আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। বর্তমান তাগুত সরকারের অধীনে পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার ব্যাপারে নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর কুরআন-সুন্নাহর আলোকে সমাধান জানানোর জন্য সম্মানিত আলেম ভাইদের কাছে অনুরোধ।
* যদি কেউ দ্বীনি কাজে সাহায্য করার জন্য (যেমন- অস্ত্র সংগ্রহ, তাগুতের তথ্য প্রদান ইত্যাদি) পুলিশের চাকরি করতে চায়, এই নিয়তে কি পুলিশে চাকরি করা জায়েয হবে?
* অনেকের ভাবনা এমন যে, পুলিশ বাহিনীতে যদি ভালো কেউ না যায়, তাহলে তো এটা খারাপদেরই দখলে থাকবে। ভালোদের উচিত এটাতে যোগ দেওয়া। সে নিজের নিয়ন্ত্রিত অবস্থান ও এলাকাটাকে তো অন্তত ভালো রাখতে পারবে! এমন চিন্তায় কেউ যদি পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিতে চায়, এটা কি জায়েয হবে?
* অনেকে আবার ভাবেন, পুলিশ বাহিনীতে কাজ করলেই যে খারাপ হয়ে যাবে, এমন তো না। সরকার যদি খারাপ কিছু করার আদেশ দেয়, তাহলে এটা না করবে। এখান থেকে সে দূরে সরে থাকবে। এই চিন্তা নিয়েও অনেকে পুলিশে যোগ দিতে চান, তাদের ক্ষেত্রে কী বলা হবে?
* অনেক ক্ষেত্রে আবার এমন হয় যে, কেউ পুলিশের চাকরি পেয়েছেন। তো তিনি চাচ্ছেন, চাকরিতে জয়েন না করে, পুলিশের চাকরিতে জয়েন করার পূর্বে ট্রেনিং দেওয়া হয়, সেই ট্রেনিংটা কেবল নিতে। এই ক্ষেত্রে ট্রেনিং করাটা কি জায়েয হবে?
* পুলিশে চাকরিরত আপন বড় ভাইয়ের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে? তার সাথে কী ধরণের সম্পর্ক রক্ষা করতে হবে?
* তাফসিরে সূরা তাওবাতে শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ এক প্রশ্নের জবাবে যে আলোচনা করেছেন তার কিছু অংশ নিচে তুলে দিচ্ছি,
“... জনৈক ব্যক্তি আল্লামা ইবনে তাইমিয়া বা আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আমি তো কর বিভাগে চাকুরি করি। তবে আমার কারণে মানুষের উপর জুলুম কম হয়। আমি অল্প কর আরোপ করি আর অন্যরা অকারণে সীমাতিরিক্ত কর আদায় করে। তখন তিনি তাকে বললেন, তুমি তোমার স্থানেই থাক। তাহলে মুসলমানদের উপর জুলুম কিছুটা কম হবে। তাই বলছিলাম, এ ধরণের মানুষের উপস্থিতি মুসলিমদের জন্য কিছুটা সুবিধা দান করে। তাদের বর্তমানে সাধারণ মানুষেরা কিছুটা সাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
একদা আমার সাথে সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভীর সাক্ষাৎ হলো, আলোচনা হলো। আমরা মন্ত্রীত্ব নিয়ে আলোচনা করছিলাম। আমি বললাম, ইসলামী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের জন্য আমাদের দেশে মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করা এক বিরাট বিপদ। তিনি আমার কথা শুনে খুব ক্ষুব্ধ হলেন। বললেন, না, না, এটা কেমন কথা। আমরা তো হিন্দুস্তানে হিন্দু পুলিশের গুলি থেকে বাঁচার জন্য একজন মুসলমান পুলিশ অফিসারের তালাশে থাকি। যখন মুসলমানদের হত্যার নির্দেশ আসে, তখন একজন মুসলমান পুলিশ অফিসার পেলে আমরা দারুণ খুশি হই। অতঃপর, তিনি বললেন, এসব ব্যাপারে তোমরা এতোবেশি বাড়াবাড়ি কর না। এ হলো সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহঃ) এর মতামত। তিনি তো এ সময়ের এক মহান ব্যক্তিত্ব। “ [পৃষ্ঠা: ১২৯-১৩০, তাফসিরে সূরা তাওবা; অনুবাদ: মাওলানা নাসীম আরাফাত]
সম্মানিত আলেম ভাইদের কাছে শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ এর উপরোক্ত আলোচনার ব্যাখ্যা জানতে চাচ্ছি। আশা করি, এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আপনাদের জন্য সহজ করুন, আপনাদের ইলম ও আমলে বরকত দান করুন, আমাদেরকে হক্বকে হক্ব হিসেবে চেনার ও মানার তাওফিক দান করুন, আমীন।
* যদি কেউ দ্বীনি কাজে সাহায্য করার জন্য (যেমন- অস্ত্র সংগ্রহ, তাগুতের তথ্য প্রদান ইত্যাদি) পুলিশের চাকরি করতে চায়, এই নিয়তে কি পুলিশে চাকরি করা জায়েয হবে?
