সংক্রমণের ভয়ে হত্যার বিধান কী ?

[Muhammad Jainul Abedin]

সংক্রমণের ভয়ে হত্যার বিধান কী ?

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখতে/শুনতে পাচ্ছি যে , করোনা সংক্রমনের ভয়ে চায়না, ইতালী,ও পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা সংক্রমিত লোকজনকে গুলি করে হত্যা করছে।
মৃত্যুর ইঞ্জেকশন দিয়ে সংক্রমিত লোককে হত্যা করা হচ্ছে!

এবং সাথে সাথে আপনাদের প্রতি আবেদন!

এই কঠিন মুহূর্তে আমাদের মানহাজের মুজাহিদ ভাইগণের ও মুফতীয়ানে কেরামগণের নিকট এর সমাধান চাচ্ছি।
এবং সাধারণ মুসলিম জণগণকে সতর্ক করানোর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

[ইলম ও জিহাদ]

নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক। ইসলামে যাদের হত্যা নিষেধ, করোনার কারণে কোনো অবস্থাতেই তাদের কাউকে হত্যা করা যাবে না।

[With Guraba]

আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন আমীন

[আদনানমারুফ]

এই হাদিসটি পড়ুন আর একটু চিন্তা করুন,

لزوال الدنيا أهون عند الله من قتل رجل مسلم

দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাওয়া আল্লাহ তায়ালার নিকট একজন মুমিনকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার চেয়ে তুচ্ছ। -জামে’ তিরমিযি, ১৩৯৫ সুনানে নাসায়ী ৩৯৮৭

সুতরাং যদি করোনার কারণে সারা *দুনিয়ার মুসলমানদের শহিদ হয়ে যেতে হয় তবুও তা থেকে বাচার জন্য কোন মুসলিমকে হত্যা করা যাবে না। আহ! শায়েখ আতিয়্যাহ লিবী রহিমাহুল্লাহু কতই না উত্তম কথা বলেছেন, উপরোক্ত হাদিসটি উল্লেখ করে তিনি বলেন,

“আমাদের সব পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যাক, আমাদের তানযীম ধ্বংস হয়ে যাক, কিন্তু আমাদের দ্বারা যেন অন্যায়ভাবে (শরীয়তের আওতার বাহিরে) কোন মুসলমানের রক্তপাত না হয়। ”

আর মুমিনের কিসের এত ভয়, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো কুষ্ঠরোগীকে নিজের সাথে বসিয়ে খাবার খাওয়ায়েছেন। (জামে’ তিরমিযি ১৮১৭) যদিও অন্যান্য হাদিসে রাসূল কুষ্ঠ রোগী থেকে সতর্ক থাকতে বলেছেন, কিন্তু সম্ভবত এই হাদিসের উদ্দেশ্য হলো, মুমিন এসব মহামারীতে খুব বেশি আতংকিত হবে না, বরং সে আল্লাহর উপর ভরসা রাখবে, এই বিশ্বাস করবে যে, আল্লাহর আদেশ ছাড়া তার কোন রোগ হতে পারে না। আর যদি কোন রোগ হয় তবুও তো তা মুমিনের জন্য রহমত, শাহাদাত ও গুনাহের কাফফারা।

[Muhammad Jainul Abedin]

নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক। ইসলামে যাদের হত্যা নিষেধ, করোনার কারণে কোনো অবস্থাতেই তাদের কাউকে হত্যা করা যাবে না।

[quote=আদনানমারুফ;85577]এই হাদিসটি পড়ুন আর একটু চিন্তা করুন,

لزوال الدنيا أهون عند الله من قتل رجل مسلم

দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাওয়া আল্লাহ তায়ালার নিকট একজন মুমিনকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার চেয়ে তুচ্ছ। -জামে’ তিরমিযি, ১৩৯৫ সুনানে নাসায়ী ৩৯৮৭

সুতরাং যদি করোনার কারণে সারা *দুনিয়ার মুসলমানদের শহিদ হয়ে যেতে হয় তবুও তা থেকে বাচার জন্য কোন মুসলিমকে হত্যা করা যাবে না। আহ! শায়েখ আতিয়্যাহ লিবী রহিমাহুল্লাহু কতই না উত্তম কথা বলেছেন, উপরোক্ত হাদিসটি উল্লেখ করে তিনি বলেন,

“আমাদের সব পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যাক, আমাদের তানযীম ধ্বংস হয়ে যাক, কিন্তু আমাদের দ্বারা যেন অন্যায়ভাবে (শরীয়তের আওতার বাহিরে) কোন মুসলমানের রক্তপাত না হয়। ”

আর মুমিনের কিসের এত ভয়, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো কুষ্ঠরোগীকে নিজের সাথে বসিয়ে খাবার খাওয়ায়েছেন। (জামে’ তিরমিযি ১৮১৭) যদিও অন্যান্য হাদিসে রাসূল কুষ্ঠ রোগী থেকে সতর্ক থাকতে বলেছেন, কিন্তু সম্ভবত এই হাদিসের উদ্দেশ্য হলো, মুমিন এসব মহামারীতে খুব বেশি আতংকিত হবে না, বরং সে আল্লাহর উপর ভরসা রাখবে, এই বিশ্বাস করবে যে, আল্লাহর আদেশ ছাড়া তার কোন রোগ হতে পারে না। আর যদি কোন রোগ হয় তবুও তো তা মুমিনের জন্য রহমত, শাহাদাত ও গুনাহের কাফফারা।[/ক


জাযাকাল্লাহ, শুকরান লাকা।
প্রিয় ভাই,আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই!
সাথে সাথে আপনাদের প্রতি একটা অনুরোধ করছি! যে,আপনারা এই ইস্তিফতা টা জনসাধারণের মাঝে পৌছিয়ে দেবেন।

[জিহাদী কাফেলার দ]

মাশা'আল্লাহ। জাযাকাল্লাহ খাইরান ।
আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলম ও হায়াতে বারাকাহ দান করুন।