একটি হাদিস আসে যেখানে বলা হয়েছে যে খোরাসান থেকে কালো পতাকা ও কালো পোষাকবাহি দুই দল ইমাম মাহাদি র হাতে বায়াত হবেন। তো এক জন প্রশ্ন করতেছে যে খোরাসানে আল কায়েদা ও আসে আবার আই এস ও আসে কিন্তু আল কায়দা র পোষাক তো আর কালো না তবে আই এস এর পোষাক ও পতাকা উভয় টাই কালো তাহ্লে এই হাদিস এর মেসদাক এই হিসেবে আই এস হবে>>>>>> এখন এই সংশয়ের সমাধান কামনা করছি........।।
Announcement
Collapse
No announcement yet.
একটি জটিল সংশয় ভাইদের সাহায্য কামনা করছি
Collapse
X
-
হাদিসটা সহিহ না বলেই মনে হচ্ছে। কোন কিতাবে আছে বললে বিস্তারিত তাহকিক পেশ করা যেতো। আসলে আমরা অনেকেই শুধু নুয়াইম বিন হাম্মাদের আলফিতান পড়ি। অথচ এ কিতাবের অধিকাংশ হাদিসই যয়ীফ-মওযু। তাই এর পরিবর্তে হাদিসের প্রসিস্ধ কিতাবাদী থেকে ফিতান অধ্যায় কিংবা শায়েখ আরীফীর দা ইন্ড ওফ ওয়াল্ড বা ‘মহাপ্রলয়’ পড়লে ভালো হতো। বইটির বাংলা অনুবাদের লিংক:-
https://my.pcloud.com/publink/show?c...d01Jd1Dy9RbMW7الجهاد محك الإيمان
জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর
Comment
-
আহমেদ বর্ননা করেছেন যে আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন, “রাসুল(স) বলেছেনঃ”খোরাসান হতে কালো পতাকা ধারী লোক বের হবে যাদেরকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না যতক্ষন না তারা আলিয়ায় বিজয় পতাকা ওড়াবে।”
‘আলিয়া’ বাইতুল মাকদিসের প্রাচীন রোমান নাম । তৎকালীন খোরাসান ছিল বর্তমান আফগান ও পূর্ব ইরান ।
ইহুদী ধর্ম গ্রন্থে ইহুদীবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও যোদ্ধাদের বর্ননা
দুর্নীতিগ্রস্ত জেরুজালেমর বিরুদ্ধে ঈশ্বরের পরিকল্পনাঃ
এগুলো হচ্ছে সেই কথা যা স্বর্গীয় সেনাবাহিনীর প্রভু বলেছেনঃ আঘাত দিয়ে ভাঙ্গার যন্ত্র তৈরির জন্য গাছ কাট । জেরুজালেমের প্রাচীরের বিরুদ্ধে ঢালু রাস্তা তৈরি করো । এই সেই শহর যার শাস্তি হবে, সে সম্পুর্নরূপে পাপিষ্ঠ বলে । (জেরেমিয়াহ ৬:৬)
আল্লাহ কেন জায়নিস্টদের শাস্তি দিচ্ছেন ?