* অনেকের ভাবনা এমন যে, পুলিশ বাহিনীতে যদি ভালো কেউ না যায়, তাহলে তো এটা খারাপদেরই দখলে থাকবে। ভালোদের উচিত এটাতে যোগ দেওয়া। সে নিজের নিয়ন্ত্রিত অবস্থান ও এলাকাটাকে তো অন্তত ভালো রাখতে পারবে! এমন চিন্তায় কেউ যদি পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিতে চায়, এটা কি জায়েয হবে?
* অনেকে আবার ভাবেন, পুলিশ বাহিনীতে কাজ করলেই যে খারাপ হয়ে যাবে, এমন তো না। সরকার যদি খারাপ কিছু করার আদেশ দেয়, তাহলে এটা না করবে। এখান থেকে সে দূরে সরে থাকবে। এই চিন্তা নিয়েও অনেকে পুলিশে যোগ দিতে চান, তাদের ক্ষেত্রে কী বলা হবে?
* অনেক ক্ষেত্রে আবার এমন হয় যে, কেউ পুলিশের চাকরি পেয়েছেন। তো তিনি চাচ্ছেন, চাকরিতে জয়েন না করে, পুলিশের চাকরিতে জয়েন করার পূর্বে ট্রেনিং দেওয়া হয়, সেই ট্রেনিংটা কেবল নিতে। এই ক্ষেত্রে ট্রেনিং করাটা কি জায়েয হবে?
* পুলিশে চাকরিরত আপন বড় ভাইয়ের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে? তার সাথে কী ধরণের সম্পর্ক রক্ষা করতে হবে?
* তাফসিরে সূরা তাওবাতে শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ এক প্রশ্নের জবাবে যে আলোচনা করেছেন তার কিছু অংশ নিচে তুলে দিচ্ছি,
“... জনৈক ব্যক্তি আল্লামা ইবনে তাইমিয়া বা আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আমি তো কর বিভাগে চাকুরি করি। তবে আমার কারণে মানুষের উপর জুলুম কম হয়। আমি অল্প কর আরোপ করি আর অন্যরা অকারণে সীমাতিরিক্ত কর আদায় করে। তখন তিনি তাকে বললেন, তুমি তোমার স্থানেই থাক। তাহলে মুসলমানদের উপর জুলুম কিছুটা কম হবে। তাই বলছিলাম, এ ধরণের মানুষের উপস্থিতি মুসলিমদের জন্য কিছুটা সুবিধা দান করে। তাদের বর্তমানে সাধারণ মানুষেরা কিছুটা সাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
একদা আমার সাথে সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভীর সাক্ষাৎ হলো, আলোচনা হলো। আমরা মন্ত্রীত্ব নিয়ে আলোচনা করছিলাম। আমি বললাম, ইসলামী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের জন্য আমাদের দেশে মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করা এক বিরাট বিপদ। তিনি আমার কথা শুনে খুব ক্ষুব্ধ হলেন। বললেন, না, না, এটা কেমন কথা। আমরা তো হিন্দুস্তানে হিন্দু পুলিশের গুলি থেকে বাঁচার জন্য একজন মুসলমান পুলিশ অফিসারের তালাশে থাকি। যখন মুসলমানদের হত্যার নির্দেশ আসে, তখন একজন মুসলমান পুলিশ অফিসার পেলে আমরা দারুণ খুশি হই। অতঃপর, তিনি বললেন, এসব ব্যাপারে তোমরা এতোবেশি বাড়াবাড়ি কর না। এ হলো সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহঃ) এর মতামত। তিনি তো এ সময়ের এক মহান ব্যক্তিত্ব। “ [পৃষ্ঠা: ১২৯-১৩০, তাফসিরে সূরা তাওবা; অনুবাদ: মাওলানা নাসীম আরাফাত]
সম্মানিত আলেম ভাইদের কাছে শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ এর উপরোক্ত আলোচনার ব্যাখ্যা জানতে চাচ্ছি। আশা করি, এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আপনাদের জন্য সহজ করুন, আপনাদের ইলম ও আমলে বরকত দান করুন, আমাদেরকে হক্বকে হক্ব হিসেবে চেনার ও মানার তাওফিক দান করুন, আমীন।
Comment