা ভাইয়ের ইলমে আরো বারাকাহ দান করুন। আমীন
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment

            Working...
            X