তারা ও কি শহিদ,,,???

[Omer Faruk Al Adnani]

যারা আব্রাহাম লিংকনের গনতন্ত্র কে ফলো করে শাপলা চত্তরে একত্রিত হয়ে মারা গিয়েছে,,,,,,???

শায়খ তামিম আল আদনানি ও দারসুল ঈমান সিরিজের শায়খ শরিফুল আলম হাফিজাহুমুল্লাহ এনাদের বয়ান শুনে জানতে পারলাম ঈমান ভঙ্গের কারণ 10 টি, ,,
আর ফেসবুকে একজন ভাই এই দশটিকে আবার 3 ভাগ করেছেন,,
1/কওলি/ইতেকাদি
2/ উসুলী হ
3/আমলি

এখন যে সকল ভাইয়েরা শাপলা চত্তরে উপস্থিত হয়েছিল ,তাদের 1 নং ঠিক থাকলে ও 2,3 নং এর মধ্যে তারা পতিত হচ্ছে

"কেউ যদি হেটে হেটে নামাজ পড়ে বা আগে সিজদাহ পরে রুকু করে অর্থাৎ উসুলিটা ঠিক না করে,,,তাহলে কিন্তু তার নামাজ আদায় হবে না, তার আমলি ও উসুলিটাও ঠিক হওয়া আবশ্যক "

এখন ভাইদের উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম,,!!

[ইলম ও জিহাদ]

উত্তর:

بسم الله الرحمن الرحيم. وصلى الله تعالى على خير خلقه محمد وآله وصحبه أجمعين. أما بعد:

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
من قتل دون ماله فهو شهيد ومن قتل دون أهله أو دون دمه أو دون دينه فهو شهيد
“যে ব্যক্তি তার মাল রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হবে- সে শহীদ। যে তার পরিবার, তার নিজ প্রাণ বা দ্বীন রক্ষার্থে নিহত হবে- সেও শহীদ।” -আবু দাউদ: ৪৭৭২

মুহতারাম ভাই, এবার আপনি নিজেই চিন্তা করুন, শাপলা চত্বরে মুসলিম ভাইয়েরা কেন নিহত হলেন? কেন তাদের হত্যা করা হলো? তারা কেন এসেছিলেন? দুনিয়াবি কোনো স্বার্থে? বেতন ভাতার দাবিতে? এসেছিলেন দ্বীনের জন্য। দ্বীনের জন্যই তারা নিহত হলেন? তাহলে কেন তারা শহীদ হবেন না?

হ্যাঁ, এতটুকু সত্য যে, সকল শহীদের সওয়াব সমান নয়। হাদিসে যুদ্ধে নিহত ছাড়াও আরো অনেককে শহীদ বলা হয়েছে। তবে সবার সওয়াব মর্যাদা সমান নয়।

আর ঈমান ভঙ্গের তো কোনো প্রশ্নই আসে না। তারা গণতন্ত্রের কুফরকে সমর্থন করে আসেননি। বরং ইসলামী আইনের দাবি তুলেছিলেন। তাহলে কেন তারা কাফের হবেন?

মুহতারা ভাই, মুসলিমদের প্রতি সদয় হওয়া শরীয়তের নির্দেশ। ঠুনকো অজুহাতে কাউকে কাফের বলা অত্যন্ত ভয়াবহ। আল্লাহ তাআলা সকলকে হিফাজত করুন। আমীন।

[abu mosa]

মাশাআল্লাহ

সুন্দর একটি বিষয় তুলে দরেছেন।
আল্লাহ কবুল করুন,আমিন।

[Rumman Al Hind]

হে আল্লাহ্ ইলম ও জিহাদ ভায়ের ইলম আরো বাড়িয়েদিন, ভাইকে খমা করুন,
আল্লাহ জিহাদি মিডিয়ার সকল স্তরের ভাইদের সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন আমিন।

[bokhtiar]

ফেইজবুকের রেফারেন্স দেওয়াটা যুক্তিসঙ্গত হয়নি। একজন মুসলিমকে তাকফির করার ক্ষেত্রে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। কারণ তাকফির বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর।