কাদিয়ানী ইস্যু আর প্রাণ-আরএফএলের প্রোডাক্টের ছড়াছড়ির ভেতরে বহুদিন আগের সেই প্রশ্নগুলো আবারো করতে হচ্ছে।
সত্যি!
ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফের মুরতাদ এবং জিন্দিকদেরকে সাহায্য করার মাসআলাটি অতি জটিল।
*আবূ দাউদ এবং তিরমিযি শরীফের হাদীসাংশঃ الصبر فيهنّ مثل قبض على الجمر (ঐ অবস্হায় ধৈর্য ধারণ তথা ঈমানের উপর টিকে থাকা জ্বলন্ত অঙ্গার হাতে নেয়ার চাইতেও বেশী কষ্টের হবে৷) অপর একটি হাদীস,যাতে বলা হয়েছে,ফেতনা অাঁধার রাতের অন্ধকারের মত ছেয়ে যাবে৷ঐ অবস্থায় সকালের মুমিন বিকালে এবং বিকালের মুমিন সকালে কাফের হয়ে যাবে৷
*ঈমান ভঙ্গের অন্যতম কারণঃ ইসলাম ও কুফরের যুদ্ধে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইসলামের শত্রুদের সাহায্য করা৷
*ফেতনার সময় হয় সরাসরি ময়দানে কিংবা জঙ্গলে অবস্থান করতে বলা হাদীস৷
مظاهرة المشركين و معاونتهم على المسلمين
এর উপর ফুকাহায়ে কেরামের বিভিন্ন তাফরী' (শাখা বিশ্লেষণ) যাতে ছোট থেকে ছোট পর্যায়কেও "মুযাহারাত"এর আওতাভুক্ত ধরা হয়েছে৷ যেমনঃমুসলিম হত্যা নিয়ে শায়খ হুসাইন আহমদ মাদানী(রহঃ)এর ফাতাওয়া৷ (অধ্যায়ঃ কতলে মুসলিম, মাআ’রেফে মাদানী, মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী রহঃ; সংকলন ও বিন্যাস – মুফতী আব্দুস শাকূর তিরমিজ) একই বিষয়ে শায়খ আহমদ শাকের (রহঃ) এর ফাতাওয়া৷ (কালিমাতুল হাক্ব, পৃষ্ঠা নং ১২৬-১৩৭)
*এই মূলনীতি: মূল কাজের ব্যাপারে অবগতি ও চেতনা থাকলে অবহেলা বশতঃ তার শারয়ী হুকুম না জানা তাকফীরের প্রতিবন্ধক নয়৷উদাহরণস্বরূপ,বর্তমান নামধারী মুসলিম শাসকদের অজ্ঞতা গ্রহণযোগ্য নয়৷
*ফিক্বহী মাসআলা:একজন মানুষের হত্যায় যদি দশজন,পঞ্চাশজন কিংবা একশ'জনও অংশ নেয়,সকলের উপর ক্বিসাস কার্যকর করা হবে৷
إكراهতথা ঈমানবিধ্বংসী কিছু করার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতার শর্তাবলী৷
*'ঈমান ভাঙ্গার জন্য একটি কারণই যথেষ্ট' এই নীতি৷
'একজন মুসলমানের হত্যায় যদি গোটা দুনিয়ার মানুষ অংশগ্রহণ করে,তবে সকলকে জাহান্নামে দিতে চাইলে আল্লাহর এতটুকু বাধবেনা' শীর্ষক বর্ণনা৷
এমনি আরো অনেক বিষয়৷
এতগুলো বিষয় বিবেচনায় নিয়ে যদি জানতে চাই,আমি আবারো বলছি,উল্লেখিত প্রত্যেকটা বিষয়ের নিরিখে যদি জানতে চাই—অমুসলিম শুধু নয়,ইসলামের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত রাষ্ট্রগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিগুলো, পৃষ্ঠপোষকতায় কেন বলছি? সরাসরি তাদেরই নিজেদের তৈরী পণ্যগুলো যে আমরা ক্রয় করছি; যার মূল্যটা নিশ্চিতভাবে আমার ভাইয়ের বুক ঝাঁঝরা করার জন্য খরচ হচ্ছে,থাকুক না বাড়াবাড়ি রকম দীর্ঘসূত্রতা,কোন্ কারণে আমার এ ক্রয়টা "মুযাহারাত" তথা "কাফেরকে সাহায্য করা" বলে গণ্য হবে না এবং কোন্ মানে'(প্রতিবন্ধক)এর কারণে ক্রয়কারীর ঈমান ঝুঁকিতে পড়বেনা???