তারপর প্রভু আমাকে বললেন, ইসরাইলের জনগনের উপর এটা শেষ হবে । এরপর আমি আর কখনই উপেক্ষা করে যাবনা ( কারণ তারা প্রভুর চুক্তি ভেঙেছে ও পাপাচারে লিপ্ত হয়েছে )। সেই দিন গির্জার সংগীতের পরিবর্তে বিলাপ শুরু হবে, অনেককেই ছুড়ে ফেলা হবে সর্বত্র । (আমোস ৮ : ২,৩)
ঈহুদী ধর্মগ্রন্থের ওল্ড টেস্টামেন্টে এই সেনাবাহিনীর বর্ননা করা হয়
“দেখ, একদল লোক আসছে উত্তর দিকের দেশ থেকে,( ইসরাইলের উত্তরে মুসলিম দেশ সমুহ( ইরাক, আফগান, মিশর ও অন্যান্য) ইসরাইল দ্বারা নিপীড়িত ) এবং একটি মহান জাতি পৃথিবীর সুদূরতম অংশ থেকে উত্থাপিত হবে। তারা তীর ধনু ও বর্শা বহনকারী হবে । তারা নিষ্ঠুর ও দয়াহীন হবে ; তারা সমুদ্রের মত গর্জন করবে ।(যখন মুসলিমরা এক সাথে আল্লাহু আকবর বলে [আল্লাহ মহান]) তারা অশ্বারোহী হবে ।যেহেতু যোদ্ধারা তোমাদের দিকে নিক্ষেপ করবে । ও, ঈহুদীবাদীর কন্যা । (জেরেমিয়াহ ৬:২২,২৩)
একজনের হুমকিতে এক হাজার ঈহুদিবাদী পালিয়ে যাবে । পাচজনের হুমকিতে তুমি পালিয়ে যাবে । যতক্ষন না তুমি পোল অথবা ব্যানার হিসেবে ছাড়া পড়ে যাবে ।(ইসায়ীয়াহ ৬:২৬-৩০)
শিঙ্গায় ফু দেয়া ও সতর্কবার্তা বাজানো হবে পবিত্র পর্বতে ! ভুমির সমস্ত মানুষ প্রকম্পিত হতে থাকবে প্রভুর আগমনের জন্য ; অবশ্যই এটা নিকটবর্তি , এমন দিন অন্ধকার ও বিষাদের, এমন দিন হতাশার । যেভাবে ভোর হয় সেভাবে পর্বত থেকে একটি শক্তিশালী ওঃ অপারাজেয় সেনাবাহিনী নেমে আসবে যা আগে কখনই হয়নি । (জোএল ২:১-৯)
ইসলামে কালো পতাকাবাহী সেনাবাহিনীর বর্ননা
1265555_633241283374875_911333919_o
আব্দুল্লাহ ইবন হাওয়ালাহ (রা.) আল্লাহর রাসুল (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে উনি বলেছেনঃ “পরিস্থিতি তার কাজের ধারা অনুযায়ী চলতে থাকবে যতক্ষণ না তোমরা তিনটি বাহিনীতে পরিণত হওঃ একটি বাহিনী শামের, এবং একটি বাহিনী ইয়েমেনের আর আরেকটি ইরাকের।”ইবন হাওয়ালাহ (রাঃ) বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ)! যদি আমি সেই দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকি তবে আমার জন্য একটি নির্ধারন করে দিন।” আল্লাহর রাসুল(সাঃ) উত্তর দিলেন, “তোমার শামে যাওয়া উচিত হবে কারন এটি আল্লাহর ভূমিদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম, এবং উনার সবচেয়ে ভাল বান্দারাই সেখানে জড়ো হবে! এবং যদি তুমি তা না চাও তবে তোমার ইয়েমেনে যাওয়া উচিত এবং সেখানকার কূপ থেকে পানি পান করা উচিত। কারন আল্লাহ আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে উনি শাম এবং তার মানুষের উপর খেয়াল রাখবেন!”
