বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আসসালামু আলাইকুম। দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে আপনাকে স্বাগতম।
আপনার আসল ইমেইল এড্রেস দিয়ে এখানে আইডি খুলবেন না। আগে আসল ইমেইল আইডী দিয়ে থাকলে সেটাও পরিবর্তন করুন।
পাসওয়ার্ড ও ইমেইল এড্রেস পরিবর্তনের জন্য Settings - Edit Email and Password এ ক্লিক করুন।
আমাদের বর্তমান আইপি এড্রেসঃ https://82.221.139.185
***
বাংলা না দেখা গেলে, এখানে ক্লিক করুন
*****
ফোরামে সদস্য হতে চাইলে এখানে রেজিষ্টার করুন
*****
ফোরামের অনিওন এড্রেসঃ dawah4m4pnoir4ah.onion
*****
Announcement
Collapse
No announcement yet.
জিজ্ঞাসা: আওয়ামীলীগ এবং বিএনপিকে কেন নাম ধরে তাকফির করা হবে না?
রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্যরা কিন্তু ত্বাগুতের সেনাদেএ মতো নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্যরা নানাভাবে বিভক্ত। তাদের মধ্যে কেও আছেন একটিভ সদস্য, কেও আছেন কর্মি, কেও আছেন সমর্থক। আবার কেও কেও ভোটের সময় ভোট দেয়, কিন্তু দল করে না। তাকফিরের বিষয়গুলো আখি খুবি জটিল। আপনি অপেক্ষা করতে পারেন। ভাইয়েরা, অপসরে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।
আসলে বিএনপি আর আওয়ালীগের ব্যাপারটাতে বেশ পার্থক্য আছে। আওয়ামীলীগের কিছু স্বতন্ত্র আদর্শ, বৈশিষ্ট্য ও ঐতিহ্য আছে, যা বিএনপির নেই। তাই দুই দলের দলীয় হুকুমের মধ্যে পার্থক্য হবে।
১. আওয়ামীলীগ ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের বিশ্বাসী। এজন্য তাদের সাধারণ সদস্যরাও বলে, হুজুরেরা কেন রাজনীতি করবে? ধর্ম নিয়ে কেন রাজনীতি করবে? আমি একেবারে সাধারণ থেকে সাধারণ আওয়ামীলীগের মধ্যেও এটা দেখেছি যে, ধর্মীয় লোকেরা বা হুজুরেরা কেন রাজনীতি করবে? এটা আওয়ামীলীগের ধর্মনিরপেক্ষতা আদর্শের কারণেই। যার অর্থই রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে ধর্মের কোন হস্তক্ষেপ চলবে না। এই ব্যাপারটা কিন্তু শুধু উপরস্তু বিশেষ লোকেরাই জানে, এমন নয়। বরং শেখ মুজিব যখন সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা স্থাপন করে, তখনই সারা বাংলাদেশে এটা নিয়ে দ্বীনদারদের মাঝে হৈ চৈ হয়। ফলে আল্লাহর দুশমন শেখ মুজিব তার কোন এক ভাষণে বলতে বাধ্য হয়, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। এ বিষয়টা নিয়ে দেশে আন্দোলনও হয়েছিল এক সময়, যদিও এখন এগুলো কিছু না। তাই পুরতান আওয়ামীলীগের মোটামোটি সকলেই জানে ব্যাপারটা।
আওয়ামীলীগ প্রথমে প্রতিষ্ঠা হয়েছে ই এই আদর্শে নিয়ে। এক সময় পাকিস্তানব্যাপী বৃহত্তর আওয়ামী মুসলিমলীগের পূর্বপাকিস্তান শাখা ছিল পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিমলীগ। অত:পর সেই বৃহত্তর দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়েই নতুন আওয়ামীলীগের যাত্রা হয়। তারা আগে এই ঘোষণা দিয়েই শব্দটি বাদ দেয় যে, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা ও সংকীর্ণতা মুক্ত উদার রাজনীতি করার জন্যই শব্দটি বাদ দেওয়া হবে। সেই সময় তো সারা বাংলাদেশের সমস্ত জনগণই নাম পরিবর্তন করে ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিটি বাদ দেওয়ার বিষয়টি জেনেছে। তবুও তারা আওয়ামীলীগকেই গ্রহণ করেছে। ধর্মের ব্যাপারটিকে কিছুই মনে করেনি। আর এটাই কুফর।