এখানে দু'টো বিষয়:
এই নিয়ে নানান সময়ে নানা লিফলেট বিতরণ হয়েছে৷সবকটাতেই খুব বেশী হলে অমুসলিম পণ্য ক্রয়কে না জায়েয বলা হয়েছে৷আর আমি এনেছি ঈমানের প্রশ্ন৷কারণ, সচেতন যে মহলটি লিফলেট ছাপিয়েছে,খুব সম্ভব ঈমান ভঙ্গের সবকটি কারণ দূরে থাকুক,"মুযাহারাত"আদৌ ঈমান ভঙ্গের কারণ কিনা?তারা বলতে পারবেনা৷এতটাই ভয়াবহ এ সমাজের অবস্থা!মৌলিক ফারযে আইন ইলম থেকে আমরা বঞ্চিত৷
দ্বিতীয় বিষয়,এ প্রসঙ্গের আলোচনায় একটা পার্থক্য সূচক নিশ্চই আছে৷কারণ,জিহাদ বিষয়ে ফিক্বহে হানাফির প্রসিদ্ধ গ্রন্থ "আসসিয়ারুল কাবীর" -এ দেখেছি,যুদ্ধের সফরে দারুল হারবে কাফেরের কাছে যুদ্ধাস্ত্র বিক্রির বিধানে অভিযুক্তকে সাধারণ শাস্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছে৷তাকে মুরতাদ বলে সাব্যস্ত করা কিংবা ইস্তিতাবাহ তথা তওবা করতে বলার মত কোন কিছু আসেনি৷(শারহুস সিয়ারিল কাবীর, খঃ৪, পৃঃ২৮৪, প্রকাশকঃদারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ,বৈরুত, লেবানন৷)
যাই হোক,আমার মুখ্য জিজ্ঞাস্য হচ্ছে,কি সেই পার্থক্যসূচক?যা পূর্বোল্লেখিত প্রত্যেকটি পয়েন্টকে বিচার পূর্বক ইসলাম ও কুফরের মাঝে রেখা টেনে দেবে৷
একটা স্মার্টফোন কিংবা তারও ক্ষুদ্র একটি কলম কেনায় যদি ঈমান থাকা না থাকার প্রশ্ন চলে আসে,সঙ্গত কারণেই শিউরে উঠতে হয়৷আমরা তো জেনে শুনেই কিনি—এটা মেড ইন চায়না, ওটা মেড ইন জার্মান ইত্যাদি৷তো দেখা যাচ্ছে,আই এসের মত বলতে হচ্ছে যে, সমাজের ৯৯%কাফের(!) কী ভয়ানক কথা!!
*ঈমান ভঙ্গের অন্যতম কারণঃ ইসলাম ও কুফরের যুদ্ধে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইসলামের শত্রুদের সাহায্য করা৷
*ফেতনার সময় হয় সরাসরি ময়দানে কিংবা জঙ্গলে অবস্থান করতে বলা হাদীস৷
مظاهرة المشركين و معاونتهم على المسلمين
এর উপর ফুকাহায়ে কেরামের বিভিন্ন তাফরী' (শাখা বিশ্লেষণ) যাতে ছোট থেকে ছোট পর্যায়কেও "মুযাহারাত"এর আওতাভুক্ত ধরা হয়েছে৷ যেমনঃমুসলিম হত্যা নিয়ে শায়খ হুসাইন আহমদ মাদানী(রহঃ)এর ফাতাওয়া৷ (অধ্যায়ঃ কতলে মুসলিম, মাআ’রেফে মাদানী, মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী রহঃ; সংকলন ও বিন্যাস – মুফতী আব্দুস শাকূর তিরমিজ) একই বিষয়ে শায়খ আহমদ শাকের (রহঃ) এর ফাতাওয়া৷ (কালিমাতুল হাক্ব, পৃষ্ঠা নং ১২৬-১৩৭)
*এই মূলনীতি: মূল কাজের ব্যাপারে অবগতি ও চেতনা থাকলে অবহেলা বশতঃ তার শারয়ী হুকুম না জানা তাকফীরের প্রতিবন্ধক নয়৷উদাহরণস্বরূপ,বর্তমান নামধারী মুসলিম শাসকদের অজ্ঞতা গ্রহণযোগ্য নয়৷
*ফিক্বহী মাসআলা:একজন মানুষের হত্যায় যদি দশজন,পঞ্চাশজন কিংবা একশ'জনও অংশ নেয়,সকলের উপর ক্বিসাস কার্যকর করা হবে৷
