আমি আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জীবন দিয়ে দ্বীনকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত আছি। আল্লাহ তায়ালা তো আমাদেরকে মা বাবার খেদমত করতে বলছেন। এখন আমি আমার সবকিছুকে ছেড়ে জিহাদের ময়দানে যেতে চাই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমি আমার মা বাবার কাছে অনুমতি নিতে চাই এখন তারা যদি আমাকে অনুমতি না দেন তাহলে কি আমি তাদের কথাকে উপেক্ষা করব? তাছাড়া আল্লাহর হুকুম তো সবকিছুর উপরে এখন আমি কি তাদের অবাধ্য হবো? এই বিষয়টি আমাকে প্রতিনিয়ত ভাবিয়ে তুলছে। কোনো ভাই যদি দলিলসহ এটি নিয় বলতেন খুব উপকৃত হতাম।
Announcement
Collapse
No announcement yet.
জানতে চাই.
Collapse
X
-
মুহতারাম ভাই, জিহাদের ময়দান বলতে কি আপনি হিজরত বুঝাতে চাচ্ছেন? যদি হিজরত উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আপনি কোনো তানজীমের সদস্য হয়ে থাকলে সেখানকার উমারা ও উলামাদের থেকে জেনে নিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। আর কোনো তানজীমের সদস্য না হয়ে থাকলে হিজরতের পথে পা না বাড়ানো উচিৎ। গোয়েন্দার হাতে পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল, পিতা মাতার খেদমত করতে থাকুন। পাশাপাশি যতটুকু পারেন জিহাদের কাজ করে যান আর হক তানজীমে যোগ দেয়ার চেষ্টা করতে থাকুন। তানজীমে যোগ দেয়ার পর তানজীমের নির্দেশনা মতে কাজ করুন ইনশাআল্লাহ।
মিম্বারের দু’টি ফতোয়া দেখতে পারেন ইনশাআল্লাহ-
প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ ... পিতা-মাতার অনুমতি ব্যতীত ই’দাদ গ্রহণের জন্য চলে যাওয়ার কি বিধান? বিশেষত আমার পিতা ইয়ামানের প্রসিদ্ধ মাশায়েখদের একজন। যদি আমি চলে যাই তাহলে তিনি আমার ধ্বংসের জন্য বদ দোয়া করবেন বলে ভয় দেখাচ্ছেন। *তিনি এ মানহাজের লোক নন। যখন তিনি জানতে পেরেছেন যে, আমি এ মানহাজের উপর অটল আছি, তখন বলছেন: আমি নাফরমান ... ইত্যাদি আরোও বিভিন্ন কথা। এ ধরণের লোকের সাথে কেমন আচরণ হবে? -আবুল কা’কা’ আলইয়ামানীপিতা-মাতার অনুমতি ব্যতীত ই’দাদ গ্রহণের বিধান
প্রশ্ন নং ৪৩৯
উত্তর: ওয়াআলাইকুমুস সালামু ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ ... প্রশ্নকারী ভাই, কোন সন্দেহ নেই যে, আমাদের এ যামানায় জিহাদের জন্য ই’দাদ গ্রহণ করা ফরযে আইন। বিশেষত বর্তমান সময়ে যখন জিহাদ ফরযে আইন হয়ে গেছে। কাজেই পিতা-মাতার অনুমতি ব্যতীত ই’দাদ গ্রহণে কোন সমস্যা নেই। বিশেষত যখন আপনার দৃঢ় বিশ্বাস হয় যে, আপনার পিতা কিছুতেই আপনার জন্য এর অনুমতি দেবে না। আপনার পিতার জন্য আপনাকে এ ফরয আঞ্জাম দেয়া থেকে বারণ করা