(ইমাম আহমেদ ৪/১১০, আবু দাউদ ২৪৮৩)
হাদিস অনুসারে তিনটি সেনাবাহিনী তৈরি হবে , যার মধ্যে একটি সেনাবাহিনী
১) শামে
২)ইরাকে
৩)ইয়েমেনে
অপরটি খোরাসানে ( আফগানস্থান ও তার চারপাশে ) যদিও এই ব্যাপারে মতানৈক্য আছে, পৃথিবীর সবাই এই বাস্তবতা অনুভব করেছে )
আল কায়েদা ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো আজ চারটি জায়গাতেই উপস্থিত
ইরাকঃ ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক
শামঃ জাহবাত আল নুসরাহ
ইয়েমেনঃ আনসার আল শারিয়াহ
খোরাসানঃ আল কায়েদা কেন্দ্রীয়, তালেবান ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন ।
এদের সবাই যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের দোসরদের সাথে লড়াই করছে , সিরিয়া ব্যতীত । যেহেতু এই বইটা ২০১২ সালের নভেম্বরে লেখা, জাহবাত আল নুসরাহ অফিসিয়ালী ঘোষনা করেছে তারা একটি ইসলামী রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে । যুক্তরাস্ট্র ও ন্যাটো সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছে যাতে তারা ইসলামী রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম না হয় । যদি তারা আক্রমনের চেস্টা করে তবে জাহবাত আল নুসরাহ ইসলামী স্টেট অফ ইরাকের মত পরিকল্পনা গ্রহন করবে ।
আল কায়েদার এই গ্রুপগুলো এতদিনের যুদ্ধের বছরগুলোতে লড়াই করে যাচ্ছে , এটা অসম্ভব তাদেরকে সরিয়ে দেয়া, কারন তারা সবাই স্বাধীন ভাবে শুধুমাত্র আদর্শের ভিত্তিতে একত্রিত হয়েছে । এমনকি তাদের একটি নির্দিষ্ট জায়গা আছে , যদিও তাদের পাহাড় পর্বতে লুকাতে হয় ।
ভবিষৎবাণীকৃত ইয়েমেনের আবিয়ানে ১২,০০০ মুসলিম যোদ্ধা এখন জড়হচ্ছে
আহমাদ থেকে বর্ণিত, ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন যে রাসুলুল্লাহ (সাল্লালাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “ আল্লাহ্* ও তার রাসুলকে সাহায্য করার জন্য ‘আদেন আবিয়ান থেকে বার হাজার লোক বের হয়ে পড়বে, যারা আমার এবং তাদের সময়ের মধ্যে সর্বোত্তম লোক।”
ইয়েমেনের আনসার আল শারিয়াহ (AQAP) ‘আদেন আবিয়ান প্রদেশে অবস্থান করছে এবং ইতিমধ্যে তাদের বার হাজার লোক বিশিষ্ট এক আর্মি গঠন করা হয়েছে, ঠিক যেমনটি রাসুলুল্লাহ (সাল্লালাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন।
হিন্দুস্তান আক্রমণের ব্যাপারে ভবিষৎবাণী
খোরাসান আর্মি সম্পর্কে বলা হয়েছে :
আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত যে রাসুলুল্লাহ (সাল্লালাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “ আমার উম্মতের মধ্য থেকে একদল লোক হিন্দুস্তান আক্রমণ করবে এবং আল্লাহ্* তাদেরকে বিজয় লাভ করতে সাহায্য করবেন। তারা হিন্দুস্তানের রাজাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখবে। আল্লাহ্* তাদের সব গুনাহকে ক্ষমা করে দিবেন। এরপর তারা শামের (বৃহত্তরর সিরিয়া) দিকে যাবে এবং সেখানে তারা ঈসা ইবন মারইয়ামকে পাবে।”
নোট : ইমাম মাহদি ও ঈসা (আ’লাইহি ওয়া সালাম) এর মধ্যবর্তী সময়ের ব্যাপারটা প্রকৃতিগতভাবেই অস্পস্ট। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে ইমাম মাহদি প্রথমে আসবেন এবং এরপর আসবেন ঈসা (আ’লাইহি ওয়া সালাম)। বর্তমান বিশ্বের অবস্থা ও ঘটনাবলী ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে অনেক সম্মানিত চৌকস আলেমগণ ধারণা করছেন যে ইমাম মাহদি ইতিমধ্যে জন্মগ্রহন করেছেন এবং শীঘ্রই তিনি ইসলামের বিজয়ের জন্য কর্মরত বিভিন্ন হক্কপন্থী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করবেন।
ইন্ডিয়ার প্রতি আল কায়েদার আক্রমণের হুমকি (২০০৮ এ মুম্বাই আক্রমণের কারনে) হল ইন্ডিয়া আক্রমণের ভবিষৎবাণীর একটাঅংশ
খোরাসানের তালিবানদের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই তাদের লক্ষ্য হল ইন্ডিয়া। পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর গরিলা বিশেষজ্ঞ ইলিয়াস আল কাশ্মীরি তালিবান, লস্কর ই তাইয়্যেবা ও আল কায়েদাকে উৎসাহিত করেছে ইন্ডিয়াতে যুদ্ধ শুরু করার জন্য। কিন্তু তিনি কেন ইন্ডিয়াকে পছন্দ করলেন ?
মার্কিনদের শক্তিশালী মিত্র পাকিস্তান আর্মি যারা আল কায়েদা ও তালিবানদের বিরোধী, তারা ইন্ডিয়াতে ২০০৮ এ ওই হামলার সময় সর্বচ্চোভাবে সতর্ক ছিল। ইন্ডিয়া এসময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রায় যুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছিলো কারণ, তাদের অভিযোগ ছিল পাকিস্তান প্রক্সি আক্রমণ হিসেবে এটি লস্কর ই তাইয়্যেবাকে দিয়ে করিয়েছে।
এই বিশাল হুমকির কারনে পাকিস্তান পাক-আফগান বর্ডারে চলা আর্মিদের সাথে তালিবানদের যুদ্ধ থামিয়ে দেয় এবং তালিবান ও আল কায়েদাকে পুনর্গঠনে বাধা না দিয়ে আর তাদেরকে তাদের অভ্যুত্থানের ব্যাপারে স্বাধীনতা দিয়ে ইন্ডিয়ার সাথে ফুল স্কেল যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে। আল কায়েদা ও তালিবান এই ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে যদি পাকিস্তান ইন্ডিয়ার সাথে যুদ্ধ করে তবে তারা সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের পক্ষ হয়ে লড়বে। আমেরিকা ব্যাপারটা ভাল মতো আঁচ করলো এবং ইন্ডিয়াকে দ্রুত এ ব্যাপারে থামিয়ে দিল এটা বলে যে ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধে শুধুমাত্র আল কায়েদা ও তালিবান লাভবান হবে।
আল কায়েদা জানে যে ইন্ডিয়াতে আক্রমণ করতে থাকলে ইন্ডিয়া পাকিস্তানকে তার আফগান বর্ডারে “সন্ত্রাসীদের লালন-পালনের” জন্য আক্রমণ করবে। পাকিস্তানও এ আক্রমণের প্রতিশোধ নিবে এবং আল কায়েদা ও তালিবান তাদের মুসলিম প্রতিবেশীদের এমনকি বাংলাদেশকেও (আরেকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিবেশী) সাহায্য করবে।
এই পুরো আঞ্চলিক যুদ্ধ হবে প্রকৃতপক্ষে মুসলিম বনাম হিন্দু যুদ্ধ। সবশেষে মুসলিমরা এই যুদ্ধে জয়ী হবে যেমনটা রাসুলুল্লাহ (সাল্লালাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন হাদিসের মাধ্যমে। আর সেই মুজাহিদদের পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে (ফলে তারা জান্নাত লাভ করবে)।
জেরুজালেমের মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
খোরাসান (বৃহত্তর আফগানিস্তান) থেকে আসা কালো পতাকাধারী সৈন্যরা সিরিয়ার দিকে মার্চ করবে এবং ইমাম মাহদির অধীনে থাকা সিরিয়ার মুজাহিদের সাথে যোগ দিবে আর ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে (তা কতদিন পর্যন্ত চলবে তা আল্লাহই ভাল জানেন) যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদেরকে একটি দুর্গে অবরোধ করে রাখে। এরপর দাজ্জাল নতুন বিশ্ব ব্যাবস্থার রাজা হিসেবে আবির্ভূত হবে। জায়নিস্টরা এ ব্যাপারে অপেক্ষা করছে কারন তারা জানে দাজালকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। কিন্তু কিছু সময় পরেই তারা ঈসা (আ’লাইহি ওয়া সালাম) কে পাবে যিনি দুনিয়াতে স্বর্গ থেকে অবতরণ করবেন। কাল পতাকাধারী যোদ্ধারা তখন জেরুজালেমে পৌঁছাবে এবং সত্য মাসিয়াহ ঈসা (আ’লাইহি ওয়া সালাম) হত্যা করবেন মিথ্যা মাসিয়াহ দাজ্জালকে, কারন তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যাকে আল্লাহ্* সামর্থ্য দিবেন দাজ্জালকে হত্যা করার জন্য। এরপর তারা অবৈধ ইসরাইলকে পবিত্র শহরে রুপান্তর করবেন, মসজিদ আল আকসার পুনর্গঠন করবেন যা (সুলায়মান আ’লাইহি ওয়া সালাম কতৃক নির্মিত হয়েছিল) এবং আল্লাহ্* তার অঙ্গীকার পূরণের জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেন।
ইহুদিদের ওল্ড টেস্টামেন্ট অনুযায়ী এটা হবে তাদের কৃতজ্ঞতা সুচক প্রার্থনা
“আল্লেলুজা ! দাসত্ব,মহিমা,সম্মান ও ক্ষমতা আমাদের প্রভুর জন্য। তার রায় হল সত্য ও ন্যায়নিষ্ঠ কারন তিনি সেই পতিতাকেও বিচার করেছেন যে ব্যভিচারের মাধ্যমে পৃথিবীতে পাপ ছড়িয়েছে; এবং তিনি তার উপর প্রতিশোধ নিয়েছেন তার দ্বারা যে রক্ত পতিত হয়েছিলো।” (বাণী:১৯ : ১-২) *
(সাফার আল হালাওয়ী তার The day of Wrath বইতে বলেছেন জে এই পতিতা হল আমেরিকা ও ইসরাইল তারা বিশ্বে পাপাচার ও অশ্লীল কর্মের বিস্তার ঘটিয়েছে এবং এই দুই জাতি প্রচুর পরিমানে মুসলিমদের রক্ত ঝরিয়েছে, জেরুজালেম জয়ের পর তারা মুসলিমদের রক্ত প্রবাহিত করে।)
“সেই সময়টাতে আমি মানুষের কথাবার্তাকে বিশুদ্ধ করে দিব যাতে তাদের সবাই তাদের প্রভুর গুণগান করে এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাঁর পরিসেবা করে।” (জাপহানিয়াহ, ৩: ৯)
(“শাকাম” অর্থ কাঁধ, এখানে জামাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সালাতের কথা বলা হয়েছে)
এটি কখন ঘটতে পারে ?
অনেক ইসলামিক স্কলার (যেমন সাফার আল হালাওয়ি তাঁর বই “The Day of Wrath” এ) এবং অন্যান্য ধর্মের বুদ্ধিজীবীরা ২০১২ কে পৃথিবীর শেষ সময় বলে ভবিষৎবাণী করেছিলেন। তারা বলেছেন যে যদি ২০১২ তে পৃথিবীর ধ্বংস না হয় তবে এটা শেষ সময়ের শুরু হবে।
আফগানিস্তান, সোমালিয়া ও ইয়েমেনে আল কায়েদা গ্রুপগুলো লোহিত সাগর দিয়ে পশ্চিমা তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে এবং সেই সাথে গত কয়েক বছর ধরে প্রধান প্রধান কাঁচামাল যা পশ্চিমা সৈন্যদের কাছে পরিবহন করা হতো তাঁর পথ ও বন্ধ করে দিয়েছে। আল কায়েদার পরিকল্পনাকারীদের মতে ২০১২ তে পশ্চিমা সৈন্যরা আফগানিস্তান ত্যাগ করবে। ২০১২ ের নভেম্বরের প্রথম দিকে আফগানিস্তান থেকে ফ্রান্স ও ব্রিটিশ ফোর্স প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, এটা আল কায়েদার পরিকল্পনার সফলতার একটা অংশ।
দখলদার সৈন্য সম্পূর্ণভাবে আফগানিস্তান ত্যাগ করলে (আগামী কয়েক মাস বা বছরের মধ্যে) তালিবান এবং আল কায়েদা আফগানিস্তান থেকে জেরুজালেমের দিকে মার্চ করবে এবং তাদেরকে এটা করা থেকে কেউই আটকাতে পারবে না (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী)।