إكراهতথা ঈমানবিধ্বংসী কিছু করার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতার শর্তাবলী৷
*'ঈমান ভাঙ্গার জন্য একটি কারণই যথেষ্ট' এই নীতি৷
'একজন মুসলমানের হত্যায় যদি গোটা দুনিয়ার মানুষ অংশগ্রহণ করে,তবে সকলকে জাহান্নামে দিতে চাইলে আল্লাহর এতটুকু বাধবেনা' শীর্ষক বর্ণনা৷
এমনি আরো অনেক বিষয়৷
এতগুলো বিষয় বিবেচনায় নিয়ে যদি জানতে চাই,আমি আবারো বলছি,উল্লেখিত প্রত্যেকটা বিষয়ের নিরিখে যদি জানতে চাই—অমুসলিম শুধু নয়,ইসলামের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত রাষ্ট্রগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিগুলো, পৃষ্ঠপোষকতায় কেন বলছি? সরাসরি তাদেরই নিজেদের তৈরী পণ্যগুলো যে আমরা ক্রয় করছি; যার মূল্যটা নিশ্চিতভাবে আমার ভাইয়ের বুক ঝাঁঝরা করার জন্য খরচ হচ্ছে,থাকুক না বাড়াবাড়ি রকম দীর্ঘসূত্রতা,কোন্ কারণে আমার এ ক্রয়টা "মুযাহারাত" তথা "কাফেরকে সাহায্য করা" বলে গণ্য হবে না এবং কোন্ মানে'(প্রতিবন্ধক)এর কারণে ক্রয়কারীর ঈমান ঝুঁকিতে পড়বেনা???
এখানে দু'টো বিষয়:
এই নিয়ে নানান সময়ে নানা লিফলেট বিতরণ হয়েছে৷সবকটাতেই খুব বেশী হলে অমুসলিম পণ্য ক্রয়কে না জায়েয বলা হয়েছে৷আর আমি এনেছি ঈমানের প্রশ্ন৷কারণ, সচেতন যে মহলটি লিফলেট ছাপিয়েছে,খুব সম্ভব ঈমান ভঙ্গের সবকটি কারণ দূরে থাকুক,"মুযাহারাত"আদৌ ঈমান ভঙ্গের কারণ কিনা?তারা বলতে পারবেনা৷এতটাই ভয়াবহ এ সমাজের অবস্থা!মৌলিক ফারযে আইন ইলম থেকে আমরা বঞ্চিত৷
দ্বিতীয় বিষয়,এ প্রসঙ্গের আলোচনায় একটা পার্থক্য সূচক নিশ্চই আছে৷কারণ,জিহাদ বিষয়ে ফিক্বহে হানাফির প্রসিদ্ধ গ্রন্থ "আসসিয়ারুল কাবীর" -এ দেখেছি,যুদ্ধের সফরে দারুল হারবে কাফেরের কাছে যুদ্ধাস্ত্র বিক্রির বিধানে অভিযুক্তকে সাধারণ শাস্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছে৷তাকে মুরতাদ বলে সাব্যস্ত করা কিংবা ইস্তিতাবাহ তথা তওবা করতে বলার মত কোন কিছু আসেনি৷(শারহুস সিয়ারিল কাবীর, খঃ৪, পৃঃ২৮৪, প্রকাশকঃদারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ,বৈরুত, লেবানন৷)
যাই হোক,আমার মুখ্য জিজ্ঞাস্য হচ্ছে,কি সেই পার্থক্যসূচক?যা পূর্বোল্লেখিত প্রত্যেকটি পয়েন্টকে বিচার পূর্বক ইসলাম ও কুফরের মাঝে রেখা টেনে দেবে৷
একটা স্মার্টফোন কিংবা তারও ক্ষুদ্র একটি কলম কেনায় যদি ঈমান থাকা না থাকার প্রশ্ন চলে আসে,সঙ্গত কারণেই শিউরে উঠতে হয়৷আমরা তো জেনে শুনেই কিনি—এটা মেড ইন চায়না, ওটা মেড ইন জার্মান ইত্যাদি৷তো দেখা যাচ্ছে,আই এসের মত বলতে হচ্ছে যে, সমাজের ৯৯%কাফের(!) কী ভয়ানক কথা!!
সত্যি!
ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফের মুরতাদ এবং জিন্দিকদেরকে সাহায্য করার মাসআলাটি অতি জটিল।
Comment