জায়েয নয়। তিনি নামায-রোযায় আপনাকে যেমন উদ্বুদ্ধ করেন, ই’দাদ ও জিহাদেও তেমনি উদ্বুদ্ধ করবেন- এটাই ছিল স্বাভাবিক। আল্লাহ তাআলার নাফরমানী করে কোন বান্দার আনুগত্য বৈধ নয়। কাজেই আপনি আপনার এ কাজের দ্বারা নাফরমান হচ্ছেন না। বরং আল্লাহ তাআলা যে ফরয আপনার *উপর ধার্য করেছেন, তা আঞ্জাম দেয়া থেকে বারণ করার দ্বারা তিনি নিজেই নাফরমান হচ্ছেন। যদি আপনার পিতার দিক থেকের ক্ষতি এড়িয়ে আপনি ই’দাদ গ্রহণ করতে পারেন, তাহলে তাই করুন। আর যদি নিজের ব্যাপারে ক্ষতির আশঙ্কায় থাকেন, তাহলে ক্ষতি এড়িয়েও ই’দাদ গ্রহণ করার মতো অনেক উপায় আছে। আপনি সেগুলো অবলম্বন করুন। আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য চান। দুর্বল হয়ে পড়বেন না। ... ওয়াল্লাহুল মুওয়াফফিক।
উত্তর প্রদানে: শায়খ আবু উসামা আশশামী সদস্য: মিম্বারুত তাওহিদ ২২/১০/২০০৯[1]
[1] حكم الإعداد دون إذن الوالدين ... رقم السؤال: 439 السلام عليكم ورحمة الله ... ماحكم الذهاب للإعداد دون اذن الوالدين وخاصة ان الوالد من المشايخ المشهورين في اليمن وهو يهددني باالدعاء علي بالهلاك لو ذهبت وهو ليس من اصحاب هذا المنهج واذا عرف اني لا زلت على هذا المنهج قال اني عاصي وما الى ذالك فما العمل مع مثل هذا السائل: ابو القعقاع اليمني المجيب: اللجنة الشرعية في المنبر وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته ... أخي السائل ... ... لا شك أن الإعداد للجهاد في زماننا فرض عين؛ خاصة في هذه الأيام التي أصبح الجهاد فيها فرض عين، فالإعداد دون إذن الوالدين لا حرج فيه؛ خصوصا إذا تيقنت أن والدك لن يسمح لك به؛ فلا يجوز لوالدك منعك من اداء هذه الفريضة؛ فكما انه يحضك على الصلاة والصيام فالأصل أن يحضك على الإعداد والجهاد؛ ولا طاعة لمخلوق في معصية الخالق فأنت لست بعاص بفعلك هذا؛ بل هو العاصي بمنعك من اداء فرض افترضه الله عليك فإن استطعت ان تعد نفسك دون ان يلحقك ضرر من والدك فافعل وإن خفت على نفسك فهناك طرق كثيرة يمكن للمرء سلوكها لإعداد نفسه دون ان يلحقه أذى فاسلكها واستعن بالله ولا تعجز ... والله الموفق أجابه، عضو اللجنة الشرعية: ... الشيخ أبو أسامة الشامي
প্রশ্ন: আমিজিহাদেযেতেচাই।কিন্তুআমারপিতামারাগেছেন।আমিছাড়াআমারমায়েরআরকেউনেই।আমারউপরকিজিহাদফরয? না’কিএটাশরীয়তেরদৃষ্টিতেওজরধরাহবেনা?“আমিজিহাদেযেতেচাচ্ছি।কিন্তুআমিছাড়াআমারমাকেদেখারমতোকেউনেই
প্রশ্ননং৫৮৬