জেরুজালেমের দিকে মার্চ করার সময় পথিমধ্যে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, কারন তারা ইরাক (ইসলামিক স্টেট অফ ইরাকের মতো আল কায়েদার অন্যান্য শাখাগুলোর সাথে একত্রিত হবে) , এরপর সিরিয়া (সশস্ত্র ইসলামিক অভ্যুত্থানকারীরা) এবং এরপর প্যালেস্টাইনের অন্যান্য মুজাহিদের সাথে এক হবে। আল কায়েদার অন্যান্য শাখাও তাদের সাথে যোগ দিবে যার ফলে তারা এক অদম্য বাহিনীতে পরিণত হবে।
যারাই তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে তারা ধংসপ্রাপ্ত হবে।
“এরপর খোরাসান থেকে কাল পতাকা বের হয়ে আসবে এবং এমনভাবে তোমাদের হত্যা করবে যে কখনও এভাবে হত্যা করা হয়নি…..সুতরাং যখন তোমরা তাঁকে (ইমাম মাহদি) দেখবে, তখন তাদের কাছে যাবে এবং তাঁকে বাইয়াত (আনুগত্যের শপথ) দিবে, এমনকি যদি এটা করার জন্য তোমাদের বরফের উপর হামাগুঁড়ি দিয়ে যেতেও হয়। নিশ্চয়ই মাহদি হল আল্লাহর খলিফাহ।” (ইবন মাজাহ)
Comment
-
Originally posted by আদনানমারুফ View Postহাদিসটা সহিহ না বলেই মনে হচ্ছে। কোন কিতাবে আছে বললে বিস্তারিত তাহকিক পেশ করা যেতো। আসলে আমরা অনেকেই শুধু নুয়াইম বিন হাম্মাদের আলফিতান পড়ি। অথচ এ কিতাবের অধিকাংশ হাদিসই যয়ীফ-মওযু। তাই এর পরিবর্তে হাদিসের প্রসিদ্ধ কিতাবাদী থেকে ফিতান অধ্যায় কিংবা শায়েখ আরীফীর দা ইন্ড অফ ওয়ার্ল্ড পড়লে ভালো হতো।হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।
Comment
-
প্রিয় ভাই! দ্যা ইন্ড অফ ওয়ার্ল্ড এর ডাউনলোড লিংক কামনা করছি!
https://my.pcloud.com/publink/show?c...d01Jd1Dy9RbMW7Last edited by Munshi Abdur Rahman; 03-19-2020, 08:45 PM.الجهاد محك الإيمان
জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর
Comment
-
১. হাদিসটি সহীহ হোক বা যঈফ, শেষ যামানার হাদিসগুলো দিয়ে কি কোনো দলকে সংজ্ঞায়িত করা যায়? কোনো দলের জন্যই কি সেই হাদিসটিকে খাস ভাবা যায়? আমার জানামতে, যায় না। আলেম ভাইয়েরা বিস্তারিত বললে উপকৃত হবো ইনশাআল্লাহ।
২. আপনার দেওয়া হাদিসটিই এখনো সুস্পষ্ট হয়নি ভাই। সুস্পষ্টভাবে হাদিসটি উল্লেখ করুন ইনশাআল্লাহ। ফোরামে উপস্থিত উলামাগণ পরে তা যাচাই করে দেখবেন বলে আশা করি ইনশাআল্লাহ।
৩. আইএসের খারেজীপনা সুস্পষ্ট। এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে, মুসলিমদের রক্ত হালালকারী এই গোষ্ঠীকে এভাবে হক্ব প্রমাণ করা যায় না।
৪. খোরাসান থেকে আইএসের উৎপত্তি হয়নি। আইএসের উৎপত্তি হয়েছে ইরাক থেকে। [খোরাসান থেকে কালোপতাকাবাহীদের ছড়িয়ে পড়ার হাদিসও আছে]
৫. খোরাসান থেকে আল-কায়েদার উৎপত্তি হয়েছে এবং পরে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। পূর্বেও আল-কায়েদার পতাকা কালো ছিল, আজও কালো। খোরাসানে ইসলামী ইমারত আফগানিস্তানের পতাকা সাদা। আল-কায়েদার পতাকা সেখানে উড়ে থাকলে অবশ্যই তা কালো হবে। আর, সাদা পতাকা ব্যবহৃত হয় ইমারাত বুঝানোর জন্য, কালো পতাকা যুদ্ধের জন্য।
Comment
Comment