২. আলেম-ওলানা ও ধর্মীয় লোকেরা যে আওয়ামীলীগ পছন্দ করে না, এটা ৭১ এর পর থেকে সারা বাংলাদেশের সমস্ত সাধারণ লোকই দেখে আসছে। এমনকি আমি তো একবার ভোটের দিন নিজে সাধারণ মানুষের মুখ থেকে এমনটা শুনেছি যে, হুজুররা যদি কসম করেও বলে্, আও্য়ামীলীগে ভোট দিয়েছি তবুও বিশ্বাস করা যাবে না। কারণ হুজুররা কখনো আওয়ামীলীগে ভোট দিতে পারে না- এটা ছিল সাধারণ মানষের বদ্ধমূল ধারণা। এছাড়া ৭১ এর যুদ্ধের সময় যে সমস্ত আলেমগণ, সমস্ত ইসলামী দলগুলো, এমনকি জামাতে ইসলামীও ওই দালালীল যুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, এটা সময়ের সারা বাংলার সমস্ত জনগণই জেনেছে। এছাড়া ২০০১ সালের নির্বাচনে যে একেবারে সমস্ত হুজুররা ও দ্বীননদাররা আওয়ামীলীগের কঠিন বিরোধিতা করেছে, এটা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সমস্ত মানুষ দেখেছে। তুবও তারা আলেম-ওলামা ও দ্বীনদার থেকে ভিন্নপথে গিয়ে ভিন্ন দল গ্রহণ করেছে। এটা দ্বারা স্পষ্ট যে, তারা ধর্মকে গুরুত্ব দিত না বলেই এমনটা করেছে। আর এটাই কুফর।
৩. বিভিন্ন সময় আলেম-ওলামা কর্তৃক আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা এবং আওয়ামীলীগ কর্তকৃ দমন-পীড়ন করার বিষয়টি সারা দেশের সমস্ত জনগণ জানে। বিশেষ করে হেফাজতের সময় সারা একটা সদস্যও তো মনে হয় ছিল না, যারা জানত না। তখন যে হুজুরেরা অশ্লীলতা বন্ধ করা এবং নাস্তিকদের শাস্তি দেওয়া সহ কিছু ইসলামিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে আর আওয়ামীলীগ তাদেরকে কঠিনভাবে শাস্তি দিয়েছে এটা সারা বাংলাদেশের সমস্ত জনগণ দেখেছে ও জেনেছে। তবুও প্রতিটি সমাজের বিশেষ অসভ্য শ্রেণীই আওয়ামীলীগকে সাপোর্ট করেছে। আর যারা ওই সময়ের আওয়ামীলীগের কাজটা খারাপ জেনেও পুরোনো মহব্বতের কারণে বা দলান্ধতার কারণে আওয়ামীলীগ ছাড়েনি, তাদের এ কাজটিই তো কুফর।
তাই বলা যায়, আওয়ামীলীগের ইসলামী বিরোধিতা, আলেম বিরোধিতা ও দ্বীনদারদের বিরোধিতা জানা সত্ত্বেও আওয়ামী সদস্যরা আওয়ামীলীগ করছে। হাজারের মধ্যে একজন হবে এগুলোর কোনটাই একটুও জানে না। এজন্য আওয়ামীলীগকে দলীয়ভাবে কাফের বলতে কোন বাধা নেই মনে হয়। দু’একজন মাত্র ইস্তেসনা (ভিন্নরকম) হওয়ার কারণে দলীয় হুকুমে পরিবর্তন হবে না মনে হয়।
আরেকটা বিষয়, ঢাকার কিছু কিছু পাগল-ছাগল যে “ওলামা লীগ” নাম দিয়ে আওয়ামীলীগ করে, এটা দেশের সাধারণ জনগণ তেমন জানে ই না। তারা দেখে আসছে, সমস্ত আলেম ও হুজুররা আওয়ামীলীগ বিরোধী। আর হেফাজতের বিভ্রান্তিকর কুফরানা মাহফিল তো কয়েক মাস ধরে হলমাত্র।
জিজ্ঞাসা: আওয়ামীলীগ এবং বিএনপিকে কেন নাম ধরে তাকফির করা হবে না?
মুহতারাম ভাই- আপনার শিরোনাম দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, আপনি এ ব্যাপারে জানেন। তাই এই বিষয়টি দলীলের আলোকে উপস্থাপন করলে আমরা সকলেই উপকৃত হতে পারতাম মনে হয়। আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে তাওফিক দান করুন। আমীন
‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.
Comment