উত্তর: … বর্তমানযামানায়জিহাদযদিওফরযেআইনএবংআপনিছাড়াআপনারমাকেদেখারকেউনাথাকলেওআপনিজিহাদেরদায়িত্বথেকেমুক্তিপাবেননা, তবেএখানেকিছুতাফসীলআছে।আপনিযেশহরেআছেনসেশহরহিসেবে।সেখানেযুদ্ধসংঘটিতহচ্ছেকি’নাএবংআপনারমতোলোকদেরপ্রতিমুজাহিদদেরঅনিবার্যপ্রয়োজনদেখাদিয়েছেকি’না- সেহিসেবে।অবস্থাএমনহলেআপনাকেজিহাদেবেরহতেহবে, যদিওআপনারমাকেদেখারকেউনাথাকে।কেননা, দ্বীনিমাসলাহাতসকলমাসলাহাতেরতুলনায়অগ্রগণ্য।
আরযদিঅবস্থাএমননাহয়েথাকে, তাহলেইনশাআল্লাহআপনিআপনারমায়েরদেখাশুনাকরতেপারবেন, যতদিননাআল্লাহতাআলাভিন্নকোনপরিস্থিতিসৃষ্টিকরেন।সাথেসাথেআপনিজিহাদেরনিয়তরাখবেন।জিহাদেরআকাঙ্কায়থাকবেন।জিহাদেরজন্যপ্রস্তুতিনেবেন।আপনারশহরেআপনিআল্লাহতাআলারতাওহিদেরপ্রতিদাওয়াতদেয়ারকাজচালাতেথাকবেন।ধৈর্যেরসাথেএগুলোকরতেথাকবেন।সামর্থ্যানুযায়ীমুজাহিদদেরসহায়তাকরতেথাকবেন।وفقك الله
উত্তরপ্রদানে: আবুউসামাআশশামীসদস্য, শরয়ীবিভাগ, মিম্বারুততাওহিদ।”بسم الله والصلاة والسلام على أفضل رسل الله محمد صلى الله عليه وعلى آله وصحبه أجمعين وبعد: فأنا شاب مسلم أريد أن أجاهد ولكن والدي متوفى وليس لأمي غيري فهل يسقط علي فرض الجهاد أما يعتبر هذا ليس بعذر شرعي محب الشيخ أسامة بن لادن حفظه الله ورعاهالسائل: أبو عاصم المصريالمجيب: اللجنة الشرعية في المنبرأخي السائل حفظك الله ... سبقت الأجابة على العديد من الأسئلة المشابهة لسؤالك فارجع إليها في قسم الجهاد وأحكامه إن شئت، وخلاصة الجواب أن الجهاد وإن كان فرض عين في زماننا ولا يسقط عنك لعدم وجود من يرعى والدتك سواك، إلا ان هناك تفصيلا بحسب البلد التي أنت فيها وهل حضر قتال العدو فيها، وهل تعينت حاجة المجاهدين إلى أمثالك ففي مثل هذه الأحوال يجب عليك النفير ولو لم تجد من يرعى والدتك سواك لأن مصلحة الدين مقدمة على كل المصالح، وإن كان الحال غير ذلك فإنه يسعك إن شاء الله أن ترعى والدتك إلى أن يقضي الله أمرا كان مفعولا مع استصحابك نية الجهاد وتحديثك نفسك بذلك وإعدادك له والعمل في الدعوة إلى توحيد الله في بلدك والصبر على ذلك ومساعدة المجاهدين بما استطعت إليه سبيلا ... وفقك اللهأريد أن الجهاد ولكن ليس لأمي- بعد الله - غيري رقم السؤال: 586
أجابه، عضو اللجنة الشرعية: الشيخ أبو أسامة الشامي
Last edited by Munshi Abdur Rahman; 03-04-2020, 10:33 PM.
-
ইমাম আবু ইউসূফ রহিমাহুল্লাহর কিতাবুল আছারের সম্ভাবত ৮৭০ নাম্বার হাদিসে একদিন দেখছিলাম,রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এক জন বলেন"আমি আমার পিতা-মাতাকে কাদিয়ে জিহাদে এসেছি" তখন রাসূল সাল্লালাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বলেন"তুমি যেভাবে তাদেরকে কাদিয়ে এসেছ সেভাবেই তাদেরকে হাসিয়ে এস" ৷ এটা কি জিহাদ ফরজে কেফায়ার অবস্থায় ছিল না কি?"জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ
Comment
Comment